নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশের বর্তমান আলোচিত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন হলেন পুলিশের উপমহাপরিদর্শক মিজানুর রহমান ।দ্বিতীয় বিয়ে গোপন করতে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রী মরিয়ম আক্তারকে গ্রেপ্তার করানো ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের এই উর্দ্ধতন এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে । ব্যাংক কর্মকর্তা মরিয়ম আক্তারকে গত বছরের জুলাই মাসে বিয়ে করেন মিজানুর রহমান। ২০১৯ সাল পর্যন্ত সেই কথাটি গোপন রাখার শর্ত দিয়েছিলেন স্ত্রীকে। মরিয়ম রাজি হননি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি গত ১২ ডিসেম্বর পুলিশ পাঠিয়ে মরিয়মকে গ্রেপ্তার করান। মরিয়ম আক্তার মা কুইন তালুকদারের দাবি গত বছর জুলাই মাসের ১৬ জুলাই রাতে মিজানুরের কর্মচারীরা তাঁকে মুঠোফোনে ঢাকায় আসতে বলেন। একপর্যায়ে মরিয়মও তাঁর মাকে ফোন করেন। মিজান তাঁকে তাঁর বেইলি রোডের বাসায় যাওয়ার আগে মগবাজার কাজি অফিস থেকে একজন কাজিকে নিয়ে যেতে বলেন। মিজানের কথামতো ৫০ লাখ টাকা দেনমোহরে মরিয়ম ও মিজানুর রহমানের বিয়ে পড়ান কাজি সেলিম রেজা। অবশ্য মরিয়মের দাবি তাকে তার পান্থেপথের বাসা থেকে জোর করে তুলে নিয়ে নানা নির্যাতনের পর বিয়েতে রাজি করানো হয় । এই সময়ের মধ্যে মরিয়ম নাকি মিজানের বেলিরোডের বাসার রান্না ঘড়ে গ্যাসের চুলার আগুনে আত্মহত্যার ও চেষ্টা চালান । মরিয়মের মা কুইন তালুকদারের দাবি গত বছর ঈদুল ফিতরের আগে মরিয়ম তাঁকে ‘বিশেষ একজনের’ সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কথা বলেন। পরে কুইন তালুকদার জানতে পারেন সেই বিশেষ একজন হলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মিজানুর রহমান। তাঁদের পরিচয় হয়েছিল ফেসবুকে।যদি মরিয়ম ও মিজানের পরিচয় নিয়ে মিজানের বক্তব্য মরিয়মের সাথে তার পরিচয় একটি জিডির সুত্রধরে । ২০১৫ সালে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একটি জিডি করেছিলেন আর সেই কর্মকর্তাকে হেনস্ত করার জন্য মরিয়মের পরিচিত কোন এক নারী মিজানের সাথে মরিয়মের পরিচয় করিয়েদেন । আর এই পরিচয়ের সূত্রধরেই মোবাইল নাম্বার ও পরে মনবিনিময় । মন বিনিময় এ কারনেই বলছি যেহেতু মিজানুর ছিল মরিয়মের কাছে একজন বিশেষ ব্যক্তি আর সেই বিশেষ ব্যক্তিকে ঈদের মত বিশেষ দিনে মায়ের সাথে পরিচয় করে দেয়ার অর্থটা কি তেমন কিছু নয় ?
আমার এই লেখা মিজানুরের পক্ষে কিংবা মরিয়মের বিপক্ষে এমন কিছুই নয় । আমাদের দেশের মিজানুরদের মত পদস্ত কর্মকর্তা কিংবা বিশিষ্ট শিল্পপতি যারা অঢেল সম্পত্তি ও ক্ষমতার মালিক তাদের অনেকের চারিত্রিক রুপ মাঝে মাঝে কিছু কিছু অঘটনের পর সংবাদ মাধ্যম সহ বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা অবগত হই । অবশ্য সংবাদ মাধ্যম সহ অন্যান মাধ্যমে প্রাচরের উদ্দেশ্য একদিকে যেমন অপরাধী যতই শক্তি ও সম্পদশালী হউক না কেন তাকে যেন আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি দাড় করানো যায় অন্য দিকে দেশের সাধারন মানুষ যাতে সর্তক হতে পারে ভবিষ্যতে এমন অঘটন না ঘটে । বাস্তবতা কি তেমনটি ? আমাদের সাধারন মানুষ কি সতর্ক হয় ? একজন মেয়ে নিরাপদে লেখাপড়া শিখে চাকুরি করবে সমাজ তথা রাষ্ট্রে নিজের অস্তিত্ব প্রতিষ্ঠা করবে এটা ই আমাদের কাম্য ।নিজের মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে আজ আনেক নারীই আমাদের সমাজ তথা রাষ্ট্রে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে । আজ আমাদের রাষ্ট্র পরিচানার গুরুত্ব পূ্র্ণ পদ প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদলীয় নেতা ও সংসদের স্পীকার পর্যন্ত নারী । সেক্ষেত্রে আজ আর নারীকে ছোট করে দেখার সাধ্য কার আছে ? আমাদের সমাজে মিজানুররা নিজেদের হীন লালষা মেটানোর জন্য অনেক নারীর দিকে লোলুপ দৃষ্টিদেয় আবার অনেক নারীও আছে যারা সামজের মিথ্যা প্রতিষ্ঠা ও বিত্ত বৈভবে জটিল জীবন যাপনের জন্য মিজানুদের ফাঁদে পা দেয় । আর যে নারীরা লোভের বশে মিজানুরদের পাতা ফাঁদে পাদের পরবর্তীতে তারাই প্রতারনা শিকার হয় । লোভ মানুষের জন্মগত প্রাপ্তি । প্রতিটি মানুষের ভিতর নানাবিধ লোভ থাকে তবে মানুষের ভিতর খারাপ লোভের প্রবনতাই বেশি । তাই প্রতিটি মানুষের ই উচিত তার লোভকে সামাল দেয়া । মিজানুর একজন পুলিশের একজন উর্দ্ধতন কর্মকর্তা হয়ে ক্ষমতার যে অপব্যবহার করেছে তার উপযুক্ত বিচার তো প্রত্যেক সভ্যমানুষের ই দাবি । সেই সাথে মরিয়মদের কাছে ও অনুরোধ থাকবে আপনারা মিজানুদের ধন-সম্পদ ও ক্ষমতার মোহে তাদের প্রতারনার ফাঁদে পা না দিলে মিজানুররা কখনো ই তাদের হীন স্বার্থ হাসিল করতে পারবে না ।
©somewhere in net ltd.