নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় গত ২০ আক্টেবর যেই নারকীয় তান্ডব ঘটেছে তা সত্যি নিন্দনীয় ও দুঃখজনক সেই সাথে আতংকিত হওয়ার মত ও বটে। সামাজিক যোগাযাগ মাধ্যম ফেইসবুকে বিপ্লব চন্দ্র শুভ নামে এক হিন্দু যুবক আল্লাহ ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বার্তা মেসেঞ্জারের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ই এমন ন্যাক্কার জনক ঘটনা। আগে কক্সবাজারের রামুতে ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরেও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দুই যুবকের ফেসবুক আইডি হ্যাক ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করেছিল কুচক্রী মহল। ভোলার বোরহানউদ্দিনপর ঘটনা ও রামু ও নাসির নগরের ঘটনার ই অবিকল নকল। বোরহানউদ্দিনে সেই হিন্দু ছেলেটি নাকি ঐ দিন ই থানায় সাধারন ডায়েরি করে প্রশাসনকে অবহিত করেছেন যে তার ফেইসবুক আইডি হ্যাক হয়েছে। এমন কি সংবাদমধ্যমে পুলিশের ভাস্য অনুযায়ি ঐ ছেলে যখন থানায় সাধারন ডায়েরি করার জন্য অবস্হান করেন ঐ মুহুর্তে তার কাছে মোটা অংকের চাঁদার দাবী করে ফোন করা হয় আর ঐ ফোনের সুত্রধরের পুলিশ বোরহানউদ্দিনের কাচিয়া ইউনিয়নের মো. ইমন ও রাফসান ইসলাম শরীফ ওরফে শাকিল নামে দুই হ্যাকারদের গ্রেফতার করেন।
হিন্দু যুবকের আল্লাহ ও মহানবী ( সাঃ) নিয়ে বাজে মন্তব্যের সংবাদ যখন ভোলার চারদিকে ছরিয়ে পরে ‘তৌহিদী জনতার’ ব্যানারে ২০ অক্টেবর ডাকা হয় প্রতিবাদ সভা। প্রশাসনের তরফ থেকে এর আগেই এলাকার মুসল্লী ও আলেম সমাজকে আসল ঘটনা জানানো হয় এবং দোষীদের গ্রেফতারের কথা জানিয়ে
প্রতিবাদ সমাবেশ স্হগিত করার আহ্বান জানানো হয়। তার পর ও ২০ অক্টেবর সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত মানুষ জরো হতে থাকে উপস্হিত জনতাকে আশ্বস্ত করতে বরিশাল বেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি ও ইউএনওকে নিয়ে পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে উপস্থিত জনগণের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন। ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা করে প্রয়োজনীয় সকল আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার বিষয়ে তাদেরকে বার বার আশ্বস্ত করেন। তাদের কথায় আশ্বস্ত হয়ে সমবেত লোকজন ঈদগাহ্ ময়দান ত্যাগ করেন। তারপর একদল লোক বিনা উসকানিতে মাদ্রাসার অফিস কক্ষে অবস্থানরত কর্মকর্তাদের ওপর আক্রমণ করে। আক্রমণকারীদের একদল আগ্নেয়াস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পুলিশ ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের ওপর আক্রমণ চালায়। আক্রমণকারীদের গুলিতে পুলিশের একজন মারাত্মক জখম হয়। মারাত্মক আহত হন পুলিশের আরেক সদস্য। বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজিও আহত হন পরে সংর্ঘষ ছড়িয়ে পরলে চার জন সাধারন মানুষ নিহত ও শতাধিক আহত হন এর মধ্যে বেশ কয়েক জন পুলিশ ও আছেন।
ইতোমধ্যে আমরা জনতে পরেছি বিপ্লব চন্দ্র বৈদ্য শুভসহ তিনজনকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। এখানে শুভ যেহেতু প্রশাসনকে অবহিত করেছেন এবং পুলিশ ও যেহেতু তথ্যপ্রমানের ভিত্তিতে শুভর ফেইসবুক আইডির হ্যাকার ও চাঁদা দাবী করা ব্যক্তিদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন তবে কেন শুভ কে কারাগারে যেত হলো? যেহেতু এটা আদালতের বিষয় তাই আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা রাখাটাই আমাদের কর্তব্য। এখানে আলেম সমাজ ও গন্যমান্য ব্যক্তিরা যেহেতু প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের কথায় আশ্বস্ত হয়েছেন তার পর ও কোন উদ্দেশ্যে কি স্বার্থ হাসিলের জন্য কে বা করা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের উপর হামলা চালিয়ে এমন অরাজক পরিস্থিতির জন্ম দিলো? নিহত চার জনের ময়নাতদন্ত শেষে দুজনের মাথা ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে থেঁতলানো ছিল বলে চিকিৎসকের বরাত দিয়ে পুলিশ সংবাদমাধ্যম কে জানিয়েছেন। পুলিশ ওখানে গুলি ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করেছেন তাই নিহত চার জন যদি পুলিশের সাথে সংর্ঘষে নিহত হতেন তবে সবাই গুলিতে নিহত হতেন এখানে কারা ভোঁতা অস্ত্র ব্যবহারকরে দুই জনকে হত্যা করলো। আমাদের সমাজে কিছু ধর্মান্ধ ও স্বার্থকামী লোক আছেন যারা ধর্মকে পুজিকরে সব সময় ই নিজের স্বার্থ হাসিলে ব্যস্ত এর জন্য তারা কাজে লাগান সমাজের ধর্মান্ধ মানুষদের সেই সাথে ব্যবহার করেন এতিম অসহায় শিশুদের। এটা প্রত্যেক ধর্মের মধ্যেই আছে তার জন্যই আমাদের দেশে এমন গুজবের মাধ্যমে ধর্মের উন্মাদনা ছড়িয়ে নানান অরাজক অবস্হার সৃষ্টি হয় মাঝে মাঝে। এই সুযোগে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জান ও মালের ক্ষতি পর্যন্ত হচ্ছে। এই ধর্মীয় উন্মদনার শিকার হয়ে আমাদের পাশের দেশ গুলিতেও কিন্তু খুন খারাবি প্রায় হয়। গরুর মাংস খাওয়া বা রাখার অপরাধে প্রায় ই ভারতে মুসলমানদের উপর চলে নির্যাতন। ধর্ম নাকি মানুষকে শান্তির পথে আনে ধর্ম মানুষকে নাকি শৃংখলার মধ্যে আনে। তবে ধর্মের নামে বা ধর্মকে পুজি করে যারা ব্যক্তি সমাজ বা রাষ্ট্রের ক্ষতি সাধরন করছে সমাজে বিশৃংখলার জন্ম দিচ্ছে তাদের কে কি নামে ডাকবো? তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম শুভ নামের হিন্দু ছেলেটি মহানবী (সাঃ) কে কি প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে কোন বাজে মন্তব্য করেই ফেলেছে তার জন্য কি সমাজের এমন ভয়াবহ পরস্হিতি সৃষ্টি করা যনে? দেশে আইন আছে অপরের ধর্মকে অবমাননার জন্য তাকে অবশ্যই আইনের মাধ্যমে বিচারের ব্যবস্হা করতে হবে। কিন্তু সমাজে বিশৃংখলা সৃষ্টি করা হয় গুটি কয়েক মানুষের ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য। এর আগের এই ধরনের যেই সকল ঘটনা গুলি ঘটেছে তার বিচারের জন্য আমাদের প্রশাসন কি যথাযথ ব্যবস্হা গ্রহন করতে পরেছে যদি পেরে থাকে তার বিচারের নিস্পত্তির ই বা কি ব্যবস্হা হয়েছে? একটি ঘটনা ঘটার পর যদি দ্রুততার সাথে বিচারের ব্যবস্হা করে অপরাধীদের সাজা কার্যকর করা হয় তা হলে ভবিষ্যতে একই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ার সম্ভবনা অনেক কম থাকে। আশাকরবো ভোলায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ দ্রুত ফিরে আসবে এবং ধর্মনির্বিশেষে প্রতে্যক নাগরিকের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। সোস্যাল মিডিয়ার পোস্টকে কেন্দ্র করে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি ও পুলিশ প্রশাসনের তরফে উদ্যোগের পরও কেন পরিস্থিতি সামাল দেওয়া গেল না তা সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত মাধ্যমে বের করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহন করার এখন ই সময়।
২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩২
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: আমাদের মুসলিমরা যত না ধর্মপ্রেমী তার চেয়ে বেশী হুজুগে। প্রতিবাদের নামে সহিংস কাজের জন্য এদেরকে ধরে ঠ্যাঙানো দরকার।
@পুলিশের ভাস্য অনুযায়ি ঐ ছেলে যখন থানায় সাধারন ডায়েরি করার জন্য অবস্হান করেন ঐ মুহুর্তে তার কাছে মোটা অংকের চাঁদার দাবী করে ফোন করা হয়।
.. এখানে কিছু ঘাপলা আছে। চাঁদার টাকা এক জায়গায় পড়লাম ৫০০(মাত্র পাঁচশ) আরেক জায়গায় দেখলাম ২০০০! আবার হ্যাকারদের ধরা নিয়েও নানা কথা।
তবে কথা যাই হোক দোষীদের বিচার চাই। আর শাস্তিও কঠোর হতে হবে। রাষ্ট্রের অবহেলার জন্য রামু, নাসিরনগর, রংপুরের ঘটনার ঠিকমত বিচার হয়নি। এসব হলে ভোলার এমন ঘটনা নাও ঘটতে পারতো।
৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:২১
রাজীব নুর বলেছেন: না নতুন কিছু নেই।
মনে হচ্ছে কোনো অনলাইন থেকে কপি করেছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৮
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: আমাদের মুসলিমরা যত না ধর্মপ্রেমী তার চেয়ে বেশী হুজুগে। প্রতিবাদের নামে সহিংস কাজের জন্য এদেরকে ধরে ঠ্যাঙানো দরকার।
@পুলিশের ভাস্য অনুযায়ি ঐ ছেলে যখন থানায় সাধারন ডায়েরি করার জন্য অবস্হান করেন ঐ মুহুর্তে তার কাছে মোটা অংকের চাঁদার দাবী করে ফোন করা হয়।
.. এখানে কিছু ঘাপলা আছে। চাঁদার টাকা এক জায়গায় পড়লাম ৫০০(মাত্র পাঁচশ) আরেক জায়গ