![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি পেশায় একজন প্রকৌশলী। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে লেখালেখির শুরু। আমার প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ:কাব্য: ০১। ছোট্ট একটি ভালোবাসা উপন্যাস: ০২। ভ্যালেন্টাইনস্ ডে (ভালোবাসাবাসির স্মৃতিময় দিনগুলি) ০৩। অবশেষে...(অবশেষে হৃদয়ের টানে) ০৪। বন্ধন (যে বন্ধন শুধু কাছেই টানে) ০৫। স্বপ্ন (যাদের স্বপ্ন ভেঙে গেছে) ০৬। আঁচলে...(যাদের ভালোবাসা আঁচলে বন্দি) ০৭। গডফাদার-০১(দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থার প্রতিচ্ছবি) ০৮। গডফাদার-০২ ০৯। গডফাদার-০৩ ১০। দুর্নীতিবাজের ডায়েরি (একজন দুর্নীতিবাজের আত্মকাহিনী) ১১। দাগ (এই দাগ হৃদয়ের, এই দাগ সমাজের) ১২। প্রিয়ন্তী (সংস্কারের প্রাচীর ভাঙা এক তরুণী) ১৩। তবুও আমি তোমার (একটি অসম প্রেমের কাহিনী) ১৪। খুঁজে ফিরি তারে (যে হৃদয় শুধু তাকেই খুঁজে) ১৫। সেই ছেলেটি (কিশোর উপন্যাস) ১৬। অপেক্ষা (পথ চেয়ে থাকা এক তরুণীর কাহিনী) মোবাইল-০১৭১৮১৫৭০৭৬ email:[email protected]
লজ্জা, ঘৃণা আর অপমানে মুহিত যেন মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। সে দিনের বেলা বাসায় থাকলে সবসময় কারো না কারো সঙ্গে কথা বলে, অনেক রাত পর্যন্ত ইয়াসমিনের সঙ্গে বলে কিন্তু আজ তার মুখে কোনো কথা নেই। উত্তরা থেকে ফিরে ইয়াসমিনের কাছ থেকে সবকিছু শুনে তার মুখের ওপর একটা গভীর কালো মেঘের ছায়া পড়েছে। এখন রাত বারোটা বাজে। সাধারণত এত রাত পর্যন্ত মুহিত জেগে থাকে না, আজ তার চোখে ঘুম নেই। ইয়াসমিন সেই যে সন্ধ্যা থেকে কাকে কাকে ফোন করছে তার কোনো শেষ নেই এখন সেও অনেকটা ক্লান্ত। কিন্তু ঘুম আসছে না, বিছানায় সেও ছটফট করছে।
মুহিত জিজ্ঞেস করলো, কী হলো?
কই কিছু তো হলো না, কাল ওকে নিয়ে ক্লিনিকে যেতে হবে। আগে এম.আর করা দরকার, তারপর যা হয় হবে।
কোন সমস্যা হবে না তো?
কী সমস্যা হবে?
ছোট মেয়ে এম.আর করতে গিয়ে যদি কোনো সমস্যা হয়?
আমি সে চিন্তা করছি না।
তো?
আমি ভাবছি হারুর কথা।
হারুর কথা বলতেই মুহিত চমকে উঠলো, ও তোমাকে তো একটা কথা বলতে ভুলেই গেছিলাম।
কী কথা?
হারু কাল ফোন করেছিলো।
ইয়াসমিন জিজ্ঞেস করলো, কী বললো?
বললো রূপার বিয়ে এক সপ্তাহ পিছিয়েছে।
ইয়াসমিন যেন প্রাণ ফিরে পেল, এমন একটা খবর তুমি আমাকে বলতে ভুরে গেলে? যাক বাঁচা গেলো।
কেনো?
এই এক সপ্তাহের মধ্যে রূপাকে সুস' করে তুলতে হবে। আল্লাহর অশেষ রহমত, রূপার বিয়েটা না পেছালে আরো কী যে হতো।
কী করবে এখন?
সবার আগে রূপাকে পাপ মুক্ত করতে হবে। পাপ মুক্ত!
মুহিত বিছানা থেকে উঠলো। ইয়াসমিনের মুখের দিকে তাকালো। আজ একদিনেই ইয়াসমিনের চেহারায় যেন বয়সের ছাপ পড়ে গেছে। দুশ্চিন্তাগ্রস্থ মুখ শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। মুহিত ইয়াসমিনের কপালে একটা হাত রাখলো। ইয়াসমিনও বিছানা থেকে উঠে বসলো। মুহিত কথাটা উপস্থাপন করতে গিয়ে একটা ঢোক গিললো, ইয়াসমিন তোমাকে একটা কথা বলতে চাচ্ছি?
আচ্ছা রূপা তো আমাদের সঙ্গে অনেক বছর থেকে আছে।
হ্যাঁ।
তুমি কি মেয়েটার কোনো খারাপ কিছু দেখেছো?
ইয়াসমিনের চোখের সামনে ফুটে উঠলো রূপার সুন্দর জ্বলজ্বলে, নিষ্পাপ একটা মুখ। এই মুখ ইয়াসমিন সাত-আট বছর থেকে দেখে আসছে। এই দীর্ঘ সময়ে রূপা কোনোদিন একটা মিথ্যা কথা বলেনি, যেকোনো বিষয়ে এতটুকু চালাকি করেনি। কোনোদিন খাবার পাতিল থেকে একটা দানা পর্যন্ত না বলে খায়নি, এই নিষ্পাপ মেয়েটিকে সে দোষারোপ করবে কীভাবে? আর তমাল? যাকে সে নিজের পেটে দশ মাস দশ দিন ধারণ করেছে, শৈশব থেকে তিল তিল করে লালন-পালন করেছে। নিজের আদর্শ দিয়ে মানুষ করেছে সে তার আদর্শকে এমনভাবে জলাঞ্জলি দিলো? তার মান-সম্মান এমনভাবে মিশিয়ে দিলো। এই ঘটনা যদি ফাঁস হয়ে যায় তবে তাদের সম্মান থাকবে কোথায়? আত্মীয়-স্বজন, মিডিয়া, নারী অধিকার সংগঠনগুলোকে তাদের বিরুদ্ধে উঠে-পড়ে লাগবে। এতো গেলো আইন আর সমাজের কথা। আর বিবেক? নিজের বিবেকের কাছে সে কী জবাব দিবে?
ইয়াসমিন না সূচক মাথা নাড়লো।
মুহিত সাহেব ইয়াসমিনকে কী যেন বলতে গিয়ে একটা ঢোক গিলে প্রসঙ্গ পাল্টালো, এত অল্প বয়সে মেয়েটা এতোবড় একটা ধকল সইতে পারবে?
তাছাড়া আর কী করার আছে?
মানে আমি বলছিলাম রূপা তো সুন্দর একটা মেয়ে আমরা যদি তমালের সঙ্গে ওর...
মুহিত কথাটা শেষ করার আগেই ইয়াসমিন রাগান্বিত চোখে মুহিতের দিকে তাকাতেই সে একটা ঢোক গিললো।
সকালবেলা বিছানা থেকে উঠেই ইয়াসমিন রূপার কাছে গেলো। ইয়াসমিনকে দেখে রূপা চমকে উঠলো, খালাম্মা।
ইয়াসমিন রূপার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললো, তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নে মা।
রূপা বুঝতে পারলো না। সে জিজ্ঞেস করলো, কেনো খালাম্মা?
তোকে আমার সাথে এক জায়গায় যেতে হবে।
কোথায় খালাম্মা?
এতো কথা জানতে চাবি না রূপা। আমার ওপর তোর বিশ্বাস নেই?
রূপা কিছুটা অনুমান করতে পারলো। সে মনে করেছিলো ইয়াসমিন তাকে খোলামেলা করে বলবে। কিন্তু সে একটু সাজিয়ে গুছিয়ে বলতে শুরু করলো, তুই তো বুঝতেই পাচ্ছিস আমরা সবাই তোর ব্যাপারটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। আর কিছু প্রশ্ন কর্বি না মা, আমি যা যা বলছি ঠিক তা তা কর্বি। মনে কর আমি তমাল আর তোর দুজনেরই মা।
রূপা ইয়াসমিনের মুখের দিকে তাকালো, না ইয়াসমিনের চোখে মুখে কোনো চতুরতা নেই একটা অসহায়ত্ব আছে, দুশ্চিন্তায় এই এ’কদিনেই তরতাজা মুখটা কেমন শুকিয়ে গেছে। রূপা আর কথা বাড়ালো না।
এতক্ষণ ইয়াসমিন রূপার চৌকির এক কোণায় বসে কথা বলছিলো। এবার উঠে দাঁড়ালো, তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নে মা। আমি আসছি।
চলবে...
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৭
ঔপন্যাসিক জিল্লুর রহমান বলেছেন: আমার লেখা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আশা করি আমার সব লেখা পড়বেন। আমার ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন http://www.writerzillur.com
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৩৩
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: চলুক গল্প ------- ভীষণ ভাল লাগলো