নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবশেষে ঢাকার মুকুটবিহীন সম্রাট ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট গ্রেফতার হলো। গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার ক্লাব পাড়ার ক্লাব গুলিতে ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের পর থেকেই আলোচনার হাইলাইটে আসেন সম্রাট। সম্রাটের রাজনৈতিক পরিচয় তিনি ছিলেন ঢাকামহানগর দক্ষিন যুবলীগের সভাপতি। যদিও তিনি ছিলেন ঢাকামহানগর যুবলীগ দক্ষিনের সভাপতি কিন্তু ক্ষমতা আর দাপটে তিনি ছিলেন পুরো ঢাকারই অঘোষিত সম্রাট। ঢাকার প্রতিটে সেক্টর থেকেই চাঁদা ভাগ যেত সম্রাটের পকেটে। সম্রাটের ছিল বিশাল বাহিনী ঢাকায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের যে কোন সভাসমাবেশের লোকের যোগান দিতেন এই সম্রাট। আর সম্রটের যে কোন ছোট খাটো অনুষ্ঠানে ও ছুটে যেতেন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের বড় বড় নেতারা। আর বিশেষ কিছু কারনেই হয়তো তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ অনেক বড় বড় নেতার প্রিয় হয়ে উঠেন। সেই সাথে সম্রাটের অবৈধ অর্থের ভাগ ও নাকি যেত দলের অনেক বড় বড় নেতা সহ সরকারের অনেক মন্ত্রী এমপি ও আমলাদের পকেটে। তার প্রমান যখনই ঢাকার ক্লাবগুলিতে জুয়া নিয়ে তোরপাল মানীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে যখন আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ক্লাবে ক্লাবে হানা দিয়ে ক্যাসিনো সামগ্রী মদ ও জুয়ার টাকা উদ্ধার করে হোতাদের গ্রেফতার করছে তখন ই যুবলীগ সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী তাদের সাফাই গেয়ে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিয়ে প্রকাশ্যে বাজে মন্তব্য করে চলমান শুদ্ধি অভিযানকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছিলেন। যাদিও আমাদের আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ক্লাব পাড়ার এই অপকর্মের দায় এড়াতে পাড়ে না। কারন ক্লাব গুলিতে শত শত কোটি টাকার জুয়া সহ এত ধরনের অপকর্ম পরিচালিত হচ্ছিল অথচ তারা কিছুই কি জানতেন না? যদিও আমরা সংবাদমধ্যম থেকে জানতে পারি ক্লাব পারার এই অপকর্মের টাকার ভাগ কম বেশি অনেকের পকেটেই নাকি গিয়েছে। কথায় আছে পাপা নাকি বাপকে ও ছাড়ে না লোভ ও সাহসে যখন মানুষকে বেপরোয়া করে তুলে তখন মানুষ অনেক হিতাহিত বুদ্ধি হারিয়ে ক্ষমতার দাপটে অন্ধ হয়ে যায়। সম্রাটের বেলায় ও এর ব্যতিক্রম হয় নি। ক্ষমতার দাপটে তিনি এতটাই মাতাল হয়ে গিয়েছিলেন যে বাংলাদেশের বেওয়ারিশ লাশ দাফনের দাতব্য সংস্থা আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম যেই সংস্হাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবার ব্যক্তিগত ভাবে আর্থিক সহযোগিতা করেন কাকরাইলে সেই আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের নিজস্ব ভবন নির্মানের কাজে ও মোটা অংকের চাঁদা দাবী ও কাজ বন্ধ করেদেন যুবলীগের এই নেতা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কানে পৌছায় এই চাঁদা দাবি ও কাজন্ধের কথা। এই কথা শুনে ভীষন ক্ষুব্ধ মননীয় প্রধানমন্ত্রী তিনি সাথে সাথে যুবলীগ সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরীকে ঘটনা তদন্তের দায়িত্বদেন। ওমর ফারুক চৌধুরী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সেই সময় কি তথ্য ও রিপোর্ট দিয়েছেন তা আমরা কেউ তেমন অবগত না। তবে তার বর্তমান কর্মকান্ড এমনটা ই প্রমান করে যে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সম্রাট নির্দোষ এটা প্রমানের ই চেষ্টা করেছেন এবং যেই সকল সংবাদ মাধ্যম সম্রাটের বিরুদ্ধে এমন খবর প্রকাশ করছে তারা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের ভাল চায় না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন অত্যন্ত রাজনৈতিক বিচক্ষণ ব্যক্তি তিনি হয়তো কারো তোসামদিতে তেমন কান দেন না। সেই সাথে তার দলের ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন নেতাকর্মীদের দ্বারা সাধারন মানুষের কেউ কেউ যে বিশেষ নির্যাতনের শিকার তা ও তিনি অবগত বিধায় শেষ পর্যন্ত দেশে শুদ্ধি অভিযানের পদক্ষে নিয়েছেন যার শুরুটা তার ঘড়ের ভেতর থেকেই। যদি সম্রাট বা শামীমদের গ্রেফতার আওয়ামীলীগের ভিতরের ই অনেক প্রভাবশালী ভাল চোখে দেখছেন না। অনেক প্রভাবশালীই সম্রাট শামীমদের রক্ষায় আদাজল খেয়ে নামলেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নৈতিকতার কাছে তা মুল্যহীন। ইতোমধ্যে নানান অভিযোগে অতিষ্ট হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক কে পাদছাড়া করে বিশেষ প্রশংসার অধিকারী হয়েছেন। এর পর যুবলীগের ভিতর। আর এই শুদ্ধি অভিযানে যে চিত্রফুটে উঠেছে তা সত্যিকারেই জাতিকে স্তম্ভিত করেছে। সম্রাট শামীম সেলিমরা এক দিনে জন্ম হয়নি। বিশেষ ব্যক্তিদের বিশেষ স্বার্থ হাসিলের জন্যই এদের জন্ম। এই এদের দ্বারাই আজ আমাদের রাজনীতি কুলষিত। দেশের সাধারন মানুষ আজ আর রাজনীতিবিদের বিশ্বাস করতে পারেন না। শুধু সম্রাটদের গ্রেফতার করলেই কি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই শুদ্ধি অভিযান স্বার্থক হবে? না মোটেও না এর আগে ও আমরা এমন অনেক অভিযান দেখেছি যার কোন সুফল ই দেশের মানুষের ভাগ্যে জুটেনি। তাই বঙ্গবন্ধু কন্যাকে শুধু দল নিয়ে ভাবলেই চলবে না তাকে ভাবতে হবে পুরো জাতি নিয়ে। কারন তার দলের ভিতর সম্রাটদের মত সন্ত্রাসীরা যেমন জায়গা করে নিয়েছে আবার মরহুম সৈয়দ আশ্রবের মত সাদাসিধে নেতার ও অভাব নেই। যদিও আজ রাজনীতিতে ব্যবসায়ীরা অনুপ্রবেশ করে আসল রাজনীতিবিদদের মাথায় ও ব্যবসার ঘুনপোকা ঢুকিয়ে দিয়েছে। আর ঘুনপোকার কামড়েই সম্রাট খালেদ শামীমদের মত সন্ত্রাসীদের জন্ম হয়। সম্রাট খালেদ শামীদের নিয়ন্ত্রন করতে হলে প্রথমেই নিয়ন্ত্রন করতে হবে যারা এদের জন্ম দিয়েছে যারা এদেরকে ক্ষমতাশীন করেছে। যত দিন এই দেশে সন্ত্রাস গুন্ডা মাস্তান তৈরির সুতিকাগার ধ্বংস করা না যাবে ততোদিন কোন অভিযান ই স্বার্থক হবে না। তাই মাননীয় এবারের দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান স্বার্থক করতে হলে দেশের সাধারন মানুষের আকাংখার কথা মাথায় রেখে দলমত নির্বিশেষে সন্ত্রাস ও দুর্নীতির মুল হোতাদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত বিচার করতে পারলেই এমন অভিযান স্বার্থক হবে। আর জাতির জনকের কন্যা মানীয় প্রধানমন্ত্রী এবারের শুদ্ধি অভিযানে সেই কাজটি করবেন বলেই আমাদের বিশ্বাস।
২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:২০
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে নতুন কিছু নেই।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
সামনের পাতায়, একই সময়ে ২টি পোষ্ট দেয়া ঠিক নয়।