![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অদ্ভুত দুনিয়ার অদ্ভুত মানুষ! কি বিভৎস আবার কি সুন্দর! আমি তিন নম্বর টাইপের লোক যার কাজ তামাশা দেখতে থাকা মানুষগুলোকে দেখা, বাকি দু টাইপ তো তামাশা করা আর তামাশা দেখায় ব্যস্ত।
সকালের বাজে আটটা অথচ ফয়সাল বিছানা ছেড়ে উঠেনি, ব্যাপারটা জাফর সাহেব ভালোভাবে নিতে পারছেন না। অসুস্থতা ছাড়া একজন মানুষ সকাল ছয়টার পর বিছানায় থাকবে তা তিনি সহ্য করতে পারেন না। তাই তিনি ভাবছেন, ফয়সাল কি কোন কঠিন রোগে আক্রান্ত। হঠাৎ কলিংবেল বেজে উঠলো। চিন্তায় ছেদ পড়লো। বাবলি দরজা খুলতে এগিয়ে গেলো, এতেও জাফর সাহেবের সমস্যা। একজন তরুণী কেন দরজা খুলতে এগিয়ে যাবে? পুরো বাসাটা তার কাছে এনার্কিস্টদের আতুড় ঘর মনে হচ্ছে। যার যা মনে চাচ্ছে সে তাই করছে। কিছুক্ষণ পর বাবলি তার সামনে এসে বললো,
বাবা দেখতো কে এসেছে, তোমাকে চাচ্ছে, ড্রয়িং রুমে বসে আছে।
দেখছি, তুমি তোমার রুমে যাও আর ফয়সাল কে ডাক দাও।
বাবলি কোন কথা না বলেই চলে গেলো। আসলেই বাসার সবাই স্বেচ্ছাচারি হয়ে গেছে। একদিন ফ্যামিলি মিটিং কল করা প্রয়োজন। সবার সাথে বসে কথা বলা দরকার। প্রচন্ড রেগে যাওয়ার মুহূর্তটা একেকজনের জন্যে একেক রকম। জাফর সাহেব যখন রাগের ভারে ন্যুজ্ব তখন তিনি মনে মনে আউড়ান,
ঝড় এলো এলো ঝড়,
সাবধান সাবধান,
কাঁচা কিল পাকা কিল.
টক ঝাল মিষ্টি
এইযা একি অনাসৃষ্টি
কয়েক বার আওড়ানোর পর তার মাথা ঠান্ডা হয়ে যায়। কিন্তু এখন হচ্ছে না। প্রত্যেক মানুষের জীবনেই এমন কয়েকটা দিন থাকে যখন তিনি নিজেকে সামলে রাখতে পারেন না। এইলোকটাকে দেখে জাফর সাহেবের বোঝা হয়ে গেছে, অনাসৃষ্টি হবেই আজকে। তিনি ডাক দিলেন,
কেয়া, এই কেয়া
মিসেস কেয়া ভেতর থেকেই উত্তর দিলেন,
আসছি
তাড়াতাড়ি এসো,
সোফায় বসা লোকটা জাফর সাহেবের মুখের দিকে তাকিয়ে হাসছেন। এতে তার রাগ আরো বেড়ে যাচ্ছে। আবার ডাক দিলেন,
কেয়া
এবার মিসেস কেয়া ড্রয়িং রুমে আসলেন, তার হাতে চায়ের কাপ,
কি হলো? ষাঁড়ের মত চেঁচাচ্ছ কেন?
বলতে বলতেই তার নজর পড়লো, সোফায় বসা লোকটার দিকে, সাথে সাথে মাথায় শাড়ির আঁচল টেনে দিয়ে হাসি হাসি মুখে লোকটার পা ধরে সালাম করলেন তিনি। বললেন,
ভাইজান কখন আসছেন, বসেন এককাপ চা এনে দেই।
এই নিকম্মার জন্য চা আনা লাগবে না, কেন এসেছে জিজ্ঞেস কর,
জাফর সাহেব বললেন।
আপনি মনে কষ্ট নিবেন না ভাইজান, তার ইদানিং মাথা গরম থাকে, আপনি বসেন, আমি চা নিয়ে আসি।
বলেই মিসেস কেয়া চলে গেলেন রান্নাঘরের দিকে।
এবার সোফায় বসে থাকা ভদ্রলোক মুখ খুললেন,
ভাইজান, বিশেষ দরকারে এসেছি আপনার কাছে,
সে আমি জানি, কিন্তু উপকার আমি করতে পারবো না
আপনি হইলেন আমার আপনজন আপনি উপকার না করলে কে করবে বলেন?
এর আগে করেছি তার প্রতিদানে তুমি আমাকে অপমান করেছো,
ভাইজান, আপনার পায়ে পড়ি,
বলেই লোকটা জাফর সাহেবের পায়ের কাছে এসে বসে হাত দিয়ে পা ধরে ফেললো। জাফর সাহেব লজ্জা পেয়ে গেলেন, তার চাচাতো ভাই গ্রামে যাকে মাওলানা বলে লোকে চেনে তার পা ধরে বসে আছে। জাফর সাহেব বিরক্ত মুখে বললেন,
অরে উঠো ছাড়ো পা, যতদিন থাকা লাগে থাকো কিন্তু বিরক্ত করবে না
এইভাবে কাদের হুজুরের জায়গা হলো হাসনাহেনা হাউজে।
(হাসনেহেনা হাউজ - ১ এর লিংক : হাসনেহেনা হাউজ - ১)
২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৫২
জোলারোভিচপইজোলারোভিচ বলেছেন: দেখি কতদুর যাইতে পারি। দায়সারা লোক তাই কথা দিতে পারলাম না। ধন্যবাদ ভাইজান
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: বিশাল প্ল্যান নিয়া নামছেন মনে হইতাছে!
এটা কি মেগা সিরিয়াল হবে?