![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দয়া করে আমার কোন লিখা অনুমতি ছাড়া কপি করবেন না। আর আমার আর্টিকেল এর সাথে আমার নাম উল্লেখ করবেন যদি কোথাও শেয়ার করতে হয়। আইন বিষয়ে লিখতে গিয়ে আমার সাহিত্য নিয়ে লিখার দক্ষতা চলে আসে। মুসলিম আইন পড়তে গিয়ে আমি পবিত্র কুরআনের বাংলা অনুবাদও পড়তে শুরু করি সে সাথে হিন্দু আইনের উৎস জানতে গিয়ে বেধ, রামায়ণের অংশ পড়ি। কিন্তু নিন্দুকেরা বলে, আইনে পড়া মানেই মিথ্যা কথা বলবে। আজ পর্যন্ত আইনের বইগুলোতে তো কোন মানুষের নিজের কথা বা যুক্তি দেখলাম না। শুধু নিয়ম আর নিষেধ দেখলাম। তাহলে নিন্দুকেরা কেন এসব বলে। আমি বলি, “অজ্ঞতাই মূর্খতার শামিল”। তাই আসুন এসব মূর্খদের পরিহার করে চলি ও তাদের সাথে তর্ক না করি। কারণ “তর্কে জিতার সব চেয়ে বড় কৌশল হল তর্ক না করা”-(ডেল কার্নেগী)। কি আর করা, ভবিষ্যতের কথা ভেবে ভেবে দিন কাটানো। আইনের ছাত্র হিসেবে দেশের সাধারণ ও নিম্মবিত্ত মানুষের কাছাকাছি অবস্থান করে তাদের জীবন মান উন্নয়নে নিজেকে নিবেদিত করা আর দেশের আইন ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করার সপ্ন। ছোট কাল থেকেই যখন অন্যায়, অত্যাচা্র, অবিচার দেখে দেখে নিজের চোখের পানিও ধরে রাখতে পারতাম না তখন থেকেই সিধান্ত নিলাম লড়ে যাব...................
বার বার বিভিন ধর্মাবলী মানুষের উপর আঘাত হানার জন্য মূলত সরকারই দায়ী। কারণ যেহেতু এতো বার এই সব ঘটনা ঘটার পরেও সরকার তাঁদের নুন্যতম নিরাপত্তা দিতে পারছে না। সরকার ও তার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি বিভিন্ন ধর্মাবলীদের ঠিকমত নিরাপত্তা দিতে না পারে তবে সন্ত্রাসীদের তো আর দমিয়ে রাখা সম্ভব না। আর শুধু ভোট পাওয়ানোর জন্য গণহারে জড়িত অজড়িতদের গ্রেফতার করলেই কি এইসব সহিংসতা বন্ধ হয়ে যাবে? যাবে না। বরং এর জন্য সরকারকে সমস্যা সমূলে উৎপাটন করতে হবে। শুধু অসাম্প্রদায়িকতার ধোঁয়া তুলে আর কয় দিন অন্যান্য ধর্মাবলীদের সুনজর পাওয়া যাবে, জানি না। তাঁরাও আপানদের এই সব লোক দেখানো ভালবাসার উপর বিরক্ত। আরে বুঝেন না কেন! আগে ভাগে নিরাপত্তা নিয়ে ফেললে তো পরে ইস্যুটা নিয়ে রাজনীতি করা যাবে না আমাদের অসাম্প্রদায়িক চেতনার নেতাদের। মাঝখান থেকে নিরীহ ও সাধারণ মানুষরা ধর্মের পরিচয়ে আগুনে পুরে মরে কিন্তু তাঁদের নিয়ে রাজনীতি বন্ধ হয়না। সর্বশেষ অভয়নগরে হিন্দু ধর্মাবলীদের ওপর হামলার ঘটনায় ধূম্রজাল সৃষ্টি করে সুবিধাবাদীরা। অথচ জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন তাঁদের jজান মালের নিরাপত্তার ব্যবস্থা না নিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়ে রাজনীতি শুরু করে দিলেন। পত্রিকা মারফত জানা যায়, অভয়নগরের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের থেকে জানা গেছে, জাতীয় সংসদের হুইপ শেখ আবদুল ওহাব এবার দলীয় মনোনয়ন পাননি। মনোনয়ন পেয়েছেন বাঘারপাড়ার অধিবাসী রণজিত রায় এমপি। এ নিয়ে এক মাস ধরে ওই দুই নেতার সমর্থকদের মধ্যে চলছে প্রকাশ্যে সংঘর্ষ ও সহিংসতার ঘটনা। তাই আসল ঘটনা কি হতে পারে তা আর বুঝার বাকী থাকে না। আর নন্দ ঘোষ তো আছেই, তাই ক্ষমতাসীন দলের উপর কোন দায় বর্তায় না। তাই প্রকৃত সমস্যা সমাধান না করে নন্দ ঘোষকে নিয়ে ব্যাস্ত থাকা মানে ভবিষ্যৎ ধর্মীয় উম্মাদনায় আরও উস্কানি দেওয়া নয় কি? আবার যারা এই সব করল এরা কোন দলেরই হতে পারে না। আর ইসলামের নামে যারা এসব করে এরা তো ধর্মই বুঝে না। আমরা মায়ানমার কিংবা ভারত না যে তাদের পথ অনুসরণ করব। অনেকে ভুক্তভোগীদের নিরাপত্তা ও সাহায্য নিয়ে চিন্তা না করে বরং এটা নিয়ে এবার বিজনেস শুরু করে দিয়েছে। আর এসব করছে মুসলিম নামধারী কিছু ক্যারিয়ারিস্ট। জাহিদ হোসেন, চবি
©somewhere in net ltd.