নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ও বলতে চাই !

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন

ব্লগিং হউক সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার।

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই প্রতিবাদ শুধুই তাঁবেদারি

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৩৭

বর্তমান সময় রাজনীতির বাহিরে বহুল আলোচিত ও সমালোচিত ঘটনার অন্যতম হলো ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদ কতৃক রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের তিন কেন্দ্রীয় নেতাকে মারধর। অবশ্য এই মারধরের ঘটনায় ইতোমধ্যে হারুন অর রশিদকে প্রথমে বদলি পরে চাকুরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত তার ও পরে রংপুর রেঞ্জে বদলী করা হয়। হারুন কিন্তু এই বার কোন বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মী বা সাংবাদিকদের এমন কি পুলিশ বাহিনীর কোন সদস্যকে পেটাননি। এবার হরুন পিটিয়েছেন খোদ তার সাবেক রাজনৈতিক মতাদর্শের সহযোগী ছাত্রলীগের তিন নেতাকে। তাও আবার এমন তেমন মার মারেন নাই নিজের সরকারি অস্ত্রের বাট দিয়ে নাকি পিটিয়ে এক নেতার দুই পাটির অনেক দাঁত ই ফেলে দিয়েছেন ঠোঁটে ও বেশ কয়েকটা ফাটল ধরিয়েছেন। একজন মানুষকে নিজের ব্যক্তিগত আক্রোশ থানায় নিয়ে এমন নিষ্ঠুর ও নির্দয়ভাবে পেটানো সত্যি অমানুষিক ও অমানবিকতার ই চিত্র। অবশ্য পুলিশের তরফ থেকে অভিযোগ এই মারপিটে ঘটনার সুত্রপাত ছাত্রলীগের নেতাদের পক্ষ থেকেই শুরু। যদিও এটা কোন রাজনৈতিক ঘটনা নয় ঘটনার সুত্রপাত একান্তই ব্যক্তিগত ও পারিবারিক বিষয় নিয়ে। ঘটনা যাই হোক না কেন কোন মানুষকেই থানায় নিয়ে পুলিশ কতৃক নির্মম নির্যাতন এটা সত্যি নিন্দনীয় আর তাই প্রথমেই এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই সেই সাথে নির্যাতনের শিকার ছাত্রলীগ নেতাদের প্রতি রহিল গভীর সমবেদনা।

স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন কি কারনে সদ্য সাবেক এডিসি হারুন ও শাহবাগ থানার কয়েকজন পুলিশ সদস্য ছাত্রলীগের নেতাদের পেটালেন? বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে যত টুকু জানাযায় রমনা জোনের সদ্য সাবেক এডিসি হারুন অর রশিদের সাথে নাকি রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হকের পুলিশ কর্মকর্তা স্ত্রী সানজিদা আফরিনের বিশেষ ব্যক্তিগত সম্পর্ক আছে। তবে কারো বিশেষ ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা আমার তেমন পছন্দের নয়। তার পর ও সময় বিশেষ করতে হয় বা করি। ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ার হোসেনের ভাষ্য মতে, রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক তাঁর এলাকা অর্থাৎ গাজীপুরের বড় ভাই। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় আজিজুল ফোন করে আনোয়ারকে ঢাকার শাহবাগের হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে যেতে বলেন। রাত আটটার দিকে তিনি সেখানে যান। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন আজিজুল বারডেম হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগে রয়েছেন, যেটি হাসপাতাল ভবনের চারতলায় অবস্থিত। সেখানে গিয়ে দেখেন রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক ও পুলিশের এডিসি হারুনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা চলছে। তখন তিনি ও ছাত্রলীগের আরও দুই নেতা তাঁদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। এডিসি হারুন একপর্যায়ে শাহবাগ থানার ওসিকে (তদন্ত) ফোন করে হাসপাতালে ডেকে নেন। তাঁর সঙ্গে আরও পুলিশ সদস্য আসেন। তাঁরা আজিজুল এবং ছাত্রলীগের দুই নেতা শরীফ আহমেদ ও মাহবুবুর রহমানকে মারধর করেন। পরে পুলিশ আজিজুলসহ ছাত্রলীগের ওই দুই নেতাকে জোরপূর্বক গাড়িতে তুলে থানায় নিয়ে যায়। এরপর আনোয়ার ফোনে রমনা বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেনকে মারধরের ঘটনাটি জানিয়ে শাহবাগ থানায় যান। সেখানে ওসি তদন্তের কক্ষে আনোয়ার কে বেদম প্রহার করেন হারুনের নেতৃত্বে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতা কর্মী শাহবাগ থানায় যান। তাঁরা সেখান থেকে সংগঠনের তিন নেতাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

এই ঘটনা বিশেষ কিছু প্রশ্নের জন্ম দেয়। যেহেতু ঘটনাটি নিতান্তই ব্যক্তিগত ও পরিবারিক । রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক প্রশাসন ক্যাডারের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এর আগে তিনি নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। স্বাভাবিক ভাবেই তার দায়িত্ব ছিল এই ঘটনাকে প্রথমে পারিবারিক ভাবে সমাধান করা। পারিবারিক ভাবে সমাধান না হলে প্রশাসনিক ভাবে অর্থাৎ বিভাগীয় ভাবে সমাধান করা। আর যদি সেটা সম্ভব না হতো তা হলে আইনগত ব্যবস্হা নেয়া অর্থাৎ আইনের সহযোগিতা নেয়া। অথচ তিনি তা না করে কেন ছাত্রলীগের নেতাদের সহযোগিতার দারস্থ হলেন? স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন তাহলে কি প্রশাসন ও আইনের চেয়ে ছাত্রলীগ অধিক ক্ষমতাবান? বিগত বছর গুলিতে আমরা এমনটি ই দেখেছি। ছাত্রলীগ এক অপ্রতিরোধ্য শক্তির নাম। এহন কোন অপকর্ম নাই যা ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের দ্বারা সংগঠিত হয় নাই। আর সেই অপ্রতিরোধ্য ক্ষমতাকে সাথে নিয়েই আজিজুল চেয়েছিলেন পুলিশ এডিসি হারুনকে প্রতিরোধ করতে। কিন্তু আজিজুল বেমালুম ভুলেই গেছেন বর্তমান সারকারের ক্ষমতার অন্যতম উৎসই পুলিশবাহিনী। তাই সেই ২০১৬ সালেই কিন্তু আমরা জানতে পেরেছিলাম, " মাছের রাজা ইলিশ, দেশের রাজা পুলিশ।" ২০১৬ সালের ১৫ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকার দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন পরিচ্ছন্নতা বিভাগের পরিদর্শক বিকাশ চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে এমন উক্তি ই করেছিলেন আক্রমণকারী পুলিশ সদস্যরা। যদি ও ঐ ঘটনার পর তৎকালীন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেছিলেন , " পুলিশের পক্ষ থেকে এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ উক্তি করা তা একটি ভয়ানক উক্তি। দেশে যে অবস্থা চলছে তা এখনই রুদ্ধ করা না হলে, দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া না হলে দেশের সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে, যার পরিণতি ভালো হবে না। " অবশ্য আমাদের দেশের দায়িত্ব প্রাপ্তরা কথা বলার সময় খুবই সুন্দর করেই বলেন। পুলিশ হচ্ছে একটি দেশের দ্বারা ক্ষমতাপ্রাপ্ত আইন কার্যকর, সম্পত্তি রক্ষা, সামাজিক অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা এবং জনগণের নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী। তাই পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের জনগন পুলিশকে তাদের সবচেয়ে কাছের বন্ধু হিসেবেই দেখেন। কিন্তু দুর্ভাগা হলে ও সত্যি আমাদের সাধারন জনগনের সাথে পুলিশ সেই সম্পর্ক তৈরিতে বলতে গেলে ব্যর্থ হয়েছে। আমাদের সাধারন জনগনের পুলিশের প্রতি আস্তার একটি বিরাট সংকট আছে। এর জন্য সবচেয়ে দায়ী হলো আমাদের রাজনীতি ও রাষ্ট্রব্যবস্হা। আমাদের দেশের প্রত্যেক সরকার ই তাদের সুবিধার্থে আমাদের পুলিশবাহিনীকে ব্যবহার করে আসছে। আমাদের পুলিশবাহিনীর কিছু সদস্য ও নিজেদের ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের জন্য জনগনের মুখোমুখি দাড়িয়ে যায়। আর সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সেখানে মেধার চেয়ে দলীয় ও ব্যক্তিগত আনুগত্যকে প্রাধান্য দেয়া হয় বলে শুধু পুলিশ ই নয় আমাদের প্রতিটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান দলীয় আনুগত্যের গন্ডি থেকে বের হয়ে স্বাধীন ভাবে কাজ পরিচালনা করা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পরে।

অথচ এই ছাত্রলীগ বাংলাদেশের রাজনীতিতে যুগ যুগ ধরে ঐতিহ্য লালন করে আসছিল। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠার পর সর্বপ্রথম মাতৃভাষা বাংলার জন্য সংগ্রাম করেছিল। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ভূমিকা ছিল। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। ১৯৬৬ সালের ৬ দফা দাবি, ১৯৬৯ সালে ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ সহ ৯০ এর এরশাদ বিরোধী আন্দোলন সকল আন্দোলন সংগ্রামে ই ছিল ছাত্রলীগের অসামান্য অবদান। কিন্তু কালের বিবর্তনে ক্ষমতালোভ ও ব্যক্তি স্বার্থের কাছে সেই ছাত্রলীগ নামটি আজ অসহায়। বর্তমান সময়ে ছাত্রলীগকে একটি দানবীয় সংগঠনে পরিনত করা হয়েছে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আজ লেখাপড়া থেকে দুরে সরে বিচার সালিশ দখলদারি চাঁদাবাজি আর টেন্ডারবাজিতে ই বেশি ব্যস্ত। তার ই ফলশ্রুতিতে রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক তার পারিবারিক সমস্যা সমাধানের জন্য ছাত্রলীগের নেতাদের দারস্থ হয়েছিলেন।

এডিসি হারুন অর রসিদ ও তার সহযোগীরা ছাত্রলীগের তিন কেন্দ্রীয় নেতাকে যে ভাবে পিটিয়েছেন তা যে অমানবিক এবং এটা যে মানবাধিকার লংঘন ও নিন্দনীয় তা আমি আগেই বলেছি। এই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ সংবাদ মাধ্যম সব খানেই একশ্রেণী নিন্দার কালবৈশাখী ঝড় তুলুছেন অনেক তথাকথিত বিশিষ্ট ব্যক্তিই তাদের ফেইসবুকের দেয়ালে নিন্দা জানিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তাদের কাছে আমার প্রশ্ন পুলিশ কতৃক সাধারন মানুষকে নির্যাতন এমনকি গুলি করে হত্যা এটা কি নতুন কিছু? এই মুহুর্তের আলোচনা যেহেতু সদ্য সাময়িক ভাবে বরখাস্ত হওয়া পরে রংপুর রেঞ্জে বদলি হওয়া এডিসি হারুন কে নিয়ে তা হলে তাকে নিয়েই একটু বলি। গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের ১০ সেপ্টেম্বর দি ডেইলি স্টার এর বাংলা সংস্করণের অনলাইন ভার্সনে এই এডিসি হারুনকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন করা হয়েছিল যার শিরোনাম ছিল " তিনি শুধু পেটান " ঐ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল ২০২২ সালের আগস্টের ৭ তারিখে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে শাহবাগে একটি সমাবেশে অংশ নেয়া অনেক ছাত্রকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছিল এই এডিসি হারুন। সামি আবদুল্লাহ নামের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে মাথায় মারাত্মক জখম করেন। সামি আবদুল্লাহর মাথায় তখন ১৪ টা সেলাই লেগেছিল। ২০২১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুতে বিচার চেয়ে শাহবাগে প্রগতিশীল ছাত্রজোট ও অন্যান্য বাম সংগঠন আয়োজিত মশাল মিছিলে লাঠিপেটায় অনেক ছাত্র নেতাকে আহত করেন এই হারুন। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে নিউ মার্কেট এলাকায় দোকান মালিক, বিক্রেতা ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় শিক্ষার্থীদের দিকে রাবারের বুলেট ছুড়তে এক কনস্টেবলকে নির্দেশ দেন এডিসি হারুন । বুলেট শেষ বলায় তাকে চড় মারেন তিনি। ঘটনাটির একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পরলে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হন এডিসি হারুন। চলিত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এডিসি হারুনের নেতৃত্বে পুলিশ ছাত্রদলের 'শান্তিপূর্ণ' সমাবেশে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে ছাত্রদলের অনেক নেতা কর্মীকে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করা অভিযোগ উঠে এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে। গত ১৫ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করে এই হারুনের নেতৃত্বে । এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন সাংবাদকর্মী আহত হয়েছেন। এমন আরো অনেক ঘটনার নায়ক এডিসি হারুন।

রাজধানীর ডিএমপি রমনা জোনের আওতাধীন এলাকার মধ্যে শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপুর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়াও হাইকোর্ট, জাতীয় প্রেসক্লাবের মতো প্রতিষ্ঠানে দেশের আলোচিত বিভিন্ন বিষয় ও ঘটনা নিয়ে নিয়মিত প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়। এই সকল কর্মসূচিতে বিগত কয়েক বছর এডিসি হারুন তার ইচ্ছে মত পুলিশ বাহিনী নিয়ে হামল করে সেই হামলায় অধিকাংশ সময় ই সহযোগী হিসেবে আমরা ছাত্রলীগকে দেখেছি। এটা শুধু শাহবাগ বা ডিএমপির রমনা জোনের চিত্র ই না এটা সমগ্র বাংলাদেশের পুলিশের চিত্র। এর আগে গত ৩১ জুলাই ভোলায় বিএনপি আয়োজিত তেল, গ্যাস নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আব্দুর রহিম মারা যান পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রাজধানীর কমফোর্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরন করেন জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলম। বিগত বছর গুলিতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে পুলিশ ও প্রশাসন একটি বিশেষ ভুমিকায় অরর্তীন হয়েছে। বর্তমান সরকার ২০১৪ ও ২০১৮ সালের বির্তকিত নির্বাচন ই তার মুল কারন। সরকার আজ জনগন থেকে অনেকটা দুরে সরে পুলিশ ও সিভিল প্রশাসনের উপর নির্ভরশীল বলেই পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে আজ সাধারন মানুষ তাচ্ছিল্যের উপাদানে পরিনত হয়েছে। প্রশাসন সম্পর্কে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ জনাব তোফায়েল আহমেদ সহ অনেক রাজনৈতিক নেতাই এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তব্য দিয়েছেন। পুলিশের কাছে এখন অনেক মন্ত্রী এমপি ও অসহায়। যার প্রামন কিছুদিন আগে নাটোরের সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের ঘটনা । আজ যারা ছাত্রলীগের তিন কেন্দ্রীয় নেতাকে এডিসি হারুন কতৃক নির্যাতনের প্রতিবাদে লাল হয়ে যাচ্ছেন তাদের জন্য আমার করুনা হয়। তাদের এই প্রতিবাদ আমার কাছে হাসির খোরাক ছাড়া আর কিছুই না। কারন এত দিন পুলিশ ও ছাত্রলীগের যৌথ উদ্যোগে বিরোধী দল মত নিধনে যে তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছেন তার কি কোন প্রতিবাদ তাদের তরফ থেকে এসেছিল ? তবে আজ কেন? এর জন্য আমি পুলিশ বা ছাত্রলীগ কাউকেই দোষারোপ করবো না। এর জন্য সম্পুর্ন ভাবে দায়ী বিভিন্ন সময় ক্ষমতাশীনদের নিলজ্জ ক্ষমতার লোভ। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে তারা সবসময়ই প্রশাসনকে দলীয় ভাবাদর্শে পরিচলানায় লিপ্ত। আবার প্রশাসনের কর্মকর্তাদের অনেকই নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য নিজেদের নীতি নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে দলীয় নেতা কর্মীর মত ই আাচর করে যাচ্ছে। যা আমাদের স্বাধীনতা বাংলাদেশ, বাংলাদেশের গনতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতা জন্য চরম হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.