নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চোখের সামনে যেকোন অসঙ্গতি মনের মধ্যে দাগ কাটতো, কিশোর মন প্রতিবাদী হয়ে উঠতো। তার বহিঃপ্রকাশ ঘটতো কবিতা লেখার মধ্য দিয়ে। ক্ষুধা ও দারিদ্রের বিরুদ্ধে, নির্যাতন ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কবিতা। তারপর গল্প, উপন্যাস। এ যাবত প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা-২১ টি।

ঔপন্যাসিক জিল্লুর রহমান

আমি পেশায় একজন প্রকৌশলী। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে লেখালেখির শুরু। আমার প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ:কাব্য: ০১। ছোট্ট একটি ভালোবাসা উপন্যাস: ০২। ভ্যালেন্টাইনস্ ডে (ভালোবাসাবাসির স্মৃতিময় দিনগুলি) ০৩। অবশেষে...(অবশেষে হৃদয়ের টানে) ০৪। বন্ধন (যে বন্ধন শুধু কাছেই টানে) ০৫। স্বপ্ন (যাদের স্বপ্ন ভেঙে গেছে) ০৬। আঁচলে...(যাদের ভালোবাসা আঁচলে বন্দি) ০৭। গডফাদার-০১(দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থার প্রতিচ্ছবি) ০৮। গডফাদার-০২ ০৯। গডফাদার-০৩ ১০। দুর্নীতিবাজের ডায়েরি (একজন দুর্নীতিবাজের আত্মকাহিনী) ১১। দাগ (এই দাগ হৃদয়ের, এই দাগ সমাজের) ১২। প্রিয়ন্তী (সংস্কারের প্রাচীর ভাঙা এক তরুণী) ১৩। তবুও আমি তোমার (একটি অসম প্রেমের কাহিনী) ১৪। খুঁজে ফিরি তারে (যে হৃদয় শুধু তাকেই খুঁজে) ১৫। সেই ছেলেটি (কিশোর উপন্যাস) ১৬। অপেক্ষা (পথ চেয়ে থাকা এক তরুণীর কাহিনী) মোবাইল-০১৭১৮১৫৭০৭৬ email:[email protected]

ঔপন্যাসিক জিল্লুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবনের শেষ গোধূলী- শেষ পর্ব

২২ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:২১




ইরা গতকাল গ্রামের বাড়ি এসেছে। আসার পর থেকে সুযোগ খুঁজেছে বাসা থেকে বেরিয়ে জয়পুরহাট আসার। তারপর স্মৃতিময় বারো শিবালয় মন্দির, ছোট যমুনা নদী। জয় ইরাকে কথা দিয়েছিলো প্রতি বছর বছরের শেষ গোধূলীটা দু’জনে একসঙ্গে দেখবে। আজ সেই সুযোগ পেয়েছে ইরা, এমন একটা সুযোগের অপেক্ষায় ছিলো ইরা দুই যুগ থেকে। ইরা বাসা থেকে বেরিয়ে একটা অটোতে উঠে সোজা কালাই এসেছে, ভাগ্যক্রমে পাঁচশিরা এসে একটা সি.এন.জি পেলো। ইরা কোনোকিছু না বলেই সি.এন.জি’তে উঠলো।
সি.এন.জি’র ড্রাইভার তো অবাক, কোথায় যাবেন আপনি? না বলে উঠলেন কেনো?
ইরা বললো, জয়পুরহাট যাবো, তুমি যাবে না?
না।
যাবে না কেনো? চলো তোমাকে আমি অনেক টাকা দিবো।
অনেক টাকা মানে? ড্রাইভার জিজ্ঞেস করলো।
ইরা চোখ বড় বড় করে বললো, তোমাকে আমি পাঁচশো টাকা দিবো, যাবে না?
টাকার লোভে ড্রাইভার যেতে রাজি হলো। সেই সি.এন.জি নিয়ে ইরা সোজা চলে এলো বারো শিবালয়। তখন বিকেল চারটা বাজে। তখন থেকে ইরা জয়কে খুঁজছে কখনো বটগাছের চারপাশে লুকোচুরি করার মতো, কখনো নদীর ধার বরাবর একবার উজানে, একবার ভাটিতে।

বিকেল থেকে ইরাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মোশা প্রথমে পাশের বাড়ি, স্কুলের আশ-পাশ, দেবর-ননদের বাড়ি এবং জয়পুরহাট ইরার বাবার বাড়িসহ অনেক খোঁজাখুঁজি করলো। কিন্তু কোথাও তাকে খুঁজে পাওয়া গেলো না। ইভা জুঁইকে বকাবকি করলো, একসাথে তো ছিলি তুই আবার কোথায় গিয়েছিলি যে তোর দাদিকে দেখে রাখতে পারলি না। খবর শুনে আত্মীয়-স্বজনরা বাড়িতে এলো, একেকজন একেকরকম পরামর্শ দিতে লাগলো।
অবশেষে মাইকিং শুরু হলো, কিছুক্ষণের মধ্যে খবরটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লো। কেউ কেউ বললো, বয়স্ক মহিলা কোথায় আর যাবে, মাথায় একটু গণ্ডগোল ছিলো, পথ ভুলে কোথাও গেছে। পথ খুঁজে পেলে ঠিকই চলে আসবে।
কিন্তু গভীর রাত পর্যন্ত মাইকিং, বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির পরও ইরাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া গেলো না। বাড়িতে একটা শোকের ছায়া নামলো।

ততক্ষণে রাত গভীর হয়েছে, ইরা শীতে ঠকঠক করে কাঁপছে, সেদিকে তার খেয়াল নেই, তার কাছে এখনো সূর্য অস্ত যায়নি। সে বিড়বিড় করে কথা বলেই চলেছে, তুমি ভেবেছো আমি রাগ করে চলে যাবো? আমি তোমার অপেক্ষায় থাকবো, তুমি কথা দিয়েছো আসবে, আমি সেই অপেক্ষায় থাকবো। বলে কথা বলতে বলতে ইরা নদীতে নামলো, তারপর আবার বলতে শুরু করলো, একবার আমরা এখানে এসেছিলাম বর্ষায়, এখানে একটা নৌকা বাঁধা ছিলো। আমরা নৌকায় উঠলাম। আমি খুব ভয় পাচ্ছিলাম, বলছিলাম আমি সাঁতাড় কাটতে জানি না। তুমি আমাকে জড়িয়ে ধরেছিলে, বলেছিলে তোমার সাঁতাড় কাটতে হবে না। আমি তোমাকে বুকে জড়িয়ে ধরে রাখবো, ডুবে যেতে দিবো না।
আমি বলেছিলাম, তোমাকে তুলতে হবে না, জানো না প্রেমের মরা জলে ডুবে না।
কথা বলতে বলতে ইরা নদীতে নামলো, স্রোতস্বীনির কাছে দাঁড়ালো, পানিতে ইরার অস্পষ্ট প্রতিচ্ছবি ভেসে উঠলো। ইরা পানিতে তার নিজের প্রতিচ্ছবি দেখে উচ্ছ্বাসিত কণ্ঠে বলে উঠলো, পেয়েছি, এই তো তুমি তোমার ছায়া রেখে গেছো। আমি জানতাম তুমি আমাকে ফাঁকি দিয়ে যাবে না, তুমি ফাঁকি দিতেই জানো না। আমি তোমাকে না পাই তোমার ছায়া তো পেয়েছি। আমি তোমার ছায়াকেই বুকে জড়িয়ে ধরে রাখবো সারাজীবন। তোমার ছায়া বুকে জড়িয়ে আমি সারাজীবন কাটিয়ে দিবো। বলে ইরা জয়ের ছবি মনে করে তার নিজের প্রতিচ্ছবিকে জড়িয়ে ধরার জন্য পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়লো।
নদীতে তেমন পানি ছিলো না। সোজা হয়ে দাঁড়ালে ইরা হয়তো দাঁড়িায়ে থাকতে পারতো কিন্তু ঝাঁপ দেয়াতে তার মুখ ডুবে গেলো পানিতে। সে বাঁচার চেষ্টা করলো হাত-পা ছুঁড়াছুঁড়ি করতে লাগলো।

বারো শিবালয় মন্দিরের সামনে গতন শহর-খঞ্জণপুর রাস্তার ওপর মানুষের ভিড় জমেছে। কৌতূহলী মানুষের প্রশ্ন কী হয়েছে? কী হয়েছে ভাই?
একজন বললো, নদীতে একটা লাশ পাওয়া গেছে।
লাশ, কার লাশ?
একজন বিরক্ত হয়ে বললো, আরে ভাই কার লাশ কে জানে? হয়তো ভেসে এসেছে দূর থেকে।
আরেকজন বললো, না, দূর থেকে না। কাল বিকেলে আখ কাটার সময় কামলারা দেখেছে এই বুড়িকে বটগাছের নিচে বিড় বিড় করতে, সেই মহিলারই লাশ।
একটা পুলিশের ভ্যান এলো। কয়েকজন পুলিশ সদস্য বাঁশি বাজিয়ে ভিড় ফাঁকা করে বটগাছের শেকড়ের সঙ্গে আটকে থাকা লাশ টেনে উপরে তুললো।
পুলিশের একজন অফিসার ওয়্যারলেসে বিড়বিড় করে ম্যাসেজ পাঠালো। মিডিয়া কর্মীরা ক্লিক ক্লিক করে ছবি তুলতে শুরু করলো। কিছুক্ষণের মধ্যে খবরটা জয়পুরহাট শহর, পুরা জেলাসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়লো।
জুঁই প্রথম ছবিটা দেখলো, তার এক ফ্রেন্ড ছবিটা ফেসবুকে শেয়ার করেছে। দেখে সে চিৎকার করে উঠলো, দাদি।
পাশের রুম থেকে ইভা দৌড়ে এলো। মোশা বাসা থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলো সে ফিরে এলো। ইভা জিজ্ঞেস করলো, কী হলো মা?
জুঁই তার ল্যাপটপের স্ক্রিন দেখিয়ে বললো, মা দাদি নেই, বলে সে বিলোপ করে বলতে শুরু করলো, দাদি কাল আমাকে বললো গোধূলী দেখতে যাবে। জয় না কার সাথে নাকি দাদির এক সাথে গোধূলী দেখার কথা আছে। আমি যদি জানতাম সুযোগ পেলে সত্যি সত্যি দাদি একাই গোধূলী দেখতে যাবে আর সেটাই হবে দাদির জীবনের শেষ গোধূলী তবে… বলে জুঁই আবার বিলোপ করে কাঁদতে শুরু করলো।

সমাপ্তইরা গতকাল গ্রামের বাড়ি এসেছে। আসার পর থেকে সুযোগ খুঁজেছে বাসা থেকে বেরিয়ে জয়পুরহাট আসার। তারপর স্মৃতিময় বারো শিবালয় মন্দির, ছোট যমুনা নদী। জয় ইরাকে কথা দিয়েছিলো প্রতি বছর বছরের শেষ গোধূলীটা দু’জনে একসঙ্গে দেখবে। আজ সেই সুযোগ পেয়েছে ইরা, এমন একটা সুযোগের অপেক্ষায় ছিলো ইরা দুই যুগ থেকে। ইরা বাসা থেকে বেরিয়ে একটা অটোতে উঠে সোজা কালাই এসেছে, ভাগ্যক্রমে পাঁচশিরা এসে একটা সি.এন.জি পেলো। ইরা কোনোকিছু না বলেই সি.এন.জি’তে উঠলো।
সি.এন.জি’র ড্রাইভার তো অবাক, কোথায় যাবেন আপনি? না বলে উঠলেন কেনো?
ইরা বললো, জয়পুরহাট যাবো, তুমি যাবে না?
না।
যাবে না কেনো? চলো তোমাকে আমি অনেক টাকা দিবো।
অনেক টাকা মানে? ড্রাইভার জিজ্ঞেস করলো।
ইরা চোখ বড় বড় করে বললো, তোমাকে আমি পাঁচশো টাকা দিবো, যাবে না?
টাকার লোভে ড্রাইভার যেতে রাজি হলো। সেই সি.এন.জি নিয়ে ইরা সোজা চলে এলো বারো শিবালয়। তখন বিকেল চারটা বাজে। তখন থেকে ইরা জয়কে খুঁজছে কখনো বটগাছের চারপাশে লুকোচুরি করার মতো, কখনো নদীর ধার বরাবর একবার উজানে, একবার ভাটিতে।

বিকেল থেকে ইরাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মোশা প্রথমে পাশের বাড়ি, স্কুলের আশ-পাশ, দেবর-ননদের বাড়ি এবং জয়পুরহাট ইরার বাবার বাড়িসহ অনেক খোঁজাখুঁজি করলো। কিন্তু কোথাও তাকে খুঁজে পাওয়া গেলো না। ইভা জুঁইকে বকাবকি করলো, একসাথে তো ছিলি তুই আবার কোথায় গিয়েছিলি যে তোর দাদিকে দেখে রাখতে পারলি না। খবর শুনে আত্মীয়-স্বজনরা বাড়িতে এলো, একেকজন একেকরকম পরামর্শ দিতে লাগলো।
অবশেষে মাইকিং শুরু হলো, কিছুক্ষণের মধ্যে খবরটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লো। কেউ কেউ বললো, বয়স্ক মহিলা কোথায় আর যাবে, মাথায় একটু গণ্ডগোল ছিলো, পথ ভুলে কোথাও গেছে। পথ খুঁজে পেলে ঠিকই চলে আসবে।
কিন্তু গভীর রাত পর্যন্ত মাইকিং, বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির পরও ইরাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া গেলো না। বাড়িতে একটা শোকের ছায়া নামলো।

ততক্ষণে রাত গভীর হয়েছে, ইরা শীতে ঠকঠক করে কাঁপছে, সেদিকে তার খেয়াল নেই, তার কাছে এখনো সূর্য অস্ত যায়নি। সে বিড়বিড় করে কথা বলেই চলেছে, তুমি ভেবেছো আমি রাগ করে চলে যাবো? আমি তোমার অপেক্ষায় থাকবো, তুমি কথা দিয়েছো আসবে, আমি সেই অপেক্ষায় থাকবো। বলে কথা বলতে বলতে ইরা নদীতে নামলো, তারপর আবার বলতে শুরু করলো, একবার আমরা এখানে এসেছিলাম বর্ষায়, এখানে একটা নৌকা বাঁধা ছিলো। আমরা নৌকায় উঠলাম। আমি খুব ভয় পাচ্ছিলাম, বলছিলাম আমি সাঁতাড় কাটতে জানি না। তুমি আমাকে জড়িয়ে ধরেছিলে, বলেছিলে তোমার সাঁতাড় কাটতে হবে না। আমি তোমাকে বুকে জড়িয়ে ধরে রাখবো, ডুবে যেতে দিবো না।
আমি বলেছিলাম, তোমাকে তুলতে হবে না, জানো না প্রেমের মরা জলে ডুবে না।
কথা বলতে বলতে ইরা নদীতে নামলো, স্রোতস্বীনির কাছে দাঁড়ালো, পানিতে ইরার অস্পষ্ট প্রতিচ্ছবি ভেসে উঠলো। ইরা পানিতে তার নিজের প্রতিচ্ছবি দেখে উচ্ছ্বাসিত কণ্ঠে বলে উঠলো, পেয়েছি, এই তো তুমি তোমার ছায়া রেখে গেছো। আমি জানতাম তুমি আমাকে ফাঁকি দিয়ে যাবে না, তুমি ফাঁকি দিতেই জানো না। আমি তোমাকে না পাই তোমার ছায়া তো পেয়েছি। আমি তোমার ছায়াকেই বুকে জড়িয়ে ধরে রাখবো সারাজীবন। তোমার ছায়া বুকে জড়িয়ে আমি সারাজীবন কাটিয়ে দিবো। বলে ইরা জয়ের ছবি মনে করে তার নিজের প্রতিচ্ছবিকে জড়িয়ে ধরার জন্য পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়লো।
নদীতে তেমন পানি ছিলো না। সোজা হয়ে দাঁড়ালে ইরা হয়তো দাঁড়িায়ে থাকতে পারতো কিন্তু ঝাঁপ দেয়াতে তার মুখ ডুবে গেলো পানিতে। সে বাঁচার চেষ্টা করলো হাত-পা ছুঁড়াছুঁড়ি করতে লাগলো।

বারো শিবালয় মন্দিরের সামনে গতন শহর-খঞ্জণপুর রাস্তার ওপর মানুষের ভিড় জমেছে। কৌতূহলী মানুষের প্রশ্ন কী হয়েছে? কী হয়েছে ভাই?
একজন বললো, নদীতে একটা লাশ পাওয়া গেছে।
লাশ, কার লাশ?
একজন বিরক্ত হয়ে বললো, আরে ভাই কার লাশ কে জানে? হয়তো ভেসে এসেছে দূর থেকে।
আরেকজন বললো, না, দূর থেকে না। কাল বিকেলে আখ কাটার সময় কামলারা দেখেছে এই বুড়িকে বটগাছের নিচে বিড় বিড় করতে, সেই মহিলারই লাশ।
একটা পুলিশের ভ্যান এলো। কয়েকজন পুলিশ সদস্য বাঁশি বাজিয়ে ভিড় ফাঁকা করে বটগাছের শেকড়ের সঙ্গে আটকে থাকা লাশ টেনে উপরে তুললো।
পুলিশের একজন অফিসার ওয়্যারলেসে বিড়বিড় করে ম্যাসেজ পাঠালো। মিডিয়া কর্মীরা ক্লিক ক্লিক করে ছবি তুলতে শুরু করলো। কিছুক্ষণের মধ্যে খবরটা জয়পুরহাট শহর, পুরা জেলাসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়লো।
জুঁই প্রথম ছবিটা দেখলো, তার এক ফ্রেন্ড ছবিটা ফেসবুকে শেয়ার করেছে। দেখে সে চিৎকার করে উঠলো, দাদি।
পাশের রুম থেকে ইভা দৌড়ে এলো। মোশা বাসা থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলো সে ফিরে এলো। ইভা জিজ্ঞেস করলো, কী হলো মা?
জুঁই তার ল্যাপটপের স্ক্রিন দেখিয়ে বললো, মা দাদি নেই, বলে সে বিলোপ করে বলতে শুরু করলো, দাদি কাল আমাকে বললো গোধূলী দেখতে যাবে। জয় না কার সাথে নাকি দাদির এক সাথে গোধূলী দেখার কথা আছে। আমি যদি জানতাম সুযোগ পেলে সত্যি সত্যি দাদি একাই গোধূলী দেখতে যাবে আর সেটাই হবে দাদির জীবনের শেষ গোধূলী তবে… বলে জুঁই আবার বিলোপ করে কাঁদতে শুরু করলো।

সমাপ্ত
এই গল্পটি প্রথম থেকে পড়তে ক্লিক করুন:জীবনের শেষ গোধূলী-০১
আমার সব লেখা এক সাথে পড়তে ক্লিক করুন:আমার ঠিকানা
আমার ফেসবুক:ফেসবুক

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.