নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত ১০ নভেম্বর ছিল শহীদ নুর হোসেন দিবস ১৯৮৭ সালের এই দিনে এরশাদের স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সংগঠিত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন চলাকালে বুকে ও পিঠে “ স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক” স্লোগান লিখে রাজপথে মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু স্বৈরসাশকদের রক্ত চক্ষু কখনোই নুর হোসেনদের বাঁচতে দেয়নি সেদিন ও নুর হোসেন বাঁচতে পারেনি। স্বৈরশাসক এরশাদের পুলিশ বাহীনির গুলিতে নিহত হন নুর হোসেন। ঐ একই দিন অর্থাৎ ১০ নভেম্বর জাতীয় পার্টির (জাপা)গণতন্ত্র দিবস পালন করে। জানিনা কি কারনে কোন উদ্দেশ্যে গনতন্ত্র ধ্বংসকারি স্বৈরশাসক এরশাদের হাতে গড়া ঐ রাজনৈতিক দলটি আাবার গনতন্ত্র দিবস পালন করে। যাই হউক গত ১০ নভেম্বর বনানীতে জাপা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে তথাকথিত গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা শহীদ নূর হোসেন কে একটা অ্যাডিকটেড ছেলে। একটা ইয়াবাখোর, ফেন্সিডিলখোর বলে অভিহিত করেছেন। মশিউর রহমান রাঙ্গার এমন বক্তব্যে সমগ্র দেশের গনতন্ত্র প্রিয় মানুষ আজ ফুঁসে উঠেছে। শহীদ নুর হোসেনকে নিয়ে এমন কুরুচীপুর্ন বক্তব্যের জন্য স্যোসেল মিডিয়া আজ প্রতিবাদে উত্তাল। নুর হোসেনের পরিবার বিশেষ করে তার বৃদ্ধা মা রাঙ্গার এমন বক্তব্যের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে। শাহবাগেও প্রগতিশীলদের প্রতিবাদের মানব বন্ধন দেখেছি কিন্তু দুর্ভাগ্য হলেও সত্যি দেশের নানান সংকটে আন্দোলনে নেতৃত্বদানকরী রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ শহীদ নুর হোসেনকে যাদের কর্মী হিসেবে আমরা শুনে আসছি তারাই রাঙ্গার এমন বক্তব্যের তেমন কোন প্রতিক্রিয়া দেখায় নি। আজ সকল গনতন্ত্র প্রিয় মানুষের মনে একই প্রশ্ন স্বৈরাচারের দোষরেরা দেশের গনতন্ত্র উদ্ধরের শহীদ বীর সেনানির বিরুদ্ধে এমন বাজে মন্তব্য করার সাহস পায় কোথা থেকে? বাংগালী জাতি ১৯৭১ এ মহান মুক্তি যুদ্ধে দেশ স্বাধীতার সংগ্রামে দল মত ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে সবাই এক কাতারে সামিল হয়ে মুক্তি যুদ্ধে অংশ নিয়ে পাকিস্হানী হায়নাদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করে ছিল। আমাদের মহান মুক্তি যু্দ্ধের বরী শহীদ ও বীর সেনানী অর্থাৎ আমাদের মুক্তি যুদ্ধাদের নিয়ে যদি কোন ব্যক্তি দল বা রাষ্ট্র যদি কোন বাজে মন্তব্য করার সাহস দেখানোর চোষ্টা করা তা হলে অবশ্যই আমরা বাংলাদেশে আপমর জনসাধারন তাদের তাদের গলার টুটি টেনে ছিরে ফেলবো। ঠিক তেমন ই আমাদের দেশের ইতিহাসে স্বৈরশাসক এরশাদের বিরুদ্ধে গনতন্ত্র উদ্ধারের আন্দোলনে দল মত ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে এক কাতারে শামিল হয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরশাসক এরশাদের পতন ঘটিয়েছে এই আন্দোলনে জাফর, জয়নাল, কাঞ্চন, দীপালী, নুর হোসেন জেহাদ সহ অনেককেই জীবন দিতে হয়েছে। আর তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়েই ১৯৯০ সালের ৬ই ডিসেম্বর তৎকালীন স্বৈরশাসক এরশাদকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হয়। কিন্ত দুর্ভাগ্য হলে ও সত্যি পরবর্তী সময়ে ৭১ এর স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি ও স্বৈরশাসক এরশাদেকে আমাদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ই অংশ বানিয়ে নিয়েছেন ৯০ পরবর্তী সরকারগুলি। একদিকে রাজাকার অন্যদিকে স্বৈরাচারকে যত্ন সহকারে লালন পালন করছেন আদের ক্ষমতা লোভী রাজনীতির কর্নধারেরা। তাদের ই যত্নে ফুঁলে ফেঁপে রাজাকার আর স্বৈরাচার আজ আমাদের মুক্তি যুদ্ধ মুক্তি যুদ্ধা মুক্তি যুদ্ধে শহীদ গনতন্ত্র উদ্ধারের আন্দোলনের শহীদদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করার সাহস দেখাতে পারছে এমনকি এমন ধরনের মন্তব্য করে পার পেয়ে যাচ্ছে। এর ই ফলশ্রুতিতে মশিউর রহমান রাঙ্গার মত মানুষের আমাদের আন্তরে আঘাত করার সাহস পায়। রাঙ্গারা এই রাষ্ট্রের মানুষের একত্রতার কাছে মোটে ও শক্তিশালী না। তাই রাঙ্গাদের মত এমন বাজে মন্তব্যকারীদের প্রতিহত করতে ই হবে। তা না হলে আমরা বেইমান জাতিতে পরিনত হবো।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো মানুষেররা কখনও রাজনীতি করে না।