নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার জন্যএকমাত্র মহান আল্লাহ পাকই যথেষ্ঠ.....

জহির উদদীন

আমার জন্য একমাত্র আল্লাহ পাকই যথেষ্ঠ........

জহির উদদীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্মার্টফোন পর্দা: কোনটা কী?

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৩২

স্মার্টফোন এখন অনেকের হাতেই।আর স্মার্টফোন মানেই টাচস্ক্রিন। স্পর্শের মাধ্যমে এ হ্যান্ডসেটগুলো ব্যবহার করতে হয় বলে স্মার্টফোনের পর্দা বা ডিসপ্লের প্রতি নজর দেওয়া বিশেষ প্রয়োজন। মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের স্মার্টফোনে বিভিন্ন প্রযুক্তির যেসব ডিসপ্লে ব্যবহার করে থাকে, সেগুলোর কোনটি কী—তা নিয়ে এ প্রতিবেদন।

টিএফটি এলসিডি ডিসপ্লে

মোবাইল ফোনে সবচেয়ে বেশি যে প্রযুক্তির ডিসপ্লে ব্যবহূত হয়, সেটি হলো টিএফটি এলসিডি। এটি থিন ফিল্ম ট্রানজিস্টর লিকুইড ক্রিস্টাল ডিসপ্লে, যা ছবিকে বেশি নিখুঁতভাবে দেখানোর জন্য থিন ফিল্ম ট্রানজিস্টর ব্যবহার করে। আগের এলসিডি ডিসপ্লের মোবাইল ফোন থেকে বেশি মানসম্পন্ন ছবি এবং উচ্চ রেজ্যুলেশনের ভিডিও দেখা যায় এতে। তবে সরাসরি বেশি আলোয় বা সূর্যালোকে এর পর্দায় ছবি দেখতে বেশ অসুবিধা হয়। তা ছাড়া এই ডিসপ্লেতে ব্যাটারির চার্জও বেশ দ্রুত শেষ হয়। এ প্রযুক্তির ডিসপ্লে তৈরিতে খরচ অনেক কম।তাই কম ও মাঝারি দামের সেটগুলোতে এ ধরনের ডিসপ্লে ব্যবহার হয়।



আইপিএস এলসিডি ডিসপ্লে

আইপিএসের পূর্ণরূপ হলো ইন-প্লেন সুইচিং। এটি টিএফটি এলসিডির তুলনায় উন্নত ডিসপ্লে প্রযুক্তি। এর পর্দায় যেকোনো দিক দিয়ে তাকালে মোটামুটি পরিষ্কার ছবি দেখা যায় এবং ছবি ও ভিডিও দেখতে অনেক বেশি শক্তির প্রয়োজন হয় না। তাই ব্যাটারি খরচও কম এতে। এটি সাধারণ এলসিডি থেকে বেশি দামের বলে বেশি দামের স্মার্টফোনে ব্যবহার করা হয়।



রেজিসটিভ টাচস্ক্রিন ডিসপ্লে

এ প্রযুক্তিতে টাচস্ক্রিনের পর্দায় দুটি স্তর থাকে। প্রথম ও দ্বিতীয় স্তরের মাঝে একটি ফাঁকা স্থান থাকে। যখন এর প্রথম স্তরে চাপ দেওয়া হয়, মাঝের ফাঁকা অংশটি বেঁকে গিয়ে দ্বিতীয় স্তরে চাপ প্রয়োগ করে এবং যন্ত্রের প্রসেসরে সংকেত পাঠায়। আর এভাবেই কাজ করে এই রেজিসটিভ টাচস্ক্রিন। আঙুল অথবা স্টাইলাস দিয়ে স্পর্শ করে এটি ব্যবহার করা যায়। তবে স্টাইলাস ব্যবহারের জন্য এই পর্দা বেশিউপযোগী।



ক্যাপাসিটিভ টাচস্ক্রিন ডিসপ্লে

আঙুলের স্পর্শের মাধ্যমে কাজ করার জন্য রেজিসটিভ টাচস্ক্রিনের চেয়ে বেশিআরামদায়ক ডিসপ্লে প্রযুক্তি হলো ক্যাপাসিটিভ টাচস্ক্রিন। এর পর্দায় আঙুল দিয়ে স্পর্শ করার সঙ্গে সঙ্গেই একটি ইলেকট্রোস্ট্যাটিক ফিল্ড তৈরি হয় এবং দ্রুত প্রসেসরে সংকেত পৌঁছানোর মাধ্যমে এটি কাজ করে। ক্যাপাসিটিভ টাচস্ক্রিন সাধারণত বেশি দামের আধুনিক স্মার্টফোনে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে আঙুল ছাড়া অন্য কিছু দিয়ে স্পর্শ করে এটি ব্যবহার করা যায় না।



ওএলইডি ডিসপ্লে

ওএলইডি হলো অরগানিক লাইট-এমিটিং ডায়োড ডিসপ্লে। মোবাইল ফোন এবং মনিটরে ব্যবহূত আধুনিক প্রযুক্তির ডিসপ্লে এটি। এই প্রযুক্তির ডিসপ্লে অনেক উজ্জ্বল, বিভিন্ন কৌণিক দিক থেকে সহজেই দেখা যায় এবং বেশ হালকা। ওএলইডি ডিসপ্লে ১৬ মিলিয়ন রং সমর্থন করে এবং এর পর্দায় স্পর্শ করার সঙ্গে সঙ্গে এটি খুব দ্রুত কাজ করে। এতে ছবি ও ভিডিও দেখতে কম শক্তির প্রয়োজন হয়, ফলে ব্যাটারি খরচও কম হয়।



অ্যামোলেড ডিসপ্লে

অ্যামোলেড হলো অ্যাকটিভ-ম্যাট্রিকস অরগানিক লাইট-এমিটিং ডায়োড। এটি মোটামুটি ওএলইডি ডিসপ্লের মতোই। এই ডিসপ্লের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, আপনি বেশি অন্ধকার আলো কিংবা সূর্যের আলোতেও কোনো সমস্যা ছাড়াই পরিষ্কার দেখতে পারবেন। ওএলইডি পর্দার মতোই এর ডিসপ্লেতেও ছবি অনেক উজ্জ্বল দেখা যায়। এর পর্দাও অনেক বেশিসংবেদনশীল। এ ধরনের ডিসপ্লে নির্মাণের খরচ বেশি হওয়ায় ব্যয়বহুল স্মার্টফোনে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।



সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে

অ্যামোলেড ডিসপ্লের আরও আধুনিক সংস্করণ হলো সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে। মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্যামসাং অ্যামোলেড ডিসপ্লের আদলেই এটি তৈরি করেছে। স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি স্মার্টফোনগুলোতে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। এই ডিসপ্লে সবচেয়ে হালকা ডিসপ্লে। এটি অ্যামোলেড ডিসপ্লের প্রায় সব সুবিধাই ধারণ করে। এটি অ্যামোলেড ডিসপ্লের চেয়েও বেশি উজ্জ্বল, শক্তি সঞ্চয়ী ও স্পর্শ করলে সবচেয়ে দ্রুত সাড়া দিতে পারে।



রেটিনা ডিসপ্লে

রেটিনা ডিসপ্লে স্মার্টফোনের পর্দার একটি সর্বাধুনিক সংস্করণ, যা আইপিএস এলসিডি ও ব্যাকলিট এলইডির সমন্বয়ে তৈরি। এটি মূলত আইফোন নির্মাতা অ্যাপল কম্পিউটারের উদ্ভাবন। তাই এই ডিসপ্লে শুধু আইফোনে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর ডিসপ্লের রেজ্যুলেশন অত্যন্ত উচ্চ (৬৪০ x ৯৬০ পিক্সেল)। এর নাম দেওয়া হয়েছে রেটিনা ডিসপ্লে। কারণ, মানুষের সাধারণ চোখ দিয়ে পিক্সেলগুলোকে আলাদা করে বোঝা সম্ভব নয়। যার ফলে এ ডিসপ্লেটি অত্যধিক তীক্ষ এবং ছবি ও ভিডিও দেখা যায় খুবই স্পষ্ট।



হেপটিক টাচস্ক্রিন ডিসপ্লে

মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নকিয়া ও ব্ল্যাকবেরি তাদের স্মার্টফোনগুলোতে ব্যবহার করছে হেপটিক প্রযুক্তির টাচস্ক্রিন। এ প্রযুক্তি ডিসপ্লেতে স্পর্শ করলে তা নিখুঁতভাবে শনাক্ত করে এবং সে অনুযায়ী কাজ করে। মোবাইল ফোনে লেখার ক্ষেত্রে নির্ভরতা, দ্রুত, অপেক্ষাকৃত সহজ ও আরামদায়ক হওয়ায় মোবাইল ফোন বাজারে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে হেপটিক টাচস্ক্রিন।



গরিলা গ্লাস ডিসপ্লে

গরিলা গ্লাস হলো অ্যালকালি-অ্যালোমিনোসিলিকেট যৌগের তৈরি এক ধরনের শক্ত ও মজবুত ডিসপ্লে, যা স্মার্টফোনের পর্দাকে দাগ, আঁচড়, ঘষা-মাজা এমনকি হাতুড়ির শক্ত আঘাত থেকেও রক্ষা করবে। বর্তমানে অধিকাংশ মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান তাদের বেশির ভাগ স্মার্টফোনে গরিলা গ্লাস ব্যবহার করছে।



সূত্রঃ

Click This Link

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:১১

ঢাকাবাসী বলেছেন: অনেক কিছু জানলুম, শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৮

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: ধন্যবাদ ।

৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৪

ম্যাংগো পিপল বলেছেন: অনেক কিছু জানলুম, শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.