নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের দেশের রাজনৈতিক কর্তাব্যক্তিরা প্রায়ই কাজের অর্থাৎ প্রয়োজনের চেয়ে কথা বেশি বলে সমালোচনার ঝড় তুলেন । কখনো এ ধরনের অপ্রয়োজনীয় কথা তাদেরকে দেশের সাধারন মানুষের কাছে চাটুকারে পরিনত করে তা তারা হয়তো ভাবেন না । সম্প্রতি নতুন দায়িত্ব পাওয়া বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল বিমানকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে প্রয়োজনে রক্ত দেয়ার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেছেন ।মন্ত্রীমহোদয় অবশ্য এই ও বলেছেন বিমানকে লাভজনক করা খুব কঠিন কাজ না ।স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন যে কাজটি খুব কঠিন নয় বলে মন্ত্রীমহোদয় বললেন তিনি কেন সেই সাধারন কাজের জন্য রক্ত পর্যন্ত দিতে চইলেন ? মাননীয় বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী মহোদয়কে বলেতে চাই কোন প্রতিষ্ঠানকে লাভজনক করে তুলতে হলে প্রথমেই প্রয়োজন সততা সেই সাথে প্রয়োজন হয় দক্ষ ব্যবস্থাপনার এই দুয়ের উপস্হিতিতেই যে কোন প্রতিষ্ঠান অবশ্য লাভবান হবে বলে বিশ্বাস রক্ত দিয়ে বা জীবন উৎসর্গ করে কোন প্রতিষ্ঠানকে লাভবান করা আদৌ সম্ভব নয় । বাংলাদেশ বিমান আমাদের ঐতিহ্যবাহী একটি প্রতিষ্ঠান। অথচ মাত্রাধিক লোকবলের ভার, সিবিএর নামে বাড়াবাড়ি, দক্ষ ব্যবস্থাপনা ও কর্মীর অভাব, অভ্যন্তরীণ লুটপাট ও অনিয়ম প্রতিষ্ঠানটিকে ডুবিয়েছে। আজ আমাদের দেশের মানুষ আমাদের জাতীয় পতাকাবাহী উড়োজাহাজের যাত্রী হতে মোটেও আনন্দবোধ করেন না । বিমানের সকালের ফ্লাইট সন্ধ্যায় ও যাত্রাকরবে কি না তা নিয়েও অনেক সময় সন্দেহ থেকে যায় । খোঁজলে টিকেট মিলে না কিন্তু বিমানের প্রতিটি ফ্লাইট ই যাত্রা করে অর্ধেক আসন খালি নিয়ে । আমাদের বিমানের যে যাত্রীসেবা তা না হয় নাই বা বললাম । বিমানের কেবিনক্রুরা প্রত্যেক যাত্রীকেই মনে করেন সবাই যেন তাদের অধিন্ত চাকর-বাকর । আমাদের মধ্যপ্রচ্যের রুটে যে সকল ফ্লাইট গুলি বিমান পরিচলানা করে ঐ সকল ফ্লাইটের কেবিনক্রুরা যাত্রীদের যে সেবা ও ব্যবহার উপহার দেন তা কখনো ই কারো কাম্য নয় । সেই কারনে আমাদের মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসী শ্রমিক ভাই-বোনের এখন আর না পরলে বিমানের যাত্রী হতে চান না । মাননীয় মন্ত্রী বাংলাদেশ বিমান ও বিমানবন্দরের সমস্যা বোঝার জন্য পাহাড়সম উচ্চতার তথ্য-জ্ঞানের প্রয়োজন হয় না। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সংবাদের উপর নজর রাখলেই ওসব আপনার জানা হয়ে যাবে। বিমানের সময়সূচি নির্ভুল রাখার জন্য কোন বিশেষজ্ঞ প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না । শুধু মাত্র খ্যাতনামা বিমান সংস্হ্যা গুলি কীভাবে সময়সূচি রক্ষা করে আকাশে উড়ছে আর মাটিতে নামছে তা দেখে এসে কাজ করলেই আমাদের বিমান ও সময়সূচি রক্ষা করতে পারবে। মাননীয় মন্ত্রী অকারণে অখ্যাত-অজ্ঞাত কোম্পানি থেকে উড়োজাহাজ লিজ এনে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের অর্থের ক্ষতি ই বিমানে লোকসানের অন্যতম একটি কারন নয় কি ? বিমানের কর্মীরা ফ্রি টিকেটে দেশ বিদেশ ঘুরে তাতে ও কি বিমানের কম লোকসান ?
মাননীয় মন্ত্রী একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর যেভাবে নিষ্কলুষ, শৃঙ্খলপূর্ণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার কথা আমাদের কোন একটি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর কি তেমন টি ? অভ্যন্তরীণ বিমান বন্দরের কথা না হয় বাদই দিলাম ।মশা-মাছি ও ইঁদুর-বিড়াল পদচারনায় মুখরিত আমাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর গুলি । ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষের পর লাগেজ হাতে মিললেও লাগেজ কাটা মালামাল চুরি হওয়া বা লাগেজ গায়েব হয়ে যাওয়া আমাদের বিমান বন্দর গুলিতে নতুন কিছুই নয় । বিমান বন্দরের কর্মীদের হাতে যাত্রী হয়রানি বা অপদস্ত তো নিত্যদিনের ঘটনা ।আমাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর গুলি চোরাকারবারীদের নিরাপদ রুট আর বিমানকে তারা ব্যবহার করছে অবৈধপন্যের পরিবহনে । আমাদের পর্যটননগরী কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের কাজ আজো ঝুলে আছে অথচ পর্যটন শিল্পবিকাশের প্রথম শর্তই হচ্ছে একটি ভালমানের বিমান বন্দর । মাননীয় মন্ত্রী একাত্তরের মহান মুক্তি যুদ্ধে আমাদের রক্তদেয়ার প্রয়োজন ছিল নব্বইয়ে স্বৈরাচার পতনে আমাদের রক্তদেয়ার প্রয়োজন ছিল ভবিষ্যতে ও আমাদের দেশমাতৃকার অস্তিত্ব ও আমদের গনতন্ত্র রক্ষার প্রয়োজনে আবার ও আমরা সবাই রক্তদিতে প্রস্তুত । তবে বিমানের মত একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠানকে লাভবান করতে আপনার রক্তদেয়ার কোন প্রয়োজন আছে বলে আমি তথা দেশবাসি কেউই মনে করেন না । বিমানকে লাভবান করতে আপনার সততা ও কর্মদক্ষতাই যথেষ্ট বলে আমরা মনেকরি ।
২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৩:৫৪
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
রাষ্ট্রিয় বিমান সংস্থা সাধারণত লাভজনক হয়না।
দুর্নীতি যাত্রীভোগান্তি কমিয়ে রুট বাড়ানো হলে সেটাই কাজেরকাজ হবে।
বিমান কেনায় দুর্নীতি হয়নি, কারন সব বিমান বোইং থেকে কেনা। ২০০০ সালের পর আমেরিকান বড় কম্পানীগুলো আর দুইনম্বরি করতে পারে না।
৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৪:৩৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমি মন্ত্রীকে জানি না; তবে, যারা মন্ত্রী হয়, সেই পাটার্ণ থেকে বলতে পারি যে, ডেলটা বা আমেরিকান এয়ার লাইন্সের টার্মিনাল অফিসারের দক্ষতা মন্ত্রী থেকে হাজার গুণ বেশী হবে; বিমানের জন্য ৪/৫ জন বিদেশী প্রফেশানেল দরকার।
৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৬:১৬
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: শুধু নতুন বিমান ক্রয় করেই বাংলাদেশ বিমানকে রক্ষা করা যাবে না - প্রতিটা ফ্লাইটের সময় এবং পরে এর যথাযথ রক্ষনাবেক্ষনও অপরিহার্য্য | এর জন্য বিমানকর্মীদের সততা এবং আন্তরিকতার প্রমান দিতে হবে | জেট এয়ার যদি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসনীয় হতে পারে, তার প্রতিবেশী দেশের এই সংস্থাটি কেন বিশ্বের একদম নিম্নসারির বিমান পরিবহন সংস্থা হিসাবে পরিচিত হয়ে থাকবে !!!
যাত্রীরা যে বিমানের রক্তসঞ্চালককারী তা অনুধাবন করা প্রত্যেকটি বিমান কর্মী, বিমান বন্দরের অন্যান্য কর্মচারীদের জন্য ফরজ | দিনের পর দিন যাত্রীদের অবহেলা করে নিজের আখেরাত নিয়ে ব্যস্ত থাকাই বাংলাদেশ বিমান নামক প্রতিষ্ঠানটিকে আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে | এই চরম বাস্তবতা তাড়াতাড়ি উপলদ্বি করতে পারাটাই বিমানকে রক্ষার একমাত্র এবং শেষ উপায় |
বিমান কে যুগোপযোগী করতে হলে প্রথমেই এর লোকবল অনেক কমিয়ে বাকিদের দক্ষতা ও মানসিকতা উন্নয়নে মনোযোগী হতে হবে | ইউনিয়ন নিষিদ্ধ করতে হবে অবিলম্বেই | প্রয়োজনে অধিকাংশ স্টাফকে অন্যত্র বদলি করে দিয়ে কিছু সংখ্যক বিদেশী দক্ষ বিমান কর্মীকে নিয়োগ দেয়াই হবে সর্বপ্রথম পদক্ষেপ | আর এর ব্যবস্থাপনায় যে সকল বিদেশীদের নিয়ন্ত্রণ দেয়া হবে তাদেরকে সংস্থাটি পরিচালনায় সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে | সেই সাথে বিমান বন্দরের সার্বিক পরিচালনায়ও আমূল পরিবর্তন করতে হবে |
৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।
৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:১৬
আবদুল মমিন বলেছেন: রক্ত দেয়ার দরকার নাই খালি তেল চুরি বন্ধ কর ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৩:২৫
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: উনি রক্ত নয় জীবনই দিতে চেয়েছেন। উনার ভাগ্য ভালো লাভজনক করার মত একটা মন্ত্রণালয় তিনি পেয়েছেন। আমাদের প্রবাসীরাই যথেষ্ট বিমানকে লাভ করাতে। খালি উনাকে ও উনার কর্মীদের লুটপাট কমাতে হবে আর সৎ হতে হবে...