নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি অত্যন্ত ভালো ছেলে

মোঃজাহিদুল ইসলাম সবুজ

অন্ধকারের পথ হারিয়ে যে প্যাঁচা ডাকতে ভুলে গেছে।

মোঃজাহিদুল ইসলাম সবুজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শ্বেতা আবির কথন

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪৮



আমাদের গ্রামের মাঝখান দিয়ে ব্রহ্মপুত্র দুইটা গ্রামকে আলাদা করেছে। আমাদের এপাড়ে মুসলিম আর ওপাড়ে হিন্দুদের বাস। তবু আমাদের একই সাথে হাসি একই সাথে বাসি। ভালোবাসি। জন্মাষ্টমীতে পলাশ বর্মণ (আমার বন্ধু) রা ব্রহ্মপুত্রে পূণ্যস্নানে আসে। প্রসাদ বিলায়। কবুতর ছাড়ে। আমাদের এপাড়ের মুসলিমরাও সে প্রসাদ গ্রহণ করে। আমাদের যার যার উপাসনায় কেউ কারও বাঁধা হয় না। আমরা একই হাটে যাই এক ঘাটে নাই।
একবার হলো কী আমাদের গ্রামের ইমাম সাহেবের ছেলে প্রেমে পড়লো হিন্দুপাড়ার ব্রাহ্মণের মেয়ে শ্বেতার সাথে। আমাদের এই এতদিনের সম্প্রীতি যেন এই ঘটনায় সব দুমড়ে মুচড়ে দিলো। দুই পক্ষই ছিঃ ছিঃ করতে থাকলো। জাত গেলো জাত গেলো রব পড়ে গেলো। ভীষণ এক দাঙ্গার এক অপার সম্ভাবনা দেখা গেলো। হিন্দু পাড়ার সামনে দিয়ে কোন মুসলিম গেলে দল বেঁধে যেমন হিন্দুরা আক্রমণ করা শুরু করলো। তেমনি মুসলিমরাও এর দ্বিগুন অত্যাচার শুরু করলো হিন্দুদের ওপর। কী এক অশান্তির ব্যাপার স্যাপার। এ যেন বাংলার আকাশে মেঘের ঘনঘটার মতো ব্যাপার। সমাধান হল দুই পক্ষের এক বিচারিক শালিসে। দুই গ্রাম নদীর পাড়ে জমায়েত। আজকে খেলা হবে! মুসলিমরা ভাবছে ইমাম সাহেবের ছেলেকে দুরা মারা হবে। হিন্দুরা ভাবছে ব্রাহ্মণকে একঘরে করে দিবে। কিন্তু যা ঘটলো সে ঘটনা আমাদের গ্রামে এক ইতিহাস হয়ে রইলো। এমন ঘটনা রুপকথাকে হার মানায়। পৃথিবীর আর কোথাও এমন ঘটনা ভবিষ্যতে ঘটবে কি সে নিশ্চয়তাও নেই। ইমাম সাহেব সভায় বলা শুরু করলেন," ভালোবাসার কোন ধর্ম নেই, বর্ণ নেই, ভাষা নেই। কারও ইচ্ছে অনিচ্ছের উপর ভালোবাসা নির্ভর করে না। এই যে আমাদের নদ যেমন তার আপন মহিমায় বেয়ে চলছে ভালোবাসাও এমন। তাই আমি ভালোবাসাকে অপমান করে কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারবো না। ব্রাহ্মণ সাহেব আপনার কী মত বলুন।"
সনাতনী হিংস্র চিন্তা চেতনাও ধর্মীয় কট্টরতা সেদিন যেন ব্রহ্মপুত্রের বাতাসে উড়িয়ে নিয়ে গেলো। ব্রাহ্মণও একমত হয়ে মাওলানা সাহেবের ছেলের সাথে আবিরের আর ব্রাহ্মণের মেয়ের শ্বেতার বিয়ের আয়োজন করতে বললেন। তবে তাঁর দাবি একটাই বিয়ে হিন্দি মুসলিম দুই প্রথাতেই হতে হবে। আশ্চর্যজনকভাবে দুই গ্রামবাসী কেউ প্রতিবাদ করলো না। বরং সাতদিন চলা এই বিয়ের উৎসবে সবাই হাসিখুশি থাকলেন। গ্রামবাসীও বললেন যে এই বিয়ের আয়োজনে সমস্ত ব্যবস্থাপনা তাদের। ব্রাহ্মণ আর মাওলানা পরিবারের কেউ যেন একটাকাও খরচ না করে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৯

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: এটা সত্য? নাকি বানিয়ে লিখেছ? এমনও কি সম্ভব?

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৩৪

মোঃজাহিদুল ইসলাম সবুজ বলেছেন: বানায়া লেখসি। এইগুলা কেমনে সম্ভব

২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: তবে পুরোপুরি অবাস্তব নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.