![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দয়া করে আমার কোন লিখা অনুমতি ছাড়া কপি করবেন না। আর আমার আর্টিকেল এর সাথে আমার নাম উল্লেখ করবেন যদি কোথাও শেয়ার করতে হয়। আইন বিষয়ে লিখতে গিয়ে আমার সাহিত্য নিয়ে লিখার দক্ষতা চলে আসে। মুসলিম আইন পড়তে গিয়ে আমি পবিত্র কুরআনের বাংলা অনুবাদও পড়তে শুরু করি সে সাথে হিন্দু আইনের উৎস জানতে গিয়ে বেধ, রামায়ণের অংশ পড়ি। কিন্তু নিন্দুকেরা বলে, আইনে পড়া মানেই মিথ্যা কথা বলবে। আজ পর্যন্ত আইনের বইগুলোতে তো কোন মানুষের নিজের কথা বা যুক্তি দেখলাম না। শুধু নিয়ম আর নিষেধ দেখলাম। তাহলে নিন্দুকেরা কেন এসব বলে। আমি বলি, “অজ্ঞতাই মূর্খতার শামিল”। তাই আসুন এসব মূর্খদের পরিহার করে চলি ও তাদের সাথে তর্ক না করি। কারণ “তর্কে জিতার সব চেয়ে বড় কৌশল হল তর্ক না করা”-(ডেল কার্নেগী)। কি আর করা, ভবিষ্যতের কথা ভেবে ভেবে দিন কাটানো। আইনের ছাত্র হিসেবে দেশের সাধারণ ও নিম্মবিত্ত মানুষের কাছাকাছি অবস্থান করে তাদের জীবন মান উন্নয়নে নিজেকে নিবেদিত করা আর দেশের আইন ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করার সপ্ন। ছোট কাল থেকেই যখন অন্যায়, অত্যাচা্র, অবিচার দেখে দেখে নিজের চোখের পানিও ধরে রাখতে পারতাম না তখন থেকেই সিধান্ত নিলাম লড়ে যাব...................
তখন ছিল শীতকাল। রোজ সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে এলাকার পুরাতন মিনার বিল্ডিংয়ের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতাম অপেক্ষায়। কুয়াশার আবছা আবছা আলোতে দেখা যেত সুজনা হেঁটে আসছে বুকে কিছু খাতা বই জড়িয়ে। সম্ভত কোচিং কিংবা প্রাইভেট পড়তে।
.
আমি তার সামনে গিয়ে যাব যাব বলেও আর যেতে পারিনি। শুধু সে কোচিং এ যাওয়ার সময় আমি মিনার বিল্ডিং এর পিছনে গিয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে তাকে দেখে যেতাম। এইভাবে পুরো শীতটাই কেটে গেল। তবুও সুজনার সাথে বন্ধুত্ব তো দূরের কথা, কখনো তার সাথে পরিচয়ও হলো না।
.
এরপর দীর্ঘ দিন তাকে আর দেখিনি। অনেক খুঁজেছি এদিক সেদিক। কিন্তু কোন হদিস পেলাম না। শীতের প্রথম সকালগুলোতে দেখতে পাওয়া মেয়েটি শীত শেষ হওয়ার সাথেই বুঝি হারিয়ে গেল। এরি মধ্যে দুটি বছর কেটে যায়। সুজনার চেহারাও কুয়াশার মত আবছা আবছা মনে পড়ত।
.
স্কুলের গন্ডী পেরিয়ে সবে মাত্র নতুন কলেজে ভর্তি হলাম। ক্লাস চলছে পুরোদমে। হঠাৎ একদিন লক্ষ্য করলাম সুজনা আমাদের কলেজের বারান্দায় দাঁড়িয়ে কার সাথে যেন কথা বলছে! হাঁ, এইটা তো সেই সুজনা না যার জন্য স্কুল লাইফে তীব্র শীত উপেক্ষা করে অপেক্ষা করতাম?
.
ঠিক এমনি সময় আমাদের একাউন্টিং স্যার এসে আমাকে ধমক দিয়ে বলল, আমি এখানে একা একা কি করছি, উনি ক্লাসে যাচ্ছেন। বললেন ক্লাসে ঢুকতে। তরিঘরি করে ক্লাসে যাওয়ার ফাঁকে আঁড় চোখে আবার বারান্দার দিকে একবার তাকালাম। কিন্তু দেখি কেউ নেই সেখানে। ক্লাস চলছে..। মনে মনে বার বার ভাবতে লাগলাম সত্যিই কি আমি সুজনাকে দেখেছি নাকি অবচেতন মনে তা আমার কল্পনায় ভেসে উঠেছিল মাত্র!
.
সেই দিন রাতে আর ঘুমাতে পারলাম না ভেবে ভেবে। জানি না আবার কেন সব এলোমেলো হয়ে যেতে লাগল। এরপর কলেজের কোন কোন মেয়েকে পাশ থেকে দেখলে হঠাৎ মনে হত, এই তো বুঝি সুজনা। এখনই দৌড়ে গিয়ে তার সাথে কথা বলি, বন্ধুতের হাত বাড়িয়ে দি। না হয়ত আবারও হারিয়ে ফেলব.......
.
বালকদের স্কুল লাইফের সেই সুজনাদের আর ফিরে পাওয়া যায় না। কিন্তু এক সময় হয়ত ঠিকই সুজনার হয়ে অন্য কেউ তাদের নিজ জীবনের সাথে জড়িয়ে যায় বিবাহ নামক বন্ধনে। বড় আহ্লাদ করে তারা সুজনাকেই তাদের ঘরণীর ভেতর খুঁজে পায়... এই সুজনা কোন মানবী নয়, এটা একটা কাল্পনিক সত্ত্বা মাত্র। লেখক: জাহিদ হোসেন
©somewhere in net ltd.