![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাবনার মনকে তুমি মুক্ত করে দাও, মূঢ়তার অন্ধকার থেকে নেমে এসো, দেখো অজস্র আলোর সম্ভাবনা ছড়িয়ে রয়েছে কত অজস্র পথে
ঘটনা যা-ই হোক, শেষ পর্যন্ত ফেলানির খুনি খালাস। এই রায় একটা মাইলফলক হয়ে থাকবে। অতীতে অনেক ফেলানি সে পুরুষ হোক বা নারী হোক, ঝুলিয়ে হোক বা না ঝুলিয়ে হোক হত্যা করা হয়েছে।
হতাশার বিষয় হলো এটাই, এই রায় শেষ পর্যন্ত অতীত বর্তমান ভবিষ্যতের সকল সীমান্ত হত্যাকে বৈধতা দিয়েছে। এর প্রতিবাদে বাংলাদেশে শুরু হযেছে পণ্য বর্জনের আহবান।
পণ্য বর্জনের আহবান বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দেশকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে।ইসরাঈলি পণ্য বর্জনের আহবান তো বিশ্বজুড়ে প্রায়ই শোনা যায়। আমেরিকান পণ্য বর্জনের আহবান তো সবসময়ই রিনিউ হয়। রাসূল সা: কে অবমাননার প্রতিবাদে সারা বিশ্বেই ডেনমার্কের পণ্য বর্জনের ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতের পণ্য বর্জনের ঘোষণা প্রায় শোনা যায় বাংলাদেশ থেকে। দু:খজনক হলেও সত্য এই আহবানের যে উদ্দেশ্য তা খুব কমই সাফল্য লাভ করেছে।
চিন্তা করেন, আমেরিকার মত দেশ ল্যাটিন আমেরিকা, ইরানে কত আগে থেকে নিষেধাজ্ঞা আরো করেছে। কিন্তু ইরান কি নতি স্বীকার করেছে? বরং ইরান বরাবরই আপন গৌরবে উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হয়েছে।
কারণ?
এটা গ্লোবালাইজেশনের যুগ। সিম্পলি চিন্তা করেন, ইন্ডিয়ান পেয়াজের অভাবে আমাদের দেশে কি পরিমাণ হাহাকার হয়েছে এই ঈদের পর। বিশ পচিশ ত্রিশ টাকার পেয়াজের দর উঠেছে একশ পর্যন্তও।
ইন্ডিয়াকে বর্জন করলেই কি সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়?
ফেসবুজে খুব স্ট্যাটাস চলতেছে, উ আপনি এয়ারটেল সিম ইউজ করেন আর বলতেছেন ইন্ডিয়ান পণ্য বর্জন করতে বলতেছেন। আপনি ইন্ডিয়ান পণ্য বর্জন করতে বলছেন? অথচ জি টি ভি’র সিরিয়াল চলতেছে সমানে।
আমাদের সাধারণ মানুষের চোখে যে বিষয়টা ধরা পড়বেনা তার একটা উদাহরণ হইল আপনার দেশের রপ্তানি আয়।আমরা যে পরিমাণ গার্মেন্টস এক্সপোর্ট করি তার ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজে যে প্রোডাক্ট লাগে সেইটা কি আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ ভাবে উৎপাদন করতে পারি? আমাদের প্রত্যেকটা মাস্টার এলসির পেছনে একটা ব্যাকটুব্যাক এলসি করতে হয় বায়ারের প্রোডাক্ট ফিনিশ করার জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যা করা লাগে ভারতে। একটা জাস্ট উদাহরণ হিসেবে বললাম। এভাবে বিভিন্ন ভাবে তারাও আমাদের কাছে ঋণী।
বর্তমান গ্লোবালাইজেশন এবং ন্যাশনালিজমের যুগে আপনাকে খুব সাবধানে ট্রেডঅফ করতে হবে। আপনি বাকিদেরকে ছেড়ে থাকতে পারবেন না।
এই মুহূর্তে আমাদের যে প্রতিবাদ তারপুরোটা জুড়েই আছে জাতীয়তাবাদের চিন্তা ভাবনা। আমরা আমাদের দেশকে ভালবাসি বলেই প্রতিবাদ করছি। আমরা স্বাধীন সার্বভৌম দেশ বলে আমাদের আত্মসম্মানে লেগেছে বলেই আমরা প্রতিবাদ করছি।
কিন্তু প্রতিবাদের এই চিন্তাভাবনা আমাদেরকে সাফল্য দিতে পারে বলে ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি না। আমাদের জাতীয়তাবাদের ফলশ্রুতিতে যে ভালোবাসায় আমরা প্রতিবাদে মুখর সে একই ভালোবাসায় আমরা কি পারিনা সকল দূর্নীতি আর নতুন পুরনো ভেদাভেদ ভুলে আমাদের দেশকে এমন এক জায়গায় নিয়ে যেতে যেখানটায় ভারত গুলি তো দূরের কথা সম্মান করতে গিয়ে কাটাতারের বেড়াও তুলে নেবে।
সিংগাপুর, মালেশিয়া আজকে তো পৌছে গেছে উন্নতির শিখরে। সম্মানের পাত্র বটে। আমরা তো এমন কোন কাজ করতে হবে না যে কাজটি নজীরবিহীন একটি কাজ।
আমাদের দেশকে আমাদেরই সাজাতে হবে।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৮
ভাবানু্বাদ বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২১
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: অন্যায়ের শৃঙ্খল ভেঙ্গে দাও ।
ফেলানি হত্যার বিচার ।।
*****পরিবেশ বন্ধু
তাজা খুন , নবারুণ বালিকার সম্ভ্রম
পিঁয়ে নেয় শ্বাপদেরা শকুনের দৃষ্টি
মানবতা বলি হয় , পিচাশের নগ্ন খড়গে
ফেলানির মত জান , কুরবান কাঁপে রোষে সৃষ্টি ,
হাহাকার ধ্বনি আজও সিমান্তের দেয়ালে
কাঁটাতার এ শোণিতের দাগ লাগে চক্ষু অক্ষি কূটরে
যৌবনের মেহেদি সাজ পড়ে রক্তে
ঝুলে থাকে বালিকা মৃত্যুর বাসরে ।।
কাল এ অধ্যায় করে পিছাশ রচনা
বানায় আরও পর্যটন দেখাবে কুকীর্তি
মানবতা লিন হয় , অন্যায় সুপ্ত রয়
আজ দেখি বিচারক প্রহসনে বসে করে মহা ফুর্তি ।।