নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চোখের সামনে যেকোন অসঙ্গতি মনের মধ্যে দাগ কাটতো, কিশোর মন প্রতিবাদী হয়ে উঠতো। তার বহিঃপ্রকাশ ঘটতো কবিতা লেখার মধ্য দিয়ে। ক্ষুধা ও দারিদ্রের বিরুদ্ধে, নির্যাতন ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কবিতা। তারপর গল্প, উপন্যাস। এ যাবত প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা-২১ টি।

ঔপন্যাসিক জিল্লুর রহমান

আমি পেশায় একজন প্রকৌশলী। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে লেখালেখির শুরু। আমার প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ:কাব্য: ০১। ছোট্ট একটি ভালোবাসা উপন্যাস: ০২। ভ্যালেন্টাইনস্ ডে (ভালোবাসাবাসির স্মৃতিময় দিনগুলি) ০৩। অবশেষে...(অবশেষে হৃদয়ের টানে) ০৪। বন্ধন (যে বন্ধন শুধু কাছেই টানে) ০৫। স্বপ্ন (যাদের স্বপ্ন ভেঙে গেছে) ০৬। আঁচলে...(যাদের ভালোবাসা আঁচলে বন্দি) ০৭। গডফাদার-০১(দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থার প্রতিচ্ছবি) ০৮। গডফাদার-০২ ০৯। গডফাদার-০৩ ১০। দুর্নীতিবাজের ডায়েরি (একজন দুর্নীতিবাজের আত্মকাহিনী) ১১। দাগ (এই দাগ হৃদয়ের, এই দাগ সমাজের) ১২। প্রিয়ন্তী (সংস্কারের প্রাচীর ভাঙা এক তরুণী) ১৩। তবুও আমি তোমার (একটি অসম প্রেমের কাহিনী) ১৪। খুঁজে ফিরি তারে (যে হৃদয় শুধু তাকেই খুঁজে) ১৫। সেই ছেলেটি (কিশোর উপন্যাস) ১৬। অপেক্ষা (পথ চেয়ে থাকা এক তরুণীর কাহিনী) মোবাইল-০১৭১৮১৫৭০৭৬ email:[email protected]

ঔপন্যাসিক জিল্লুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

রূপার বিয়ে-০২

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২৭

ইয়াসমিন তো আকাশ থেকে পড়লো, না!!
ডাক্তার কয়েক মুহূর্ত ইয়াসমিন আর রূপার দিকে তাকিয়ে ভ্রু কুঁচকে বললো, একবার বিলিরুবিনটা দেখা দরকার আর- বলেই ডাক্তার যেন থমকে গেলো। তারপর একটু সহজ হয়ে বললো, আচ্ছা ব্লাড আর ইউরিনের টেস্ট দিয়েছি রিপোর্ট নিয়ে আবার দেখা করবেন।
ডাক্তার যখন রূপা বিবাহিতা কী না জিজ্ঞেস করেছিলো তখনই ইয়াসমিনের সন্দেহ হয়েছিলো তারপর আর- বলে থমকে গিয়েছিলো তখন সন্দেহটা আরো দৃঢ় হয়েছিলো। তাই ইয়াসমিন টেস্ট-এর রিপোর্ট হাতে পেয়ে বোঝার চেষ্টা করলো। সে চমকে উঠলো বুকটা প্রচণ্ড ধাক্কা খেলো, ডাক্তার রূপার প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে দিয়েছিলো। রেজাল্ট পজিটিভ!!
ইয়াসমিন কয়েক মুহূর্ত রূপার দিকে তাকিয়ে রইলো। তারপর অনেক কষ্টে নিজেকে সামলে নিয়ে বাসায় এলো, রাস্তায় একটা কথাও বললো না। তখন বাসায় কেউ ছিলো না। মুহিত সাহেব উত্তরায় তার এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গেছে আর তমাল গেছে তার কলেজে। ইয়াসমিন বাসায় ঢুকেই রূপাকে শাসনের সুরে জিজ্ঞেস করলো, সত্যি করে বল্‌বি, কোনো চালাকি কর্‌বি না।
রূপা ইয়াসমিনের কথা শুনে ভয় পেয়ে গেলো। সে একটা ঢোক গিলে চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলো।
বাসায় কেউ নেই। তারপরও আগে ইয়াসমিন কথাটা জোরে বললেও এবার চাপা স্বরে বললো, কার সঙ্গে ঘটনাটা ঘটিয়েছিস্‌?
রূপা কোনো কথা বললো না। সে ইয়াসমিনের মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো। তার চোখ থেকে অঝোর ধারায় পানি গড়িয়ে পড়লো। কী বলবে সে, তমাল ইয়াসমিনের একমাত্র সন্তান। ইয়াসমিন তাকে নিজের জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবাসে এবং বিশ্বাস করে তার কথা বললে ইয়াসমিন কি বিশ্বাস করবে? কিন্তু তবু রূপাকে সত্য কথা বলতেই হবে।
ইয়াসমিন আবার ধমকের সুরে বললো, কী কথা বলছিস্‌ না কেনো? বল্‌?
রূপা তবু কোনো কথা বললো না। সে শুধু বার বার করে ঢোক গিলছে আর কাঁপছে।
কথা বলছিস্‌ না কেনো? বল্‌?
রূপার বুকের ভেতর থেকে একটা অপমান এবং তমালয়ের প্রতি ঘৃণা মেশানো কথা বেরিয়ে এলো, তমাল।
রূপার ধারণাই সত্যি হলো। ইয়াসমিন তার কথা বিশ্বাস করলো না। মিথ্যা কথা, তমাল এমন কাজ কখনোই করতে পারে না। আমার ছেলেকে আমি চিনি না? বল্‌, সত্যি করে বল্‌?
বললাম তো।
ইয়াসমিন গর্জন করে উঠলো, না তুই মিথ্যা বলছিস, একথা আর কখনো বল্‌বি না, কাউকে বল্‌বি না। যদি বলিস্‌ তো তোকে আমি, বলে ইয়াসমিন চোখ বড় বড় করে রূপার দিকে তাকিয়ে আরেক হাতে তার গলা চেপে ধরে বললো, তোকে আমি প্রাণে মেরে ফেলবো।
রূপা কী করবে ভেবে পেলো না। তার সমস্ত শরীর থরথর করে কাঁপছে, সে যেন দাঁড়িয়ে থাকতে পারছে না, তার কণ্ঠস্বর বন্ধ হয়ে আসছে।
ইয়াসমিন রূপাকে ছেড়ে দিয়ে বললো, কাউকে কিছু বল্‌বি না। আমি যা যা বলবো ঠিক তা তা কর্‌বি, এর এক বিন্দু ব্যতিক্রম করবি না বলে রূপাকে শাসিয়ে ইয়াসমিন তার রুমে চলে গেলো।
মুহিতের এক বন্ধু আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে এসেছে প্রায় এক মাস হলো। আজকাল করে তার সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া হয়নি। আজ শনিবার কিছুক্ষণ আগে সে তার বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার জন্য উত্তরার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছে। ইয়াসমিন মুহিতকে ফোন করলো, হ্যালো।
মুহিত কিছুটা বিরক্তির সুরে বললো, হ্যালো, কী হলো আবার?
ইয়াসমিন কাঁপা কাঁপা স্বরে বললো, এই তুমি একটু বাসায় আসো তো।
আমি তো এখনো উত্তরায় পৌঁছাইনি।
আজ উত্তরা যেতে হবে না।
কেনো? এত তাড়া কীসের?
আজ তোমাকে উত্তরা যেতে হবে না। তুমি এখনই বাসায় আসো।
মুহিত কিছুটা রাগান্বিত স্বরে বললো, কী হয়েছে আগে বলোতো?
ফোনে বলা যাবে না, তুমি তাড়াতাড়ি চলে আসো।
মুহিত কোনোকিছু না বলে মোবাইলের লাইন কেটে দিলো।
চলবে...

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৩৮

তাশমিন নূর বলেছেন: ভালো লেগেছে। চলুক।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৮

ঔপন্যাসিক জিল্লুর রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫৭

আবদুল্লাহ আল কাফী বলেছেন: আসলে এ হচ্ছে আমাদের সমাজের বস্তব চিত্র।

কিন্তু একটা জিনিস লক্ষ্য করতে হবে যে, এভাবে এক বাড়িতে একজন যুবক ও যুবতী চলাফেরা করলে এরকম এক্সিডেন্ট হওয়াটা অস্বাভাকি কিছু নয়।
এর জন্য দায়ী কে?

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৪৭

ঔপন্যাসিক জিল্লুর রহমান বলেছেন: আমার লেখা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আমি সমাজ ব্যবস্থার অসঙ্গতির চিত্র তুলে ধরি যেনো এখান থেকেই ভুক্তভোগীরা সাবধান হতে পারে। ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.