নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আধ্যাত্মিক পুরুষ, ধর্মগুরু; খানকা থেকে বলছি।

মুসাফির। হাঁটছি পৃথিবীর পথে পথে, অনিশ্চিত গন্তব্যে। কাগজের নৌকা দিয়ে সাগর পাড়ি দেবার দুরন্ত প্রয়াস।

জাকির এ মাহদিন

আমি পথিক। হাঁটছি পৃথিবীর পথে পথে, অনিশ্চিত গন্তব্যে। আক্ষরিক অর্থেই আমি পথিক। একে একে জীবনযাত্রার সব সুতো কেটে দিচ্ছি। আবার শূন্যের উপর নির্মাণও করছি। এটাই প্রকৃতপক্ষে জীবন। অথবা- জীবন এমনই। কাগজের নৌকা দিয়ে সাগর পাড়ির দুরন্ত প্রয়াস, যে সাগরের পাড় নেই। আমি মানবতার মুক্তির জন্য বিবেকের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শোষিত-বঞ্চিতের পাশে দাঁড়াতে চাই।

জাকির এ মাহদিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশে তৃতীয় শক্তি উত্থানের সম্ভাবনা কতটুকু!

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৪৮

এরশাদ সাহেবের কথা কি আর বলব! 'রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই' এর প্রবক্তা, টাকা আর নারী দেখলে তার জোয়ানী ফিরে আসে। জাতীয় পার্টির সঙ্গে আমার সেই লেংটাকালের কিছু ইতিহাস জড়িত। তাই চুপ থাকতে পারি না। জীবনের প্রথম যে রাজনৈতিক বিশাল মিছিলটিতে অংশ নিয়েছিলাম প্রবল আগ্রহে, কলম পুড়িয়ে হাতে বানানো লাঙ্গল মুলিবাঁশের আগায় বেঁধে, কাগজের রঙিন ফুল জড়িয়ে- সেটি ছিল জাতীয় পার্টি। ৬৮ হাজার গ্রাম বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবের উক্তিকারী পল্লীবন্ধু এরশাদের তখন তুমুল জনপ্রিয়তা। কিন্তু আজ তার মরণদশা। তবুও গত পাঁচ বছর ধরে 'তৃতীয় শক্তি' হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা তাকে মিডিয়ায় এখনও বাঁচিয়ে রেখেছে। এমনকি তৃতীয় বা দ্বিতীয় নয়, তিনি অবশ্য স্বঘোষিত প্রথম শক্তি। তার নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি বারবার চান্স নিতে চেষ্টা করছে। কিন্তু হায়! জনগণ যদি বুঝত, সব ভণ্ডের একই রূপ। বাংলাদেশ এখন আর আগের অবস্থায় নেই। আগে যদিও সামান্য কিছু দেশপ্রেমিক নেতাকর্মী ও মন্ত্রী-এমপি পাওয়া যেত, এখন সেটা সোনার হরিণ। এর পেছনে জাতীয়-আন্তর্জাতিক অনেক কারণ নিহিত। জাতীয় একটি কারণ- কারও ঘরে চাল নেই, ডাল নেই, পকেটে টাকা নেই, সৎভাবে পেট পালার ব্যবস্থা এখন আর নেই। ভিক্ষুক থেকে মন্ত্রী পর্যন্ত সবাই জীবন ধারণের জন্য অসৎ উপায় অবলম্বন করেছে।



যারা দেশপ্রেম, জনগণ ও গণতন্ত্রের ধোঁয়া তুলেন, তারা মূলত পেট পালারই একটা ব্যবস্থা করেন। অবশ্য শুরুতে পেট পালার লক্ষ্য থাকলেও বর্তমানে তা নিজের ও বংশধরদের ভোগ-বিলাসের পাকাপোক্ত ব্যবস্থায় রূপ নিয়েছে। আন্তর্জাতিক একটি কারণ, কোনও সৎ নেতৃত্বের বিকাশ বা সৎ প্রচেষ্টা সফল হতে দেয়া হবে না। বিভিন্ন কলা-কৌশলে বন্দী করে রাখা হবে। কেউ বুঝে, কেউ বুঝে না। আর বাংলাদেশের রাজনীতিতে তৃতীয় শক্তি? আহা বেচারা! তোমার সাফল্য এখানেই যে, চরম হতাশ, দারিদ্র-পীড়িত জনগণের আকাশে মাঝে মধ্যে ঝিলিক দাও, দু'এক মাসের জন্য একটু আশার আলো দেখাও। দুর্ভাগা জাতির জন্য এটাওবা কম কিসে!! কত শুনলাম এলডিপি, বিকল্প ধারা, সামাজিক শক্তি, গণফোরাম, আরও কতো কি! ইদানিং নিয়মিত বিরতিতেই তৃতীয় শক্তির আওয়াজ শুনা যায়। এভাবে চলুক না আরও চল্লিশ বছর। তারপর একদিন ভবিষ্যত প্রজন্ম আমাদের হয়ে স্বাধীনতার স্বাদ নেবে। তাদের সুখে আমাদের আত্মা কবরে শান্তি পাবে।



বাঙ্গালী বড় বিশৃঙ্খল জাতি। তবে কেউ একবার শৃঙ্খলিত করতে পারলে যুগের পর যুগ এই জাতি অন্ধের মতো সেই বৃত্তেই আটকে থাকে। যে কারণে শেখ মুজিবের গড়া সেই বাকশাল এবং জিয়ার গড়া বহুদলীয় গণতন্ত্রের বিকৃত রূপ বর্তমান বিএনপি থেকে আমাদের 'মহৎপ্রাণীরা'ও বেরুতে পারছেন না । যদিও বড় দু'টি দলের কর্মকাণ্ডে চূড়ান্তভাবে হতাশ হয়ে জনগণ এখন তৃতীয় শক্তির সন্ধানে হা-হুতাশ করছে। জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ঐক্যজোট ও ইসলামী আন্দোলন কখনও জাতির সামগ্রিক উন্নয়নের স্বপ্ন দেখাতে পারবে না। তবে সবসময়ই একটা সাইড-ফ্যাক্টর হিসেবে বিবেচিত হয়ে বড় দু'দলের সঙ্গে জোট বেঁধে তাদের শক্তিই বৃদ্ধি করবে। কখনও এককভাবে নির্বাচন করতে সাহস পাবে না। আর তৃতীয় কোনও শক্তি সঙ্গত কারণেই হালে পানি পাবে না। সুতরাং অন্তত আগামী দশ বছরের মধ্যে রাজনীতিতে তৃতীয় শক্তি উত্থানের কোনও সম্ভাবনা নেই।



কিন্তু আমরা চাই খুব দ্রূত বাংলাদেশের রাজনীতিতে গণতান্ত্রিক পন্থায় তৃতীয় শক্তির উত্থান হোক। প্রকৃতপক্ষে দ্বিতীয়-তৃতীয় শক্তি কোনও ফ্যাক্টর না। ফ্যাক্টর হচ্ছে সৎ ও যোগ্য নেতৃত্বের বিকাশ। কিভাবে সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি করা যায় সেটাই মূল প্রশ্ন। এক্ষেত্রে প্রচলিত রাজনৈতিক দলগুলোর মতো আমি বলি না যে ক্ষমতাই মূল, জনগণই শক্তি কিংবা অন্ধভাবে ধর্মের অনুসরণই সমাধান। আমি একটি কথাই বারবার বলি, ইনশাল্লাহ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত একথাটিই বলে যাব এবং ঘুরেফিরে এই একটি কথাই বারবার আসবে, সর্বব্যাপী শিক্ষা ও জ্ঞানগত বিপ্লবই একমাত্র সমাধান। একদিকে সমাজের সর্বস্তরের জনসাধারণকে শিক্ষিত ও জ্ঞানী করে তুলতে হতে হবে, যাতে তারা খুব সহজেই সত্য-মিথ্যা পার্থক্য করতে পারে। ধোঁকা-প্রতারণা বুঝতে পারে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে নিজ থেকেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে। অন্যদিকে সমাজ-রাষ্ট্রের গুরুত্বপুর্ণ ব্যক্তিদেরকে জ্ঞানগত শক্তির স্পর্শে এনে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে, যেন তারা ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠতে পারেন। রাজনৈতিক ছেলেখেলা ও নোংরামী থেকে মুক্তি লাভ করেন এবং দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রয়োজনের মুহূর্তে জাতির সুযোগ্য নেতৃত্ব ও মহৎ ইচ্ছা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারেন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩২

নূর আদনান বলেছেন: ০০.০০%

নো চান্স.........

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৮

জাকির এ মাহদিন বলেছেন: বাই চান্স...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.