নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বীরেরা সত্য বলতে কখনোই কুন্ঠিত নন

আমি উচ্চারিত সত্যের মতো স্বপ্নের কথা বলতে চাই

যাকরিয়া ইবনে ইউসুফ

আমি ছোটবেলা থেকেই ভাল কিছু করে দেখাতে চাইতাম। স্পেশালি আমার দেশের জন্য... আমি ধান-শালিক আর মেঠোপথের এই বাংলাদেশকে খুব ভালবাসি। দেশের জন্য কিছু করার চেষ্টায় আমার নিরন্তর পথচলা। আমি বিশ্বাস করি চিরসবুজ বন্ধুত্বে। তাইতো আমি সবসময় বন্ধুসলভ, নির্মল বন্ধুত্বে না নেই। অতি কম সময়ের এ পৃথিবীতে আশেপাশে যারা আছেন যাদের সাঙ্গ করেই আমাদের পথচলা সেইসব প্রতিটি মানুষের সঙ্গে ভাতৃত্বের সম্পর্ক নষ্ট করতে খুবই অপছন্দ করি। প্রতিটি মানুষের ভেতরে লুকিয়ে থাকা ভালমানুষটিকে আমি সম্মান করি। প্রিয় রঙ সবুজ, নীল এবং এর বিভিন্ন শেড।

যাকরিয়া ইবনে ইউসুফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আকাশের তারা হয়ে গেলেন

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩২



কি যে হলো একে একে হারিয়ে যাচ্ছেন দেবীগঞ্জ উপজেলার মুক্তো-মানিকেরা। হ্যাঁ মুক্তো-মানিকই বলবো, হিমালয় কন্যার এ ছোট্ট মায়া ছড়ানো উপজেলায় সবাই যেন একই সূতোয় বাঁধা ঠিক একটি পরিবারের মতো। তাইতো আমাদের মাঝে কেউ ইহলোক ত্যাগ করলেই বুকের ভেতর কেমন যেন ব্যাথ্যা অনুভব করি আমরা সবাই।



বেশ কিছুদিন থেকে একটা ব্যাপার লক্ষ্য করছি হারিয়ে যাওয়ার মিছিলে এক একে যোগ দিচ্ছেন আশেপাশের চেনা মানুষগুলো। ছোট্ট এই পৃথিবীতে এভাবে যদি আপন মানুষগুলো হারিয়ে যায় তাহলে কিভাবে আর সহ্য করা যায় বলুন।নিজেই ব্যাথিত হয়ে কি আর অন্যকে সমবেদনা জানানো যায় বলুন। রাজু ভাইয়ের অকাল প্রয়ানে নিরবে নিভৃত্তে চুপচাপ বসে শোক কমানোর চেষ্টা করছি।



আজ যখন শুনলাম রাজু ভাই আর নেই ভাবতেই কেমন যেন লাগলো। রাজু ভাইয়ের সাথে আমার তেমন সখ্যতা ছিল না। তারপরও যখন দেবীগঞ্জে থাকতাম প্রায় রেগুলার দেখা হতো। আর যতোবার দেখা হতো কেমন যেন একটা মায়াবি হাসি দিতে পারতেন তিনি। সুন্দর করে জিজ্ঞাসা করতেন কেমন আছো, পড়াশোনা কেমন হচ্ছে ইত্যাদি।



রাজু ভাইয়ের আরেকটা পরিচয় তিনি আমার ইমিডিয়েট জুনিয়র সাজুর বড় ভাই। তাই হয়তোবা ছোট ভাই মনে করে আমাকে একটু বেশি স্নেহই করতেন মনে হয়।



রাজু ভাইকে বেশির ভাগ সময় আড্ডা দিতে দেখা যেত বন্ধন মোড়ে। বাসায় থাকলে কমবেশি প্রতিদিন ব্রিজে যাওয়া হতো এতে দেখা হতোই।



বন্ধুদের নিয়ে আড্ডাদেয়া মানুষটিকে আর দেখা যাবে না গরম চায়ের কাপে চুমুক দিতে। রাজু ভাই মনে হয় তার বন্ধুদের বেশ একা রেখে চলে গেলেন। এতা তাড়াতাড়িতো আড্ডা শেষ হওয়ার কথা ছিলনাতো ভাই! চলে যেতে এতো তাড়া কেন।



রাজু ভাইয়ের আরেকটা পরিচয় তিনি ছিলেন ছাত্রদলের একনিষ্ঠ, কর্মী, সংগঠক এবং একজন আদর্শিক নেতা। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল নি:সন্দেহে আপনার দূদর্শি সম্পন্ন নেতৃত্বকে চরমভাবে মিস করবে।



যেখানেই থাকুন ভালো থাকুন আমরা আপনাকে মিস করবো। চরম মিস করবো।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.