নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ জাহিদ হোসেন

জাহিদহোসেন

দয়া করে আমার কোন লিখা অনুমতি ছাড়া কপি করবেন না। আর আমার আর্টিকেল এর সাথে আমার নাম উল্লেখ করবেন যদি কোথাও শেয়ার করতে হয়। আইন বিষয়ে লিখতে গিয়ে আমার সাহিত্য নিয়ে লিখার দক্ষতা চলে আসে। মুসলিম আইন পড়তে গিয়ে আমি পবিত্র কুরআনের বাংলা অনুবাদও পড়তে শুরু করি সে সাথে হিন্দু আইনের উৎস জানতে গিয়ে বেধ, রামায়ণের অংশ পড়ি। কিন্তু নিন্দুকেরা বলে, আইনে পড়া মানেই মিথ্যা কথা বলবে। আজ পর্যন্ত আইনের বইগুলোতে তো কোন মানুষের নিজের কথা বা যুক্তি দেখলাম না। শুধু নিয়ম আর নিষেধ দেখলাম। তাহলে নিন্দুকেরা কেন এসব বলে। আমি বলি, “অজ্ঞতাই মূর্খতার শামিল”। তাই আসুন এসব মূর্খদের পরিহার করে চলি ও তাদের সাথে তর্ক না করি। কারণ “তর্কে জিতার সব চেয়ে বড় কৌশল হল তর্ক না করা”-(ডেল কার্নেগী)। কি আর করা, ভবিষ্যতের কথা ভেবে ভেবে দিন কাটানো। আইনের ছাত্র হিসেবে দেশের সাধারণ ও নিম্মবিত্ত মানুষের কাছাকাছি অবস্থান করে তাদের জীবন মান উন্নয়নে নিজেকে নিবেদিত করা আর দেশের আইন ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করার সপ্ন। ছোট কাল থেকেই যখন অন্যায়, অত্যাচা্‌র, অবিচার দেখে দেখে নিজের চোখের পানিও ধরে রাখতে পারতাম না তখন থেকেই সিধান্ত নিলাম লড়ে যাব...................

জাহিদহোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুলাংগার

৩১ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৫:০২

ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে সব চেয়ে পবিত্র স্থান বলা হয়ে থাকে মসজিদ মন্দিরকে। আর সব চেয়ে অপবিত্র স্থান বলা হয়ে থাকে বাজারকে। কারণ যত রকমের হারাম-অশ্লীল আর চুরি বাটপারি সবই হয়ে থাকে বাজারে।

একই ভাবে কোন দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষার স্থান বা সর্বশেষ বিবেক তৈরির কারখানা বলা হয়ে থাকে সেই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে।

কিন্তু সেই স্থান গুলোকে কিছু জন্মপাপী বাজারের মতই অপবিত্র করে ফেলে চুরি, লুটপাট আর নারী কেলেংকারীতে।

জন্মপাপী মানে হল যেখানে তার বাবা মাও জানতেন না তাঁরা কেমন সন্তান পৃথিবীতে নিয়ে আসছেন। তাঁরাও কখনো চান নি এমন কুলাংগার এই ধরণীর বুকে এসে কলংকিত করুক তাদের নাম। তাই এরা জন্মগত ভাবেই পাপী।

তখন রাত ১২ টা ৩০ কি ৪০ বাজে। অচেনা একটা নাম্বার থেকে কল আসে। ওপাসে একটা পুরুষ কন্ঠই কাঁদতে কাঁদতে বলে বন্ধু, আমার সব শেষ। আমি কোন দলও করি না, আশে পাশেও নাই। কিন্তু আমার এতো দিনের এত কষ্টের তিল তিল করে জমানো টাকায় কেনা ল্যাপটপটা শালারা রুম চেক আপের নামে চুরি করে নিয়ে গেল!

আমার মোবাইল, আমার মানি ব্যাগে থাকা খাওয়ার টাকাটা পর্যন্ত এরা কেড়ে নিয়ে গেছে! এখন আমি কি করব! বাড়ীতে টাকা পাঠাব কি করে! আমি চুপ করে শুনে যেতে লাগলাম।

সে আরো বলে যেতে লাগল, সারা দিন কষ্ট করে ২/৩ টা টিউশনি করে মাত্র ১ মাস হল ল্যাপটপটা নিলাম। তাও ১২,০০০ টাকা ধার করে। এর উপর প্রতি মাসে বাসায় টাকা পাঠাতে হয়। শালাদের পায়ে ধরেও নিস্তার পাই নি। সব নিয়ে গেছে। এমন কি পরার জুতাও বাদ যায় নি!......

শেষে আমি শুধু বললাম ধৈর্য ধর, বিচার পাবি না। আল্লাই এর প্রতিদান দিতে পারে।

কল কেটে যাওয়ার পর আমার চোখে পানি জমতে শুরু করল।

আমি জানি ছেলেটা কতটা, কতটা কষ্ট করে কম খেয়ে না খেয়ে ৩ টা বছর একটু একটু করে টাকা জমিয়ে এই সাধের মেশিন খানা কিনেছে। শুধু সাধ না বিজ্ঞানের ছাত্র বলে এখন তার পড়াশুনা আর গবেষণাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে অনেক। সামনের মাসেই তার মাস্টার্স শেষ, পরীক্ষা চলছে। আর হল ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল।

তার সেই কষ্টার্জিত ল্যাপটপ বিক্রির টাকা দিয়ে কুলাংগারগুলো আরও একটি রাত মেয়ে আর মাল নিয়ে পড়ে থাকবে নিজেদের ভেতর ভাগাভাগি করে।

অপ্রিয় কিন্তু সত্য, প্রতিদিন এমন কুলাংগারদের সাথেই আমরা একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করছি। যারা নাকি ছাত্র রাজনীতির দন্ডধারী, একদিন তারা হবে এই দেশের মন্ত্রী এমপি......

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.