নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ও বলতে চাই !

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন

ব্লগিং হউক সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার ।

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিষ্টাচারের বাহিরে কেন আমাদের রাজনীতি ?

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৩৪

বাংলাদেশের অনেকে বিবেকবান মানুষের মনেই প্রশ্ন বাংলাদেশের রাজনীতিতে সুশিক্ষিত মেধাবী তরুনরা কেন তেমন ভাবে সম্পৃক্ত হচ্ছেন না। এই প্রশ্ন যে আজ তেমনটি নয় এটা বহুদিনের প্রশ্ন। যারা এমন প্রশ্ন করেন বা যাদের মনে এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খায় এর স্পষ্ট উত্তর ও তাদের জানা আছে। তার পর ও দেশের জন্য দেশের সাধারন মানুষের জন্যই দেশ প্রেম থেকে তাদের এমন প্রশ্ন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ত্রিশ লক্ষ মানুষের জীবন ও আড়াই লাখ মা বোনদের সম্ভ্রম এর বিনিময় অর্জিত বাংলাদেশকে প্রায় প্রতিটি নাগরিক ই অন্তর দিয়ে ভালবাসে। তবে কিছু কিছু আছেন যারা শুধু দেশের সাথে ভালবাসার ই অভিনয় করে। ওদের সংখ্যা নেহাত অল্প। আর পৃথিবীর প্রতিটি দেশেই যুগে যুগে এমন তথাকথিত মানুষের জন্ম হয় তাই ওদের নিয়ে কথা না বলাই ভাল। ময়লা যতই অল্প হউক দুর্গন্ধ অনেক দুরে ছড়ায় অনেক রোগের জন্ম দেয়। তাই ওদের নিয়ে আজ আর কিছু বলছি না। বাংলাদেশের রাজনীতি দিনের পর দিন ক্রমান্বয়ে ই কুলষিত হচ্ছে রাজনীতিতে ময়লা ছোড়াছুড়ি এক নিকৃষ্ট পার্যায়ে এসে দাড়িয়েছে। অথচ আমাদের অতীতের রাজনীতির ইতিহাস কি এমন ই ছিল? না মোটেও না নিকট অতীতে ও আমাদের রাজনীতিতে ছিল এক সৌহার্দ্যপুর্ন অবস্হান। রাজনীতির মাঠে যাই বলুক কিন্তু রাজনৈতিকবিদের ভিতরে শ্রদ্ধা ভালবাসার কমতি ছিল না। এখনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আওয়ামিলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জনাব জিল্লুর রহমানকে বিএনপির সাবেক মহাসচিব প্রয়াত জনাব খন্দকার দেলোয়ার হোসেন চায়ের কাপ হাত তুলে দেওয়ার ছবি ঘুরে বেড়ায়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ুমন ভুরি ভুরি শিষ্টাচার ও মনবতার উদাহরণ রয়েছে।

অতি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাদের সদ্য পদত্যাগ করা তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মুরাদ হাসানের একটি টক শো বক্তব্য আমার মত সমগ্র বিবেকবান মানুষকে স্তম্ভিত করেছে। তার পুরো বক্তব্যেই ছিল এক ধরনের বেয়াদবি ভাব সম্পন্ন আক্রমনাত্মক বৈষম্যমুলক অশ্লীল নারী বিদ্বেষী, বর্ণবাদী, বিকৃত ও যৌন হয়রানিমূলক। প্রথমে আমার ভাবতে সমস্যা হয়েছে এটা কি আমাদের দেশের সরকার পরিচালনার দায়িত্বে থাকা একজন প্রতিমন্ত্রীর পেশা গত জীবনে একজন ডাক্তার পারিবারিক জীবনে একজন পিতা ও একজন স্বামীর বক্তব্য। পরোক্ষনে ই আমার ঘোর কাটল দেখলাম মুহুর্তে ই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এই নিয়ে তীব্র প্রতিবাদে উত্তাল।

ডাঃ জাফরউল্লা চৌধুরী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। বিলেতের রয়্যাল কলেজ অব সার্জনস-এ এফআরসিএস পড়াকালীন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে তিনি চূড়ান্ত পর্ব শেষ না-করে লন্ডন থেকে ভারতে ফিরে এসে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়ার নিমিত্তে আগরতলার মেলাঘরে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে গেরিলা প্রশিক্ষণ নেন এবং এরপরে ডা. এম এ মবিনের সাথে মিলে সেখানেই ৪৮০ শয্যাবিশিষ্ট “বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল” প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করেন। তিনি সেই স্বল্প সময়ের মধ্যে অনেক নারীকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য জ্ঞান দান করেন যা দিয়ে তারা রোগীদের সেবা করতেন এবং তার এই অভূতপূর্ব সেবাপদ্ধতি পরে বিশ্ববিখ্যাত জার্নাল পেপার “ল্যানসেট”-এ প্রকাশিত হয়। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি ১৯৭৭ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন। ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুবই একজন স্নেহভাজন ব্যক্তি ছিলেন। তাই জাতির জনকের গ্রামকে উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু রূপে গড়ে তোলার লক্ষেই বঙ্গবন্ধুর দেওয়া জায়গায় ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী ঢাকার অদুরে সাভারে গড় তুলেন গণস্বাস্থ্য ফিল্ড হাসপাতাল। বর্তমানে আমাদের দেশে যেই কয়েক জন সর্বজন শ্রদ্ধেয় বয়োজ্যেষ্ঠ সম্মানিত নাগরিক আছেন তাদের মধ্যে ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী অন্যতম একজন। অথচ তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মুরাদ হাসান যেই অশ্লীল ও অকথ্য ভাষায় ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে আক্রমণ করেছেন তা কোন সুস্থ মানুষের পক্ষে করা সম্ভব কি না তা যথেষ্ট প্রশ্নের জন্ম দেয়। রাজনীতিতে মতের বিরোধ নতুন কিছুই নয়। রাজনৈতিক ময়দানে একজন আর্দশ নীতিবান রাজনীতিবিদ তার প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে যুক্তির মাধ্যমে শিষ্টাচারের ভিতর থেকে আক্রমণ করে তাকে পরাজিত করার চেষ্টা করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ডাঃ মুরাদ সেদিনের ঐ ভার্চুয়াল টক শোতে বাংলাদেশের তিন বারের প্রধানমন্ত্রী জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়া নিয়ে যে নানান অশ্রব্য অশ্লীষ কটুক্তি করপছেন সেই সাথে বেগম জিয়ার নাতনি ব্যারিষ্টার জাইমা রহমান কে নিয়ে যে কুরুচিপূর্ণ অশ্লীল মন্তব্য করেছেন তা কোন সভ্য সমাজ মেনে নিতে পারে না। জাইমা রহমান একজন নারী তিনি বয়সে আমাদের মেয়ের মত তাকে নিয়ে একটা মিথ্যা বাজে মন্তব্য করার আগে কি ডাঃ মুরাদের একটি বার ও কি ভাবা উচিত ছিলনা যে তার ঘরে ও একটি ফুট ফুটে কন্যা সন্তান রয়েছে। জাইমার সাথে রাজনীতির কোন সম্পর্ক নাই। আর জাইমা রহমান কে জরিয়ে ডাঃ মুরাদ যে বক্তব্য দিয়েছেন তা যেমন তার বিকৃত মানষিকতার পরিচয় অন্যদিকে তিনি যে সমাজে বর্নবাদ জাতী ও লিঙ্গ বৈষম্যে বিশ্বাসী তার ই প্রমান। ডাঃ মুরাদ জাইমা রহমানকে নিয়ে যে অশ্লীল মন্তব্য করছেন তাতে আমার বিস্ময়ের ঘোর কেটে গেছে যখন ই ডাঃ মুরাদের সাথে চিত্রনায়ক ইমন ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া অডিও ক্লিপ টি শুনলাম। প্রথমে ঐ কথা গুলি আমি তেমন বিশ্বাস করি নাই কিন্তু যখন চিত্রনায়ক ইমন এই ফোন রেকর্ডের সত্যতা স্বীকার করেছেন তখন ডাঃ মুরাদের প্রতি আমার ঘৃনার পাল্লটা আরো একটু ভারী হয়েছে। তার ঐ ফোনালাপের কথা গুলি তিনি যে একজন দুশ্চরিত্রে বিকৃত যৌন রুচির পরিচয় বহনকারী বলে মনে হয়েছে তেমনি আমাদের প্রসাশনের ভয় দেখিয়ে আমাদের প্রশাসনের সুনামক্ষুন্নের চেস্টা করেছেন। ডাঃ মুরাদের শুধু ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী বেগম খালেদা জিয়া জাইমা রহমান বা মাহিয়া মহিয়া মাহির ঘটনাই শেষ নয় তিনি প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং এখানার করা বিভিন্ন ছাত্রী হোস্টেল বসবাস বরত ছাত্রলীগে বিভিন্ন নেত্রীদের চরিত্রে ও কালিমা লেপন করতে কুন্ঠা বোধ করেন নি। ডাঃ মুরাদের এমন কুকর্মের অভিযোগ এখন ভুরি ভুরি। তবে সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হলো নাহিদ নামের যেই লোক টি তার ঐ সকল অনুষ্ঠানের উপস্হাপক হিসেবে ছিলেন তিনিও যে একজন মানষিক বিকার গ্রস্হ্য উন্মাদ তার আর বোধ হয় কারো কাছে বলার অপেক্ষা রাখেনা। ডাঃ মুরাদ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ও বিভিন্ন কর্মকান্ড জাতি হিসেবে আমাদের বিব্রত করেছে। জানিনা তার সকল কর্মকান্ডে সরকার ও আমাদের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামিলীগ কতটুকু বিব্রত হয়েছিল?

বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ছিল এক উজ্জ্বল নক্ষত্র তাতে ও কম হবে রাজনৈতিক অঙ্গনের সুর্য যার আলোয়ে আলোকিত হয়ে নানান আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যদিয়ে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে ১৯৭১ সালে এই দলের ই প্রধান বাংলাদেশের মানুষের প্রান পুরুষ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব এদেশের আপামর জনসাধারণের অংশগ্রহণে ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্ত ও আড়াই লাখ মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময় আমারা স্বাধীনতা অর্জন করলেও কালের বিবর্তনে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করা জন্য আজ সেই ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ তার ঐতিহ্য অনেকটাই ধ্বংস করে দিয়েছে। বিভন্ন অযোগ্য মানুষ গুলিকে দল ও রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়ে একদিকে যেমন সন্ত্রাস দুর্নীতির মাধ্যমে দেশে বিপদের দিকে নিয়ে যাচ্ছে অন্য দিকে অযোগ্য নেতৃত্বের জন্য দলের ভাবমূর্তি ধ্বংস করছে। অথচ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন উদার মনের রাজনীতি বিদ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকলে শিষ্টাচার ও মমতার ঘটতি ছিলনা।

ইতোমধ্যে ডাঃ মুরাদ হাসাকে প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে দত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। আর সেই নির্দেশ মোতাবেক ডাঃ মুরাদ হাসান ব্যক্তিগত কারন দেখিয়ে পদত্যাগ পত্র ও জমা দিয়েছেন। তবে শপথ নিয়ে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা যেই ভাবেই হউক জনগনের পক্ষে আমাদের মহান সংসদের প্রতিনিধিত্ব করা রাষ্ট্রের একজন আইন প্রণেতার মানুষিক ও চারিত্রিক অবস্হা যদি এমন হয় তার জন্য প্রতিমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ ই কি যথেষ্ট? না মোটেও না। প্রথমত তাকে শিষ্টাচার লংঘন ও শপথ ভঙ্গের জন্য বহিস্কার করাটা ছিল জরুরী সেই সাথে আওয়ামী লীগের মত একটি রাজনৈতিক দলের সাথে এমন একজন দলছুট মানষিক বিকারগ্রস্ত মানুষের সম্পর্ক মানায় না বিধায় তাকে দল থেকে বহিস্কার তার নির্বাচনী এলাকার মানুষ তার কাছে নিরাপদ নয় বিধায় তার ঐ এলাকার সাংসদের পদে থাকার কোন অধিকার আছে বলে শুধু আমি না ঐ এলকার সাধারন মানুষ ও মনেকরেন না তার প্রমান তার পদত্যাগের খবর শোনা মাত্রই ঐ এলাকার সর্বস্তরের মানুষের আনন্দ মিছিল। তাই এখানে ডাঃ মুরাদের শুধু প্রতিমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ ই যথেষ্টনা তাকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে বিতারিত করে দেশের প্রচলিত আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্হা টাই হবে বর্তমান ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামীলের রাজনৈতিক বিচক্ষণতার প্রমান। এর আগের ও আমরা সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যের কোন এক টক শোতে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করে মালেক বিকৃত মানষিকতার পরিচয় দিলেও বিএনপির পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে টু শব্দটি পর্যন্ত করা হয় নি। যদি ও মালেকের বিকৃত রুচি অশ্লীল মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করতে আমি মোটেও পিছু হই নি। ঘৃনা নিয়ে তার ঐ বিকৃত রুচির প্রতিবাদ করেছি। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল সহেব ও আমাদের মাননীয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কন এক বক্তব্যে কিছু অরুচিকর অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেছিলেন। কোন ব্যক্তি নিয়েই অশালীন কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য কখমো কোন সভ্য সমাজের মানুষের মুখে মানায় না আর কোন সভ্য সমাজ তা গ্রনহ ও করতে পারে না। ক্রমান্বয়ে আমরা যেন সেই স্হান থেকে অনেক দুরে চলে যেতো শুরু করেছি। আলাল বা মালেকের ঐ ধরনের মন্তব্যের পর বিএনপির ভিতর ৎোকে কোন প্রতিক্রিয়া আমরা দেখিনাই। তবে সিলেটের ছাত্রলীগের কর্মীরা মালেকের বাড়ীতে ভাংচুর করতে ভুলে নাই। আমাদের রাজনীতি বহুদিন আগেই রাজনীতিবিদদের হাত থেকে ছিনতাই হয়ে নষ্ট মানুষদের দখলে চলে গেছে। রাজনীতি তার সততা শিষ্টাচার হারিয়ে অনেকটাই সন্ত্রাস চাঁদাবাজ দুর্নীতিবাজ আর অসভ্যদের দখলে। এর মাঝে হাতে গনা যেই কজন রাজনীতিবিদ নীতি আর্দশ নিয়ে কোন ভাবে রাজনীতিতে টিকে আছেন তাদের অবস্হা বড়ই করুন। আমাদের রাজনীতিতে মুরাদ মালেকদের মত উচ্ছিষ্ট সুবিধা ভোগী অসভ্যের কমতি নাই । আমাদের বর্তমান রাজনৈতিক এই দৈন্যদশা দেশের কোন দেশপ্রেমিক নাগরিকেই কাম্য নয়।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৫৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: সামাজিক রীতি-নীতি-শিষ্ঠাচার এখন যাদুঘরে আধুনিক দল প্রেমী ও মুক্তমনাদের ভীরে।

রাজনৈতিক শিষ্ঠাচার এখন বিতাড়িত রাজনৈতিক দূর্বিত্তায়নের কারনে । এখন সেই বড় রাজনৈতিক নেতা যে যত বেশী গালাগালি করতে পারবে মৃত-মৃতপ্রায় বিরোধীদেরকে।

এখন বিরোধী নেতাকে পাশে বসিয়ে চা ঢেলে দেয়ার ছবির আশা করা বোকামী কারন সেই সহনশীল আচরন এখন আর পরিবার-সমাজ- রাষ্ট্রের কোথাও না শিখানো হয় না চর্চা করা হয়।

গত একযুগে পরিবারে-সমাজে-দেশে যে পরিবর্তন হয়েছে তা আমাদের উপমহাদেশে গত ১০০ বছরেও হয়নি। এখন যদি প্রশ্ন করা হয় এর জন্য দায়ী কে ?

তাহলে আংগুল আমাদের দিকেই আসবে । হ্যা - ইহাই সত্যি । এর জন্য দায়ী সাধারন মানুষজনই।

২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:২৭

রানার ব্লগ বলেছেন: ইট টি মারলে পাটকেল টি খেতে হয় । একটু পেছনে ঘুড়ে আসুন । হাসিনা, মুজিব ও তার স্ত্রী, হাসিনার মেয়ে, মুজিবের বাবা মা কে নিয়ে হেন কোন অশ্লীল মন্তব্য নাই যা বিএনপির নেতৃত্ববর্গ করে নাই। তখন শিষ্ঠাচার কি লেপমুড়ি দিয়ে ঘুমাচ্ছিলো।

তবে শিষ্ঠাচার শব্দটা খালি শব্দ আঁকারে না থেকে আমাদের মস্তিষ্কে চিরস্থায়ী ভাবে ঘাটি গাড়ুক এই প্রত্যাশা করি।

৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: আসল সমস্যা বাংলাদেশে কোনো ভালো মানুষ নেই।

৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৩৯

জগতারন বলেছেন:
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: সামাজিক রীতি-নীতি-শিষ্ঠাচার এখন যাদুঘরে আধুনিক দল প্রেমী ও মুক্তমনাদের ভীরে।

রাজনৈতিক শিষ্ঠাচার এখন বিতাড়িত রাজনৈতিক দূর্বিত্তায়নের কারনে । এখন সেই বড় রাজনৈতিক নেতা যে যত বেশী গালাগালি করতে পারবে মৃত-মৃতপ্রায় বিরোধীদেরকে।

এখন বিরোধী নেতাকে পাশে বসিয়ে চা ঢেলে দেয়ার ছবির আশা করা বোকামী কারন সেই সহনশীল আচরন এখন আর পরিবার-সমাজ- রাষ্ট্রের কোথাও না শিখানো হয় না চর্চা করা হয়।

গত একযুগে পরিবারে-সমাজে-দেশে যে পরিবর্তন হয়েছে তা আমাদের উপমহাদেশে গত ১০০ বছরেও হয়নি। এখন যদি প্রশ্ন করা হয় এর জন্য দায়ী কে ?

তাহলে আংগুল আমাদের দিকেই আসবে । হ্যা - ইহাই সত্যি । এর জন্য দায়ী সাধারন মানুষজনই।


মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন:- এর সাথে সহমত!

৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



ডা: জাফর উল্লাহ চৌধূরী শেখ সাহবের সাহায্যে এত বড় হয়ে কেন বিএনপি'তে, যেখানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শেখের হত্যাকারী? কিসের ঘোড়ার ডিমের পোষ্ট লিখেন?

৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪২

জ্যাকেল বলেছেন: রাজনীতিতে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর গোয়েন্দা তৎপরতা চলমান আছে। তাদের নিজ নিজ কোম্পানির এজেন্ডা বাস্তবায়নে রাজনীতিবীদদের দাবার গুটির মত ব্যবহার করা হই, এতএব এই দেশে শিষ্টাচারের রাজনীতি আশা করা যায় না।পলিটিসিয়ানেরা কেউ কেউ চুক্তি করে দেশের স্বার্থবিরোধী কাজ করে, এদের মধ্যে দেশপ্রেমের ছিটেফোঁটা থাকলেও এত এত খারাপ কাজ ঘটতে দিত না।

৭| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:০৭

দংশন বলেছেন: ১৫ই আগষ্ট পৃথিবীর সবথেকে জঘন্য অপরাধ ঘটার পরে কি করে ভাবেন সবকিছু স্বাভাবিক চলবে। সবকিছু অস্বাভাবিক ভাবে চলবে এটাই স্বাভাবিক। এখন পর্যন্ত জাতি হিসেবে আমরা কখনো একই সাথে এক যোগে মন থেকে বিশ্বাস করেছি যে ১৫ আগষ্ট আমরা জাতি হিসেবে যে পাপ করেছি তার জন্য আমাদের পৃথিবীর শেষদিন পর্যন্ত এই পাপের ফল ভোগ করা উচিৎ। যেদিন এই বিশ্বাস আমাদের সবার মধ্যে আসবে সেদিন প্রকৃতি/সর্বশক্তিমান আমদের এই পাপ থেকে মুক্তি দিলেও দিতে পারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.