নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক সহ অবস্হান নিয়ে আমাদের যে গর্ব ও অহংকার ছিল বিগত কয়েক বছরের নানান ঘটনা তা অনেকটাই মলিন হয়ে গেছে। একেক উছিলায় একেক ভাবে ভাংগনের ধাক্কা লাগছে আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে। ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর বিএনপি- জামাত জোট রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসের দেশের কয়েকটি এলাকায় সাম্প্রদায়িক ছোবল হেনেছিলো। সিরাজগঞ্জের স্কুলপড়ুয়া পূর্ণিমা রানী শীলের কথা আজো আমরা ভুলে যাই নাই। এর ২০০৬ পর্যন্ত বেশ কিছু মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যে সবচেয়ে মর্মান্তিক ছিল চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এক পরিবারের ১১ জনকে পুড়িয়ে হত্যা ও চট্টগ্রাম নগরীর নাজিরহাট কলেজের অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরী হত্যা। এসব ঘটনার প্রতিটিতে প্রতিবাদ মুখর ছিল আমাদের দেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী জনগন ও তথাকথিত রাজনৈতিক দল গুলি। রাজনৈতিক দল গুলিকে তথাকথিত বলার আমার কাছে অনেক যুক্তি সঙ্গত কারন আছে। তার মধ্যে অন্যতম মুল কারন হলো আমাদের দেশের রাজনৈতিক দল গুলির মুল লক্ষ ই হচ্ছে ছলেবলে কলে কৌশলে যে কোন ভাবেই হউক রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসা। ক্ষমতার বাহিরে থাকা অবস্হায় তারা দেশের সাধারন মানুষকে কতইনা রুপকথার গল্প শোনান। কিন্তু রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পর সকলে ই সেই রুপকথার রক্ষসে ই পরিনত হন। যাই হউক যেই কথা বলছিলাম আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা। আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ইতিহাস অনেক পুরোনো। তবে দেশীয় আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অপশক্তির কাছে আমাদের এই সম্প্রীতি মোটেও পছন্দ না ওরা চায় ওদের মতই আমাদের সম্প্রীতিতে শকুনের থাবা। তাই ওরা প্রায়ই ভর করে আমাদের দেশে লুকিয়ে থাকা শকুনের উপর।
মাত্র শেষ হলো আমাদের এই অঞ্চলের হিন্দু ধর্মাম্বলীদের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। প্রথম দিক থেকে সুন্দর বর্নিল আয়োজনে কাটছিল দুর্গাপূজার নানান উৎসব। কিন্তু এই সুন্দরের মধ্যে কলংক আঁকে গত বুধবার (১৩ অক্টোবর) সকালে কুমিল্লা শহড়ের নানুয়ার দিঘি পূজামণ্ডপে। কে বা কারা মুসলমানদের প্রানপ্রিয় পবিত্র ধর্মগ্রন্থকে অবমাননাকর অবস্হায় মন্ডপের একটি বিশেষ স্হানে রেখে যায়। আর এখান থেকেই শুরু। এর রেশ দেশের প্রায় অনেক জেলায় ই ছড়িয়ে পরে বিশেষ করে চাঁদপুর নোয়াখালী লক্ষীপুর চট্রগ্রাম সহ দেশের প্রায় অনেক জেলাতেই দুর্গাপূজার বিভিন্ন আয়োজনে শুধু বিঘ্ন হয়নি কোথাও কোথাও চলেছে নারকীয় তান্ডব ও । চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে একাধিক পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিন যুবক ও এক কিশোর নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে তিনজন বুধবার (১৩ অক্টোবর) রাতে ও একজন বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টৈাবর) সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে মারা যান। এছাড়া ও গত শক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে তথাকথিত তৌহিদী জনতার নাম করে দেশের বিভিন্ন স্হানে হিন্দুদের পুজা মন্ডপ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়ীঘরে হামলার ঘটনা ও ঘটায় এক শ্রেনীর দুর্বৃত্তরা। হামলায় নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের যতন কুমার সাহা নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। প্রতিটি মানুষের জীবন এক অমুল্য সম্পদ পৃথিবীর সব কিছুর বিনিময়ে ও একটি জীবন ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। তবে কেন এই অপমৃত্যু। যে মায়ের সন্তান যে বোনের ভাই যে স্ত্রীর স্বামী আর সন্তানের বাবার এমন করুন মৃত্যু তারা ই জানেন এই মৃত্যু যে কত বড় শোকের! কুমিল্লার ঘটার দিকে একরু নজর দিতে হয় যে, কুমিল্লায় রাতের আঁধারে কোন না কোন গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য এমন ন্যাক্কার জনক ঘটনা ঘটিয়েছে এটা সত্য আর যাতে আমাদের সমাজ কিংবা রাষ্ট্রে একটা অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হয় আমাদের সম্প্রীতির বন্ধনে যেন চিড় ধরে এটাই ছিল মুল লক্ষ। উপমহাদেশের অনেক দেশে থেকে আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অনেক শক্ত। গত শুক্রবারে জুমার নামাজে ও আফগানিস্তানের কান্দাহারে মসজিদে বোমা হামলায় ৩৩ জন নিহত হয়েছে। পাকিস্তানের অবস্হা ও একই ধরনের। আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের সাম্প্রদায়িক অবস্হা সুবিধার না। সেখানে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অযুহাতে সংখাগুরু হিন্দু কট্টরপন্থী মৌলবাদীদের হাতে খুন ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে বিভিন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। এই তো সেদিন ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আসাম রাজ্যের দরং জেলায় একটি সুবিশাল শিবমন্দির নির্মাণের লক্ষ্যে হাজার হাজার বাঙালি মুসলিমকে তাদের ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করার পর সেই আশ্রয়চ্যুতদের বিক্ষোভে পুলিশ গুলি চালায়। স্থানীয় সাংবাদিকরা পুলিশের গুলিতে অন্তত দুজনের মৃত্যু ও আরও বেশ কয়েকজনের আহত হওয়ার খবর দিয়েছে। যা ভারতের মত একটি উদার গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য সত্যি লজ্জাজনক ব্যাপার। তবে গনতন্ত্রের চেয়ে এখানে সবচেয়ে বেশি কাজ করাছে রাজনৈতিক স্বার্থপরতা ও ধর্মান্ধতা। কারন একটি ধর্ম ভিত্তিক উগ্র রাজনৈতিক দল যে ভাবেই জনগনের ভোট নিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসুক না কেন তারা কখনই সাধারন জনগন ও রাষ্ট্রের গনতন্ত্রের জন্য নিয়ামক হতে পারে না। যাই হউক আমাদের দেশের কথায় চলে আসি নিজের ঘরের আর্বজনা পরিস্কার না করে অন্যের ঘরের গন্ধশুকে লাভ কি? যে গন্ধ শুকছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিধানসভায় বিরোধীদলীয় প্রধান ও বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীকে অনুরোধ করেছেন বাংলাদেশের ধর্মীয় উগ্রপন্থীদের হামলা থেকে 'সনাতনী জনগণ'কে রক্ষায় জরুরি পদক্ষেপ নিতে। জানিনা তিনি শ্রী মোদীকে কি পদক্ষেপ নিতে বলেছেন? আমরা বাংলাদেশের মানুষ শুভেন্দু অধিকারীদের বলতে চাই আমরা অস্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী আর সেই চেতনানে থেকেই আমাদের অগ্রজের ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশকে স্বাধীন করছে। তাই আপনাকে আমাদের নিয়ে ভাবতে হবে না শ্রী শুভেন্দু অধিকারী। আপনারা আগে আপনাদের ঘরের আর্বজনা পরিস্কার করার চেস্টা করে নিজেদের দুর্গন্ধ মুক্ত করার চিন্তা করুন। গত মাসে আসামের দুই জন মুসলাম হত্যার পর আপনাদের চেতনা কোথায় ছিল? এর আগে যে ভারতে এত ঘটনা ঘটলো তখন কেন নিজ ঘরের গন্ধ পরিস্কারের চেস্টা করেন নাই?
এবার আসি আমার নিজ প্রিয় মাতৃভূমি কথায় আমাদের দেশে প্রতিটি রাজনৈতিক গোষ্ঠী ই ক্ষমতায় আসার জন্য বা তাদের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করা জন্য ধর্মকে একটি বিশেষ পুঁজি করে রেখেছে। আমাদের দেশে একটি কথিত গুজব আছে যে আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন নাকি আওয়ামীলীগের অন্ধ সমর্থক! এটা আমার কাছে একটা আজব কথা ছাড়া আর কিছুই মনে হয় না। যদি এমনটি ই হতে তবে কিভাবে বাবু গয়েশ্বর চন্দ রায় বা বাবু নিতাই রায় চৌধুরী মত মানুষেরা বিএনপির মন্ত্রী এমপি হন। দেলোয়ার হোসেন সাঈদী নাকি তার এলাকায় নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন হিন্দুদের। এর পর ও ২০০১ সালে ঐ একই অভিযোগ এনে আমাদের হিন্দু ধর্মাম্বলীদের দেশের অনেক জায়গার নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। এর পর প্রায় একযুগের বেশি সময় ধরে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছে তার পর কি ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপরে নির্যাতন কোন ভাবে কমেছে? ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির শহর খ্যাত রামুর ১২টি বৌদ্ধ বিহার ও বসতিতে হামলা চালায় দুষ্কৃতকারীরা। পরে দেখাগেল ঐ ঘটনায় স্হানীয় আওয়ামী লীগ বিএনপি দলীয় কর্মীদের সম্পৃক্ততা আছে। ২০১৪ সালে একতরফা নির্বাচনের পর বাংলাদেশের যশোর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, চট্টগ্রাম, মাগুরা এবং সাতক্ষীরায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চলে৷ দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে পুড়ে যায় সংখ্যালঘুদের কয়েকশ' বাড়িঘর, দোকানপাট, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান৷ অনেকেই এরপর নিজ নিজ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান প্রাণ ভয়ে ৷ যশোরের অভয় নগরের চাপাতলা গ্রামের মালোপাড়াতেও সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হয়েছিল নির্বাচনের পর পর৷ এর পর নানান অযুহাতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় হামলার শিকায় হন আমাদের ধর্মীয় সংখ্যা লঘু হিন্দু সম্প্রদায় এর মধ্যে সর্বাধিক সমালোচিত ছিল ব্রাহ্মনবাড়ীর নাসির নগরে হামলার ঘটনা। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলে ও সত্যি এই নাসির নগর হামলার চার্জশিটভুক্ত দুই আসামিকে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ। যদি ও পরবর্তীতে নানান সমালোচনার মুখে তাদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। শুধু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ই না অনেক সাংসদের বিরুদ্ধে ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের সম্পত্তি জবরদখল নির্যাতন সহ বিভিন্ন অভিযোগ আছে। গত জাতীয় নির্বাচনে ঠিক পর মুহুর্তে ফরিদপুরে বিজয়ী সংসদ সদস্যের সমর্থকেরা হামলা চালায় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকটি বাড়ীতে।
সুনামগঞ্জের ঝুমন দাসের কথা আমাদের সবাই জানা ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমন ঠেকাতে ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মানের প্রতিবাদে সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদী গোষ্ঠী যখন পুরা দেশে অরাজক পরিস্থিতি তখন ই নাকি আল্লামা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ফেসবুকে আপত্তিকর স্ট্যাটাস দেওয়ার ঘটনায়কে কেন্দ্র করে সুনামগঞ্জের শাল্লার নোয়াগাঁও গ্রামে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা। এই ঘটনায় সম্পৃক্তদের কারো কারো সরকারী দলের স্হানীয় রাজনৈতিক পরিচয় ও মিলে। অথচ এই আওয়ামী লীগ এর নেতৃত্বেই ১৯৭১ সালে গনতান্ত্রিক অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী হয়ে আমাদের অগ্রজের মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন তুচ্ছ করে ঝাপিয়ে পরেছিল। কিন্তু ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় চেয়ারে বসার জন্য বিভিন্ন সময় ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর সাথে নানান ভাবে তাল মিলিয়েছে। ২০০৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও খেলাফত মজলিসের সঙ্গে একটি চুক্তি সম্পাদিত হয়। অথচ এই খেলাফত মজলিসের তৎকালীন প্রধান শায়খুল হাদীস আল্লাম আজিজুল হক নিজেই আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতার কথা শিকার করেছেন। এর পর তথাকথিত হেফাজত ই ইসলাম কে খুশি রাখার জন্য পাঠ্য পুস্তক পরিবর্তন সহ কত কিছুই না করেছেন ক্ষমতাশীন আওয়ামী লীগ। যে খানে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকা রাজনৈতিক দলের কিছু লোক নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ও বহাল তবিয়তে সমাজে বসবাস করছে রাজনৈতিক দলের ছায়া তলে আশ্রয় পশ্রয়ে থাকে সেখানে অসাম্প্রদায়িক চেতানার কথা শুধু মুখের বুলি ছাড়া কিছুই না। তবে আজো আমাদের সাধারন মানুষের ভিতরে সম্প্রীতির কমতি আছে বলে আমার কাছে খুবই কম অনুভব হয় আজো আমি গ্রামে গেলে বাল্যবন্ধু বলহরির সাথে দিনরাত আড্ডা দেই। বিজয় নানার কাধে হাত দিয়ে ঘুরে বেরাই যে কোন প্রয়োজনে বন্ধু কৃষ্ণকে রাত দুপুরে ফোন করি। শরীর অসুস্থতার খবর শুনা মাত্রই জাপান থেকে ফোন করে শারীরিক খরব নেয়। তবে কেন এই সাম্প্রদায়িক অশান্তি? এর উত্তর আমাদের সাধারন মানুষের জানা আছে বলে আমার ধারনা নেই।
২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১:৪৬
ঈশ্বরকণা বলেছেন: হ্যাভেনলি! চমৎকার লেখা আমাদের দেশের সাম্প্রতিক টার্গেটেড সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে । এর মধ্যে ব্লগে আরো কিছু লেখা এসেছে দেশের সাম্প্রতিক দুর্গাপূজায় হামলা নিয়ে। আজকেও এসেছে। বেশির ভাগ লেখাই পড়ার উপুযুক্ত নয় রুট কজগুলো বাদ দিয়ে অনাবশ্যক জিনিস নিয়ে টানা হেচড়ার জন্য। কিন্তু কেমন করে যেন সেই লেখাগুলো ব্লগের প্রথম পাতায়ও জায়গা পেয়ে যায় । কিন্তু আপনার লেখাটাই সেরা এই নিয়ে ।কুডোস ।
দুটো জিনিস খেয়াল রাখা দরকার দেশের ধর্মীয় ভাঙচুরগুলোর ব্যাপারে। কি ভাবে শুরু হচ্ছে দাঙ্গাগুলো ? আর করা সে থেকে লাভবান হচ্ছে ? সাধারণ মুসলিমদের এই দুটো কোরানের কোনোটাতেই জড়ানোর কোনো সুযোগ নেই । পূজামণ্ডপে একটা কুরআন রাখার সুযোগ একজন গ্রামের সাধারণ মুসলিমের রাখার কোনো সুযোগ নেই কারণ ওটা অনটেনডেড থাকে না কখনোই। একজন চিহ্নিত দাঙ্গাবাজ মুসলিম ওখানে গিয়ে কুরআন রাখবে সেটা খুবই অবিশ্বাস্য। তাছাড়া দুর্গাপূজার একটা ব্যবসায়িক দিক আছে।অনেক কেনাকাটা জড়িত এই উৎসব ঘিরে।সব ধর্মের সাধারণ মানুষই এই ব্যবসায়িক কর্মকান্ডে যুক্ত থাকে তাই ইচ্ছে করে কেউ এই উৎসবে ঝামেলা করতে চাইবে না বলেই আমার ধারণা। আর সবচেয়ে বড় কথা ভারতের সাথে সরকারের ঘনিষ্ঠতার কারণে এই ধরণের ঘটনা ঘটলে যে ভীষণ প্রতিক্রিয়া হবে সেটা নিয়ে একটা ভীতি থাকারই কথা সাধারণ মানুষের । সরকার বিদেশে থেকে কেউ ফেসবুকে সরকার বিরোধী মন্তব্য করলেও দেশে তার বাবা মা ভাই বোনকেও ছাড়ছে না আইন আদালত আর র্যাবের ঝামেলা হামলা মামলা থেকে। তাই কেনো সাধারণ মানুষ এগুলো বুঝেও নিজের আর নিজের পরিবারের ওপর এই ঝুঁকি টেনে আনবে, সেই কাজ করবে সেটাও অবিশ্বাস্য। সব থেকে এটা সাধারণ কোনো মানুষের কাজ না সেটাই মনে হয়। খুবই টার্গেটেড কাজ এগুলো ।এখানে লাভের গুর কে খাচ্ছে সেটাও খুবই পরিষ্কার।
৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ২:১৬
কামাল১৮ বলেছেন: সম্প্রদায় যখন আছে সাম্প্রদায়িকতা থাকবেই।
৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ২:২২
যায়েদ আল হাসান বলেছেন: সেন্টিমেন্টাল গেম । একদল মানুষ আরেক দল মানুষের শ্রদ্ধা-ভক্তি নিয়ে ব্যাবসা করছে।
৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ২:২৯
কামাল১৮ বলেছেন: @ ঈশ্বরকণা, এটা নিশ্চয় ফেরেস্তাদের কাজ,যারা ধরা ছোয়ার বাইরে।ফেরেস্তারা ইসলাম ধর্মের পক্ষে।কয়েক বার যুদ্ধ করেছে,ইসলাম ধর্মের পক্ষে।
৬| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২১ ভোর ৪:০২
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
উস্তাদে কইছে রাইখ্যা আসতে।
ফেরেস্তাদের কাজ না, শয়তানের কাজ।
মাদ্রাসার পুলাপান যেখানে পুটু মারতে দেয় ফ্রীতে, বিনা প্রশ্নে। এখানেও রেখে আসতে বলছে পায়ের নীচে।
পোলা ভয়ে ভয়ে রেখে আসছে পায়ে না, কোলের উপরে।
৭| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২১ ভোর ৪:৪৮
ঈশ্বরকণা বলেছেন: কোনো একজনের "উস্তাদে কইছে রাইখ্যা আসতে। ফেরেস্তাদের কাজ না, শয়তানের কাজ। মাদ্রাসার পুলাপান (কে ?) --- রেখে আসতে বলছে পায়ের নীচে।পোলা ভয়ে ভয়ে রেখে আসছে পায়ে না, কোলের উপরে।" এই মন্তব্যটা খুবই চৌকষ। অনেক চিন্তা ভাবনা করে করা এই বিদগ্ধ ব্লগারের মন্তব্য অনুযায়ী এই কাজ করতে হলে 'পুলাপান'টাকে মাসুদ রানা বা জেমসবন্ডের মতো ট্রেনিং দিতে হবে আগে।যাতে 'পুলাপান' পুরোপুরি লুঙ্গির নিচে কুরআন শরীফটা লুকিয়ে পূজামণ্ডপ পর্যন্ত নিতে পারে (লুঙ্গির কাছা খুলে নেবার সময় কোনো ভাবেই রাস্তায় পরে যেতে পারবে না রাস্তায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে নইলে অন্যের দেখে ফেলার ভয় আছে!)।পূজা মণ্ডপের গিজগিজে মানুষের ভিড় এড়িয়ে সেটা রাখতে একটা ইনভিজিবল ক্লোক পরে নিতে হবে রাস্তায় যেতে যেতে যাতে কেউ কাজটা করতে দেখতে না পায় (ও হ্যা সেটা না করে জেমস বন্ডের ইনভিজিবল অস্টিন মার্টিন গাড়িটা চালিয়ে পূজা মণ্ডপে নিলেও নিলেও চলবে! কোনো অসুবিধে নেই!)।এগুলো আয়োজন করা গ্রামের হুজুরের জন্য অসুবিধে হলে সিআইএ-র হেল্প চাওয়া যেতে পারে যাতে তারাই এই সব কাজ নিখুঁত ভাবে শেষ করার ট্রেনিং দিতে পারে 'পুলাপান'কে ল্যাংলীতে।এগুলো না করে কুরআন শরীফ পূজামণ্ডপে রাখার সময় হাতে নাতে ধরা না পরে কেমন করে একটা 'পুলাপান' কাজটা করবে ঠিক মাথায় আসছে না।এই বিদগ্ধ ব্লগারেরকে বালখিল্য পোস্ট দেবার জন্য মডারেটর কিছুদিন আগে যখন ব্যান করেছিল তখন দেখেছি মান সম্মানের মাথা খেয়ে মডারেটরের কাছে কাদাকাটি করতে যাতে তার ব্যান তুলে নেওয়া হয়।এখনতো দেখছি জাদিদ সাহেবের দয়া দেখানোই ভুল হয়েছিল।এই বিদগ্ধ ব্লগারের বালখিল্য মন্তব্য করার অভ্যেসতো দেখি এখনো যায় নি।ব্লগের সুন্দর সময়গুলোতেও এদের বালখিল্যতা দেখতে হচ্ছে এর চেয়ে দুঃখের কিছু নেই!
৮| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২১ ভোর ৫:১০
নেওয়াজ আলি বলেছেন: কিছু আবেগী মুসলিম মরবে। তৃতীয় পক্ষ ফায়দা নিবে এমন চলতেই থাকবে
৯| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:৪৭
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ফেরেস্তাদের কাজ না, শয়তানের কাজ।
কথাটি বলতে না বলতেই শয়তান এসে হাজির।
আর কোন প্রমান লাগে?
১০| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:১৯
নীল আকাশ বলেছেন: ঈশ্বরকণা বলেছেন: খুবই টার্গেটেড কাজ এগুলো ।এখানে লাভের গুর কে খাচ্ছে সেটাও খুবই পরিষ্কার।
শানে নযুল এটাই। লেখা ভালো লেগেছে। এইসব ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে কিন্তু আসল সত্য কী আমরা আদৌ জানতে পারছি!
১১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:৩৫
বিটপি বলেছেন: ঈশ্বরকণাকে অশেষ ধন্যবাদ হাসান কালবৈশাখী নামের এই হাফ লেডীসের লুঙ্গি খুলে দেবার জন্য।
১২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:৪৯
নতুন বলেছেন: সাধারন মানুষ কখনোই ঠান্ডা মাথায় কারুর গায়ে হাত দেওয়া বা আক্রমন বা ভাঙ্গচুর করতে পারেনা।
আপনার আমার হাত কোন মানুষকে আঘাত করার জন্য উঠবেনা।
দেশের মানুষের নজর অন্য দিকে সরাতে বা অন্য কোন উদ্দেশ্য হাসিলের জন্যই এমন সব ঘটনা ঘটে।
কোন হিন্দু বা মুসলিম জনগন এই কাজ করতে যাবেনা। কেন করবে? উদ্দেশ্য কি? কি লাভ হবে মন্ডপে কোরান রেখে?
ঝামেলা হবে, ভাঙ্গচুর হবে, মিডিয়াতে আলোচনা হবে, বিশ্ব মিডিয়াতে কথা হবে!
কাদের লাভ হবে? যাদের এই ঝামেলাতে লাভ হবে তারাই এটা করাবে।
জনগন এই চাল গুলি বুঝে যদি এতে ঝামেলা না করে তবেই এইসব বন্ধ হবে। কিছু মূর্খ সমাজে আছে যারা কিছু না বুঝেই ছাগলের ৩নং বাচ্চার মতন লাফায় তাদের জন্যই এই চক্রান্ত গুলি সফল হয়।
১৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:২৯
মরুর ধুলি বলেছেন: থেলে থেকে বেড়াল কখনোই বেরিয়ে আসেনা। মাঝখান থেকে হৈ হুল্লোর আর একে অপরকে দোষাপোর করে কিছু নিরীহ মানুষের প্রাণ যায়। ধিক্কার জানাই।
১৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৩:৫১
ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন বলেছেন: ব্যক্তি স্বার্থ আজ অনেকেই অমানবিক করে তুলছে।
১৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৩:৫৪
ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন বলেছেন:
আমি চেস্টা করি আমার লেখার মধ্যে তথ্য ও বাস্তবতার সমন্বয় করতে। আমি লেখি আমার মাতৃভূমির জন্য। মা আর মাতৃভূমির সাথে কখনোই কোন মিথ্যার আশ্রয় নিতে হয়না বলে আমি বিশ্বাস।
আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
১৬| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:০০
আমি নই বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী কে রিমান্ডে নেওয়া হোক, তাহলেই থলের বিড়াল বের হয়ে আসবে (যেহেতু উনি ঘটনার বর্ননা দিলেন সেহেতু উনি অবস্যই সব কিছুই জানেন)।
১৭| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৯
পুকু বলেছেন: হাসান বালবৈশাখী নামের উজবুকটাকে বোঝানো মুশকিল যে কেন একজন হিন্দু মুর্তির পায়ের কাছে কোরান রাখবে।একজন হিন্দু খুব ভালকরেই জানে সে কোন দেশে বাস করে এবং এর পরিনাম কি হতে পারে।এটা একেবারেই অবিশ্বাস যোগ্য যে কোনো হিন্দু করেছে।তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নেই তাহলে দেশের আইন আদালত পুলিশ সেটা দেখবে।দলবেঁধে দেশের বিভিন্ন স্হানে হামলা কেন হবে।তবে কি এটা প্রমান করে না যে দেশে সুস্থ শিক্ষিত রুচিবান লোকের চাইতে বর্বরের সংখা বেশী ?আরেকটি পাকিস্তান বা আফগানিস্থান কি তৈরি হচ্ছে আমাদের সামনে?পরিনাম তো আমাদের চোখের সামনে।অতীতে নাহয় ভারত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে ছিল কিন্তু এবার কে থামাবে ?তখন নিজেরাই নিজেদের রক্তের জন্য হন্যে হয়ে ঘূরবো।উদাহরন পাকিস্তান আফগানিস্থান ..................... ।
১৮| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: আজকাল দেশে ন্যায়ের জন্য কেউ লড়াই করে না।
ফালতু বিষয় নিয়ে মারামারি করে।
১৯| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৫৫
কামাল১৮ বলেছেন: @ নতুন,কে বলছে হাত উঠবে না।বিটপি বলেছে সে আমাকে লাঠি দিয়ে পেটাবে।
২০| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী আপনি সঠিক কথাই বলেছেন।
২১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৮:৩৭
বিটপি বলেছেন: আমি কাউকে পেটানোর হুমকি দেইনি। আমি বলেছি যারা মূর্তি ভাঙ্গে আর যারা ইসলাম বিদ্বেষী - তারা একই খোঁয়াড়ের গাধা। ক্ষমতা থাকলে তাদেরকে একসাথে ফেলে পেটাতাম।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১:১৫
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: জাতিগতভাবে আমরা দিন দিন আরো লোভী, নিষ্ঠুর এবং হিংস্র হয়ে যাচ্ছি ! আমাদের লোভ এখন আকাশচুম্বী - আর দুর্নীতির সাথে পাল্লা দিয়ে হিংস্রতায়ও আমরা মনে হয়ে এখন বিশ্বের শীর্ষ স্থানটি পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে পড়েছি।