![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আলোচনার বিষয়টা হল ‘মেয়ে’ মানুষ। এই বয়সী ছেলেরা এক জায়গায় হলে সাধারণত যা হয় আরকি। মেয়েদের প্রসঙ্গ নিয়ে প্রত্যকের গল্পই সুজন শুনল। বিপত্তিটা ঘটলো তখন, যখন সুজন তার গল্পটা সবার সাথে শেয়ার করল।
-হা হা হা! সত্যিই তুই একটা কাপুরুষ!
সুজনের কলেজের বন্ধুরা সবাই একসাথে হেসে উঠল। সুজন ভেবে পায়না এতে কাপুরুষতার কি হল? সেদিন সুজনদের পাশের বাড়ীতে একটি মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। প্রতিবেশী হিসেবে সুজনের সেখানে তার যতটুকু দায়িত্ব ছিল তা যথাযথ ভাবে শেষ করে রাত সাড়ে বারটায় বাসায় ফিরে শুয়ে পড়ল। তার বেডরুম, রিডিংরুম বলতে ঐ একটাই রুম। যেখানে দরজায় শুধূ একটা পর্দা ঝোলান, কোন কপাট ছিলনা। বিয়ে বাড়ী থেকে কনের ছোট ষোড়শী বোনটি রাত দেড়টায় তার বেডরুমে হানা দিয়েছিল। মশারী তুলে মেয়েটি যখন সুজনের গায়ে স্পর্শ করল সুজনের ঘুম ছুটে যায়। আবছা আলো-আধারীতে সুজন চমকে উঠে। তার মুখ দিয়ে ভয়ার্ত কিছু একটা শব্দ বেড়িয়ে আসতে চাইছিল। মেয়েটি সুজনের মুখে হাত রাখে। বলে, ভয় পেওনা, আমি ...।
-তুমি? এত রাতে এখানে কেন?
-তুমি না খেয়ে চলে এলে যে?
-বাসায় খেয়ে নিয়েছি, তুমি যাও।
-একা যেতে পারবনা, ভয় করে।
-একা আসতে পারলে, যেতে পারবে না?
-তোমার কাছে একটু থাকি? ভালো লাগছে না।
এই মেয়ে বলে কি? দিনের বেলা মেয়েটা সব সময় ন্যাকামো করে; তাই বলে এত রাতে, এভাবে? না প্রশ্রয় দেয়া ঠিক হবেনা।
-চল তোমাকে পৌছে দিই।
সুজন উঠে পড়ে। মেয়েটি তার পিছু পিছু হাটতে হাটতে হঠাৎ থেমে যায়।
-চলনা নদীর ধারে যাই, কি সুন্দর জোছনা দেখেছো!
-আগে বাসায় চল।
-ধ্যাত, তুমি না ভীতুর ডিম!
-মারবো এক চড়। খুব বড় হয়ে গেছিস না?
মেয়েটিকে সুজন সেরাতে নিরাপদে বাসায় পৌছে দিয়েছিল। ব্যাস, এতে কাপুরুষতার কি হল?
-এই তোরা আমাকে কাপুরুষ বলছিস কেন?
-বা রে! মেয়েটা কেন এসেছিল তুই যদি বুঝতিস।
-দেখ, মেয়েটা খুব চঞ্চল। ও এখনো যথেষ্ট ছোট। জীবন সম্বন্ধে কিই বা বোঝে?
-আরে বোকা ওতো স্বেচ্ছায় এসেছিল, ওর প্রয়োজনে। তুই এমন সুযোগ হাতছাড়া করলি?
-শোন, ও ছোট মানুষ, ভুল করতেই পারে, আমিতো ওর মত অবুঝ নই? মানুষ কখনো কখনো দুর্বল হতেই পারে; ওর দুর্বলতার সুযোগ নেয়াটা কি বোকামী হত না?
-তোর আসলেই কোন সমস্যা আছে। জীপার খুলে দেখাতো দেখি, সব ঠিক আছে কিনা?
সুজন এবার রেগে যায়।
-আসলে আমি মনে হয় তোদের বন্ধু হওয়ার যোগ্য নই। মেয়েটা আমার ছোট বোনের বয়সী, সুযোগ পেয়েছি বলে আমি তার ক্ষতি করব? আর শোন, আমি আল্লাহকে ভয় পাই, নিয়মিত নামাজ পড়ি, আর নামাজ মানুষকে খারাপ কাজ করা থেকে বিরত রাখে, জানিসতো? হয়তো আমার নামাজই আমাকে অন্যায় করা থেকে বিরত রেখেছে। এটা যদি কাপুরুষতা হয় তবে, আমি কাপুরুষ হয়েই থাকতে চাই। আচ্ছা, তোরা আমার কেমন বন্ধু বলতো? খারাপ কাজ করতে উৎসাহ দিচ্ছিস? ভালো কাজের জন্য তিরস্কার করছিস? তোদের মন এত নোংরা আগেতো জানতাম না। তোদের সাথে আমি আর নেই। বাই।
সুজন উঠে চলে যেতে উদ্যত হয়। বন্ধুদের থেকে একজন দাঁড়িয়ে সুজনের হাতটা ধরে ফেলে।
-রাগ করিস না দোস্ত। আমি আছিতো তোর দলে; তোর মত কাপুরুষ বন্ধুই আমার চাই।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:২৪
ইসমাইল আব্দুল্লাহ বলেছেন: আজকাল এসব ’কাপুরুষ’ দের দাম নাই। সবাই আছে পুরুষ হওয়ার ধান্দায়। আবার এরাই সমাজের তথা কথিত নারীবাদি।