![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আয় সুখ তোর বুকে মাথা রেখে কাঁদি, ভোরের স্বপ্ন আমার ভেঙ্গেছে আলোর নদী। সুন্দর মদের চেয়েও ভয়ঙ্কর! [email protected]
টুশ, ঠাশ, ঠাশ,ঠাশ, বো-------মমমমম, আ: আ: আ:।
হ্যাঁ, সেই অগ্নিজ্বরা ১৯৭১ সালের কথা বলছিলাম, দীর্ঘ ৯ মাসের সেই অগ্নিতে শহীদ হয়েছে ৩০,০০০০০ নিবেদিত প্রান। পাক হানাদার বাহিনী যেদিন ঘোষনা দিয়েছিল যে রাষ্ট্রভাষা উর্দুÑই হবে, ঠিক সেদিন থেকে বাঙ্গালি প্রতিটি মানুষের মনে জন্ম হয় খোভের । এই খোভের পেছনে রয়েছে আরও বহুবিধ কারনও। নিরীহ গ্রাম, নিরীহ পথÑঘাট, নিরীহ মানুষের উপর অগ্নিধারী হয়েনা বাহিনীরা হামলা দিয়ে পুড়িয়ে দেয় তাদের সহায় সম্বল, পুড়িয়ে দেয় তাদের নবজাতক শিশু, পুরুষদের ধরে নিয়ে যায় নদ নদীর পাড়ে। পিছমুড়া ভাবে বেঁধে শুরু হয়ে যায় অকথ্য নির্যাতন, বেয়নেটের খোঁচা, কাউকে বুটের লাথি আবার কাউকে চড় - থাপ্পর এবং এই সব পুরুষের শেষ সমাধান হয় তাদের সেই অগ্নির ঠুশ,ঠাশ শব্দে। এরপর শুধু চোখ যায় নদÑনদি দিয়ে লাশ ভেশে যাওয়ার দৃশ্য। আর ওদিকে মা এবং মেয়েদের নিয়ে যাওয়া হয় তাদের সেই সু-সজ্জিত সেল ঘরে যেখানে চলে অকথ্য শারীরিক নির্যাতন (না বললেই চলে)। আবার, ওই সব সেল ঘরে নারিদের দুই ভাগে ভাগ করা হয়। এক হল ২৫ বছরের উপরে, আর দিত্বীয় হল ২৫ বছরের নিচে।২৫ বছরের উপরের গুলোকে অগ্নি দিয়ে হত্যা করে লাশ নদিতে বা পুঁতে ফেলত। আর ২৫ বছরের নিচের গুলোকে তাদের ব্যবঋত দাশী হিসেবে রাখত। আর চলত নির্যাতন আর নির্যাতন, ওই সব সেল ঘরে যে সব পুরুষদের নিয়ে যাওয়া হত, তাদের ওপর চলত নির্যাতন, তাদের জিঞ্জেশ করা হত,“মুক্তি ক্যাহা হে” যদি বলত জানি না, তাহলে শুরু হয়ে যেত আবারও নির্যাতন। এভাবে যে কত লোকই না শহিদ হয়েছেন, তার হিসাব নেই। আর ওদিকে চলত মুক্তিবাহীনিদের খোঁজা খোঁজি, যদি পেত তাহলে সরাসরি গুলি আর না পেলে তাদের সব বাড়ি ঘর পুড়িয়ে হাহাকার করে দিত। আমার ঘনিষ্ট এক মুক্তিযোদ্ধা বন্ধু এবং তার বাবা, তার বাবা ছিলেন তৎকালিন শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান, কিন্তু তার ছেলে একজন মুক্তিযোদ্ধা। সে এবং তার কিছু সাহসী যোদ্ধা বন্ধু পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর উপর আক্্রমন করে তাদের কিছু অস্ত্র,গোলা, বারুদ এবং কিছু যোদ্বের সরঞ্জামাদি লুট করে লুকিয়ে রেখেছিল। কিন্তু ক্রমে ক্রমে তার দুই বন্ধুও মারা পড়ল ওই সব পাকিস্তানি হায়েনার হাতে। কালক্রমে সেও ধরা পড়ে পাকিস্তানি হায়েনার হাতে সঙ্গে তার বাবা ও তার দশ বছরের একটি বোনও। ওই সব পাকিস্তানি হায়েনা ও রাজাকার দল তাদের বলল যে আমাদের লুট করা অস্ত্র কোথায় রেখেছিস বললে তোদের ছেড়ে দেব। এই বলে তারাও জানের ভয়ে দেখিয়ে দিতে গেল, দেখিয়ে দিল এবং মাটি খুরতে খুরতে তাদের সব অস্ত্র পেল এবং সাথে পেল সে তার বেনকে দেবে বলে রাখা একটি পুতুলও। তখন পাকিস্তানি ক্যাপ্টেন জিঞ্জেশ করল পুতুলটা কিসের জন্য এখানে রেখেছিস, আর সেই মুক্তিযোদ্ধা বলল আমার ছোট্ট ওই বোনটার জন্য, এবং ওই পুতুলটি দেওয়া হল তার ছোট বোনকে। এবার আমরা যায়? আর ক্যাপ্টেন বলল তোদের ছেড়ে দিলে তোরা আবার গর্জে ওঠবি। এবার মরার জন্য প্রস্তুত হও। এই কথা বলতেই ওই মুক্তিযোদ্ধা বলল আমার এই ছোট বোনটার কী হবে আমরা মরে গেলে, তখন ক্যপ্টেন বলল সে আমার ব্যাপার আমিই তাকে দেখাশোনা করব। সে আমাদের সাথে বড় হবে, আর থাকবে। হাহ............হাহ............হা। আর বড় ভাই মুক্তিযোদ্ধা দীর্ঘশ্বাস ফেলে তার ছোট বোনকে বলল যা বোন তাদের কাছে যা, আর তার বাবা বলল এ আমার পাপের ফল মা। আর মুক্তিযোদ্ধা যোদ্ধা কন্ঠে সে তার ছোট বোনের প্রিয় একটি গান ধরলঃ
ঘু ঘু এল পাড়া বেড়াল
বর্গি এল দেশে,
বুলবুলিতে ধান খেয়েছে খাজনা
দিবে কিসে?
এই বলতে বলতে তার ছোট বোন পুতুল টিকে জড়িয়ে ধরে হায়েনা দলের কাছে যেতেই বো...........মমমমম শব্দে বিকট এক আলোকছটা। দিনটি ছিল ১৬-ই ডিসেম্বার ১৯৭১ সাল।
হ্যাঁ সুনছিলাম, এক মুক্তিযোদ্ধা চাচার কাছ থেকে।
এখানে,
অগ্নি মানে, অস্ত্র বুঝানো হয়েছে, আর হয়েনা হল, পাকিস্তানি বাহীনি এবং আমাদের দেশের স্থানীয় রাজাকার
লেখক:- ইয়াছিন বিন আলম
©somewhere in net ltd.