নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ ২৩ জুন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম নেতা জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ও মুক্তিযুদ্ধের সময়কার বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শহীদ তাজউদ্দীন আহমদের ৯৭তম জন্মদিন। তবে এই জাতির নেতার জন্মদিনকে তেমন কোন ভাবেই পালন করেনি বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ। তবে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদের পুত্র সাবেক প্রতিমন্ত্রী জনাব সোহেল তাজের এক মন্তব্যের পর বাংলাদেশ আওয়ামিলীগের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদের জন্ম দিনের শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি পোস্ট করয় হয়। আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজে দেখা যায়, সকাল সাড়ে দশটার দিকে সাপ্তাহিক আয়োজন ‘রাজনীতির সাতকাহন’ নিয়ে অনুষ্ঠান সম্পর্কে জানিয়ে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। তার নিচে বেলা একটার দিকে সোহেল তাজ একটি মন্তব্য করেন। সেখানে সোহেল তাজ লিখেন, " আজ বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর এবং স্বাধীনতাসংগ্রামকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদের ৯৭তম জন্মবার্ষিকী। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজ থেকে অন্তত একটা পোস্ট আশা করছিলাম"।
সোহেল তাজের মন্তব্যের ঘণ্টাখানেক পর আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজ থেকে তাজউদ্দীন আহমদকে নিয়ে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। ওই পোস্টে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদের একটি আবেগঘন ছবি দিয়ে পোস্টার করে তাতে লেখা হয়, " ২৩ জুলাই বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর এবং মুক্তিযুদ্ধকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদের ৯৭তম জন্মবার্ষিকী। বঙ্গতাজের জন্মদিনে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা"।
এদিকে সোহেল তাজের মন্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজ থেকে বলা হয়েছে, তারা সাধারণত যখন ব্যবহারকারী বেশি থাকে (ট্রাফিক) তখন মহান নেতাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পোস্ট দেয়। মন্তব্যের সঙ্গে তাজউদ্দীন আহমদকে নিয়ে দেওয়া পোস্টটির লিঙ্কও জুড়ে দেওয়া হয়। পরে ঐ পোস্টে সোহেল তাজ অবশ্য মন্তব্য করেন " ধন্যবাদ- ইট ইস বেটার লেইট দেন নেভার "।
প্রসঙ্গত শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ১৯২৫ সালের এই দিনে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার দরদরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। দেশের রাজনীতিতে মেধা, যোগ্যতা, দক্ষতা ও সততার অনন্য প্রতীক তাজউদ্দীন আহমদ। ১৯৬৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে যে সর্বদলীয় নেতৃসম্মেলনে শেখ মুজিবুর রহমান ছয়দফা দাবি উত্থাপন করেন, সেই সম্মেলনে শেখ মুজিবের সাথে তিনিও যোগদান করেন। সম্মেলনের বিষয় নির্বাচনী কমিটিতে তাজউদ্দীন ছিলেন অন্যতম সদস্য। এই বছরের ৮ মে তিনি দেশরক্ষা আইনে গ্রেফতার হন। ১৯৬৮ সালে জেলে থাকা অবস্থাতেই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে পুণঃনির্বাচিত হন। ৬৯’এর গণঅভ্যুত্থানের ফলশ্রুতিতে জেল থেকে মুক্তি পান। ১৯৭০ সালে তৃতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। এই বছরের সাধারণ নির্বাচনের জন্য গঠিত আওয়ামী লীগের পার্লামেন্টারি বোর্ডের সেক্রেটারি নির্বাচিত হন। ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তাজউদ্দীন আহমদ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম পরিচালনায় সফল ভূমিকা পালন করেন। স্বাধীনতার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৪ সালের ২৬ অক্টোবর বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে তিনি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের হাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবার নিহত হওয়ার পরদিন তাজউদ্দীন আহমদ গৃহবন্দী হন। ওই বছরের ২২ আগস্ট তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়। কারাগারে বন্দী থাকা অবস্থায় ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর অপর তিন জাতীয় নেতার সঙ্গে তাকেও নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তাজউদ্দীন আহমদ ও সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীনের সর্বকনিষ্ট সন্তান তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ ২০০৯ সালে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর ২০১২ সালে তিনি সংসদ সদস্য পদও ছেড়ে দেন।
২| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:১৮
কামাল৮০ বলেছেন: তাজউদ্দিন সাহেব প্রধান মন্ত্রী আর শেখ সাহেব রাষ্ট্রপতি থাকলে দেশ কিছু পেতো।
৩| ২৪ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৩৭
নীল আকাশ বলেছেন: 'বাধ্য হয়ে ঢেকি গেলা' লাইন আগে শুনেছেন কোথাও?
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৪৬
মোগল সম্রাট বলেছেন: জাতির এই সুর্য সন্তানের জন্মদিনে বিনম্র শ্রদ্ধা