নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অযথা এক্সপেরিমেন্ট করতে গিয়ে জগাখিচুড়ি পাকিয়ে ফেলায় আমি সিদ্বহস্ত। ব্যাপারটা লেখার ক্ষেত্রে যতটুকু সত্য রান্নার ক্ষেত্রেও তাই।

জোলারোভিচপইজোলারোভিচ

অদ্ভুত দুনিয়ার অদ্ভুত মানুষ! কি বিভৎস আবার কি সুন্দর! আমি তিন নম্বর টাইপের লোক যার কাজ তামাশা দেখতে থাকা মানুষগুলোকে দেখা, বাকি দু টাইপ তো তামাশা করা আর তামাশা দেখায় ব্যস্ত।

জোলারোভিচপইজোলারোভিচ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাসনেহেনা হাউজ - ৩

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৪

বেলা দুইটা, ফয়সাল বাবলি কেউ নেই বাসায়। খেতে বসেছেন জাফর সাহেব এবং কাদের হুজুর। মিসেস কেয়া তাদের খাবার বেড়ে দিচ্ছেন, তিনি একটু পর আলেয়ার সাথে খেতে বসবেন।
রুই মাছের মাথাটা বেশ আয়েশ করে চুষে যাচ্ছেন, কাদের হুজুর। তা দেখে জাফর সাহেবের ইচ্ছে করছে ইস এর মাথার খুলিটাও যদি এমনি চুষতে পারতাম। মিসেস কেয়া তার চোখের দিকে তাকিয়ে বুঝে ফেললেন তিনি কি চিন্তা করছেন। বিরক্তির সাথে তিনি জাফর সাহেব কে বললেন,

এই তোমাকে কিছু দিবো?

না আমার কিছু লাগবে না, এই হাঙ্গরটা কে দাও

কাদের হুজুর লজ্জা পেয়ে মাথাটা প্লেটের এক কোনায় রেখে দিলেন। জাফর সাহেবের মনে হলো তিনি এই মাত্র প্রতিপক্ষের গোল পোস্টে একটা গোল করেছেন। খাবার শেষে কাদের হুজুর হাত ধুয়ে মিসেস কেয়া কে বললেন,

বৌমা একখান পান খাবার শখ জেগেছে

আপনি রুমে গিয়ে বিশ্রাম নেন, আসগর আপনাকে পান দিয়ে আসবে

জাফর সাহেব এই সময় হাত ধুতে গিয়েছিলেন বলে রক্ষে নাহলে পান নিয়ে যে এখানে কুরুক্ষেত্র হয়ে যেত সেটা মিসেস কেয়ার অজানা নয়। খানিক পর গেস্ট রুমে বিশ্রামরত কাদের হুজুর কে পান দিতে গেলো আসগর। তিনি আসগর কে জিজ্ঞাসা করলেন,

আসগর নাকি?

জি স্যার

তা নামতো মুসলমানের, কাম দেখি মালাউনের

মানে স্যার?

এই বেয়াদপ; স্যার ডাকোস ক্যান? আবার সালামও দেস নাই

সরি, স্লামালিকুম, এখন থেকে আপনেকে কি বলে ডাকবো?

মাওলানা সাহেব বলবি

ঠিক আছে মাওলানা সাহেব

এখন যা সামনে থেকে মেলা কাম আছে, একটু ভাত ঘুম দেই

আসগর চলে গেলো।

আসগর বাড়ির কেয়ারটেকার, দারোয়ান এবং ব্যাগম্যান (জাফর সাহেব তাকে এই নামে ডাকেন কারণ বাজারের ব্যাগ থেকে শুরু করে তাবৎ বস্তা তাকে দিয়েই টানানো হয়)। তার জন্য মেইন গেটের পাশে একটা পাকা ঘর করা হয়েছে। খাওয়া দাওয়া বাড়ির সকলের সাথেই করে, তবে সারাদিন কাজ না থাকলে এই ঘরটাতেই কাটায় সে। কেউ জানেনা আসগরের একটা বিশেষ গুণ আছে। সে গান বাঁধতে পারে। এই গুণ সম্পর্কে কেউ জানে না। শুধু ফয়সাল মাঝে মাঝে শুনতে পায় একটা গুনগুন শব্দ হচ্ছে।তার নিজের বাধা একটা গানের নমুনা,

রাইতের আঁধারে পরী কি রূপ দেখাও
দিলের ভেতরে পরী কি বান ছোটাও
বাঁধিয়া রাখিমু পরী তাই কি ডরাও
আমারো সাথে পরী ঘর বান্ধাও

।।তৃতীয় পর্ব সমাপ্ত।।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: এত ছোট!

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৬

জোলারোভিচপইজোলারোভিচ বলেছেন: মাথায় কিছু আসছে না। :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.