নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার জন্য একমাত্র আল্লাহ পাকই যথেষ্ঠ........
ডিজিটাল সরকারের এ কেমন মাস্তানী এনালগ প্রচারণা..?
নজিরবিহীনভাবে রাতারাতি ঢাকা শহরের বিলবোর্ডগুলো দখল হয়ে গেছে। এসব বিলবোর্ড ভাড়া নিয়ে এত দিন যেসব প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন প্রচারিত হয়ে আসছিল, সেগুলো ঢেকে ফেলে এখন শোভা পাচ্ছে সরকারের সাড়ে চার বছরের উন্নয়নের চিত্র।
আওয়ামীলীগে সরকার গত সাড়ে ৪বছরে যে দূর্নীতি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েছে তাতে জনগণ যে অতিষ্ঠ হয়ে গেছে তা ৫ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভরাডুবিতেই বুঝাই গেছে...
এখন সরকারের মাস্তানীর উদ্ভট ও হাস্যকর চিন্তায় সাধারন মানুষ লোকসান গুনছে। যা ভবিষ্যতে ভাল ফল বয়ে আনবে না।
উত্তরা থেকে শুরু করে বনানী, ফার্মগেট, শাহবাগ থেকে মতিঝিল—ব্যস্ততম সব জায়গায় বিলবোর্ড দখল হয়ে গেছে। এর বেশির ভাগই সিটি করপোরেশনের বিলবোর্ড।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ বিলবোর্ড মালিক সমিতির একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের সমস্যা হচ্ছে, বড় বড় প্রতিষ্ঠান, যারা এই বোর্ডগুলো আমাদের কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছে, তারা ফোন করে বলছে, ‘বিলবোর্ডে আমাদের প্রিন্ট কোথায়? আমরা এত কিছু বুঝি না। আমাদের কোম্পানির বিজ্ঞাপন না ঝুললে আপনারা টাকা পাবেন না। তাই ঈদের আগে কর্মচারীদের বেতন দিতে পারছি না।’
বিলবোর্ড গুলিতে যা আছে:
১. বিষয়ভিত্তিক সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের ফিরিস্ত তুলে ধরা হয়েছে।
২. বিলবোর্ডে ‘উন্নয়নের অঙ্গীকার, ধারাবাহিকতা দরকার...’ লিখে বিভিন্ন উন্নয়নের কথা তুলে ধরা হয়েছে।
৩. সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য এই সরকারকে আবার ক্ষমতায় আনার অনুরোধ করা হয়েছে।
সরকার যদি এভাবেই নিজেই মাস্তানী করে অন্যের প্রচারনার বিলবোর্ডে দখল করে তা হলে সাধারন জনগন যাবে কোথায়, কার কাছে তার সমস্যার কথা জানাবে সমাধানের জন্য। কে এই বিজ্ঞাপনের জন্য ভাড়া করা বিলবোর্ডের লোকসান গুনবে।
সরকার যদি দেশের এতোই উন্নয়ন করে থাকে তাহলে কেন লোক চুক্ষুর সামনে এমন দখল মাস্তানী করে অন্যের বিলবোর্ডে প্রচারণা চালাতে হবে। আর কোন কি সুন্দর ও ভালো পন্থা নাই...? আসল কথা হলো আওয়ামীলীগ উন্মাদ হয়ে গেছে একেরপর এক ভুল করেই যাচ্ছে। ভুগছে সাধারণ মানুষ।
অন্যদিকে এত বড় একটি ঘটনার দায়িত্ব প্রকাশ্যে কেউ স্বীকার করছে না। আওয়ামী লীগ ও সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে কেউ কিছু জানেন না বলছেন। বিলবোর্ড নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ঢাকা সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারাও কিছু বলতে পারেননি।
আর আওয়ামীলীগের হাইব্রিড নেটা ও যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হানিফ বলেন এই প্রচারনায় নাকি বিএনপি'র গাত্রদাহ হচ্ছে।
কতটা রাজনৈতিক ভাবে দেউলিয়া হলে এই রকম হাস্যকর ও মাস্তানী টাইপ কথা ও কাজ করতে পারে একবার ভাবা দরকার।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ সরকারের নেতা মন্ত্রীরা বলে তাদের অধীনে সাধারণ নির্বাচন হলে নাকি ফেয়ার হবে। এই দখল মাস্তানীতেই বুঝা যায় আসলে এরা কি করবে আগামী সাধারণ নির্বাচন তাদের অধীনে হলে। কারণ এখনইতো এই বিলবোর্ডের মালিকরা এই দখল মাস্তানীর বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারছে না।
আমরা সাধারণ জনগন চেয়ে চেয়ে দেখছি আর একদিনের রাজা হবো সেইদিন আওয়ামীলীগ সরকারকে উস্টা মারবো।
ধন্যবাদ
লেখনির সূত্রঃ
Click This Link
২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৮
প্রকৌশলী রিয়াদ হাসান চৌধুরী বলেছেন: আওয়ামীলীগ গভমেন্ট যে গত ৪ বছরে উন্নতি করেছে এ কথা আস্বীকার করার উপায় নেই। তবে বিলবোর্ডে প্রচারের আগে অনুমতি নিলে আরো ভাল হত।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:২৭
ঢাকাবাসী বলেছেন: এখন ক্ষমতা হারানোর দুশ্চিন্তায় এদের নেত্রীসহ আম্লীঘের সবগুলো উন্মাদ হয়ে পড়েছে। শ'পাচেক বিলবোর্ড গায়ের জোরে দখল করে ঢাকার লাখ খানেক ভোট হারাল সেটা এদের মাথাতেই নেই! যাদের প্রচার বোর্ডগুলো দখল হলো যেমন গ্রামীন ফোন, পারটেক্স, প্রথম আলো, মেঘনা গ্রুপ ইত্যাদি তারা কি আর এই দখলদারদের ভোট দিবে?