নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার জাহানপুর ও তার আশেপাশে কয়েকটি গ্রামের মানুষের কথা আমরা ভুলেই গেছি অবশ্য তা মনে রেখে ও কোন লাভ নেই। জাহানপুর ও আশেপাশের গ্রামের কাহিনী টা একটু বলে নেই। বিশেষ করে জাহানপুর গ্রামটি পুরনো সুরমা নদীর দক্ষিণে অবস্থিত। উত্তর-পশ্চিমে হাওর পূর্বে অনন্তপুর গ্রাম। একটি সরু খাল গ্রামটিকে পশ্চিম-পূর্বে বিভক্ত করেছে। পশ্চিমে হিন্দু আর পূর্বে মুসলিম সম্প্রদায়ের বসবাস। সরেজমিন দেখা গেছে, পশ্চিম অংশে রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান থাকলেও পূর্ব অংশের মানুষের সেই ব্যবস্থা নেই। গ্রামের সবাই চোট্ট খুপড়ি ঘরে বাস করে। ঝড়-বৃষ্টির দিনে নানা সমস্যায় ভোগে তারা। দেশে যখন সাইক্লোনের গতিতে উন্নয়ন হচ্ছে তখন হলো এটা জাহানপুর গ্রামের বর্তমান উন্নয়নের চিত্র। তা হলে গত শতাব্দীর নব্বই দশকের আগে এই জাহানপুর ও তার আশেপাশের গ্রাম গুলির কি অবস্হা ছিল তার বিস্তারিত না বললেও অনেকেই অনুমান করে নিতে পারবেন। যাই হউক এই জাহানপুর গ্রাম সর্বপ্রথম আলোচনায় আসে ১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকায় ঐ গ্রামে মানুষের পেশা 'চুরি' উল্লেখ থাকায় চোরের গ্রাম হিসেবে দেশব্যাপী পরিচয় পায় জাহানপুর । এর পর ১৯৯৬ সালের জাতীয় নির্বাচনের কিছুদিন পর তৎকালীন জাতীয় পার্টির স্থানীয় সংসদ সদস্য জনাব নাসির উদ্দিন চৌধুরী বিভিন্ন ধরনের ছিচকে চুরির অপবাদে জাহানপুরসহ কয়েকটি তথাকথিত " চোরের গ্রাম " জ্বালিয়ে দিয়ে কয়েক শ পরিবারকে গ্রামছাড়া করেন। যে কোন ধরনের চুরি সহ প্রত্যেকটি অপকর্ম ই একটি অপরাধ। আর কোন অপরাধে সুষ্ঠ মস্তিষ্কের মানুষ কোন ভাবেই সমথর্ন করতে পারে না। জাহানপুর সহ আশেপাশের গ্রামের যেই সকল মানুষ চুরি করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করতো সেটা ও কোন ভাবেই সমথর্ন যোগ্য ছিল না। আমাদের পবিত্র ধর্ম ইসলামের শরিয়ত মতে অধিকাংশ চুরির শাস্তি হলো হাত কেটে দেওয়া। তবে হযরত আলী (রাঃ) একটি বিখ্যাত উক্তি করে গিয়েছেল, " ক্ষুধার দায়ে কেউ যদি রুটি চুরি করে তবে চোরের হাত নয়, রাষ্ট্রপ্রধানের হাত কেটে দাও "। দিরাই উপজেলার জাহানপুর ও তার আশেপাশে গ্রামগুলি প্রত্যন্ত হাওর অঞ্চল, মানুষ গুলি খুবই গরীব এখানে মানুষের জীবন জীবিকা বড়ই কঠিন। অধিকাংশ ই ভুমিহীন প্রকৃতির সাথে নানান যুদ্ধে জয়ী হয়ে বেঁচে থাকতে হয়। তাই হয়তো জাহানপুরসহ আশেপাশের গ্রামের মানুষ গুলি পেটের ক্ষুধা মেটানোর জন্যই তখন চুরির মত নিকৃষ্ট কাজে নামতে বাধ্য হয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালে ঐ এলাকা থেকে নির্বাচিত সাংসদ জনাব নাসির উদ্দিন চৌধুরীর সম্মানে হয়তো অনেক বড় আঘাত লেগেছিল তার এলাকায় কিছু মানুষ আছে যারা পেশাগত ভাবে চোর। অপরের জিনিস চুরি করে নিজেদের বাল বাচ্চার মুখে খাদ্যের ব্যবস্হা করে। তিনি কিন্তু তাদের সংশোধন বা পুর্নবাসনের ব্যবস্হা না করেই তাদের বাড়ী ঘরে আগুন দিয়ে এলাকা ত্যাগ করতে বাধ্য করেছিলেন। তিনি যেই রাজনৈতিক দলের মনোনয়নে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন বা যেই সংসদের সদস্য ছিলেন সেখানে রাষ্ট্রের সম্পদ চুরি করা কত বড় বড় চোরেরা ই না ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে টু শব্দ পর্যন্ত করতে সাহস কিনকরতে পেরেছিলেন তিনি । কারন সেই চোরেরা তার চেয়ে হয়তো অনেক বেশি শক্তিশালী। অবশ্য ২০১০ সালের শেয়ার কেলেঙ্কারির পর তৎকালীন মাননীয় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কিছু বক্তব্য ই প্রমান করে আমাদের দেশের উচ্চ শ্রেনীর চোরদের দাপটের কথা। দিনে-দুপুরে দেশের একেকটা ব্যাংক ডাকাতি হয়েছে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত তাদের দ্বারা। তবে আমরা সমাজের মানুষের তাদের চোর বলতে ও দ্বিধা বোধ করি!! শুধু ব্যাংকিক খাতই নয় রাষ্ট্রের প্রতিটি শিরা উপশিরা আজ চোরদের দখলে। দুর্নীতি নামক মহামারি আজ সমগ্র রাষ্টকে গ্রাস করে নিয়েছে। অবশ্য এই রাষ্ট্রীয় চোরদের চোর বলার চেয়ে দুর্নীতিবাজ বললে কিছুটা ভিআইপি ভিআইপি লাগে। তাদের দমন নিয়ন্ত্রণ রক্ষায় গঠন করা হয়েছে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান দুর্নীতি দমন কমিশন। এই কমিশন থেকে অনেক বড় বড় রাষ্ট্রীয় সম্পদের চোর আবার দায় মুক্তি ও পেয়েছেন। কেন আজ আমি চোর নিয়ে কথা বলছি এটা হয়তো অনেকের ই বিশেষ প্রশ্ন। বাংলাদেশের একটি প্রথম শ্রেনীর দৈনিকের অনুসন্ধানী সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম। যারা বিভিন্ন অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে অনেক বড় বড় চোরের চেহারা আমরা দেখেছি। তার প্রায় প্রতিটি প্রতিবেদন ই দেশের বড় বড় চোরদের নিয়ে। অথচ ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস দেশবরেণ্য এই সাংবাদিককে ও নাকি তথাকথিত চুরির অপবাদ মাথায় নিয়ে জেলে যেতে হলো। সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি নাকি স্বাস্হ্যমন্ত্রণালয় থেকে বাষট্টি পৃষ্ঠার সরকারি গুরুত্বপূর্ণ নথি যা প্রকাশ হলে বন্ধু রাষ্ট্রের সাথে আমাদের সম্পর্ক খারাপ হবে। কথাতো সত্যি যদি রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বা স্বার্থ রক্ষার কোন গোপনীয় ফাইল যদি জনসমক্ষে প্রকাশ হয় তা হলে রাষ্ট্রের অনেক বড় ক্ষতি তো হবেই। আর রাষ্ট্রের ক্ষতি তো সমগ্র জাতির ক্ষতি। তাই স্বাভাবিক ভাবে রাষ্ট্রের এত বড় গুরুত্বপূর্ণ ফাইল একদম সাধারন ভাবে একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিক কিভাবে পেলেন? এই ফাইল তো থাকার কথা সরকারের বিশেষ সংরক্ষিত জায়গায় যেখানে সর্বসাধারণের প্রবেশ রাষ্ট্রীয় প্রজ্ঞাপন জরি করে জনসাধারনের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার কথা। কিন্তু আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের যেই স্হানে রেখে সাংবাদিক রোজিনাকে শারীরিক ও মানসিক হেনস্থা করা হয়েছে সেটা মোটেও তেমন কোন জায়গা নয়। এবার আসা যাক রোজিনা ইসলামের মামলার কথায়। সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে ১৯২৩ সালের ঔপনিবেশিক শাসন আমলের অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই আইনি টি লর্ড কার্জন যখন ভারতবর্ষের ভাইসরয় ছিলেন তখন এই আইন প্রণয়ন করা হয়। বেশ কয়েক-দফা সংশোধিত হয়ে ১৯২৩ সালে অফিসিয়াল সিক্রেটস আইন জারি করা হয়। আইনে বলা হয়েছে, যদি কোন ব্যক্তি রাষ্ট্রের নিরাপত্তা এবং স্বার্থের পরিপন্থী কোন উদ্দেশ্য নিয়ে গুপ্তচর বৃত্তি করে তাহলে তার শাস্তি হবে। অর্থাৎ সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ কোন এলাকায় গমন করে, পরিদর্শন করে বা ভেতরে প্রবেশ করে তাহলে শাস্তি হবে।অফিসিয়াল সিক্রেটস আইন অনুযায়ী গোপন নথি বলতে বোঝানো হয়েছে অফিসিয়াল কোড, পাসওয়ার্ড, স্কেচ, নকশা, প্ল্যান, বিভিন্ন ধরণের নথি। শত্রুপক্ষের ব্যবহারের জন্য কোন ব্যক্তি যদি এগুলো সংগ্রহ বা রেকর্ড করে তাহলে এটি অফিসিয়াল সিক্রেটস আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য। আমাদের দেশে তথ্য অধিকার আইন হওয়ার পর ও কেন ব্রিটিশদের রেখে যাওয়া অফিসিয়াল সিক্রেটস আইন আমাদের রাখতে হলো? তবে এর মধ্যে একটি কথা আছে সরকারের কোন কর্মকর্তা যদি এই ধরনের মামালা করতে তা হলে সরকারের তরফ থেকে বিশেষ অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন। হয়তো তারা সেই অনুমতি নিয়েই সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন ভাইরাল ভিডিওতে দেখলাম সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের উপর নির্যাতনের নির্মম দৃশ্য। সেখানে পুলিশের উপস্থিততে ই রোজিনা ইসলামকে হত্যার উদ্দেশ্য গলা চেপে ধরছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের কর্মরত কোন এক মহিলা। রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় জব্দ করা আলামত হিসেবে পুলিশের খাতায় নাকি আছে বাষট্টি পৃষ্ঠার সরকারী গোপন নথি ও তার ব্যবহারের দুইটি মোবাইল ফোন ও তার সাংবাদিকতার পরিচয়পত্র। তবে মজার কথা হলো রোজিনা ইসলামের দুইটি মোবাইল ফোন ও তার সাংবাদিকতার পরিচয়পত্র ব্যতিত বাকী তথাকথিত জরুরি নথি গুলি নাকি পুলিশকে হস্তান্তর করেছেন স্বাস্হ্যমন্ত্রণালয়ের জনৈক নারী অতিরিক্ত সচিব। সাধারন ভাবেই আমরা জানি মামলার আলামত জব্দ করবেন পুলিশ এখানে কেন সেই নারী অতিরিক্ত সচিবকে জব্দ করতে হলো?? তাই আইনগত ভাবে মামলার আলামত পুলিশ যার কাছ থেকে জব্দ করবে সেই হবেন আসামি। এবার আসা যাক স্বাস্হ্যমন্ত্রণায় থেকে রোজিনা ইসলামের তথাকথিত চুরি করা রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ গোপন নথি প্রসঙ্গে দৈনিক প্রথম আলোর তথ্যমতে, মামলার জব্দতালিকায় যে চারটি নথির কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে, ‘জেনেভাস্থ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের অ্যাম্বাসেডর কর্তৃক প্রেরিত ডিও (২ পাতা)।’ দ্বিতীয়টি ‘কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ব্যবহৃত চিকিৎসা সামগ্রী ও সরঞ্জামাদি ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদনের পক্ষে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে প্রেরণের জন পরিচালক সিএমএসডি কর্তৃক প্রেরিত পত্র (৫৬ পাতা)।’ তৃতীয়টি ‘সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির জন্য সার সংক্ষেপ (২ পৃষ্ঠা)।’ চতুর্থ নথি হিসেবে আছে, ‘করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা সংগ্রহ ও বিতরণ সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় পরামর্শক কমিটির অনুমোদন সংক্রান্ত অনুমোদিত সামারীর ফটোকপি (২ পাতা)।’ আর সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের ঘটনা নিয়ে বলতে গিয়ে আমাদের মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী আব্দুল মোমেন স্পষ্ট ভাবেই বলেছেন , " আমাদের লুকানোর কিছু নেই। যে ঘটনা ঘটেছে, সেটি খুব দুঃখজনক। সেটা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ম্যানেজ করা উচিত ছিল। গুটিকয় লোকের জন্য এই বদনামটা হচ্ছে। " রাষ্ট্রের কোন গোপন নথি যা কোন বন্ধু রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্কের অবনতি হতে পারে আর সেই নথি সম্পর্কে মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী জানবেন না এমনটি হতে ই পারে না। আর মানীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী যেই নথির জন্য রাশিয়া ও চীনের আমাদের সম্পর্কের অবনতি ও টিকা না পাওয়ার আশংকা করছেন তা মোটে ও ঠিক নয়। ইতোমধ্যে সংবাদমাধ্যমে আমরা জেনেছি চীন থেকে পাঠানো চুক্তিপত্রের ভুল জায়গার স্বাক্ষর করে রেখেছেন আামাদের আমাদের স্বাস্থ্যমন্ত্রনালয়ের কর্তাব্যক্তিরা যার ই ফলশ্রুতিতে চীন থেকে আমাদের করোনার ভ্যাকসিন পেতে বিলম্ব হচ্ছে আর রাশিয়াকে একেক সময় টিকার একেক ধরনের পরিমানের চাহিদাপত্র দেওয়ার কারনে নাকি রাশিয়ান কতৃপক্ষ নাখোশ। তাই সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পর্কে দেশের খ্যাতনামা আইনজীবীরা বলছেন, যেসব নথিপত্রকে গোপনীয় বলা হচ্ছে, এর কোনোটিই গোপনীয় নয় এবং মানুষের এসব বিষয়ে জানার পূর্ণ অধিকার রয়েছে। দেশের সংবিধানও জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির নিশ্চয়তা দিয়েছে। তাই স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন কেন বর্তমান সময়ের খ্যাতনামা অনুসন্ধানী সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ কেন তার উপর এত নির্যাতন ?? আমাদের স্বাস্থ্যখাতে দীর্ঘদিন যাবৎ অত্যন্ত এক অস্বাস্থ্যকর অবস্থা বিরাজ করছে। এই স্হান চোর ডাকাত নয় বরং বড় বড় মাফিয়াদের নিয়ন্ত্রণে চলে। আর এই সকল মাফিয়া চক্রকে বিশেষ ভাবে সহযোগিতা করছে স্বাস্থ্য খাতের সাথে সম্পৃক্ত বড় বড় কর্তাব্যাক্তিরা যারা দেশের সাধারন মানুষের স্বার্থকে জিম্মি করে শত শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। দেশ বিশেদেশ যাদের অর্থ সম্পদের কমতি নাই। সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম তার অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে অনেক মাফিয়া সহ সেই সকল অনেক কর্তাব্যক্তি এমন কি স্বাস্থ্য অধিদফতরের গাড়িচালক স্বাস্থ্য অধিদফতরের গাড়িচালক আব্দুল মালেক ওরফে মালেক ড্রাইভারের শত কোটি টাকার সম্পত্তির কথা আমাদের জানিয়ে অনেকের চেহারা উন্মুক্ত করতে পরেছেন। এছাড়া ও রোজিনা ইসলাম স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বাহিরে ও অনেকে বড় বড় হোমরাচোমরারা অস্বাস্থ্যকর নোংরা চেহারা উন্মুক্ত করে তাদের অবৈধ কাজের বড় বাঁধ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। তাই সকল চোর ডাকাতা মাফিয়াদের যৌথ প্রচেষ্টার ফলই আজ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের এই পরিনতি। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা মানেই সরকার গোত্র বা ব্যক্তি বিশেষের বিভিন্ন অপকর্মের তথ্য গোপনে সংগ্রহ করে রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রের নাগরিকদের স্বার্থে তা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা। কোন অপরাধী ই তা অপরাধ শিকার করে নিজের অপকর্মে ফিরিস্তি কোন সংবাদকর্মীকে আপনি আপনি এসে দিয়ে যাবে না। তার জন্য সেই সংবাদকর্মীকে জীবন ঝুকি নিয়ে ঐ সকল তথ্য সংগ্রহ করতে হয়। যা শুধু মাত্র রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রের নাগরিকদের স্বার্থ রক্ষায়। আর এই সকল তথ্যের উপর ভিত্তি করেই একটি গনতান্ত্রিক সরকার তার নাগরিকদের অধিকার পুরন করতে স্বার্থক হয় এবং জনগন ও তাদের অধিকার আদায়ে সচেষ্ট হয়। এই জন্যই সংবাদমাধ্যমকে একটি গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রের চতুর্থ খুঁটি বলা হয়। আর সাংবাদিকরা সেই চতুর্থ খুঁটি ধারক ও বাহক। তাই সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম যা করেছেন তা শুরু মাত্র রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রের জনগনের স্বার্থ রক্ষার জন্য। আর সেই স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে যে সকল চোর ডাকাত ও মাফিয়াদের স্বার্থে আঘাত হেনেছে তারাই বিশেষ কৌশলে রোজিনার প্রতি এই বর্বরোচিত আক্রমণ করেছে। আমি লেখা শুরু করেছিলাম সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার জাহানপুর ও তার আশেপাশের গ্রামের মানুষের ১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকায় প্রকাশিত পেশা " চুরি " নিয়ে। আমি আগাই বলেছি তারা পেটের দায়ে চুরি করতো। কিন্তু একুশ শতকে এসেও যারা বড় বড় পদ পদবী ও পেশায় থেকে রাষ্ট্র তথা জনগনের সম্পদ দেদারসে চুরি করে দেশকে উজার করে দেশ- বিদেশে শত শত - হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক বনে বসে আছেন আমরা তাদের কি নামে ডাকবো তাদের??
২| ২৭ শে মে, ২০২১ সকাল ৭:০৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সাংবাদিকদের আরও একতাবদ্ধ হতে হবে। না হলে সামনে এই পেশার জন্য আরও বিপদ আছে। দুর্নীতির কারণে এই দেশ অনেক পিছিয়ে যাচ্ছে।
৩| ২৭ শে মে, ২০২১ দুপুর ১:২০
শেরজা তপন বলেছেন: ভাল পোষ্ট! প্যরা করে একটু গ্যাপ দিয়ে লিখলে পড়তে আরাম হোত
৪| ২৭ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: শেরজা তপন বলেছেন: ভাল পোষ্ট! প্যরা করে একটু গ্যাপ দিয়ে লিখলে পড়তে আরাম হতো।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে মে, ২০২১ রাত ১:০৪
আমি সাজিদ বলেছেন: তারা উন্নয়নের অগ্রদূত।