নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ও বলতে চাই !

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন

ব্লগিং হউক সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার।

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাফর ইকবালরা কখনো হারে না ।

০৬ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৩:০১

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং দেশের জনপ্রিয় লেখক ড: মুহম্মদ জাফর ইকবাল নিজের ক্যাম্পাসেই দিনের আলোয়ে শত মানুষের মাঝে ছুরির কোপে ক্ষত বিক্ষত হয়েছেন । এই হামলায় ব্যথিত, স্তম্ভিত হলেও বিস্মিত হইনি ।কারন বাংলাদেশে এটা তো আর নতুন ঘটনা নয় । ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি সেদিন ও নিজ ক্যাম্পাসের ভিতর ই চাপাতির এলোপাথালি কোপে ক্ষত বিক্ষত করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও লেখক অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ ।সেই হামলায় অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ প্রানে বাঁচলেও তার কিছুদিনের সেই ক্ষত নিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল তাকে । তিনি তাঁর ওপর হামলার জন্য ধর্মীয় উগ্রবাদী তথা মৌলবাদী গোষ্ঠীকে দায়ী করেছিলেন।অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদের রক্ত না শুকাতেই ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রায় একই স্হানে একই কায়দায় জীবন দিতে হয় বিজ্ঞান লেখক অভিজিৎ রায়কে । অভিজিৎ হত্যার দায় খোলাখুলি ভাবেই স্বীকার করে নেয় আনসার বাংলা-৭ নামের একটি ইসলামিক মৌলবাদী জঙ্গী সংগঠন ।এর ই কিছুদিন পর রাজধানীর শাহবাগে নিজ অফিসে একই কায়দায় খুন হন প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন । এছাড়ার ও আমরা দেখেছি ২০০৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর খুন হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগের প্রবীণ শিক্ষক অধ্যাপক ইউনুস ২০০৬ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের প্রবীণ শিক্ষক এস তাহের, ২০১৪ সালে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক এ কে এম শফিউল ইসলাম, ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী । খুনের তালিকায় যুক্ত হয়েছে ব্লগার রাজীব হায়দার, নিলাদ্রী নীল সহ বেশ কয়েক জন ব্লগার ও মুক্তমনা লেখক ও । এই প্রতিটি হত্যা ও হমলার পিছনে ধর্মীয় উগ্রবাদী তথা মৌলবাদীরাই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে জরিত । ড: মুহম্মদ জাফর ইকবালের উপর হামলা ও এর ব্যতিক্রম হয়নি । বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম থেকে যতটুকু জেনেছি জাফর ইকবালের উপর হামলাকারী যুবক ফয়জুর রহমান ছিলেন মাদ্রাসার ছাত্র এবং তার পিতা মাওলানা হাফিজুর রহমান বর্তমানে একটি মাদ্রাসার শিক্ষক । আইন শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনীর ধারনা ফয়জুর জঙ্গিবাদে বিশ্বাসী । জাফর ইকবাল ইসলামের শত্রু এমন বিশ্বাসেই তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায় ফয়জুর ।

ড: মুহম্মদ জাফর ইকবালকে বরাবরই নানান ভাবে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে উগ্র ধর্মীয় মৌলবাদী গোষ্ঠি এই জন্য সরকার তার নিরাপত্তার স্বার্থে সার্বক্ষকিন পুলিশী নিরাপত্তার ও ব্যবস্হ্যা ও করেন । এর পর ও হামলাকারীরা কতটুকু হিংস্র যে শত শত মানুষের মাঝে দিনের আলোয়ে তার উপর হামলা করতে এত টুকু ও চিন্তা করলো না ? স্বাভাবিক ভাবেই বলতে পারি যে শুধু মাত্র দুই একজনের দুয়েক দিনের পরিকল্পনায় এই হামলা হয় নি । অবশ্যই এই হামলার পেছনে বড় কোন শক্তির হাত আছে । এই ধরনের প্রতিটি হামলার পর ই আমাদের রাজনৈতিক ময়দানে শুরু হয়ে যায় কাঁদা ছোরাছুরির পর্ব । জাফর ইকবালের উপর হামলার পর ও এর ব্যতিক্রম হয় নি সরকারি দলের দাবি সরকার কে বেকায়দায় ফেলার জন্য সরকার বিরোধীদের ইন্দনে এই কাজ হয়েছে আর সরকার বিরোধীদের দাবী বিরোধীদের দমনে সরকারেই ই পরিকল্পনার অংশ ।আর এই রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের সুবাদের পার পেয়ে যাচ্ছে অপরাধীরা । সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে বা বিরোধীদল কে ঘায়েল করতে হলে কেন জাফর ইকবালদের উপর হামলা করতে হবে ? সমাজে রাজনীতির আঁচলে লুকিয়ে থাকা বড় বড় সন্ত্রাসী বা দুর্নীতিবাজদের কে কি তারা চোখে দেখে না ? রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার মোহ আজ আমাদের রাজনীতিকে আমাদের মুলধারা থেকে অনেক দূরে ফেলেদিয়েছে । ক্ষমতার জন্য মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে জন্ম নেয়া বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভুলে যেয়ে বার বার মাথা নোয়াচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি ও ধর্মীয় উগ্র মৌলবাদীদের কাছে । এই সুযোগ কে ই সম্বল করে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তির ই অংশ ধর্মীয় উগ্র মৌলবাদীরা বার বার আঘাত করে যাচ্ছে আমাদের স্বাধীনতার সপক্ষের মুক্তচিন্তার প্রগতিশীল মানুষদের উপর যেমন ঘটেছিল ১৯৭১ সালে ।

জাফর ইকবাল আমেরিকার নিশ্চিত সুন্দর জীবন ছেড়ে মাতৃভুমির টানে চলে এসেছেন । মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিজ্ঞান মনা হয়ে এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখাতে শুরু করেছেন আমাদের তরুন সমাজকে । আমাদের সুন্দর পথে হাটা অনেকেরেই পছন্দ না । কারো কারো চাওয়া আফগানের সেই অন্ধকার কুপ তাই টো কোন এক সময় আমরা বলতে শুনেছি তারা হবে তালেবান আর বাংলা হবে আফগান । এই দেশকে আফগান করার জন্য তারা যতই চেষ্টা করুক জাফর ইকবালদের উপর যতই হামলা করুক তারা কখনো ই স্বার্থক হবে না । জাফর ইকবালদের উপর যতই আঘাত আসুকনা কেন জাফর ইকবালরা কখনো ই হারবে না । যদি জাফর ইকবালরা পরাজিত হয় পরাজিত হবে সমগ্র বাঙ্গালী পরাজিত হবে সমগ্র পৃথিবী ।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৩:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


ড: জাফর ইকবাল আমেরিকার চাকুরী ছেড়ে দিয়ে দেশে এসে শিক্ষকতা শুরু করেন, এটা বিরাট অবদান; কিন্তু আপনি বলছেন, "উনি মুক্তুযুদ্ধের চেতনায় তরুণদের পথ দেখাতে শুরু করলেন"।

তরুণদের কি পথ উনি দেখায়েছেন? আমার জানামতে উনি ভালো শিক্ষক, ভালো মানুষ, এতটুকু; পথ দেখাতে আমি দেখিনি, আপনাকে কোন পথ উনি দেখায়েছেন কিনা?

০৬ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:২৩

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন বলেছেন: একজন ভাল শিক্ষক একজন ভাল মানুষ ই জাতিকে পথ দেখায় । এটা তো আপনার ও জানার কথা ।

২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৩:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


উনি মুক্তিযুদ্ধের কি চেতনায় বিশ্বস করেন? আপনার কি মনে হয়? "মুক্তিযুদ্ধের চেতনা" বলতে উনার মাঝে আপনি কি দেখেছেন? আপনার মাঝে উহা আছে কিনা?

০৬ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:২৮

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন বলেছেন: তার পুরো বিশ্বাস ই জাতির এগিয়ে যাওয়ার মেরুদন্ড সোজা করে এক দিন তরুন সমাজ জাগবে এটাই তার প্রত্যাশ । যে ছিল আমাদের মুক্তিযুদ্ধাদের ও চেতনা ।

৩| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:১৪

মিরোরডডল বলেছেন: যা ঘটেছে এটা সত্যিই লজ্জাজনক এবং ট্র্যাজেডি
Not only for him
No one deserves to be attacked or killed
কিন্তু অপরাধীকে শাস্তি দেওয়া উচিত
পরিবারকে নয়

৪| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:০৫

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: কাদা ছুড়াছুঁড়ি তো আমরা শুরু করি। রাজনীতিবিদরা ফায়দা ভোগ করেন মাত্র।

৫| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:০৩

বারিধারা ২ বলেছেন: জাফর ইকবাল কি কোন যুদ্ধে নেমেছেন, নাকি কোন প্রতিযগিতায় নাম লিখিয়েছেন? তিনি জিতলেন, না হারলেন - তার মাপকাঠি কি?

০৬ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:২১

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন বলেছেন: তিনি প্রতিযোগিতায় নেমেছেন জাতিকে অলোর পথ দেখানোর প্রতিযোগিতায় ।

৬| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: জাফর স্যার ভালো মানুষ। ব্যস, এর বাইরে আর কোনো কথা হবে না।

০৬ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:২৯

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন বলেছেন: এটাই বাস্তব সত্য

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.