![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি পথিক। হাঁটছি পৃথিবীর পথে পথে, অনিশ্চিত গন্তব্যে। আক্ষরিক অর্থেই আমি পথিক। একে একে জীবনযাত্রার সব সুতো কেটে দিচ্ছি। আবার শূন্যের উপর নির্মাণও করছি। এটাই প্রকৃতপক্ষে জীবন। অথবা- জীবন এমনই। কাগজের নৌকা দিয়ে সাগর পাড়ির দুরন্ত প্রয়াস, যে সাগরের পাড় নেই। আমি মানবতার মুক্তির জন্য বিবেকের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শোষিত-বঞ্চিতের পাশে দাঁড়াতে চাই।
সত্যি কথা বলতে কি, লেখালেখির ইচ্ছে সেই বিশ বছর বয়স থেকেই। এখন বয়স প্রায় ত্রিশ। এতদিন লিখিনি কারণ অন্যকে সমালোচনা করতে বা উপদেশ দিতে চাইনি। কেননা এটা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। প্রবৃত্তির অনুসরণ-অনুশীলন না করে একে বদলাতে চেষ্টা করেছি। তারপর গত তিন বছর আগে মনে হল একটু প্র্যাকটিস করা দরকার। তবে যথাসম্ভব নিজের প্রতি খেয়াল রেখেই। লেখালেখির এ তিন বছরে নিজেকে কিছুটা হলেও বদলাতে পেরেছি। এ কৃতিত্ব আমার অনলাইন পাঠক-সমালোচকদের।
একজন মানুষের জীবনে সমালোচক ও সমালোচনা খুবই জরুরি। প্রতিটি দল, সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সমালোচনা এক অপরিহার্য অঙ্গ। অথচ আজ এটাকে আমরা ভালো চোখে দেখি না। এখনো যে তেমন একটা লিখি তা নয়। লেখার চেয়ে পড়াই আমাকে আনন্দ দেয় বেশি। যতটুকু লিখি, মনের উপর জোর খাটিয়ে। স্বতস্ফূর্ত লেখা খুব কম। বিশেষ করে স্বতস্ফূর্ত কোন লেখা মনে উদয় হলে যখন নিজেকে প্রশ্ন করি এর দ্বারা কি হবে, কাকে বলছি, কেন বলছি? বরং এ কথাগুলো তো নিজেকেই বলা উচিত। তখন লেখালেখির ইচ্ছে চুপসে যায়। এভাবে কত লেখা যে হারিয়ে যায়! ডায়রি লিখছি অবশ্য সাত বছর ধরে। কারণ এটা নিজের সঙ্গে এক প্রকার কথা বলা।
চারপাশে ঘটছে হাজার ঘটনা। রক্ত-মাংসের মানুষ যারা, প্রভাবিত হবেই। কখনো অট্রহাসি, তুমুল উল্লাসে ফেটে পড়া, আবার কখনো কুৎসিৎ গালি, মানুষ চিবিয়ে খাওয়ার বাসনা। দুঃখ, হতাশা, ভালোবাসা, আবেগ, উৎকণ্ঠা এমনিভাবে প্রভাবিত হচ্ছি আমরা চারপাশের ঘটনা দ্বারা প্রতিনিয়ত। কিন্তু আপনি ভেবেছেন কি, এসব সস্তা আবেগের উর্ধ্বে আমাদের যে উঠতে হবে? কিছু একটা ঘটলেই আজকাল ফেসবুক-ব্লগে পোস্টের জোয়ার। এটা যেন ভার্চুয়াল চা-স্টল। কিন্তু আমরা ভাবি না এসব পাইকারি কথা পরিবেশ-পরিস্থিতির সত্যিকার কতটুকু উন্নতি করছে। হ্যা, যদি স্রেফ নিজের আবেগ প্রকাশের জন্যই আপনি বাংলালিংক দরে স্ট্যাটাস দিয়ে থাকেন, আমার আপত্তি নেই। কারণ এখানে পরিবেশ-পরিস্থিতির চেয়ে আপনার আবেগটাই গুরুত্বপূর্ণ। নিজেকে হাল্কা করুন। ভালো থাকুন। তবে এটা করতে গিয়ে আবার নতুন করে ঝামেলা পাকাবেন না প্লিজ!
আমি আজকাল নিজেকে একটু আবেগের উর্ধ্বে নিতে চেষ্টা করছি। কারণ এটা না করলে নিরপেক্ষ বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন সম্ভব না। আমাদের চারপাশে এই যে এত এত অন্যায়-অত্যাচার, ক্ষমতার মিথ্যা অহঙ্কার, জুলুম-নির্যাতন- এসবের মৌলিক কারণ কি? কিভাবে একটি রাষ্ট্র ও সমাজকে ধীরে ধীরে উন্নতির চূড়ায় উঠাতে হবে? কিভাবে হাজার মানুষের অন্তরে জ্ঞানের আলো ছড়াতে হবে? সমাজকে শিক্ষিত করে তুলতে হবে? যে তরুণরা আজ রাজপথে প্রতিবাদী, সমাজ বদলাবার প্রত্যয়ে জীবন রাখে বাজি, দেখা গেল তারাই ক্ষমতা পেলে অতীতের অনুসরণ করে, স্বৈরাচারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। মুহূর্তে বদলে যায় তাদের ভাষা, আচার-আচরণ। তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ, দেখুন আপনি যে ক্ষেত্রে ক্ষমতাবান সে ক্ষেত্রে আপনার অনুভূতি। আমি অনেক অফিসের বসকে চিনি, যারা জুনিয়র-কর্মচারিদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করেন। পরিবার, প্রতিষ্ঠান, সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতিটি সেক্টরেই এমন চিত্র। এত মানুষের ভেতরে "মানুষ" খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তাই এখন নিজেকেই সন্দেহ করি।
বাংলাদেশের সমকালীন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে হেফাজতে ইসলাম এ দেশের প্রায় সব আলেম ও কওমি ধারার লোকদের একীভূত করতে পারলেও তারা সহসা রাজনীতির কথা বলতে পারেন না। এমনকি যদি রাষ্ট্রক্ষমতা হুজুরদের হাতে দিয়েও দেয়া হয়, প্রথমত তাদের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্কীর্ণতা ও যোগ্যতার ঘাটতি আছে। দ্বিতীয়ত দেশের মানুষ এটা মেনে নেবে না। কারণ তাদের চোখে ভেসে উঠে তালেবানী শাসনের চিত্র। জনগণের মন থেকে এ ভয় দূর করার কি ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি? সরকার এবং সরকারে যেতে ইচ্ছুকদের জনগণের মনের ভাষা বুঝার ক্ষমতা থাকতে হবে। আমি জোর দিয়ে বলছি, আগে আইন নয়, আইনের ক্ষেত্র তৈরি করা। আমরা কি সে কাজটা জনগণের ময়দানে করছি? আজ আলেমদের রাজনৈতিক তৎপরতায় বাধা থাকলেও ধর্মীয় কোন কাজে বাধা নেই। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশ হিসেবে এ সুযোগটা আমরা ভোগ করছি। দুদিন পর এটাও থাকবে না।
হেফাজত যে বিএনপিকে সমর্থন দিচ্ছে, বিএনপির সঙ্গে একাত্ম হচ্ছে, তাদের ব্যর্থতার দায়ভার নিতে কি হেফাজত প্রস্তুত? আর এভাবে বছরের পর বছর পরনির্ভরশীল হয়ে থাকার ভবিষ্যৎ ক্ষতিটা আমরা কতটুকু উপলব্ধি করতে পারি? অন্তত সংখ্যালঘু একটা ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর যতটুকু রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা ও অধিকার আদায়ের ক্ষমতা থাকে তাও এ দেশের আলেমদের নেই। এ জন্য কি আলেমরা দায়ি নন? প্রবীণ আলেমগণ বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে রাজনৈতিক অঙ্গনে নেতৃত্ব, প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতার পরিচয় দিতে পারেননি। কিন্তু এ সীমাবদ্ধতাগুলো কেটে যাবার পর আজ কওমি তরুণরাও একই পথে হাঁটবে এটা আমি মেনে নিতে পারি না। আমার রাজনৈতিক লেখাগুলো কওমি তরুণরা বুঝেন বলে মনে হয় না। রাজনৈতিক লেখা বা বক্তব্য রাজনৈতিক দৃষ্টিতেই দেখতে হয়। এখানে ধর্মীয় গোঁড়ামো চলে না। অবশ্য এক্ষেত্রে আমারও যথেষ্ট ঘাটতি আছে। যেভাবে বা যে কৌশলে বিষয়গুলো তুলে ধরা দরকার, আমি হয়তো সেভাবে করছি না।
শাপলা চত্বরের সমাবেশের আগে আমি বলেছিলাম বিএনপি-জাতীয় পাটি-জামাতে ইসলামির সমর্থন ও সহযোগিতা হেফাজত প্রত্যাহার করুক। কিন্তু তারা তা করেনি। বলেছিলাম সাভার ট্র্যাজেডি এবং কয়েকজন পাতি নেতার রাজনৈতিক ঘৃণিত বক্তব্যের (৬ মে থেকে দেশ চালাবে হেফাজত) কারণে পূর্বঘোষিত মহাসমাবেশ কর্মসূচি স্থগিত করা হোক, করেনি।
যাহোক, এরপর পাঁচ সিটি নির্বাচনে বিএনপির বিজয়ে আমি খুশি নয়, উল্লসিত হবার প্রশ্নই আসে না। আমরা দেড় টাকা রুজি করি চার টাকা খেয়ে। এই সামান্য ক'টি নির্বাচন নিয়ে যা মাতামাতিতে হয়েছে, জনগণ যারপর না-ই ত্যক্ত-বিরক্ত। কোন উন্নত বা উন্নয়নশীল দেশে জাতীয় নির্বাচন নিয়েও আমার জানামতে এত মাতামাতি হয় না। এই পাঁচটি নির্বাচনে সর্বমোট কত কোটি ডলার খরচ হয়েছে? এগুলো কাদের টাকা? কিভাবে এগুলো উঠবে? কত লাখ শ্রমিক-কর্মচারী-শিক্ষক-ব্যবসায়ী কর্মবিরতি পালন করেছেন? এই জাতির কি পরিমাণ মেধা-মনন এতে খরচ হয়েছে? যাক, এ বিষয়ে আজ আর বললাম না। তবে এতটুকু বলে রাখি, এতে হেফাজতের বিন্দুমাত্র লাভ হবে না। মার খাব আমরা, ফল যাবে অন্যের ঘরেই। তাই তাদের সতর্ক করছি, সামনের কর্মসূচি নিয়ে কোন প্রকার বাড়াবাড়ি বা উল্লসিত হবার কারণ নেই। হেফাজত বাড়াবাড়ি করলে আমি কঠোর প্রতিবাদ করব। আমাদের প্রতিটি কথা, পদক্ষেপ ও সিদ্ধান্ত বস্তবসম্মত হতে হবে। জনগণের সঙ্গে দূরত্ব কমাতে হবে। দেশ-বিদেশের লাখ-লাখ মুসলমান শুধু আমাদের কারণেই আমাদের ঘৃণা করে। যে যত কাছের, আমি তত বেশি তার সমালোচনা করব।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৯
জাকির এ মাহদিন বলেছেন: অসুবিধা নেই, আমরা তৃণমূল থেকেই ওঠে আসব। আত্মবিশ্বাস থাকলে হবেই। আপাতত সকল পোস্ট পাতায় সুযোগটাই বড় কথা। লিখে যান।
২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৭
রাখালছেলে বলেছেন: হুম ...সহমত...এইদেশ তালেবানদের মত করে চলবে না। শাপলা চত্ত্বরে ওরা যা করেছে তা দেখে মনে হয় তারা তালেবানদের মত করেই দেশ চালাতে চায় ।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১২
জাকির এ মাহদিন বলেছেন: রাইট, আলেমদের এটা স্পষ্ট করতে হবে যে, তালেবানী শাসন বা হুমকি-ধামকি আমারা দিচ্ছিও না, কখনো দেবও না।
৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৭
শুভ্র৯৫রকস বলেছেন: আমী আলেমদেরকে ভালবাসি কিন্তু তাদের ধমকি ধামকি আমার পছন্দ না। মাহফিলে তো সুন্দর বাষায় অয়ান করেন তাহলে সমাবেশে এত করকশ ভাষায় চিল্লাচিল্লি কেন করেন আমি বুঝি না।
৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২২
জাকির এ মাহদিন বলেছেন: আমি মাহফিলের ভাষাও পুরোপুরি সমর্থন করি না। কারণ সেগুলো কেবল গ্রাম-গঞ্জের খেটে-খাওয়া মানুষদের বুঝার ভাষা। কিন্তু আলেমদের তো বুদ্ধিজীবীদেরও মোকাবেলা করতে হবে। আর এটা ওয়াজের ভাষায় অসম্ভব।
৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩০
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আলেম যারা তারাত শ্রদ্ধার লোক সবাই তাদের শ্রদ্ধা করবে। তাদের রাজনিতী কি দরকার!রাজনিতী কি জীবন ব্যবস্থার একটা চালক না ভাই।
এমনিতে আপনার লিখা আমার ভাল লেগেছে।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৬
জাকির এ মাহদিন বলেছেন: রাজনীতি মানে হচ্ছে বৃহত্তর জনসমাজ ও রাষ্ট্রের ভালো-মন্দ চিন্তা করা এবং প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখা। এটা করতে আলেমদের বাধা নেই।
৬| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:৪৬
ছিপি বলেছেন: ধ্বংশযজ্ঞ, কোরান পোড়ানো নিয়ে কিছু লিখলেন না যে?
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৪
জাকির এ মাহদিন বলেছেন: যা বললাম তা কি যথেষ্ট নয়? তাছাড়া কোরান পোড়ানোটা একটা বিতর্কিত ঘটনা। কারা করেছে তার সুস্পষ্ট প্রমাণ কেউই দিতে পারছেন না।
৭| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২২
ছিপি বলেছেন: সেদিন শাপলা চত্বরে আগুন দিয়েছিলো কারা?
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৮
জাকির এ মাহদিন বলেছেন: আমি কেম্পে কমু??
৮| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৪
ছিপি বলেছেন: টিভিতে দেখেন নাই?
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৬
জাকির এ মাহদিন বলেছেন: নাহ, সেই দিকটি অন্ধকার ছিল, কারা লাগিয়েছে টিভিতে দেখা যায়নি, অথবা আমি দেখিনি। তবে যদ্দুর দেখেছি, কওমিদের আগুন লাগাতে দেখিনি।
কিছু পাঞ্জাবী-প্যান্ট পরা---- এরা কারা জানি না।
৯| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৯
ছিপি বলেছেন: পাঞ্জাবী প্যান্ট পরে কারা গেছিলো শাপলায়?
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৪
জাকির এ মাহদিন বলেছেন: আরে ভাই আমি কেমনে কমু? শিবির বলছে লীগ, লীগ বলছে শিবির। এটা প্রমাণ করারদায়িত্ব মিডিয়ার।
১০| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১০
ছিপি বলেছেন: হা হা হা, শাপলায় ওদিন লীগ কিভাবে যায়?
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৪
শুভ্র৯৫রকস বলেছেন: আপনার বিশ্লষন ভাল লাগল। আপনার মত আমার লেখাও নির্বাচিত পাতায় আসে না।