![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মগবাজার রেলক্রসিং-সংলগ্ন যমুনা সিএনজি স্টেশনের মালিক মোস্তাফিজুল হক লিমনকে গুলি করার ২ দিনেও ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে আবারো সন্ত্রাসী হামলার আশংঙ্কায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন মোস্তাফিজুলের পরিবার। হামলার শিকার পরিবারের দাবী হামলাকারী দু’জন পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে, কিন্তু পুলিশ বলছে না।
মগবাজারের ইনসাফ হাসপাতালে আহত মোস্তাফিজুলের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, অদৃশ্য সন্ত্রাসী মুকুলের সহযোগী পরিচয়ে একজন দুই মাস আগে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে তার কাছে। তিনি চাঁদার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তখন মোবাইলে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয় তাকে। এই বিষয়ে তিনি রমনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি এবং সিএনজি ফিলিং স্টেশনের একাধিক মালিককে অবগতও করেছিলেন। তাছাড়া র্যাব-৩ কে লিখিত অভিযোগ করার পর বেশ কিছুদিন সন্ত্রাসীরা তার সাথে যোগাযোগ করেনি। হঠাৎ রোববার সেই পরিচয়ে তার কাছে আবার মোবাইল ফোনে ১০ লাখ টাকা বাড়িয়ে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে সন্ত্রাসীরা। ‘টাকা না দিলে ভীষণ ক্ষতি হয়ে যাবে’ এভাবেই তাকে মোবাইলে হুমকি দেয়া হয়। এর পর থেকে তিনি আতঙ্কিত হয়ে কারোরই ফোন রিসিভ করনেনি।
প্রতিদিনের মতো সকালে ছয় বছরের ছেলে আশিকুল হককে নিয়ে স্কুলে যাচ্ছিলেন তিনি। বেলা সাড়ে ১১টায় রাস্তার জ্যামে আটকে পড়ে তার নীল রঙের ছোট স্টারলেট গাড়িটি। হঠাৎ মটর সাইকেলে করে দু’জন আরোহী যুবক তাদের গাড়ির সামনের আধখোলা জানালায় মুখ রেখে বলেন, ‘কী মিয়া, ফোন করলে ধরেন না।’ বলতে বলতেই একজন গাড়ির সামনের জানালার কাঁচ ভেঙে মোস্তাফিজুলের শরীরের উদ্দেশ্যে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে। মোস্তাফিজুল তার ছেলেকে বাঁচানোর উদ্দেশ্যে আশিকুলের স্কুলের ব্যাগ দিয়ে গুলি আড়াল করতে চাইলেও তার পায়ের ঊরুতে গুলি লাগে। এর পরেই উধাও হয়ে যায় তাঁরা। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মোস্তাফিজুলকে উদ্ধার করে মগবাজারের ইনসাফ ডায়াগোনষ্টিক সেন্টার হাসপাতালে ভর্তি করেন পথচারীরা।
মোস্তাফিজুলের ভগ্নীপতি ওয়াহিদুর রহমান বলেন, একই সন্ত্রাসী গ্রুপ এই এলাকায় মাস দুয়েক আগেও মুকুলের সহযোগী পরিচয় দিয়ে দাবিকৃত টাকা না পেয়ে জেরিন ঝুনু এমপির ভবনের ট্রাভেলস ব্যবসায়ী এক ভাড়াটিয়ার গাড়িতেও গুলি চালিয়েছিল। ওই ঘটনার পর পরই তারা ট্রাভেলস ব্যবসায়ীকে গুলি করার উপমা টেনে চাঁদা দাবী করে মোস্তাফিজুলের কাছে। এই বিষয়ে তখন থানায় সাধারণ ডায়েরি করা সত্ত্বেও থানার পক্ষ থেকে কোনরুপ পদক্ষেপ না নেয়ায় সোমবার এই ঘটনা ঘটল বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
তিনি আরো জানান, মগবাজার এলাকার অধিকাংশ সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য হলো বাটার গলির শেষ প্রান্তে মোখলেস কমিশনারের (সাবেক) বাড়ির পাশের একটি ৭-৮ তলা পরিত্যক্ত নির্মাণাধিন ভবন। সকল অপরাধমূলক কর্মকান্ডের নীল নকশা হয় এখানে। আর এই বাড়ির ৩০০-৩৫০ গজের মধ্যেই সন্ত্রাসীরা গুলি করেছে মুস্তাফীজকে। তার ধারণা সন্ত্রাসীরা তাকে বাড়ি থেকেই অনুসরণ করে এই এলাকায় গুলি করে চম্পট দেয়। গুলির ঘটনায় রাতে রমনা থানায় একটি মামলা করা হয়। তিনি জানতে পেরেছেন এ ঘটনায় ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
কিন্তু মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরীফ বললেন ভিন্ন কথা। তিনি জানান, এ ঘটনারে সাথে জড়িত কাউকে এখনো আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:৪৫
আহসান হাবিব হীমূ বলেছেন: ++++ লিঙ্ক কই?