![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রম্যর ইদানিং ফেসবুকের প্রতি খুব নেশা। সবসময় ফেসবুকে পড়ে থাকে। কিন্তু ফেসবুকে আড্ডা দেওয়ার মতো মেয়ে বন্ধু নাই তার। নামের প্রথম অক্ষর দিয়ে খুঁজতে থাকে মেয়েদের নাম। কয়েকদিন চেষ্টার পর অবশেষে পেয়ে যায় পছন্দীয় নাম। তার নাম নাদিয়া। নাদিয়ার ফেসবুক প্রোফাইলে লাল গোলাপের ফুল দেওয়া। রম্য অনুমান করতে পারেনি মেয়েটি কেমন হবে। মেয়েটির সাথে নিয়মিত চেট করতে থাকে রম্য এবং বেশ ভাব জমে উঠে দুইজনের মধ্যে। তারা এখন সব সময় চেটে ব্যস্ত থাকে। নাদিয়ার ছবি দেখার জন্য রম্যর আগ্রহ জাগে। নাদিয়ার ছবি দেওয়ার জন্য নাদিয়ার কাছে বায়না ধরে রম্য। রম্যর বায়না মিটাতে একটি ছবি ফেসবুকে সেন্ড করে নাদিয়া। নাদিয়ার ছবি দেখে রম্যর ভাল লেগে যায়। নাদিয়াকে নিয়ে স্বপ্ন বুনতে থাকে রম্য দিনের পর দিন। চলতে থাকে চেটিং আর মোবাইল ফোনে কথা বলা। নিয়মিত চলতে থাকে তাদের ফেসবুক আড্ডা। এরই ফাঁকে নাদিয়াও রম্যকে ভালবেসে ফেলেছে। এক মুহুর্ত থাকতে পারে না তারা একে অন্যের সাথে কথা না বলে। চলতে থাকে তাদের নিরব প্রেম। হঠাৎ করে নাদিয়ার মনে কেমন জানি দর্বলতা প্রকাশ পাচ্ছে। কিন্তু সে দুর্বলতা টা রম্যর কাছে প্রকাশ করতে সাহস পাচ্ছে না। যদি রম্য আমাকে ভুল বুঝে এবং আমাকে যদি ভুলে যায়। নাদিয়ার সত্যিটা বলা দরকার কিন্তু সত্যিটা রম্যকে বলতে সাহস পাচ্ছে না নাদিয়া। হঠাৎ একদিন নাদিয়া সাহস করে বলে যে আজ তোমাকে একটি সত্যি কথা বলতে চাই এবং বলাটা খুব প্রয়োজন। রম্য জানার আগ্রহ প্রকাশ করলে নাদিয়া বলা শুরু করে-প্রথমে আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাই। তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। আমি তোমার কাছে অনেক বড় একটা ভুল করে ফেলেছি। তুমি যদি আমাকে ক্ষমা না কর তাহলে আমি মরে যাব। বাঁচতে চাইনা আমি তুমি ছাড়া। তুমি এসব কি বলছ আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না রম্য নাদিয়াকে প্রশ্ন করে। তুমি কি আমার সাথে সম্পর্ক রাখতে চাও না রম্য নাদিয়াকে বলে। সম্পর্ক রাখতে চাইছিই তো বলে সত্যটা তোমাকে জানাতে চাই। তুমি আগে আমাকে কথা দাও যে তুমি আমাকে ভুলে যাবে না। সারাজীবন তুমি আমার পাশে থাকবে। জড়িয়ে রাখবে তোমার বুকে। কথা দাও। আচ্ছা বল! বলা শুরু করল এবার নাদিয়া। তোমার কাছে যে ছবিটা পাঠিয়েছিলাম সে ছবি টা আমার না বলে ফেল ফেল করে কাঁদছে নাদিয়া আর বলছে তুমি আমাকে ক্ষমা কর। আমি বড় ভুল করে ফেলেছি। আমাকে ক্ষমা কর প্লিজ। আমি সত্যি তোমাকে ভালবাসি। I Love You. আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচব না। ঐ মুহুর্তে তাকে স্বান্তনা দেওয়া ছাড়া রম্যর কোন উপায় ছিল না। পরবর্তীতে পাঠানো নাদিয়ার ছবি যদিও খুব সুন্দর। কিন্তু তুমি তো মিথ্যার ছবির চেয়েও অনেক সুন্দর তাহলে মিথ্যার কেন আশ্রয় নিলা। আমি জানি না, আমি তোমার সাথে দেখা করতে চাই এটাই আমার শেষ কথা। রম্য নাদিয়ার সে আবদার ফেলতে পারে নাই। নাদিয়ার আবদার মিটাতে তার সাথে দেখাও করেছে রম্য। নাদিয়ার সাথে দেখার করার পর রম্যর কাছে কেমন জানি পরিচিত পরিচিত লাগে। কোথায় যেন এর আগে দেখেছে মনে মনে ভাবতে থাকে রম্য। অনেক ঘাটাঘাটির পর নাদিয়া আর রম্য দূর সম্পর্কের আত্মীয়। পরিচয় হওয়ার কিছু বাধা বিপত্তি আসতে পারে বলে রম্য নাদিয়াকে জানিয়ে দেয়। অতঃপর রম্যর সকল শর্ত মেনে নিয়ে আগেই মতোই চলতে থাকে তাদের প্রেম এবং গোপনে দেখা সাক্ষাৎ। আনুমানিক বছর দুয়েক পর নাদিয়া রম্যকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। নাদিয়ার বাবা-মা নাদিয়াকে বিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। এদিকে চাপ দিচ্ছে নাদিয়া রম্যকে। রম্য বলে আমার পরিবারের সাথে কথা বলে তোমাকে যানাচ্ছি। এতো সময় নেই আমার কাছে। আমি চলে আসতে চাই তোমার কাছে। আমাকে গ্রহণ কর। রম্য না করে নাদিয়াকে আর বলে দেখ এভাবে আমাদের বিয়ে করা ঠিক হবে না। আমরা পারিবারিক ভাবেই বিয়ে করব। এবং আমি গোপনে বিয়ে করতে পারব না। তুমি কয়েকটা দিন অপেক্ষা কর রম্য নাদিয়াকে বলে। সম্ভব হয়নি নাদিয়ার পক্ষে কয়েকটা দিন এবং রম্যর জন্য অপেক্ষা করা। চলে গেছে সে (নাদিয়া) অপলক চাহুনি দিয়ে আমাকে অপরাধী বানিয়ে। তুই নিষ্ঠুর, তুই আমার জীবনটা ধ্বংশ করে দিলি, তুই বেঈমান, স্বপ্ন পূরণ হল না আমার। আরো কতশত বকা এবং টলমল ঝরছে শুধু চোখের পানি। নিরবে মাথা নিচু করে শুধু শুনে গেল রম্য। কোন ভাষা নেই নাদিয়াকে উত্তর দেওয়ার মতো। (ছদ্মনাম)
মারডিন এম.
©somewhere in net ltd.