![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অদ্ভুত দুনিয়ার অদ্ভুত মানুষ! কি বিভৎস আবার কি সুন্দর! আমি তিন নম্বর টাইপের লোক যার কাজ তামাশা দেখতে থাকা মানুষগুলোকে দেখা, বাকি দু টাইপ তো তামাশা করা আর তামাশা দেখায় ব্যস্ত।
গালে হাত দিয়ে জানালায় বসে আছে মাধবী
অনেক দিনের অপেক্ষা তার,
পেজা মেঘে ভর করে বহুদূর পাড়ি দিয়ে আসা আলবেট্রসের অপেক্ষা।
আমি দূরে প্রশান্ত মহাসাগরে অশান্ত ঢেউয়ের সাথে ঝগড়া করি,
আর কতদিন?
আমার কামরার খোলা পোর্টহোলে বসা আলবেট্রসের পায়ে বেধে দেই চিঠি
"নিয়ে যা পাখি নিয়ে যা, আমার মুনিয়া মাধবীর কাছে যা"।
বিশাল পাখা মেলে উড়ে যায় আমার চিঠি নিয়ে,
আমি চেয়ে রই দিগন্তে পৌছানো অবধি।
মাধবী জানে একটা আলবেট্রস আসছে,
আমি জানি একটা যাচ্ছে।
মাধবীর অচঞ্চল চেতন একাগ্র চিত্তে দিনকে দিন শুধু চঞ্চল গাংচিল দেখে,
দিন যায়, দিন যায়, দিন যায়
আরো অনেকগুলো দিন যায়।
আমি ডেকে দাঁড়িয়ে তুফানে চা পান করি,
আলবেট্রসটা কতদূর গেলো ঢেউকে জিজ্ঞেস করি,
উত্তরহীন ঢেউয়ের শব্দ শুনে চায়ের পেয়ালায় বড় চুমুক দেই,
মাধবী তার চুলে কোন একদিন ফুল গুজে গালে হাত দিয়ে অপেক্ষা করে।
গাংচিল মাধবীকে ফুল এনে দেয়,
আমি জানি, আমি দেখেছি।
অনেক দিন পর আমি ভাবি,
হয়ত আলবেট্রস পথ হারিয়েছে।
হয়ত আলবেট্রস ফিরে আসছে আমার কাছে।
অথবা হয়ত!
সাগর আমার আলবেট্রস কে দিয়েছে সলিল সমাধি।
সেই আলবেট্রসের কসম মাধবী,
আমি আসছি এবার, যাবো না আর।
সেই আলবেট্রসের কসম মাধবী,
আমি থাকবো এবার, যাবো না আর।
মাধবী বিশ্বাস কর, সেই না পৌছানো আলবেট্রসের কসম খেয়ে বলছি।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:১৩
জোলারোভিচপইজোলারোভিচ বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: সুন্দর।