![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিশির ভেজা সবুজ পাতায়,প্রথম রোদের আলোর খেলায়,ভাসিয়ে দিয়ে জীবনটা আজ,চোখের তারায় স্বপ্ন দেখায়।
বাংলাদেশের একটি নামীদামী ফেসবুক পেজ থেকে জাতীয় বিজয় দিবস উপলক্ষে একটি মহান উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। উদ্যোগটি হচ্ছে "লাল সবুজের পতাকায়, রেকর্ড গড়বো ফেসবুকে"। আমার নিউজফিডে আসা একটি পোস্ট থেকে ব্যাপারটি জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো। নিঃসন্দেহে সকলেই স্বীকার করবেন যে এটি একটি মহৎ উদ্যোগ। কিন্তু প্রশ্নটা আমার অন্য জায়গায়। আচ্ছা আপনার এই উদ্যোগটাই কেন নিলেন? শুধুমাত্র রেকর্ড গড়ার জন্য নাকি নিজের দেশকে, নিজের পতাকাকে সম্মান দেখানোর জন্য? বছরের মাঝে সবগুলো দিন দেশকে কলুষিত করে এক ১৬ই ডিসেম্বর আসলেই দেশপ্রেম দেখানোর মানে কি? দেশের জন্য ভালোবাসা দেখানোর জন্য কি শুধু এই একদিনই সকলের সময় হয়? এটাকেই বুঝি আপনারা দেশপ্রেম বলেন? আমরা কিছু রেকর্ড গড়ার জন্য দেশের কোটি কোটি টাকা খরচ করতে পারি, ফেসবুকে ইভেন্ট খুলতে পারি, রাজাকারদের ফাঁসির দাবিতে কয়েকদিন শো-অফ মিছিল করতে পারি। দেশের জন্য এই কি আপনার কর্তব্য? হায়রে বাঙ্গালী! সত্যিই আমরা বড়ই অদ্ভুত জাতি। যখন দুর্নীতিবাজ আর সন্ত্রাসীদের হাতে বার বার আমাদের এই দেশ লুণ্ঠিত হয় তখন কই থাকে আপনাদের দেশপ্রেম? যখন আমাদের দেশের বীর সন্তানেরা পিলখানায় হত্যাযজ্ঞের স্বীকার হয়েছিলো তখন কোথায় ছিল আপনাদের এই দেশপ্রেম? যখন হাসপাতালে চিকিৎসার অভাবে দরিদ্র মানুষগুলো মারা যায় তখন কোথায় থাকে আপনার দেশপ্রেম? যখন ফুটপাতে ছোট ছোট শিশুরা শীতের মাঝে রাত কাটায় তখন কোথায় থাকে আপনাদের দেশপ্রেম? যখন একটি মানুষ আদালতে বিচারের আশায় ঠোকর খেতে খেতে তার সর্বস্ব জলাঞ্জলি দিয়ে ফেলে তখন কোথায় থাকে আপনার দেশপ্রেম?
আপনি কি একবারও ভেবে দেখেছেন যে আপনার একটুখানি অসাবধানতার জন্য আমাদের দেশ কতখানি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে? মনে আছে কয়েকদিন আগের ঘটনা? ফেসবুকের মার্ক জুকারবার্গ এর বিয়ের ফটোতে বাঙ্গালীদের যত্রতত্র কমেন্ট এর ফলাফল? অনেক বাংলা নাম ব্যবহারকারী তাদের ফেসবুক আইডি হারিয়েছেন। বেশিরভাগেরই তাদের নাম বাংলা থেকে ইংরেজীতে করতে হয়েছে। আচ্ছা আপনারা এইখানে কি নিজের দেশের সম্বন্ধে বহির্বিশ্বের মানুষের কাছে খুব উঁচু একটা স্থান তৈরি করলেন? দেশের বাইরের অনলাইন কিছু মিডিয়াতে এটিকে স্পাম বলে গণ্য করা হয়েছে এবং বাঙ্গালী জাতিকে স্পামার বলা হয়েছে। জাতি হিসেবে আমরা অনেক সুনাম কুড়ালাম!! তাইনা? বছরের এই একটি দিন বাদে আর অন্য দিনগুলোতে আপনার দেশপ্রেম কোথায় যায়? সেইদিনগুলোতে তোহ কেও কোন স্ট্যাটাস দেন না? কেন ভাই? লাইক পাবেন না এই ভয়ে?
আবার ২১ শে ফেব্রুয়ারি আসলেই আমাদের ভাষার প্রতি দরদ উতলায় ওঠে কিন্তু অন্যান্য দিনগুলোতে সেই ভাষাকে আমরা বিকৃত করতে করতে রক্তাক্ত করে ফেলি। এই একটা দিনই হয়তো আমরা অনেকে বাংলা গান শুনি আর অন্যান্য দিনগুলিতে "বেবীডল" চলে বা ইংরেজী গান! বাংলার থেকে আমরা ইংরেজীতে কথা বলি বেশি। সেটা অনেকেই করে। আমি দোষ দিচ্ছি না তাদের। দোষ দিচ্ছি তাদেরকে যারা বাংলার মাঝে মাঝে দুই একটা করে ইংরেজী শব্দ ঢুকিয়ে দেয়। এটা নাকি আধুনিকতা! ধিক্কার এই আধুনিকতার। আর কেও যদি শুদ্ধ বাংলা বলার চেষ্টা করেন সকলের সাথে তাহলে সে হয়ে যায় "সেকেলে", "ক্ষ্যাত", "গেঁয়ো"। বাহ! আমরা আধুনিক হচ্ছি।
এইসব একদিনের দেশপ্রেম দেখানো বাদ দিন। এইগুলো দেশপ্রেম না স্বার্থপরতা! কেন বললাম এই কথাটা জানেন? আপনি এই ইভেন্ট করে আরো কয়েক লাখ লাইকের আশা যে মনে মনে করছেন না তা কিন্তু নয়। হুম, জাতীয় সংগীত গাওয়া অবশ্যই দেশপ্রেমের অংশ কিন্তু তার জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ রেকর্ড না গড়ে সেই টাকা দিয়ে যদি দেশের কিছু উন্নতি করা যেত তাহলে কি খুব খারাপ কিছু হয়ে যেত? বিশ্বরেকর্ড গড়ার নামে আর লোক দেখানো দেশপ্রেম দেখিয়েন না। যেদিন বিশ্বের সবথেকে বড় মানবপতাকা তৈরির রেকর্ড আমরা গড়লাম, সেইদিনই আমাদের পতাকাকে আমরা সবথেকে বেশি অপমান করেছিলাম বলে আমার ধারণা। কারণ সেইদিন সেই পতাকার অংশগুলো যেভাবে সকলের পদতলে পিষ্ট হয়েছিলো তাতে এইটা আলাদা করে বলে দেয়া লাগে না সেইটা আমাদের পতাকার প্রতি অসম্মান দেখানো। যেই পতাকা অর্জনের জন্য অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা, ৩০ লক্ষ নিরীহ বাঙ্গালী প্রাণ দিয়েছেন আর ২ লক্ষ মা বোন তাদের ইজ্জত হারিয়েছেন সেই পতাকাকেও আমরা অসম্মান করতে কুণ্ঠিত বোধ করি না। এই দেশপ্রেম দেশপ্রেম খেলা বন্ধ করুন। আমাদের এই পতাকা শুধুই পতপত শব্দে বাতাসে ওড়ার জন্যই এসেছে। আমার বা আপনার প্রোফাইল পিকচার হওয়ার জন্য নয়। আশাকরি সবাই বুঝতে পেরেছেন আমি কি বলতে চেয়েছি। নিজের মন থেকে মিথ্যা দেশপ্রেম হটিয়ে সত্যিকারের দেশপ্রেমে সকলকে উদ্বুদ্ধ করুন। তাতে আমাদের এই দেশ মাতৃকার যদি কিছুটা উন্নতি হয়।
|| লেখাটি সকলে কপি করে নিজেদের টাইমলাইনে শেয়ার করে আপনার ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা ভাইবোনদেরকে এই জঘন্য খেলা থেকে বিরত থাকতে আহবান জানান এবং লেখাটি শেয়ার করতে বলুন। আমার নাম দেয়ার দরকার নেই। শুধু দেশকে অকুণ্ঠ ভালোবাসার জায়গা থেকে এই আহবান, লাইক পাওয়ার জন্য নয়। ধন্যবাদ। ||
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৪৭
সিক্ত শিশির বলেছেন: ভাইয়া, অনেক কষ্ট লাগলো আজ এই জিনিসটা দেখে। তাই মনের সকল কষ্টকে কিবোর্ডের উপর দিয়েই চালিয়ে দিলাম!
২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৫৬
নতুন বলেছেন: এটা অবশ্যই লোকদেখানোর আর ঐ পেজের ভিজিটর বাড়ানোর কায়দা...
আমাদের দেশের জনগন ফেজবুকে,মিডিয়ায় বিরাট দেশপ্রেমিক...
কিন্তু যখন ঘুষ দিতে হয়... দূনিতি করলে লাভ হয়.. তখন সব ভুলে যায়...
রাজার বাড়ীর পুকুরে দুধের বদলে সবাই নিজে পানি নিয়েই আসতো..
দেশে যদি এতোই দেশপ্রমিক... লাখো/কোটি দেশপ্রেমিক তবে দেশে প্রশ্নপত্র ফাস হয়কেন...সব জায়গাতে দূনিতি কেন? ভ্যাজাল কেন?
এই ভন্ডামী থেকে বেরহতে হবে...
অনেক বাংলা নাম ব্যবহারকারী তাদের ফেসবুক আইডি হারিয়েছেন।
এইটা কখন হইলো?
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ২:১৩
সিক্ত শিশির বলেছেন: জ্বি ভাইয়া। এর জন্য আমাদের নিজ নিজ স্থান থেকে সচেতন হতে হবে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
আর আমার বেশ কিছু ফেসবুক বন্ধুর আইডি সেইদিনের পর থেকে আইডি ভেরিফিকেশন এর কবলে পড়ে এবং সকলের নাম ই বাংলায় লেখা ছিল।
৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৫৬
মি. ফেসবুকিস্ট বলেছেন: সহমত।
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ২:১০
সিক্ত শিশির বলেছেন: ভাইয়া সহমত হয়েই বা কি? সকলকে যাতে সহমত করা যায় সেই উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ শুরু করুন!
৪| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৪
আজকের বাকের ভাই বলেছেন: মানব পতাকার কারণে আমরা আজ গিনেস বুকে, অনেকেই সেই রেকর্ডের ভাগীদার হতে গিয়েছিল। জানিনা তাদের মনে কতোটুকু ভালবাসা ছিল, তবে মানতেই হবে, যারা পতাকা পেড়িয়ে এসেছিল তাদের প্রায় সবাই যুবক। আর তাদের অনেকেরই কাছে মহান দিনগুলো ফ্যাশনের নতুন মাত্রা যোগ করে।
কিন্তু কিছু মানুষতো আছে যারা আজও দেশকে ভালবাসে। এমন একটি ইভেন্ট আমিও তৈরী করেছি, কিন্তু লোক দেখাতে নয়। জুকার বার্কের ওয়ালে মতামত দেওয়া বাঙ্গালী ছাড়াও যে অনেক বাঙ্গালী আছে ত দেখানোর জন্য।
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫৩
সিক্ত শিশির বলেছেন: ভাই মানেন বা না মানেন এতে দেশের পতাকার কিন্তু যথেষ্ট পরিমাণ সম্মানহানি আমরা করেছি। আবার কি দরকার?
৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: সহমত
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৯
সিক্ত শিশির বলেছেন: ধন্যবাদ
৬| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২৫
নতুন বলেছেন: আপনা আপনার বন্ধু/ফলোয়ার দের প্রফাইলই দেখতে পাবেন...
তাহলে কিভাবে বিশ্ব দেখবে যে সব বাংলাদেশী তাদের প্রফাইলে পতাকা দিয়েছে?
কিভাবে ফেসবুক বুঝবে... আর ফেসবুকের বুঝেই কি লাভ?
কিভাবে এটা রেকড হবে?
এটা শুধু মাত্র আমাদের আবেগ নিয়ে খেলা... যেন পেইজে এই বিষয় নিয়ে লাইক/সেয়ার হয়... আর কিছুইনা..
যদি দেশপ্রমিক হয়ে থাকেন... তবে নিজে অন্যায় করা থেকে বিরত থাকুন...আপনার পাশের মানুষের উপকার করুন...
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২০
সিক্ত শিশির বলেছেন: ভাইয়া এইটা আমি আপনি বুঝলেও তাদের বুঝাবে কে?
৭| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪৯
নতুন বলেছেন: আর আমার বেশ কিছু ফেসবুক বন্ধুর আইডি সেইদিনের পর থেকে আইডি ভেরিফিকেশন এর কবলে পড়ে এবং সকলের নাম ই বাংলায় লেখা ছিল।
ভাইয়া বিদেশিদের খাইয়া দাইয়া আরো কাম কাজ আছে... এরা এই জিনিস নিয়া মাইন্ড কইরা আইডি ভেরিফিকেসেনর জন্য টানাটানি করবেনা...
৬বছরের বিদেশি কম্পানীতে ৭৫ দেশের মানুষের সাথে কাজের অভিঙ্গতায় বলতেছি... আইডি ভেরিফিকেসেনর সাথে কমেন্টের কোন সম্পক থাকতেে পারেনা..
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৪৫
অতঃপর জাহিদ বলেছেন: কি বলবো কিছু বলার নাই!