![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি পথিক। হাঁটছি পৃথিবীর পথে পথে, অনিশ্চিত গন্তব্যে। আক্ষরিক অর্থেই আমি পথিক। একে একে জীবনযাত্রার সব সুতো কেটে দিচ্ছি। আবার শূন্যের উপর নির্মাণও করছি। এটাই প্রকৃতপক্ষে জীবন। অথবা- জীবন এমনই। কাগজের নৌকা দিয়ে সাগর পাড়ির দুরন্ত প্রয়াস, যে সাগরের পাড় নেই। আমি মানবতার মুক্তির জন্য বিবেকের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শোষিত-বঞ্চিতের পাশে দাঁড়াতে চাই।
আমার প্রকাশিতব্য রাজনীতির মুখোশ ও মনুষ্যত্বের বিকাশ বই থেকে কয়েকটি উদ্ধৃতি। এর উপর প্রিয় ব্লগারদের সমালোচনা প্রত্যাশা করি।
"প্রবীণ ও বুদ্ধিজীবীগণের একটা শ্রেণি পত্র-পত্রিকায় বিরামহীন লিখেই যাচ্ছেন। বই-পুস্তকও লিখছেন প্রচুর। কিন্তু পাঠকের সঙ্গে সংযোগ নেই। যুবসমাজ এসব খুব কমই পড়ে। এমনকি লেখকের অত্যন্ত সূক্ষ্ম বিশ্লেষণ, নিরপেক্ষ মূল্যায়ন ও কষ্টসাধ্য লেখাগুলোও তারা এক কথায় উড়িয়ে দেয়। কারণ তারা দেখে আসছে বছরের পর বছর ধরে এসব লেখার দ্বারা কিছুই হচ্ছে না, কেবল লেখকের নিজের পয়সা রুজি ও যশ-খ্যাতি ছাড়া। শিক্ষিত তরুণরা ইদানিং অবসর সময়টুকু নেটে কাটায়। এখানে লেখক-পাঠক চমৎকার সম্পর্ক গড়ে ওঠে, সরাসরি প্রশ্নোত্তর ও মতবিনিময়ে কোনো বাধা থাকে না। তাছাড়া তারা কেবল দর্শক-শ্রোতা-পাঠক হয়েই থাকতে চায় না, সংকট উত্তরণ ও পরিস্থিতির উন্নয়ন-পরিবর্তনে কিছু বলতে, লিখতে ও সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে ভূমিকা রাখতে চায়। তাই আমি মনে করি অনলাইন-অফলাইনে নবীন-প্রবীণের সংযোগ ঘটানো জরুরি। বহুমুখি মত ও পথের পারস্পরিক উন্মুক্ত চ্যালেঞ্জ ও প্রশ্নোত্তর জরুরি। আর প্রকৃত চ্যালেঞ্জ সেটাই, যেখানে প্রতিপক্ষকে সব রকমের সুযোগ-সুবিধা এমনকি হাতের তরবারিটি পড়ে গেলে তা তুলে দিয়ে তারপর লড়াই করতে হবে।"
"রাজনীতির মুখোশ বলতে রাজনীতিকে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি, বরং রাজনীতির মুখোশের পাশাপাশি মনুষ্যত্বের বিকাশ প্রসঙ্গটি এনে বুঝানো হয়েছে, মনুষ্যত্বের বিকাশের মহান লক্ষ্য ছাড়া শুধুই জাগতিক উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক মুক্তির আওয়াজ রাজনীতিকে মারাত্মকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ ও কলুষিত করে, রাজনীতির মানবকল্যাণকামী প্রকৃত লক্ষ্য-উদ্দেশ্য থেকে বিচ্যুত করে।"
"সম্প্রতি দেশব্যাপী যেভাবে প্রতিদিন বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন, শ্রমজীবী সংগঠন, সামাজিক সংগঠন, ধর্মীয় সংগঠন, নিরপেক্ষ বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়, সুশীলসমাজ, আলেমসমাজ, বিভিন্ন অরাজনৈতিক সংঘ-সমিতি, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-কর্মচারী, সাধারণ জনতা, বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারী-বেসরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ অসংখ্য মানুষ সময়ে অসময়ে সরকারের বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠছে, আন্দোলন-সংগ্রাম করছে, মিছিল করছে, হরতাল-বিক্ষোভ-ভাঙচুর করছে, বোমা ফাটাচ্ছে, রাস্তায় টায়ার জালাচ্ছে, আগুন দিচ্ছে, সরকারের প্রতি অনাস্থা জানাচ্ছে, বিভিন্ন দাবি-দাওয়া পেশ করছে, আর পুলিশ যেভাবে তাদের লাঠিচার্জ করছে, গুলি করছে, মারছে, ধরছে, থানায় নিচ্ছে, মামলা দিচ্ছে, হয়রানী করছে, চাঁদা নিচ্ছে- এ চিত্র আমরা যদি মনে করি কেবল আওয়ামী সরকারের ব্যর্থতা তাহলে চরম ভুল হবে। কারণ পরিস্থিতি এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, বৈষম্য অনেক বেড়ে গেছে, হিংস্রতা, মূর্খতা, পাশবিকতা, স্বার্থের দ্বন্দ্ব, প্রবৃত্তিজাত চাহিদা আগের তুলনায় অনেক অনেক বেড়েছে। অপরদিকে এই বিয়াল্লিশ বছরে জনসংখ্যার তুলনায় স্বাভাবিক যে উন্নয়নের একান্ত প্রয়োজন ছিল শিক্ষাব্যবস্থায়, আবাসন খাতে, গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানি খাতে, স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায়- বাংলাদেশ তার ধারে-কাছেও যেতে পারেনি। ফলে এই সব সামাজিক-অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক অস্থিরতা দিন দিন বাড়ছে এবং বাড়বে, তা যে সরকারই আসুক বা থাকুক না কেন। বাংলাদেশ এখন যে অবস্থায় পৌঁছেছে, স্বাভাবিক কোনো ফর্মূলায় তা থেকে উত্তরণের পথ নেই। যদি না বিপ্লবাত্মক কোনো পদক্ষেপ-পদ্ধতি-কর্মসূচি বা ফর্মূলা গৃহীত হয়। আর এমনটা আমরা আশা করতে পারি না এ কারণে যে, বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী, সুশীলসমাজ, শিক্ষকসমাজ ও আলেমসমাজের সেই মেধা ও ঐক্য নেই। সুতরাং দৈবক্রমের উপর ভরসা করা ছাড়া আমিও এ মুহূর্তে নতুন কোনো পথ দেখছি না।"
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৫
জাকির এ মাহদিন বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা, অধমকে মন্তব্যের ধুলি দেওয়ার জন্য। আমি আপনার কথার প্রতিবাদ করব না। তবে এটুকু বলতে চাই, উন্নয়নের প্রচলিত সংজ্ঞাগুলো ঠিক নয়। উক্ত বইয়ের এক জায়গায় বিষয়টি ক্লিয়ার করেছি এভাবে,
"একশ্রেণির বুদ্ধিজীবী সমাজ-রাষ্ট্রের শুধু ‘উন্নয়নই’ দেখতে পান, অবনতি বা সমস্যার ভয়াবহ স্রোত দেখতে পান না। তাদের টনক নড়ে যখন সমস্যার বিস্ফোরণ ঘটে। কিন্তু ভেতর ঠোসা হতে হতে এক সময় যখন রাষ্ট্র চূড়ান্তভাবে ভেঙ্গে পড়বে, তখন টনক নড়লেও কাজ হবে না। উন্নয়নের হিসেব বের করতে হলে আমাদের সম্পদ, মেধা, জনশক্তি, রেমিটেন্স ও জনগণের চাহিদার আপেক্ষিক তুলনা করতে হবে। অবনতিগুলো পাশাপাশি রাখতে হবে।"
"যে-কোনো ছয়মাসের দৈনিক পত্রিকাগুলো হাতে নিন, তারপর সুসংবাদ ও দুঃসংবাদগুলো পর্যালোচনা করুন। হিসেব পরিষ্কার। তারপরও শাসকগোষ্ঠী কীভাবে বারবার জনগণকে ধোঁকা দেয় আমার বুঝে আসে না। ইতিহাসে ধর্ম ও রাজনীতির এমন কিছু সত্য আছে যা কায়েমি স্বার্থবাদীরা জনসাধারণের সামনে প্রকাশ করে না, অথচ সেগুলো প্রকাশ করা উচিত। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, ধর্ম ও রাজনীতি কখনোই এবং কোনোভাবেই নব্বই শতাংশ জনসাধারণের বিপক্ষে যাবে না, বরং গরীব-দুঃখী, ভূখা-নাঙ্গা জনমানুষের কল্যাণেই ধর্মের অপরিহার্যতা এবং রাজনীতির উদ্ভব। কিন্তু বর্তমানে আমরা দেখছি এর উল্টো।"
আপনি দু'জায়গায় "যদি" ব্যবহার করেছেন, এর কোনো মানে নেই। বিপ্লবাত্মক পদক্ষেপ ছাড়া এগিয়ে যাবার আর সুযোগ নেই। আর সেটারও সম্ভাবনা ক্ষীণ।
২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৫
মোমেরমানুষ৭১ বলেছেন: দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে উন্নত দেশগুলোর তুলনায় অনেক অনেক পিছিয়ে আছি। আমরা এতে বাধাগ্রস্থ হচ্ছি কখনও মৌলবাদের নামে, আবার কখনও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষের শক্তির নামে। সত্যিকার অর্থেই কি এগুলো আমাদের দেশের উন্নয়নে বাধা দিচ্ছে না? আমরা কি সবাই মিলে-মিশে পারি না একটি সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত সোনার দেশ গড়তে?
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৮
জাকির এ মাহদিন বলেছেন: "দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে উন্নত দেশগুলোর তুলনায় অনেক অনেক পিছিয়ে আছি। আমরা এতে বাধাগ্রস্থ হচ্ছি কখনও মৌলবাদের নামে, আবার কখনও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষের শক্তির নামে।"
সেলুট।
৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭
সুষুপ্ত পাঠক বলেছেন: @জাকির মাহাদিন, আবার কখনও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষের শক্তির নামে।" আপনি কি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি বিশ্বাস করেন? করলে কারা পক্ষে, কারা বিপক্ষে?
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫০
জাকির এ মাহদিন বলেছেন: না, আমি বিশ্বাস করি না। দেখুন এখানে আপনার প্রশ্নের উত্তর আছে কি না। মন্তব্যটি আওয়ামী এক ভদ্রলোকের প্রশ্নের জবাবে বন্ধুবর জুনায়েদ গালিব দিয়েছেন।
Junaed Galib : Ruhul Amin Chowdhury ভাই, আপনি যথেষ্ট যুক্তি-তথ্য দিয়ে সমর্থন করছেন - ভালো লাগলো। আপনি আওয়ামী লীগ এ বিশ্বাসী - অন্ধ বিশ্বাসী নন - ভালো। তবে, তাত্ত্বিক ভাবে, আপনকে বলতে চাই মূলত ''স্বাধীনতা বিরোধী'' বলতে কোনো বিষয় নাই - সব মানুষ তার সহজাত প্রবৃত্তিতেই স্বাধীনচেতা হয় - অর্থাত সবার নিজস্ব একটা স্বত্তা আছে - পৃথিবীর কোনো মানুষ ই তার নিজের জন্য দাসত্ব মেনে নেবে না। আমাদের দেশে প্রচলিত ''স্বাধীনতা বিরোধী'' - বাক্যমালা রাজনৈতিক অসৎ উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আওয়ামী লীগ হোক আর বঙ্গবন্ধু হোক, আর জিয়া হোক - পৃথিবীর সব খানে রাষ্ট্রক্ষমতার বিরোধিতা করা, অস্থিরতা সৃষ্টি করা, টেররিসম তৈরী করা - সব কিছুর মূলে - সুশাসন, ন্যায়বিচার, সামাজিক অবিচার জনিত কারণ রয়েছে। যেকোনো ''পার্টির'' চেয়ে আদর্শ বড় - আগে আদর্শ ঠিক করতে হবে - পালন করতে হবে। অর্ধ-আদর্শ বা বিভাজিত আদর্শ থাকলে সমস্যা অন্তহীন।
ভদ্রলোকের কথাটি দেখার জন্য এখানে যান-
Click This Link
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৭
সুষুপ্ত পাঠক বলেছেন: @জাকির মাহাদীন, স্বাধীনতার ৪২ বছরে আমাদের অর্জন নেহাত কম নয়। প্রথম বড় ব্যাপার আমরা পৃথক হয়ে পাকিস্তানের চেয়ে ভাল আছি। আর্থ-সামাজিকভাবে তাদের চেয়ে আমরা এগিয়ে। অর্মত্য সেন বলেছেন, ভারতের চেয়ে আমরা জীবনযাত্রায় এগিয়ে গেছি। কাজেই বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্র বলা যাবে না। আমাদের যে সমস্যা তা রাজনৈতিক দলগুলোর খেয়োখেয়ি, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য লোভ। বাংলাদেশ যদি মৌলবাদকে রুখতে পারে, গণতান্ত্রিক চর্চা দলগুলোর মধ্যে বাড়ে, জনগণ যদি রাজনৈতিক দলগুলোর অন্ধ সমর্থক না হয়ে সত্যিকারের ভোটার হতে পারে, আমার ধারনা আমরা দক্ষিণ এশিয়ায় সবার চেয়েও এগিয়ে থাকবো। বাংলাদেশ জন্ম নিয়েছে হেরে যাবার জন্য নয়। আমাদের যত সমস্যা ধর্ম ও মৌলবাদ, যা যে কোন জাতিকে পিছনে টেনে নিয়ে যায়। এখন আমরা মৌলবাদের চাপে আছি।