নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ও বলতে চাই !

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন

ব্লগিং হউক সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার।

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সরকারে কঠোরতা ও আমাদের সর্তকাই এখন একমাত্র পথ।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৩১

বাহির থেকে ঢাকা ও এর আশেপাশে প্রবেশদ্বার গুলি এই মুহুর্তে লোকে লোকারন্য। বরিবার অর্থাৎ ৫ এপ্রিল থেকে প্রায় কারখানাই খোলা রাখার কথা ছিল বিশেষ করে আমাদের পোশাক শিল্পের মালিকরা তাদের কারখানা খোলা রাখার ব্যাপারে ছিলেন অটল । পরে যদিও প্রচন্ড জনসমালেচনার কারনে পোশাক কারখান গুলির এই ছুটি ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত কারতে আহ্বান করা হয়েছে পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। এই আহ্বানে অনেক মালিক ই সারা না দিয়ে তাদের কারখান খুলেছেন। বৈশ্বিক মহামারি করোনার হাত থেকে জাতিকে রক্ষার জন্য সরকার জরুরী ভাবে দশ দিনের সাধারন ছুটির ঘোষনা করেছিলেন। এর ছুটির ময়েদ দুই দফা বাড়িয়ে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়েছে। সাধারন ছুটির ঘোষনা টা ছিল করোনা প্রতিরোধে সরকরের একটি কার্যকর পদক্ষেপ । করোনা অর্থাৎ কোভিট-১৯ একটা ভয়ংকর ছোঁয়াচে রোগ এখন পর্যন্ত স্বাস্হ্য বিজ্ঞানীরা এর কোন প্রতিষেধক আবিস্কার করতে পারেন নাই। তাই এই করোনার ভয়ংকর ছোবল থেকে নিজেকে পরিবার ও রাষ্ট্রকে রক্ষাকরতে হলে নিজেকে গৃহবন্দী অর্থাৎ ঘড়ে অবস্হান করা এবং সামাজিক দুরুত্ব অর্থাৎ জনসমগম এড়িয়ে চলা ছাড়া আর তেমন কোন পথ আমাদের জন্য খোলা নাই। ইতোমধ্যে মানুষকে জনসমাগম এড়িয়ে চলতে ও ঘড়ে অবস্হানে বাধ্য করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সহ সশস্ত্র বাহিনীরকে আমরা শহড় গ্রাম গঞ্জের রাস্তা ঘাটে টহল দিতে দেখছি। কিন্তু কথায় আছে " চোরে শোনেনা ধর্মের কাহিনী "। আমাদের সাধারন মানুষের বেলায় ও কিছু কিছু ক্ষেত্রে ও আমার মনে হয় এই প্রবাদটা প্রযোজ্য। এক দিক দিয়েে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা সেনাবাহিনীর গাড়ী দেখে হুমরি খেয়ে ঘড়ে ঢুকছে এর পর মুহুর্তের অবস্থা আগের মতই। ঢাকার শহরের অনেক এলাকায় আমার নিন্মবিত্তের মানুষের মানবিক সাহায্যের অপেক্ষায় গভীর রাত পর্যন্ত রাস্তার ধারে জটলা বেঁধে থাকছে। আবার যারা সাহায্য দিতে আসছেন তারা ও ঠিক ভাবে মানছেন না আইন। বেশির ভাগই সাহায্য দেয়ার চেয়ে জনসমাগম করে ফটোসেশান নিয়ে ই বেশি ব্যস্ত।

সারা দেশে আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত গনপরিবহন চলাচল সম্পুর্ণ ভাবে বন্ধ, শুধু পন্য ও জরুরী সেবা প্রদানকারী পরিবহন ছাড়া। এর মধ্যে আমরা গত ২৫ মার্চ দেখেছি সাধারন ছুটি পাওয়া মানুষের ঘড়ে ফেরার দৃশ্য। এ যেন করোনা আতংক নয় করোনা উৎসব। যে কোন দীর্ঘ ছুটি পেলে আমাদের সাধারন নগরবাসীর এ ছাড়া তেমন কোন পথ ও খোলা থাকে না। কারন আমাদের শহড়গুলিতে বিশেষ করে ঢাকার শহড়ের অধিকাংশ বাসিন্দা ই ভাসমান। এ খানে ভাসমান বলতে আমি বুঝাতে চাচ্ছি যারা ঢাকার বাসিন্দা তাদের কেউ ছাত্র কেউ বা চাকুরীজীবি যাদের অধিকাংশ ই ব্যাচেলর। তাদের কেউ মেচবাড়ির বাসিন্দা কেউবা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বা কর্মজীবী হোস্টেলের বাসিন্দা। তাই স্বাভাবিক ভাবেই যে কোন দীর্ঘ ছুটিি তাদের ঘড়ে ফেরার ই উৎসব। কারন এতে এক দিকে যেমন পরিবার জনের সাথে মিলিত হওয়া একটি সুযোগ অন্যদিকে শহড়ে বসে থাকলে একটা বাড়তি খরচের ও ব্যাপার থাকে। তবে এবার ছুটি একটা ভয়ংকর সময় থেকে উত্তরনের ছুটি এই ছুটি যে একটি আপদকালীন ছুটি এই ছুটি যে শুধু মাত্র ঘড়ে অবস্হান করে নিজেকে পরিবারকে ও রাষ্ট্রকে করোনার ভয়ংকর থাবা থেকে রক্ষা করার ছুটি তা আমাদের অধিকাংশ নাগরিক ই অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছে।

করোনা ভাইরাস অর্থাৎ কোভিট- ১৯ আক্রান্ত হয়ে মিরপুর টোলারবাগ ও মিরপুর ১১ তে দুই জন মারা গেছেন যাদের সবার বয়স ই সত্তরের ঘড়ে। তাদের একজন অবসরপ্রাপ্ত আলিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল অপর জন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা। তাদের সংক্রামনের কারন বিশ্লেষন করে আমরা যত টুকু জানতে পেরেছি তাদের কোন পরিবারেই কেউ সম্প্রতি বিদেশ থেকে আসেন নি। এবং দুজন অবসর জীবনে বাড়ীতে বিশ্রাম করে আর মসজিদের ইবাদত করে সময় পার করতেন। তাই স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন তা হলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন তারা কিভাবে করোনায় আক্রান্ত হলেন? টোলারবাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা ঐ ব্যক্তির মৃত্যু ঠিক পরের দিন ই তার আরেক ঘনিষ্ট প্রতিবেশী এবং স্হানীয় মসজিদের পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারির মোজাম্মেল হক একই উপসর্গ নিয়ে মারা যান। টোলারবাগের ঐ এলাকা প্রশাসন লকডাউন করে রেখেছিল এবং মৃত্যের পরিবারের কয়েক জনকে করোনার পরীক্ষা ও করা হয়। পরবর্তীতে সংবাদমাধ্যমে জানতে পারি মারা যাওয়া ঐ বৃদ্ধের মেয়ে মেয়ের জামাই ও গৃহকর্মী করোনায় আক্রান্ত। তার পরিবারের বাকী আক্রান্তের সম্পর্কে যদি আর তেমন কিছু জানা সম্ভব হয় নি। তবে প্রতিদিন ই অন্যান দেশের মত আমাদের দেশের ও বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যের সংখ্যা।

আমি আগেই সামাজিক দুরুত্ব বজায় রেখে নিরাপদে ঘড়ে থাকার জন্য ই আমাদের এই ছুটির ব্যবস্হা। ভাবুন তো চায়নার হুবেই প্রদেশের উহান শহরের কথা ৩১ ডিসেম্বর যখন ওখানে প্রথম একজন করোনায় আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিললো সেদিন কি নিউইয়র্কে বসবাসরত আমাদের ই পাশের গ্রামের জনাব শফিকুল ইসলাম ও তার চিকিৎসক পুত্র শাকিল কখনোই চিন্তা করেন যে এই করোনায় আক্রান্ত হয়েই পিতা পুত্রকে একই দিনে মরতে হবে। আমেরিকার মত দেশ যেখানে অর্থসম্পদের কোন অভাব নেই। নেই উন্নত চিকিৎসার কোন কমতি। আধুনিক চিকিৎসার কি না আছে ওখানে। মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে আজ নিউইয়র্ক এক মৃত্যুপুরীতে পরিনত হয়েছে। ২২ জানুয়ারী প্রথম ইরানী এক নাগরিকের শরীরে করোনা সংক্রামন ধরাপরার পর আমোদিত নিউইয়র্কবাসী একটা কোন আমলেই নেয় নি। হানিমুন সপিং নাইটক্লাব সবই চলছিল নিজস্ব গতিতে। এক মাসে করোনায় আক্রান্ত সংখ্যা দাঁড়ালে মাত্র ১৫ নিশ্চিন্তে ট্রাম্প প্রশাসন । ২২ মার্চ এসে আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ায় ৩৩৩০০ জন। যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী ৪ এপ্রিল বিকেল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ১১ হজার ৬৩৫ জন আর মোট মৃত্যের সংখ্যা ৮ হাজার ৪৫৪ জন। আর ইউরোপের দেশ গুলির মধ্যে ইতালি স্পেন ফ্রান্স জার্মানী যুক্তরাজ্য সহ কোন দেশের অবস্হা ই ভাল না। ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ইতালিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ২৪ হাজার ৬৩২ জন আর মৃত্যুর সংখ্যা ১৫ হাজার ৩৬২ জন। স্পেনে ১ লাখ ২৬ হাজার ১৬৮ জন আক্রান্ত হয়ে ১১ হাজার ৯৪৭ জন মারা গেছেন। জার্মানীতে ৯৬ হাজার ৯২ জন আক্রন্তের মধ্যে মারা গেছেন ১ হাজার ৪৪৪ জন, ফ্রান্সে মোট আক্রান্ত ৮৯ হাজার ৯৫৩ জন যার মধ্যে ৭ হাজার ৫৬০ জন মারা গেছেন। আর যুক্তরাজ্যে ৪১ হাজার ৯০৩ জন আক্রান্তের মধ্যে ৪ হাজার ৩১৩ জন মারা গেছে।

মধ্যপ্রাচ্য সহ আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের অবস্হা ও ভাল না। ইরানে ইতোমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৫ হাজার ৭৪৩ জন মারা গেছেন ৩ হাজার ৪৫২ জন। ২৯০ জন আইন প্রনেতার মধ্যে ২৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান ১২ জন। সৌদি আরবে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৩৭০ জন আর এ পর্যন্ত মারা গেছেন ২৯ জন। পাকিস্হানে আক্রান্ত ২ হাজার ৮৮০ জন আর মৃত্যের সংখ্যা ৪৫। আর আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের সংখ্যা ৩ হাজার ৫৮৮ জনের এর মধ্যে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৯৯ জন ।

স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন সারা বিশ্ব যখন করোনা আতংকে তটস্ত তখন আমরা করোনা উৎসব করছি। ৮ মার্চ আমাদের প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমানে জন্ম শতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে আনা হলো কাটছাট। তার পর আমরা কি দেখলাম বিভিন্ন জায়গায় হাজারো মানুষের উপস্হিতি তে আঁতসবাজির উৎসব। বিভিন্ন স্হানে নির্বাচন। করোনা মুক্তির জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় হাজার হাজর মানুষের উপস্হতিতে গন মোনাজাত। কোথাও বা আবার করোনা মুক্তির জন্য জিকিরে জিকিরে মিছিল। এমন কি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলেও কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদে অষ্টমী স্নান উৎসবে মিলিত হয়েছেন কয়েক হাজার সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

করেনা আতংকে মুসলমানের ধর্মীয় ভাবে সবচেয়ে পবিত্র স্হান কাবা শরীফ ও মসজিদে নববী আজ প্রায় বন্ধ। রাষ্ট্রীয় ভাবে সকল মসজিদের নামাজ বন্ধ করা হয়েছে সকলকে ঘড়ে বসে নামাজ আাদায়ের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এমন কি জুমা নামজ পর্যন্ত। মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিটি দেশের চিত্র প্রায় একই। সেখান কার মানুষ নামাের জন্য এখন ঘড়কে উপযুক্ত স্হান হিসেবে বেছে নিয়েছন। পকিস্হান ও জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে মজসিদে নামাজ আদায়ের জন্য গনজামায়েতে ও কড়াকরি আরোপ করেছে। কারন ধর্ম কর্ম সবই জীবনের জন্য। ভারতে আমরা কি শুনছি দিল্লির নিজামুদ্দিনে তাবলিগ জামাতের এক হালকায় কয়েক হাজার মানুষের সমগমে ই নাকি আজ ভারতে করোনার এই ভয়ংকর থাবা। ঐ হালকা থেকে ঘরে মুসল্লীদের ভারতে ৭ জন আর ইন্দোনেশিয়া ১১ জন করেনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। অনেকেই করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে। ভারতের হিন্দুবাদীদের দাবী ভারতে করোনা বিস্তারের জন্য নিজামুদ্দিনের তাবলিগ জামাতের ঐ হালকার জোরকেই দায়ী করছে। মার্চের গোড়ায় ইটালি এবং জার্মানি ঘুরে দেশে ফিরেছিলেন ভারতের এক শিখ ধর্মগুরু। বিমানবন্দরে তাঁর কোনও রকম পরীক্ষা হয়নি। পাঞ্জাবে গিয়ে ডজনখানেক গ্রামে ঘুরে তিনি ধর্মপ্রচার করেছেন। দিন কয়েকন আগে তাঁর মৃত্যুর পরে জানা যায়, সেই গুরুও করোনা আক্রান্ত ছিলেন। ১৮ মার্চ পাঞ্জাবের অসংখ্য গ্রাম সিল করে দেয় প্রশাসন। আশঙ্কা, ওই গুরুর সংস্পর্শে এসে অন্তত ১৫ হাজার মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন। এখনও পর্যন্ত ওই সমস্ত গ্রামের অন্তত কয়েকশ ব্যক্তির শরীরে করোনার জীবাণু মিলেছে। ঐ ধর্ম গুরু ও ভারতে করোনা বিস্তারের জন্য অনেকাংশে দায়ী বলে অনেকেরই মত। আমাদের আমাদের দপশের মিরপুরের যেই দুই ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তাদের করোনায় আক্রান্ত হবার উৎস কমিউনিটি ট্রান্সমিশন। তাদের চলাচলের সীমানা শুধু ঘড় আর মসজিদ। তাই তারা যখন মসজিদে জামায়াতে সাথে নামাজ পরতে গেছেন শত শত মানুষ তাদের সংস্পর্শে এসেছেন তাই তাদের থেকে কত মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তাই বা কে জানে? বা তারাই বা যার দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন তার সংস্পর্শে এসে কত জন আক্রান্ত এর বা হিসাব কি? সরকারী ভাবে গনজামায়েতে নিষেধাজ্ঞা ও সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখার জন্য সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সহ সশস্ত্র বাহিনীকে মাঠে নামিয়েছেন। তারা রিক্সা বা মোটরসাইকেল দুিজন চরা চায়ের দোকানে কয়েকজনের আড্ডা ভেঙ্গে দিচ্ছেন। তাতে কি সত্যিকারে ই কোন ফলপ্রসূ কাজ হবে? না মোটে ও না। ৪ এপ্রিলের ঢাকা মুখী মানুষের গন স্রোত প্রতি ওয়াক্তে নামাজের জন্য হাজারো মুসল্লীর উপস্হতি সত্যি আমাদের করোনার পরস্হিতিকে এক ভয়ংক দিকে ঠেলে দিচ্ছে। যদি ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বিজিএমইএ তাদের কারখান গুলি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। এই আহ্বানে অনেক মালিক ই সারা না দিয়ে তাদের কারখানা গুলি খোলেছেন। তারা সরকারের আইন তাদের শ্রমিক ও দেশের মানুষের জীবন ও স্বার্থরক্ষার ব্যাপারে কতটা শ্রদ্ধশীল? জানিনা আমাদের এই পোষাক শ্রমিকদের ভাগ্যে কি আছে?

করোনা নিয়ে আমাদের মন্ত্রী এমপি ও ক্ষমতাশীনদের অনেকের তেলবাজি ও অতিকহন আমাদের আশ্বসৃত করার বিপরীতে আমাদের আরো বিরক্ত ও চিন্তিত করে তুলছে একজন মন্ত্রীর মুখ থেকে টেলিভিশনের টকশো তে শুনতে হয় , যে দেশের প্রধানমন্ত্রী নামাজ আর কোরান তেলায়াত করে দিন শুরু করর, সে দেশে করোনা আসতে পারে না। কেউ বা বলেন আমরা করেনার চেয়ে ও শক্তিশালী। আবার অনেক আলেম ওলেমারা নাকি কারো কারো মাধ্যমে স্বপ্নযোগে সংবাদ পেয়েছেন আমাদের দেশে করোনা ভাইরাস নাকি তেমন কিছুই করতে পারবেনা। স্বপ্লযোগে করোনার প্রতিষেধক ও আবিষ্কার করে ফেলেছেন। কোন এক আলেম তো তার বয়ানে বলেই দিলেন করোনা নাকি মুসলমানদের জন্য নেয়ামত স্বরুপ এসেছে। আবার অনেক আলেম ই সুন্দর ও অধুনিক বিজ্ঞান সম্মত ভাবে করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা করনীয় ও বর্জনী বিষয় নিয়ে আলোচনা করছে। তবে অনেকই আজ গোড়ামী করে বলছেন মরে গেলেও মাসজিদে যেয়ে নামাজ আদায় ছাড়বো না। আমি তাদের সেই জাহাজ ডুবির গল্পটা মনে করিয়ে দিতে চাই। ডুবন্ত জাহাজে এক জন গোড়া ধার্মিক ব্যক্তির বিশ্বাস সৃষ্টি কর্তা তাকে এখান থেকে উদ্ধার করবেন। কিন্তু পর পর তিন জন উদ্ধার কর্মী গিয়েও এক গোড়া ধার্মীককে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হলেন। তার ঐ একই কথা সৃষ্টি কর্তা তাকে এখান থেকে উদ্ধার করবেন। কিন্তু অবশেষে ঐ ব্যক্তি জাহাজের সাথে ডুবে মারা গেলেন। মারা যাওয়ার পর তার আত্ম সৃষ্টি কর্তাকে জিজ্ঞেসা করলেন সৃস্টি কর্তা আমি তো আপনার উপর বিশ্বাস রেখেই জাহাজে অবস্হান করছিলাম কোথায় আপনি তো আমাকে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করলেন না সৃষ্টি কর্তা উত্তর দিলেন আমি ও তেমাকে উদ্ধারের জন্য তিন জন দেবদুত প্রেরন করেছিলাম। তাই যারা বলছেন করোনা মুসলমানদের কোন ক্ষতি করবে না মসজিদে নামাজ আদায়ের জন্য গেলে আল্লাহ ই রক্ষা করবেন তাদের বলবো করোনার ধর্ম শুধুই মানুষকে আক্রান্ত করা কে কোন ধর্মের এটা বিবেচনা করার সময় করোনার নাই।

আর যারা নিজেদের স্বার্থের জন্য পোশাক করখানা খোলা রেখে শ্রমিকদের কাজে যেতে বাধ্য করছেন, আমি তাদের বলছি আমাদের দেশের করোনা পরিস্হিতি ভাল না সময়ের সাথে পল্লা দিয়ে বাড়ছে কিন্তু আক্রান্তের সংখ্যা। জানিনা আমাদের পরিনতি কি হবে? আপনাদের এই মনগড়া করনের জন্য যদি দেশে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ হয় তখন সেই ভয়াবতার দায় কি আপনারা নিতে পারবেন? সরকারের কাছে বিনীত ভাবে অনুরোধ করবো যা হবার তা হয়েছে। এই নিয়ে বির্তকের সময় এখন আর নাই। তাই করোনা মোকাবিলার জন্য কোন গোষ্ঠী কে খুশি করতে আইনের ব্যাপ্তয় ঘটানো মোটেও সমীচীন হবে না। তাই ভয়াবহ করোনা ছোবল থেকে উদ্ধারের জন্য অবশ্যই আইনের কঠিন প্রয়োগ করতে ই হবে।



মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৫৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সরকারের ভুলের কারণে সারা দেশে এখন করোনা ছড়িয়ে পড়েছে। আর আমাদের বেকুবি।

২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: বন্ধ চা দোকানের শাটারে ২ বার জোরে টোকা দিলে ভেতর থেকে গায়েবি
আওয়াজ আসে,
দুধ চা নাকি রং চা !

৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:০৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দেরীতে সিদ্ধান্ত নেয়া কখনও সঠিক সিদ্ধান্ত হতে পারে না । গাধা নাকি পানি ঘোলা করে খায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.