![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নাহিদের সাথে আমার যখন পরিচয় হয় তখন আমার বয়স সতেরো আর ওর উনিশ । ও ছিল আমার কাজিনের বন্ধু । আমি তখন নতুন নতুন ফোন ব্যবহার করা শিখেছি , কার সাথে কথা বলবো ভেবে পেতাম না । তাই আমার মুঠোফোন বন্ধু হয় "নাহিদ " । আমরা প্রথম কিছুদিন মেসেজ আদান প্রদান করতাম । ও সুন্দর সুন্দর কবিতা পাঠাতো আর আমি মুগ্ধ হয়ে পড়তাম । তারপর একসময় ভয়েজ মেসেজ পাঠানো শুরু করলো । অদ্ভুত সুন্দর ভরাট গলা , চমৎকার গান গাইত । আমি নাহিদের সাথে রাত জেগে কথা বলা শুরু করলাম । নাহিদ আমার জীবনে একটা ফ্যান্টাসি নিয়ে এল , এর আগে কোন ছেলের সাথে এত কথা বলি নি । আমাদের রাতগুলো ছিল অদ্ভুত । সারা রাত কথা বলার কোন টপিক খুজে পেতাম না , যখন কথা ফুরত তখন কেবল একজন আরেকজনের শ্বাস প্রশ্বাস শুনতাম । কখনও আমি আবৃত্তি করতাম আবার কখনও সে গান গাইত । হ্যা , নাহিদ আমার কাছে বন্ধুর চেয়েও বেশী কিছু ছিল ।
***
আমার কাজিন যেদিন আমাকে প্রশ্ন করলো আমি নাহিদের সাথে প্রেম করি কিনা সেদিন আমি সত্যি ভয় পেয়েছিলাম । বয়স কম ছিল , ভাবতাম যদি বাসায় কোন ঝামেলা হয় । নাহিদকে বলে দিলাম আমাকে যেন আর ফোন না করে । ও খুব অবাক হল এবং বলল -কেন ? আমি তখন ফোন কেটে দিলাম । আমি ওর সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিলাম । ও টানা তিনদিন ফোন দিলো এবং তারপর আর দিলো না । যখন ওর ফোন আসা বন্ধ হয়ে গেলো তখন আমি অবাক হলাম । ওর এক বন্ধুর নাম্বার ছিল - সাব্বির ভাইয়া । তাকে ফোন দিয়ে জানলাম যে নাহিদ ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে প্রবল ঘুম দিছে । তাকে খুজে পাওয়া কঠিন । তার বন্ধুকে বললাম , নাহিদের যদি সত্যি আমাকে কিছু বলার থাকে তবে যেন রাতে একবার ফোন দেয় । আমি ওর জন্য অপেক্ষায় থাকবো ।
***
সে রাতে আমার ঘুম আসছিলো না । ঘড়ির কাঁটা যখন বারোটায় গিয়ে স্থির হল তখন আমার অস্থিরতা বাড়ছিলো । কারন নাহিদকে আমি নিজেও অসম্ভব পছন্দ করি , তাও চাচ্ছিলাম সেই প্রথমে কিছু বলুক । নাহিদ ফোন দিলো পৌনে দুই টায় । ফোন ধরে আমি বললাম - পাগলামির মানে কি নাহিদ ? তুমি কি কিছু বলতে চাও ?? অপরপ্রান্ত থেকে কোন উত্তর নেই । একদম নিস্তব্ধ চারিদিক । আমি আবারো বললাম - কিছু না বললে কিন্তু ফোন রেখে দিব । এবার নাহিদ বলল - " তুমি বুঝো না কি বলবো ? " আমি বললাম - না , তুমি বল । সে বলল - " মৌ , ভালবাসি । " আমার ভেতর কি হয়ে গেলো আমি জানি না । জীবনে প্রথমবারের মতো কোন ছেলে আমাকে বলেছে ভালবাসি । ওর কথায় প্রাণ ছিল , উচ্ছ্বাস ছিল , আনন্দ ছিল , হারানোর ভয় ছিল আর আমার জন্য প্রেম ছিল । আমার উত্তর দিতে মিনিট খানেক সময় লেগেছিল । আমিও বলেছিলাম - ভালবাসি নাহিদ । যদিও আমরা কেউ কাউকে দেখি নাই তখনও । আমার কাছে সে যেমন অদেখা , তার কাছে আমিও ছায়া মানবী । তাও মনে হচ্ছিল দুজন দুজনকে হাজার বছর ধরেই জানি , চিনি । সে রাত টা অদ্ভুত সুন্দর ছিল , নতুন এক অনুভুতির সাথে আমার পরিচয় হয়েছিল । কেউ হয়তো একে মোহ বলবে , কেউ বলবে প্রেম ...
***
টানা দুই মাস আমাদের নিয়মিত কথা হবার পর একদিন নাহিদ আমাকে বলল - মৌ , দেখা করতে চাই । আমিও ওকে দেখার জন্য উচ্ছ্বাসিত ছিলাম । একদিন ভরদুপুরে আমাদের দেখা হয় । আমার কোচিং এর সামনে একটা কফিশপে ও আসে দেখা করতে আর আমিও প্রথমবারের মতো দেখি আমার রাজপুত্রকে । নাহিদ আমার কাছে ছিল বিধাতার দেওয়া শ্রেষ্ঠ উপহার । আমি ক্লাস ফাকি দিয়ে ওর সাথে দেখা করতে যাই এবং সেও টাঙ্গাইল থেকে আমার সাথে দেখা করতে আসে । আজন্ম শহরে বাস করা নাক উঁচু মেয়েটা একটা গেঁয়ো ছেলেকেই দেখে মুগ্ধ হয়েছিলএবং বলতে দ্বিধা নেই - আমিই প্রথম ওর হাত ধরেছিলাম । সেদিন দুজন ভীষণ লজ্জা পাচ্ছিলাম , কেউ কারো দিকে ঠিক মতো তাকাতেই পারি নি । নাহিদ আমার প্রথম প্রেম ছিল আর আমিও ছিলাম তার । চলে আসার সময় বার বার বলেছিলাম - কখনও ছেড়ে যাবে নাতো ? সে বলেছিল কক্ষনো না ।
সে কথা রাখেনি । সে পনেরো দিনের মাথায় তার পরিবারের কাছে চলে যায় - ইতালিতে । তবে আমাকে সে আশ্বাস দিয়ে যায় যে আমাদের সম্পর্কের কোন হেরফের হবে না । আমিও বার বার বলে দেই যে বিদেশ গিয়ে যেন শ্রমিক হয়ে না যায় , কারন তাহলে আমার পরিবার ওর সাথে বিয়ে দিতে রাজি হবে না । ও আমাকে কথা দিয়েছিল যে সে অবশ্যই পড়বে কিন্তু যদি আমি ব্রেক আপ করি তবে আর পড়বে না । নাহিদ একদিন চলে যায় ।
***
নাহিদ চলে যাবার পর আমি লেখাপড়ায় সিরিয়াস হই । সারাদিন কলেজ , কোচিং করে রাতে আবার প্রাইভেট স্যারের কাছে পড়তে হত । এক সময় ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে যেতাম । কথা বলতে ইচ্ছে করতো না কারো সাথে । নাহিদ ফোন করতো আর আমি দেখতাম । ধরতাম খুব কম আর কথা বলতাম অনীহায় । নাহিদ সব বুঝত কিন্তু কেন জানি অবহেলাটা মেনে নিতে পারে না । রাতের পর রাত দেখতাম ওর ফোন বাজছে আর আমি বালিশ চাপা দিয়ে রাখতাম । আমার কাছে সবকিছুর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেলো পড়াশুনা আর সে আমাকে জানালো যে ও আর পড়বে না । নাহিদ একটা বারে কাজ করতে ঢুকে গেলো আর আমি সম্ভবনাময় ভবিষ্যৎ খুঁজতে ওর সাথে ব্রেক আপ করলাম । আমার জীবনের প্রথম ব্রেক আপ , কেউ হয়তো বলবে প্রবল আবেগেই কাজটা করছিলাম । কেউ আমাকে বলবে স্বার্থপর ।
***
নাহিদ আমার জীবন থেকে উধাও হয়ে গেলো । আর জীবনে এলো অর্ক । আমি তখন ভার্সিটিতে পড়ি । অর্কের সাথে পরিচয় না হলে বুঝতেই পারতাম না আমি নাহিদকে কতোটা ভালবাসি । আসলে আমার ভালোবাসাময় অনুভুতির শুরু এখানে । অর্ক যেদিন আমার হাত ধরল , আমি চিন্তা করলাম আমি নাহিদের হাত ধরেছি । অর্ক যেদিন আমার গাল ছুয়ে দেখল আমি যেন নাহিদের স্পর্শ পেলাম । অর্কের চুমুর আহবানে আমি চোখ বুজে নাহিদকে দেখলাম । বুঝলাম কেবল নাহিদই আমার প্রেম এবং বাকী সব মিথ্যা । অর্ককে জানিয়ে দিলাম ওর আর আমার মাঝে নাহিদ থাকবেই , যদি মেনে নিতে পারে তবেই কেবল সম্পর্ক বজায় রাখা সম্ভব , নয়তো নয় । অর্ক খুব কষ্ট পেয়েছিল কিন্তু আমি ছিলাম নির্দয় । আমার কল্পনায় আমি আমার প্রেমকে আবার জন্ম দিয়েছিলাম - সেই প্রেম নাহিদ আর বাস্তবে অর্ক কেবল একটা পুতুল ছিল । যার সাথে অলঙ্ঘনীয় চুক্তি ছিল - যদি নাহিদ চলে আসে কোনদিন , আমি ওর হাত ধরে চলে যাবো ...
***
অর্কের সাথে সম্পর্ক শেষ করতে চাইলেও পারতাম না ।ও কিভাবে কিভাবে যেন সব ঠিক করে ফেলতো । আমি ভাঙতে চাইলেই বলতো - মৌ প্লিজ আমাকে ছেড়ে যেও না , তুমি আমার প্রথম প্রেম । আমিও ওকে ভাবতাম প্রথম প্রেমের মতো কিন্তু আমার প্রথম প্রেম ছিল নাহিদ । তাই শত অবহেলা উপেক্ষা করে ওর কাছেই ফিরে যেতে চাইতাম । বার বার চাইতাম যেন সে আমাকে ভালবাসে ঠিক আগের মতো । কিন্তু মানুষ চাইলেই তো সত্য বদলে যাবে না , সত্যটা হলো নাহিদ বদলে গেছে । একটুখানি নয় বরং অনেকখানি বদলে গেছে । এমন এক মানুষ হয়ে গেছে যার কাছে আমার আবেগ অনুভুতি অনেক বেশী অনর্থক এবং অনেক বেশী ফালতুও বটে ।
***
অর্কের সাথে সম্পর্কের বর্ষপূর্তি হল । সে আমাদের সম্পর্ক নিয়ে যত বেশী উচ্ছ্বাসিত আমি ছিলাম তত বেশী হতাশাগ্রস্থ । বার বার মনে হত মনের বিপরীতে এক সম্পর্কে জড়িয়ে গেছি । প্রতিদিন কাটতো অনেক বেশী নির্লিপ্ততায় । ওর ভালোবাসা আমার গলায় শেলের মতো বিঁধত । জীবন এখানে অনেক বেশী মূল্যহীন লাগতো । আমি ওকে বার বার ফিরিয়ে দিলেও ও যেন যেতে চাইতো না । ওর শুধু একটা কথা ছিল - "কখনও যদি অন্য কাউকে পাও , ছেড়ে যেও । " দিনের পর দিন , রাতের পর রাত আমি শুধু সেই অপেক্ষাই করতাম । ও হাত বাড়ালে আমার এক অনুভূতিহীন হাত বাড়িয়ে দিতাম । এক পর্যায়ে দেখলাম ওর আবেগ আমার কাছে অর্থহীন লাগছে ।
***
ঠিক এমনি এক শীতের সকালে নাহিদ আমাকে মেসেজ দিলো - "মৌ , বাংলাদেশ আসছি । " আমার জীবনে এক অন্যরকম উত্তেজনায় ছেয়ে গেলো । আমার দিনগুলো যেন কাটতেই চাইতো না । আমার নাহিদের সাথে দেখা হবে ,যার জন্য আমি মন্ত্রমুগ্ধের মতো অপেক্ষা করেছি এতদিন , এতগুলো বছর । হ্যা , এর মাঝে চার বছর চলে গেছে । আমার পানসে প্রেম আরও বেশী পানসে মনে হতে লাগলো । সেসময় অর্কের দ্বিতীয়বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা সামনে । আমি ওকে মানসিকভাবে সাপোর্ট দেবার চাইতে দূরে সরে যাওয়াকে শ্রেয় মনে করলাম । যদিও আমি জানতাম সেসময় আমাকে ওর কতখানি প্রয়োজন ছিল । সে যাই হোক , নাহিদ দেশে এলো । কিন্তু সে অন্য কোন নাহিদ ! যার জীবনে আমার গুরুত্ব নেই বললেই চলে । আমি তার সাথে দেখা করার জন্য উন্মুখ হয়ে ছিলাম আর সে এটাকে বিন্দুমাত্র গুরুত্ব না দিয়ে নিজের বন্ধুবান্ধব পরিবার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গেলো । আমি রোজ ওকে ফোন করতাম । ও হয়তো ফোন ধরে ব্যস্ত হয়ে যেত রাখতে নাহলে ফোন কেটে দিত । এক রাতে বলেই দিলো - "রোজ রোজ এত বিরক্ত কেন করো মৌ ? তোমার বয়ফ্রেন্ডকে টাইম দাও যাও । " সেদিন আমার হৃদয় ভেঙ্গে গিয়েছিলো ।
***
আমি যখন হাউমাউ করে কাঁদতাম , অর্ক আমার পাশে অসহায়ের মতো বসে থাকতো । একদিন বলেই বসলো - " মৌ , আমি কি নাহিদ ভাইয়ের সাথে কথা বলবো ? আমি কি বলবো যাতে তোমার সাথে সম্পর্ক ঠিক করে নেয় ? রোজ রোজ এত কান্না আমার দেখতে আর সহ্য হয় না । " আমি ওর দিকে তিক্ত চোখে তাকাতাম । বার বার মনে হত আমার আজকের এই পরিনতির জন্য সেই দায়ী । কারন যদি আমি একা থাকতাম হয়তো নাহিদ ফিরে আসতো । হয়তো আমাকে আগের মতো ভালোবাসতো ।
***
অর্কের সাথে হয়তো সব ঠিক হয়ে যেত কিন্তু এমনি এক সময় আবার নাহিদের মেসেজ এলো - " আমি চারদিন পর চলে যাচ্ছি । যদি দেখা করতে চাও টাঙ্গাইল আসো । এরপর আর সম্ভব না বলে দিচ্ছি । " আমি সেই মেসেজ পেয়ে আনন্দে পাগল হয়ে গেলাম । ক্লাশ থেকে বেড়িয়ে গেলাম । করিডোরে অর্কের সাথে দেখা , ওর সেদিন শেষ পরীক্ষা । সে প্রশ্ন করেছিল - " কোথায় যাও ? " আমার উত্তর ছিল - "মরতে " । সত্যি সেদিন আমি মরতেই গিয়েছিলাম । আমি জানতাম যদি নাহিদ আমাকে বলে ভালোবাসার পরীক্ষা দাও , মরে যাও , আমি মরতাম ।
***
জানুয়ারী মাসের কনকনে ঠাণ্ডায় আমি টাঙ্গাইল নামলাম । সেখানেই নাহিদের সাথে আমার দেখা । প্রথমবার আমার জন্য সে ঢাকা এসেছিলো আজ তার জন্য আমি এখানে । নাহিদ অনেক বদলে গেছে । আকর্ষণীয় সুপুরুষও হয়েছে বটে । আমার চোখে সে বরাবরই রাজপুত্র ছিল কিন্তু এবার আমি ওকে মন্ত্রমুগ্ধের মতো দেখছি । আমরা একটা রিকশা নিলাম । আমরা ঘুরছি , রাস্তার দুধারে হলুদ সরিষার ক্ষেত । সরিষা ফুলের ঘ্রাণ । আমি শক্তকরে ওর হাত চেপে ধরে আছি । যেন ছেড়ে দিলেই ও হারিয়ে যাবে । নাহিদকে বলেছিলাম - " আমাকে তুমি যেখানে রাখবে সেখানেই থাকবো । তাও আমি যাবো না । আমি তোমাকে ছেড়ে যাবো না । " নাহিদ খালি হেসেছিল । সেদিন আমরা পাঁচ ঘন্টা রিকশায় ঘুরেছি । যখন প্রবল ঠাণ্ডা নামলো শীতে আমি কাপাকাপি করা শুরু করেছিলাম নাহিদ আমাকে আগলে রেখেছিল । সন্ধ্যা নামলো , এক আদি অকৃত্রিম সন্ধ্যা । ও দুহাত দিয়ে আমার গাল চেপে ধরল তারপর ঠোট আমার ঠোঁটে নামিয়ে এনে যেন থমকে গেলো । আমি বিস্মিত হলাম , আমি খুব চেয়েছিলাম সেরাত আমাদের হোক । আমি তার চুমুর জন্য আজন্ম অপেক্ষা করেছিলাম । সে আমাকে সরিয়ে দিলো , বলল - " তোমার এখন যাওয়া উচিৎ মৌ , রাত বাড়ছে । " আমি বার বার বলেছি - " যেতে চাইনা ' । কিন্তু নাহিদ নিশ্চুপ ছিল । আমাকে বাসে তুলে দিলো । এমনভাবে তাকালো যেন হাফ ছেড়ে বাচলো । আমি লজ্জায় অপমানে অন্যদিকে তাকিয়ে রইলাম । সেইদিন মনে হল আমি এক নরকের কীট । এই পৃথিবীতে আমার কোন স্থান নেই আমার মরে যাওয়াই শ্রেয় । আমি ফিরে এলাম আমার ঠিকানায় । বন্ধ ফোনটা অন করলাম -অনেকগুলো মেসেজ ছিল অর্কের । কোনটায় লেখা ছিল - " মৌ তুমি কই ? " কোনটায় ছিল - " ভালবাসি । " কোনটায় কিছুই না শুন্য । আমি দেখলাম কেবল , তারপর ওকে ফোন দিয়ে বললাম - " আমি কি তোমার প্রথম প্রেম নাকি প্রথম প্রেমের মতো ?? " ওর রিপ্লে ছিল - " বের হও , আমি তোমার হলের গেটে আছি । তুমি বের না হলে সারারাত দাড়িয়ে থাকবো । " আমি ফোন অফ করে লেপমুড়ি দিলাম । মাঘের শীতে আমার খেয়েদেয়ে কাজ নেই বের হব !
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:০৬
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: বেশ সুন্দর ও সাবলীল লিখেছেন। সুপাঠ্য!