![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ছোটবেলা থেকেই ভাল কিছু করে দেখাতে চাইতাম। স্পেশালি আমার দেশের জন্য... আমি ধান-শালিক আর মেঠোপথের এই বাংলাদেশকে খুব ভালবাসি। দেশের জন্য কিছু করার চেষ্টায় আমার নিরন্তর পথচলা। আমি বিশ্বাস করি চিরসবুজ বন্ধুত্বে। তাইতো আমি সবসময় বন্ধুসলভ, নির্মল বন্ধুত্বে না নেই। অতি কম সময়ের এ পৃথিবীতে আশেপাশে যারা আছেন যাদের সাঙ্গ করেই আমাদের পথচলা সেইসব প্রতিটি মানুষের সঙ্গে ভাতৃত্বের সম্পর্ক নষ্ট করতে খুবই অপছন্দ করি। প্রতিটি মানুষের ভেতরে লুকিয়ে থাকা ভালমানুষটিকে আমি সম্মান করি। প্রিয় রঙ সবুজ, নীল এবং এর বিভিন্ন শেড।
আধুনিক ইংরেজি প্রেমের কবিদের সেরা কবি হিসাবে পরিচিত জন কিট্স৷ খুব অল্প বয়সে মারা গেলেও আজও তার কবি প্রতিভাকে কেউ অস্বীকার করতে পারে না৷ মাত্র 23 বছর বয়সে এক সাদাসিধে মেয়ে ফ্যান্নি ব্রনির প্রেমে পড়ে কিট্স৷ দুর্গ্যবশত, হঠাৎই ডাক্তারি পরীক্ষায় তার শরীরে যক্ষা ধরা পড়ে, যা তাঁকে আপাত ভাবে মেরেই দেয়৷ ফলত কিট্স এবং ফ্যান্নি ব্রনির মধ্যে বিবাহের সম্ভবনায় দাঁড়ি পড়ে যায়৷ বিখাত এই কবির মৃত্যুর কয়েক মাস আগে রোম থেকে ফ্যান্নিকে লেখেন এই চিঠিটি...
প্রিয় ফ্যান্নি
তুমি মাঝেমধ্যেই শঙ্কায় থাকো, যে তুমি যতটা চাও আমি তোমাকে ততটা ভালোবাসি না। প্রিয়া, আমি তোমাকে ভীষণ ভীষণ ভালোবাসি, কোনরকম পরিমাণ ছাড়াই আমি তোমাকে ভালোবাসি৷ আমি তোমাকে যতটা না ভালোভাবে চিনেছি বা জেনেছি তার থেকেও বেশি ভালোবেসেছি৷
তুমি আমার কাছে চিরনতুন৷ তোমার দেওয়া শেষ চুম্বন ছিল সবথেকে মিষ্ট়ি, শেষ দেখা হাসিটাও ছিল সবথেকে উজ্জ্বলতর়, তোমার শেষবারের গতিপ্রকৃতি ছিল সবথেকে আকর্ষণীয়৷ তুমি গতকাল যখন আমার বাড়ির জানালার পাশ দিয়ে চলে গিয়েছিলে, আমি এতটাই বিস্ময়াপন্ন হয়ে গিয়েছিলাম যেন মনে হচিছল যেন আমি তোমাকে প্রথমবারের জন্য দেখলাম৷
তুমি একবার আমাকে আংশিক অভিযোগ জানিয়ে বলেছিলে আমি নাকি তোমাকে শুধু তোমার সৌন্দর্যের জন্য ভালোবাসি৷ তোমার ভালোবাসা ছাড়া আমার কাছে আর কিই বা থাকতে পারে? আমি কি তোমার হৃদয়কে আমার পরিপূর্ণতা ছাড়া দেখতে চেয়েছি বা দেখেছি? কোনও কু-দৃষ্টিভঙ্গি আমার কাছ থেকে তোমাকে নিয়ে চিন্তাকে দূরে সরিয়ে নিতে পারবে না৷
এই আলোচনা বাড়তে বাড়তে সুখ-দুঃখের একটা বিষয়ে পৌঁছে যেতে পারে, কিন্তু আমি সেই আলোচনা বাড়িয়ে সেখানে পৌঁছাতে দেব না৷ যদি তুমি আমাকে ভালো নাও বেসে থাকো তাহলেও তোমার প্রতি আমার ভালোবাসাকে আটকাতে পারব না৷ তাহলেই তুমি বোঝ যে, তুমি আমাকে ভালোবাসো এটা জেনে আমি তোমাকে নিয়ে কতটা আচ্ছন্ন থাকি৷ আমার হৃদয় এবং মন এতটাই অসন্তুষ্ট এবং চঞ্চল ছিল যে আমি তাকে আয়ত্তে আনতে পারিনি৷
তোমাকে ছাড়া আমার মন আর কোনও কিছুর উপর এতোটা ভরসা বা স্বস্তিতে নিশ্চিন্তে থাকতে পারে৷ যতক্ষণ তুমি আমার ঘরে ছিলে আমার মন জানালার বাইরে ডানা মেলে পালিয়ে যেতে পারে নি – তুমি সবসময় আমাতে চিন্তামগ্ন হয়ে থাকো৷
তুমি তোমার শেষ চিঠিতে আমাদের ভালোবাসার প্রতি যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছ তা আমাকে ভীষণ আনন্দ দিয়েছ়ে, যাইহোক না কেন আমার উৎপীড়ন নিয়ে তোমাকে আর শঙ্কিত থাকতে হবে না, আমিও আর ভাবব না যে তুমিও আমার কাছে সামান্য হলেও আকর্ষণের বিষয়৷
ভালোবাসাসহ
জে. কিট্স
মার্চ, 1820, রোম
(সংগ্রহিত)
২| ১৯ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৭:০৪
খেয়া ঘাট বলেছেন: একজন বিখ্যাত কবির চিঠি পড়ে ভালো লাগলো।
৩| ১৯ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৭:২৬
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে জুন, ২০১৩ ভোর ৪:০৮
মাহমুদুর রাহমান বলেছেন: