নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চোখের সামনে যেকোন অসঙ্গতি মনের মধ্যে দাগ কাটতো, কিশোর মন প্রতিবাদী হয়ে উঠতো। তার বহিঃপ্রকাশ ঘটতো কবিতা লেখার মধ্য দিয়ে। ক্ষুধা ও দারিদ্রের বিরুদ্ধে, নির্যাতন ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কবিতা। তারপর গল্প, উপন্যাস। এ যাবত প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা-২১ টি।

ঔপন্যাসিক জিল্লুর রহমান

আমি পেশায় একজন প্রকৌশলী। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে লেখালেখির শুরু। আমার প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ:কাব্য: ০১। ছোট্ট একটি ভালোবাসা উপন্যাস: ০২। ভ্যালেন্টাইনস্ ডে (ভালোবাসাবাসির স্মৃতিময় দিনগুলি) ০৩। অবশেষে...(অবশেষে হৃদয়ের টানে) ০৪। বন্ধন (যে বন্ধন শুধু কাছেই টানে) ০৫। স্বপ্ন (যাদের স্বপ্ন ভেঙে গেছে) ০৬। আঁচলে...(যাদের ভালোবাসা আঁচলে বন্দি) ০৭। গডফাদার-০১(দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থার প্রতিচ্ছবি) ০৮। গডফাদার-০২ ০৯। গডফাদার-০৩ ১০। দুর্নীতিবাজের ডায়েরি (একজন দুর্নীতিবাজের আত্মকাহিনী) ১১। দাগ (এই দাগ হৃদয়ের, এই দাগ সমাজের) ১২। প্রিয়ন্তী (সংস্কারের প্রাচীর ভাঙা এক তরুণী) ১৩। তবুও আমি তোমার (একটি অসম প্রেমের কাহিনী) ১৪। খুঁজে ফিরি তারে (যে হৃদয় শুধু তাকেই খুঁজে) ১৫। সেই ছেলেটি (কিশোর উপন্যাস) ১৬। অপেক্ষা (পথ চেয়ে থাকা এক তরুণীর কাহিনী) মোবাইল-০১৭১৮১৫৭০৭৬ email:[email protected]

ঔপন্যাসিক জিল্লুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

রূপার বিয়ে-০৫

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪৪

তার কয়েকদিন পরই হারু আর হারুর দুলাভাই রূপাকে রেখে গেলো ঢাকা। রূপার ভাতের কষ্ট দূর হলো, ক্ষুধার জ্বালা থেকে সে মুক্তি পেলো। মুহিত ভালো মানুষ, ইয়াসমিনও খারাপ নয়। তিন বেলা ভাত খেতে দেয়, ঈদ, কোরবানি ঈদে জামাকাপড় কিনে দেয়। তার বাবা-মাকেও শাড়ি-লুঙ্গি কিনে দেয়। রূপা মুহিতকে খালু এবং ইয়াসমিনকে খালা আম্মা বলে ডাকে। দীর্ঘ সাত/আট বছর এ বাড়িতে থাকতে থাকতে সে এ বাড়িটাকে অনেকটা আপন করে নিয়েছে। আপন করে নিয়েছে খালা, খালু আর তাদের একমাত্র সন্তান তমালকে।
রূপার বয়স এখন কত হবে? ষোল কিংবা সতেরো। কয়েকমাস আগে রূপা গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলো। তখন বাবা-মাকে বলতে শুনেছে তার বিয়ের কথা। কথাটা তার বাবা মুহিতকেও বলেছে, মুহিত তার প্রতিশ্রুতি মতো যৌতুকের পঞ্চাশ হাজার টাকা দিতে চেয়েছে। ইয়াসমিন দিতে চেয়েছে কানের দুল। তারপর শুরু হয়েছে রূপার জন্য পাত্র দেখা। ক’দিন আগে হারু ফোন করে মুহিতকে জানিয়েছে রূপার বিয়ের কথা। আগামীকাল বাবা রূপাকে নিতে আসবে অথচ আজ তার জীবনে এক চরম অনিশ্চয়তা।

রূপা আর অষ্টমীর চরের সেই শ্যামলা বর্ণের, চোয়াল ভাঙা রূপা নেই। দীর্ঘদিন ঢাকা শহরে ছাদের নিচে আর ফ্যানের বাতাসে থেকে তার চেহারায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। আজকাল রূপাকে দেখে আর সহজে কেউ সেই রূপাকে খুঁজে পাবে না। তার চেহারায় যেন এক প্রকার উজ্জ্বলতা এসেছে, শরীরে মাংস বেড়েছে, সে এখন পূর্ণ যৌবনা এক তরুণীর মতোই। শুধু চেহারায় নয়, শৈশবে রূপা একটা এন.জি.ও’র স্কুল থেকে ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে তার সেই একাডেমিক শিক্ষার কোনো উন্নতি হয়নি ঠিকই কিন্তু ঢাকায় সে তার খালা আম্মার গল্পের বই আর প্রতিদিন পত্রিকা পড়ে পড়ে স্বশিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছে। তার কথাবার্তায় আধুনিকতা এসেছে রূপা এখন শুধু তরুণীই নয়, আধুনিকাও।
তমাল রূপার চেয়ে প্রায় তিন বছরের বড়। একসঙ্গে ছোটবেলা থেকে বড় হয়েছে। মুহিত আর ইয়াসমিন দু’জনকে ছোটবেলা থেকে একই চোখে দেখেছে, ধীরে ধীরে রূপা ভুলতে বসেছে যে সে এ বাড়ির গৃহপরিচারিকা। তমাল এখন কলেজে পড়ে। দু’জনের এক সময়ের খেলার সাথীর মধ্যে যেন একটা অন্যরকম সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
রূপার জগত খুব ছোট, শৈশবে ব্রহ্মপুত্র নদের অষ্টমীর চর এবং কৈশোর আর তারুণ্যে ঢাকা শহরের একটি বাসার চার দেয়াল। তার জীবনে পুরুষ মানুষ বলে তার বাবা, খালু আর তমাল। বাবার কথা মনে পড়লে তার দু’চোখে পানি এসে যায়, খালুকেও সে শ্রদ্ধা করে বাবার চেয়ে কোনো অংশে কম নয় কিন্তু তমালের বেলায় যেন বুকটা অন্যরকম হয়ে যায়। তমালের চোখের দিকে তাকাতেই রূপার বুক যেন কেমন কেমন করে, রূপার বুকে একটা ঢেউ বার বার করে প্রতিরোধের পাড় ভেঙ্গে চুরমার করে দিতে চায়। রূপা ব্রহ্মপুত্র নদের ঢেউ দেখেছে, পাড় ভাঙ্গা ঢেউ। কাশবন দেখেছে, ছোটবেলা কাশবনে লুকোচুরি খেলেছে, শরতে আকাশের চাঁদ দেখেছে, দেখেছে চাঁদের সঙ্গে মেঘের লুকোচুরি খেলা কিন্তু তমালের চোখের দৃষ্টি রূপার হৃদয়ের প্রতিরোধের দেয়াল ভাঙ্গা ঢেউ, তমালের সঙ্গে তার লুকোচুরি খেলা। এসব তমালকে তার ভালোবাসা কী না রূপা তা জানে না।
তমালের সঙ্গে তার শুধু লুকোচুরি খেলাই না, কখনো কোনো কারণে দরজা খুলে দিতে গিয়ে অসাবধানতা বশত কিংবা ইচ্ছাকৃত দুষ্টুমির কারণে তমালের হাতের সামান্য ছোঁয়ায় তার হৃদয়ে তোলপাড় শুরু হয়। রূপা জানে না এটাকে প্রেম বলে কী না।
একদিন তমাল কলেজ থেকে এলো নিত্যদিনের চেয়ে অনেক আগে। এমন যে কোনোদিন আসে না তা নয়। আবার বাসায় কেউ না থাকলেও তমাল আর সে বাসায় থেকেছে খুব স্বাভাবিকভাবে। কিন্তু সেদিন যেন রূপার একটু ভিন্ন রকম মনে হলো। রূপার মনের মধ্যে তখন বিয়ের কনে সাজসাজ ভাব। সে তখন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ঘন ঘন নিজের প্রতিবিম্ব দেখছে, তমালের কলিং বেল এর ধরণ সে বোঝে। তাই সে একটু লজ্জা পেলো। কয়েক মুহূর্ত আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে সহজ হলো। তারপর দরজা খুলে দিলো, কী রে দরজা খুলে দিতে দেরি হলো যে?
রূপা লজ্জায় কিছুটা রাঙা হয়ে গেলো, কাজ করছিলাম।
কী কাজ?
বাসায় কত কাজ থাকে, তুমি ছেলেমানুষ, তুমি আর কাজের কী বুঝবে।
আচ্ছা, বলে তমাল তার রুমে চলে গেলো।
কয়েক মিনিট পর তমাল কাপড় ছেড়ে মৃদু কণ্ঠে ডাক দিলো, এই রূপা, একটু এদিকে আয় তো।
ডাকটা স্বাভাবিকভাবেই কিন্তু রূপা যেন চমকে উঠলো।
রূপা কোনোকিছু না বলেই তমালের রুমের দরজায় গিয়ে দাঁড়ালো। এমন কতদিন তো বাসায় কেউ না থাকলেও রূপা তমালের রুমে ঢুকেছে, কাজ করেছে, দু’য়েকটা খোশগল্পও করেছে কিন্তু আজ তার বুকের ভিতরটা কেমন যেন ওলট-পালট করে উঠলো, হৃৎপিণ্ডের গতি বেড়ে গেলো। সে মাথা নত করে দাঁড়িয়ে রইলো।
দরজায় দাঁড়িয়ে থাক্‌লি কেনো? ভিতরে আয়।
রূপা মাথা নত করে দরজায় দাঁড়িয়ে রইলো। এক অজানা আশঙ্কায় গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেলো, নিজের অজান্তে মুখ থেকে অস্ফুট একটা কণ্ঠস্বর বেরিয়ে এলো, না!
তমাল রূপার একটা ধরে তাকে রুমের ভিতর নিয়ে গেলো। তমাল তার হাত ষ্পর্শ করতেই আগের আছড়ে পড়া ঢেউটা আরো যেন উত্তাল হলো, রূপা একবার নিজেকে ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করলো কিন্তু তার হাত যেন ততক্ষণে অনুভূতিহীন হয়ে গেছে।
রূপা তমালের রুমে যাওয়ার আগে মাথায় ওড়না দিয়ে ভালো করে বুক ঢেকেছে, ওড়না দিয়ে মাথায় ঘোমটা দিয়েছে। তমাল রূপার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রূপার মাথা থেকে ঘোমটা সরিয়ে তার থুতনি উঁচু করে ধরে বললো, তুমি খুব সুন্দর রূপা, খুব সুন্দর!!
নিজের প্রশংসা শুনে রূপার মুখটা লজ্জায় রাঙা হয়ে গেলো।
রূপা একবার ডাইনে-বাঁয়ে তাকালো, তার তাকানো দেখে মনে হলো কেউ নেই জেনেও সে যেন কাউকে খুঁজছে, যেন একটা আশ্রয়।
তমাল রূপার একটা হাত ধরে আরেকটা হাত পিঠে দিয়ে এক’পা-দু’পা করে বিছানার দিকে নিয়ে গেলো। রূপা নিজেকে ছাড়িযে নেয়ার মৃদু চেষ্টা করে ব্যর্থ হলো। তার সমস্ত শরীর যেন অবশ হয়ে গেলো। একটা লজ্জা, একটা অজানা আশঙ্কায় রূপা কিছু বলতে পারছিলো না। তার তোলপাড় বুকের ভিতর থেকে একটা চাপা নিঃশ্বাস বেরিয়ে এলো, আমার খুব ভয় লাগছে তমাল।
কীসের ভয়?
কেউ যদি জানে? যদি কিছু হয়?
কেউ জানবে না, তোর কিচ্ছু হবে না।
আমাকে ছেড়ে দাও তমাল, তুমি তো জানো আর ক’দিন পর আমার বিয়ে, আর তুমি কী না-
তমাল রূপার কথা শেষ হতে দিলো না। তার মুখে হাত দিয়ে বললো, না অন্য কারো সাথে তোর বিয়ে হবে না।
তারমানে?
মানে, আমিই তোকে বিয়ে করবো।
সত্যি বলছো?
তমাল আবেগপ্রবণ হয়ে বললো, সত্যি, সত্যি, সত্যি।
আজ গভীর রাতে, নিদ্রাহীন, দুশ্চিন্তাগ্রস', অনিশ্চয়তার এই রাতে তমালের কথাগুলো রূপার কানে বার বার বেজে উঠলো। সে বিছানা থেকে উঠে তমালের রুমের দিকে গেলো। তমাল কোনোদিন রুমের দরজায় ছিটকানি লাগায় না। রূপা দরজায় হাল্কা ঠেলা দিতেই দরজা খুলে গেলো। রূপা দরজার ছিটকানিটা লাগিয়ে দিয়ে তমালের বিছানায় কোণায় বসে চাপা স্বরে ফিসফিস করে ডাক দিলো, তমাল, এই তমাল।
তমাল চমকে উঠলো, ঘুমের মধ্যে জিজ্ঞেস করলো, কে?
এই চুপ, আমি রূপা।
রূপা তুই আমার রুমে? কেনো?
তোর সঙ্গে আমার কথা আছে।
তমাল দু’হাতে চোখ কচলাতে কচলাতে বললো, আমার সাথে কী কথা?
রূপা কিছুটা রাগের সুরে বললো, কী কথা, না? মনে হয় কিছু হয়নি।
কী হয়েছে বলোতো?
তমাল তুমি আমাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলে না?
আমি তোকে বিয়ে করতে চেয়েছিলাম? কই না তো। আমি তোকে বিয়ে করতে চাবো কেনো? আর আমি তোকে বিয়ে করতে চাইলেই বুঝি বাবা-মা মেনে নিবে।
রূপা তমালের বাহুতে একটা ঝাঁকুনি দিয়ে বললো, এই তমাল তুমি কী বলছো? তুমি কি এখনো ঘুমের মধ্যে আছো?
এবার তমাল স্বাভাবিক গলায় বললো, না আমি ঘুমের মধ্যে নেই একেবারে জেগে আছি।
চলো আমরা বিয়ে করে ফেলি।
তমাল দৃঢ় কণ্ঠে বললো, অসম্ভব, আমি তোকে বিয়ে করবো?
হ্যাঁ, আমাকে বিয়ে করবে। সেদিন যে তুমি আমাকে বললে, আমাকে অন্য কারো সাথে বিয়ে হতে দেবে না। আমাকে তুমি বিয়ে করবে। আর সেজন্যই তো আমি-বলতে বলতে রূপার কণ্ঠস্বর রুদ্ধ হয়ে এলো।
তমাল কোনো কথা বললো না।
রূপা বললো, তুমি একটা ভণ্ড, প্রতারক, আমাকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে এখন সাধু সেজেছো, না?
তমাল বিরক্তির সুরে বললো, যা ভাগ্‌, এতরাতে সিন ক্রিয়েট করিস্‌ না।
আমি সিন ক্রিয়েট করছি? এখনো সিন ক্রিয়েট করিনি, তুমি যদি আমাকে বিয়ে না করো, আমার পেটের বাচ্চাকে অস্বীকার করো তবে মনে রেখো, আমিও তোমাকে ছাড়বো না।
কী কর্‌বি তুই?
তোমাকে কিছু করবো না, এই পাপ থেকে মুক্তি পেতে আমি নিজেই দুনিয়া থেকে চলে যাবো।
আমাকে ভয় দেখাচ্ছিস্‌?
না ভয় দেখাচ্ছি না, সত্যি কথা বলছি। তুমি যদি আমাকে বিয়ে না করো তবে এই ঘুম থেকে উঠে তুমি আমার লাশ দেখবে।
চলবে...

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫৬

সকাল রয় বলেছেন:
প্রিয় কথাসাহিত্যিক রুপাকে নিয়ে লেখাটা পড়লাম। আরো পড়তে হবে।
ব্যবহৃত ছবিটি হয়তো আপনি নেট থেকে নিয়েছেন তবে ছবিটি আমার তোলা।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪১

ঔপন্যাসিক জিল্লুর রহমান বলেছেন: শুকরিয়া জনাব সকাল রয়। আপনি ঠিকই ধরেছেন। আপনাকে পেয়ে খুব ভালো লাগছে যে শুকরিয়া জানানোর মানুষটিকে কাছে পেয়েছি। ভালো ধন্যবাদ।

২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২৬

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: আপনার চমৎকার এই সিরিজটি সময় করে একদিন শুরু থেকে পড়বো । আপাদত ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম ।

চলুক +

ভালো থাকবেন :)

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪৮

ঔপন্যাসিক জিল্লুর রহমান বলেছেন: অপেক্ষায় রইলাম। আশা করি আপনি পড়বেন এবং কমেন্টস করবেন। ধন্যবাদ।

৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৪

নিলু বলেছেন: লীখে যান

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩৮

ঔপন্যাসিক জিল্লুর রহমান বলেছেন: দোয়া করবেন। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.