নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ও বলতে চাই !

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন

ব্লগিং হউক সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার ।

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফেইসবুক কি আমাদের সম্প্রতি বিনষ্টের মাধ্যম?

৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:৫৫

" গ্রামের নওজোয়ান হিন্দু মুসলমান মিলিয়া বাউলা গান আর মুর্শিদি গাইতাম। আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম আমরা আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম।" বউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের যথার্থ মর্মবাণী আজ প আমাদের এই বাংলার মাটিতে বিদ্যমান। তবে মাঝে মাঝে বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী মহল তাদের ব্যক্তি ও গোষ্ঠী স্বার্থ হাসিলের জন্য আামদের সম্প্রতিতে ছোবল দেয়ার চেষ্টা করে আমাদের ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক বন্ধনের শিকলে কুঠার মারতে চায়। আর সেই কারনেরই আমাদের দীর্ঘ শতাব্দীর পর শতাব্দীর ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক সহ অবস্হানের গর্বের জায়গাটা অনেকটা ই দুর্বল হয়ে পরেছে। তার পর ও আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি আমাদের এই অঞ্চলের বিভিন্ন রাষ্ট্র থেকে অনেক অনেক ভাল। কারন আমাদের বাংলাদেশে আজ ও হিন্দু-মুালিম- বৌদ্ধ -খ্রিস্টান একই ঘাটের জল খেয়ে আর একই হাটের বাজার খেয়ে এক সাথে বেড়ে উঠছে। কথায় আছে এক সাথে দুইটি পাত্র থকলে একটু ওকটু টোকা লাগবে এটা ই স্বাভাবিক। ভাইয়ে ভাইয়ে এক সাথে থাকলে ও সেখানে সামন্য মনমালিন্য হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে আমাদের এই ধর্মীয় সম্প্রদায়িক সম্পর্কে ফাঁটল ধরানোর জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ভিতরে থাকা সুবিধা ভোগীরা উদগ্রীব হয়ে বসে থাকে নিজ ব্যক্তি বা গোষ্ঠীগত স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে।
গত ১৫ জুলাই নড়াইলের লোহাগড়া থানার দিঘলিয়া গ্রামের সাহাপাড়া এলাকায় বর্বরোচিত হামলার ঘটনা ঘটে। এই হামলায় হিন্দু ধর্মের বেশ কয়েকটা মন্দির সহ বেশ কিছু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। এতে ঐ সাহাপড়ার হিন্দু বাসিন্দাদের প্রচুর সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং স্হানীয় বাসিন্দারা নিজেদের জীবন রক্ষার্থে পাশ্ববর্তী গ্রামগুলিতে আশ্রয় নেন। নড়ালেই দিঘলিয়া গ্রামের এই সহিংসতা কারন ছিল আকাশ সাহা নামের সৃহানীয় এক হিন্দু যুবক গত ১৫ জুলাই বিকালে তার ফেসবুক আইডি থেকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে একটি বিতর্কিত পোস্ট দেয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। উত্তেজিত জনতা আকাশের দোকানে তালা লাগিয়ে দেয়। তারা বাজারের রাধা গোবিন্দ মন্দিরে প্রধান গেট ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। এর মধ্যে একটি অংশ আখড়াবাড়ি দুর্গা মন্দিরে হামলা করে। আকাশ বাড়িতে পালিয়েছে এমন খবরে বিক্ষুব্ধ জনতা সন্ধ্যায় সাহা পাড়ায় তার বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। ফেইসবুকে ধর্ম অবমাননা একটা মামুলি বিষয়ে দাড়িয়েছে এই নিয়ে আমি আলোচনা করবো একটু পরে। আকাশ সাহা তার ফেইসবুক আইডিতে প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) কে নিয়ে কটুক্তি যদি করে থাকে তা হলে এটা বিন দ্বিধায় একটি গর্হিত অপরাধ। কারন বর্তমান বিশ্বের দুই শত কোটির উপরের মুসলামনদের হৃদয় স্পন্দন প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মদ ( সাঃ) ও তাদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কোরান কে নিয়ে কোন কটুক্তি তাদের হৃদয়কে ব্যথিত করবে এটাই স্বাভাবিক। তবে সেটাকে পুঁজি করে যারাই হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাই-বোনের বাড়ী ঘরে ভাংচুর চালিয়েছে অগ্নি সংযোগ করেছে নিসন্দেহে তারা তার চেয়ে ও অনেক বেশি অপরাধ করেছে। আকাশ সাহা যদি নবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) কে নিয়ে কটুক্তি ও অবমাননাকর কোন মন্তব্য করেই থাকে তার জন্য আমাদে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে তাকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব। ইতোমধ্যে আকাশ সাহাকে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেফতার ও করেছেন । তার জন্য এই না যে এক জনের আপরাধের জন্য একই সম্প্রদায়ের অন্যদের জান মালের ক্ষতি সাধরন করতে হবে? কে দিয়েছে তাদের এই অধিকার? গত কয়েক বছরে আমাদের দেশে যত এই ধরনের অঘটন ঘটছে তার প্রায় অধিকাংশ ই ফেইসবুকে ধর্ম অবমাননা কে কেন্দ্র করে। তবে গেল দুর্গাপুজার সময় অর্থাৎ ২০২১ সালের ১৩ অক্টোবর কুমিল্লা নগরের নানুয়াদীঘির পাড়ে পূজামণ্ডপ থেকে কোরআন শরিফ উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে যেই সারা দেশে যেই কঠিন পরিস্হিতি সৃষ্টির পায়তারা করা হয়ে ছিল তা ছিল সত্য ন্যাক্কারজনক ঘটন। যদিও পুজা মণ্ডপে পবিত্র কোরান রাখার দায়ে ইকবাল হোসেন নামে একজনকে গ্রেফতার করলেও ঐ ঘটনার মুলহোতা কারা তা সম্ভবত আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আজো সনাক্ত করতে পেরেছে কি না তা আমার জানা নাই। তবে কুমিল্লা ঐ ঘটনার পর যত টুকু ধারনা ছিল হয়তো আমাদের দেশে এই ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি হবে না তবে কিছু দিন না যেতে কোথাও না কোথাও শকুনের কালো থাবা আমাদের ধর্মীয় সম্প্রতিকে বিনষ্টের পায়তারা করে ই যাচ্ছে।

বাংলাদেশে ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর প্রথম হামলাটি হয়েছিল ২০১২ সালে ২৯ সেপ্টেম্বর ৷ উত্তম বড়ুয়ার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পবিত্র কোরান শরিফ অবমাননা করা হয়েছে। এমন গুজব ছড়িয়ে সেই রাতে হামলা চালানো হয় রামুর বৌদ্ধপল্লিতে৷ ধ্বংস করা হয় বৌদ্ধ পুরাকীর্তি৷ ঐ ঘটনায় রামুর ১২ বৌদ্ধ বিহার, ৩০টি বসতঘর এবং উখিয়া ও টেকনাফের ৭টি বৌদ্ধ বিহার ও ১১টি বসতঘরে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে দুষ্কৃতকারীরা। হামলা ও লুটপাট চালানো হয় আরও ৬টি বৌদ্ধ বিহার ও শতাধিক বসতঘরে। সেই সময় ক্ষমতাসীন দলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হামলায় অংশ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে৷ এর পর একই অভিযোগে ২০১৬ সালের ২৯ অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় গ্রামের রসরাজ দাস নামের এক হিন্দু যুবককে পিটিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে একদল যুবক। পরদিন এলাকায় মাইকিং করে উপজেলা সদরে পৃথক দুইটি সমাবেশ থেকে ১৫টি মন্দির, হিন্দু সম্প্রদায়ের শতাধিক ঘরবাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। রসরাজ দাস জেলের পরিবারের সন্তান তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ফেসবুকে কাবা ঘরের উপরে শিবের ছবি বসিয়ে মুসলমানদের পবিত্রস্হান কাবা শরীফ তথা ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করেছে। এর পর ২০১৭ সালের ১০ নভেম্বর রংপুরের গংগাচড়া উপজেলায় ঠাকুরপাড়া ও ব্রাহ্মণপাড়া গ্রামে হামলা চালানো হয়৷ টিটু রায় নামে এক হিন্দু যুবকের ফেইসবুক আইডি থেকে নাকি ইসলাম ধর্ম ও নবী মুহাম্মদ ( সাঃ) কে অবমাননা করে পোষ্ট দেওয়া হয়। এর পর কয়েক দিন একটি বিশেষ গোষ্ঠী প্রচার প্রচারনা চালিয়ে ঠাকুরপাড়া ও ব্রাহ্মণপাড়া হামলা করে হিন্দুদের ৩০টি বাড়ি পুড়ে ছাই হয়, ২৫টি বাড়িতে চলে ভাংচুর, চলে ব্যাপক লুটপাট৷ হামলাকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে এক ব্যক্তি মারাও যান৷ পরে কথিত অভিযুক্ত টিটু রায়কে আটক করে রিমান্ডে নেয় পুলিশ৷ তবে টিটু রায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লাতে। পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয়দের কেউ কেউ বলছেন, টিটু রায় লেখাপড়া জানেন না৷ তাঁর পক্ষে ফেসবুকে এমন স্ট্যাটাস দেয়া সম্ভব কিনা এ বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তাঁরা৷
একই বছর নভেম্বরে ২ তারিখে ফরিদপুরের সদরপুরে ফেসবুকে আপত্তিকর ছবি পোস্ট করার অভিযোগে বিষ্ণু মালো নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশ। পরে স্হানীয় উত্তেজিত জনগণের উত্তেজনা প্রসম হয় বিষ্ণু মালোর দোকান ও বাড়ী ঘর পুরিয়ে।

২০২১ সালের মার্চ মাস যখন ভাস্কর্য ও মোদির বিরোধী আন্দোলনে সারাদেশ যখন উত্তপ্ত তখন ই ঝুমন দাস আপন নামের এক হিন্দু যুবক তার ফেইসবুক আইডি থেকে হেফাজত ই ইসলামের নেতা, জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া ও এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষক আল্লামা মামুনুল হককে নিয়ে কিছু ব্যাঙ্গাত্বক ছবি ও মন্তব্য পোষ্ট করেন আর ঝুমন দাশের এই ফেইসবুক পোষ্টকে কেন্দ্র করে একটি সুবিধাবাদী মহল ২০২১ সালের ১৭ মার্চ সকালে সুনামগঞ্জে শাল্লা উপজেলার নোয়াগাও গ্রামের হিন্দু পল্লীতে ব্যাপক ভাঙ্গচুর ও লুটপাট চালায়। যদিও ঝুমন দাসকে নোয়াগাও গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরাই ফেইসবুকের ঐ পোষ্ট দেখে কালবিলম্ব না করে পুলিশে হস্তান্তর করেন। ঐ হামলায় হেফাজতের কর্মীরা জরিত থাকলে ও মুল হোতা ছিলেন শাল্লার ঠিক পাশের উপজেলার নাচনি গ্রামের শহীদুল ইসলাম স্বাধীন ওরফে স্বাধীন মেম্বার । তিনি ঐখানকার ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য। পরে অবশ্য জানাজায় স্হানীয় জলমহাল নিয়ে ঐ এলাকার হিন্দু জেলেদের সাথে বিরোধের জেরে স্বাধীন মেম্বার ঝুমন দাসের ফেইসবুক পোষ্টকে পুঁজি করে ঐ এলাকার সাধার মানুষকে ক্ষেপিয়ে তুলে। এই ঘটনায় দেশ ব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হলে হামলাকারীদের অনেককেই গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ভারতের বিজেপি নেত্রী নুপুর শর্মার মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে কটুক্তির প্রতিবাদে ভারত সহ পৃথিবীর অনেক মুসলিম দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা যখন ক্ষোভে ফেঁএে পরলো এমনকি মধ্যপ্রচ্যের অনেক দেশ ভারতীয় পন্য বর্জনের ঘোষনা দিল তথন নুপুর শর্মার এই অপরাধের জন্য খোদ আর নিজ দল বিজেপি থেকে তাকে বহিস্কার করা হলো তখন ই নড়াইল সদর উপজেলায় মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের এক ছাত্র বিজেপির বহিস্কৃত নেত্রী নুপুর শর্মার সমর্থনে তার ফেইসবুক আইডিতে একটি পোষ্ট করে। পরে ঐ পোষ্ট সাধারন ছাত্রদের দৃষ্টি গোচর হলের তারা এই পোষ্টের বিষয় কলেজের ভার প্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে বিষয়টি অবহিত করেন এবং পোষ্ট ডিলিটের দাবী জানান। ভার প্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস নাকি ঐ পোষ্ট ডিলিটের কোন পদক্ষেপ না নিয়ে বরং ঐ ছাত্রের পক্ষে সাফাই গান। জানিনা এই কথাটা কতটুকু সত্য। কারন একজন শিক্ষকের তো এমন হওয়ার কথা না। এর পর একটি সুবিধা ভোগী মহল এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যা কান্ড ঘটিয়েছে একটি সভ্য সমাজের জন্য তা মোটেও কল্যানকর নয়। এর আগের ও এই একই ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে নারায়ণগঞ্জের পিয়ার সাত্তার লতিফ স্কুলের শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের সাথে একই ঘটনা ঘটে। কিছু দিন আগে মুন্সীগঞ্জের শিক্ষক হৃদয় মণ্ডলেকে অর্ম অবমাননার অভিযোগে জেলে যেতে হয়েছিল। এই রকম আরো অনেক ঘটনাই গত কয়েক বছটে আমাদের দেশে থটেছে যা সত্য বেদনাদায়ক। এর মধ্যে কিছু ঘটনা ছিল রাজনৈতিক স্বাররহাসিলের উদ্দেশ্যে কিছু ছিল জমিজাম সংক্রান্ত।

কোন ধর্ম ই বিশৃঙ্খলা অরজগতা দাঙ্গা হাঙ্গাগামাকে সমর্থন করে না। তবে প্রত্যেক ধর্মেই কিছু উশৃংখল সুবিধা ভোগী আছে যারা নিজেদের ব্যক্তি ও গোষ্ঠী স্বার্থ হাসিলের জন্য সমাজ তথা রাষ্ট্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পায় তারায় লিপ্ত। বর্তমান ডিজিটাল যুগ পৃথিবী অনেক এগিয়ে গেছে। আমরা সবাই আজ এক গ্লোবাল ভিলেজের বাসিন্দা। এখানে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও আছে একে অপরের সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধি করার জন্য। কিন্তু অনেকেই এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করে সম্পর্ক ও রাষ্ট্রের স্থিতিশীল অবস্হার অবনতি ঘটাচ্ছে। যারাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করছেন তারা কেউই একে বারে বোকা বা অশিক্ষিত না। তাই যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোন উস্কানিমূলক স্ট্যাটাস দেয় তা হলে তা অবশ্যই অনেকটা যেনে বুঝে। তাই যারা জেনে-বুঝে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্ন ভাবে কোন ধর্মকে বা কারো আবেগ অনুভূতিতে আঘাত করে তা বিনা বাক্যে অপরাধ এর মাঝে ও কোন উগ্র ধর্মীয় গোষ্ঠীর ইন্ধন ও স্বার্থ আছে নাইলে কেন বার বার এই একটি মাত্র ইস্যু ফেইসবুকে ধর্ম অবমাননা নিয়ে আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বাংলাদেশে কেন সাম্প্রদায়িক অশান্তির সৃষ্টি হবে সাধারন মানুষের জান মাল ধ্বংস হবে? যারা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অযুহাত তুলে দেশের সাধারন মানুষের জানমালের ক্ষতিসাধন করে যেই অপরাধ করছে ঠিক তেমনি যারা ফেইসবুকে অন্যের ধর্মকে নিয়ে নানা ভাবে কটুক্তি ও বিষোদগার করছে তারা ও কম বড় অপরাধী নয়। আর এই দুই পক্ষকে মদদ দিয়ে সমাজ তথা রাষ্ট্রের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য অবশ্য বিশেষ বিশেষ আন্তর্জাতিক ও দেশী চক্র চক্রান্ত করছে বলে আমার মত অনেকেই বিশ্বাস করেন। তাই সরকারের উচিত হবে এই ধরনের রাষ্ট্রের ধ্বংসাত্বক কাজের যেই গোষ্ঠী ও ব্যক্তি জরিত তাদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত বিচারের ব্যবস্হা করে রাষ্ট্রে শান্তি ও সম্প্রতি ফিরিয়ে আনা। তাহলেই আমাদের দেশ সত্যিকারের উন্নয়নের পথে হাটবে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:২৪

কামাল৮০ বলেছেন: ফেসবুকের অপব্যবহার এর জন্য দায়ী।

২| ৩১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৩৩

কামাল৮০ বলেছেন: নুপুর শর্মা কোন অপরাধ করে নাই।যা বলেছে সত্য বলেছে।কোন মিথ্যা তথ্য দেয় নাই।

৩| ৩১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৩:১৭

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন বলেছেন: যদি নুপুর শর্মা কোন অপরাধ না করে থাকে তা হলে ওকে বিজেপি থেকে বহিস্কার করা হলো কেন? ওহ অন্য কারো ধর্ম বা ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে কটুক্তি করা কি অপরাধ না? আপনাদের মত উগ্রবাদীদের জন্য ই সাধারন ধর্মপ্রান মানুষদেরা বিপদের সম্মুখীন হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.