![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি পথিক। হাঁটছি পৃথিবীর পথে পথে, অনিশ্চিত গন্তব্যে। আক্ষরিক অর্থেই আমি পথিক। একে একে জীবনযাত্রার সব সুতো কেটে দিচ্ছি। আবার শূন্যের উপর নির্মাণও করছি। এটাই প্রকৃতপক্ষে জীবন। অথবা- জীবন এমনই। কাগজের নৌকা দিয়ে সাগর পাড়ির দুরন্ত প্রয়াস, যে সাগরের পাড় নেই। আমি মানবতার মুক্তির জন্য বিবেকের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শোষিত-বঞ্চিতের পাশে দাঁড়াতে চাই।
আমি দীর্ঘদিন ধরেই জনাব ফরহাদ মজহার সম্পর্কে সচেতন। তার স্বতন্ত্র চিন্তা, লেখার আলাদা স্টাইল খারাপ না। ডিগ্রি গুরুত্বপূর্ণ নয়। স্রোতের বিপরীতে চলার সাহস প্রশংসার্হ। তবে বস্তুবাদিতার সঙ্গে ভাববাদিতার সমন্বয় তিনি ঘটাতে পারেননি। তা সত্ত্বেও ব্যক্তিগত জীবনে তার ভাববাদের চর্চা সম্ভবত ভাববাদের প্রতি মানবিক আত্মার সহজাত আকর্ষণ, অথবা ভণ্ডামী। আরেকটি ব্যাপার, তিনি একজন ভিন্নধারার সমাজতন্ত্রী, মার্ক্স-লেনিনের অন্ধ অনুসারী। ধর্মের প্রতি তার গুরুদের ‘উদারতা’ প্রমাণে তিনি সিদ্ধহস্ত। তবে ইসলাম, আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি এ পর্যন্ত তিনি যে অভিযোগ তুলেছেন ও কটাক্ষ করেছেন- কখনো সূক্ষ্ম, আবার কখনো স্থুল, আলেমদের পক্ষ থেকে তাকে জবাবদিহিতা ও প্রশ্নের মুখোমুখি করা উচিত। ইদানিং তার একটা কবিতা পড়েছি... আমার প্রতিবাদের ভাষা নেই। আর ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে তার লিভ টুগেদার, হস্তমৈথুন মতবাদ...
ইদানিং ফরহাদ মজহারের রাজনৈতিক বক্তব্যে অনেকেই বিভ্রান্ত। কেউ কেউ আস্তিকতার আবরণে নাস্তিকতা লালন করেন যা বিশেষ দূরবীন ছাড়া দেখা সম্ভব হয় না, নাপাক ও শিরক-কুফরে ডুবে থেকেও তারা ধর্মের ‘ব্যাখ্যা’ করতে চান। জনাব মজহার অবশ্য বলেছেন, ‘ভিন্নমত পেলে অবশ্য আমি ভিন্নভাবে ভাবব। কারও জানা থাকলে আমাকে জানাবেন। কৃতজ্ঞ থাকব।’ তবে এখানে অনেক প্রশ্ন আছে। কথার কথা অনেকেই এমনটা বলে থাকেন, বাস্তবতার সঙ্গে যার বিন্দুমাত্র সম্পর্ক থাকে না। ভিন্নমত অনুসন্ধানের বাস্তবতা কি? জ্ঞান কাউকে অনুসন্ধান করে না, বরং জ্ঞানকেই অনুসন্ধান করে নিতে হয়। তিনি মার্ক্স-এঙ্গেলস-লেনিনকে ধর্মের পক্ষের লোক ‘হিশাবে’ হাজির করেন। বাংলাদেশে তার প্রচুর অনুসারী আছে।
আমি এক অনুসারীর সঙ্গে দীর্ঘদিন কথা বলেছিলাম। উপলব্ধি করতে চেষ্টা করেছি তাদের আসল সমস্যাটা কোথায়। ফরহাদ মজহারের ‘মোকাবিলা’ বইটি পড়েছি। তার ভাষায়, ‘ধর্মের’ সঙ্গে মোকাবিলা। অন্যকথায় ‘ধর্মতত্ত্বের’ সঙ্গে মোকাবিলা। আমার একটি কাজ হবে তাদের সঙ্গে ‘মোকাবিলা’। এ ধরনের বই আমাদের শ্রেণীর কেউ সাধারণত পড়েন না। পড়ার প্রয়োজনও নেই, যদি ধর্মীয় আলেমদের পক্ষ থেকে এসবের যথাযথ জবাব বা এ শ্রেণীর পাল্টা শক্তিশালী লিখনি থাকে। কিন্তু সমস্যাটা হয় তখনই, যখন উলামাগণ এগুলো থেকে উদাসীন থাকেন। এই সুযোগে মার্ক্সবাদ, ভাববাদ, কোয়ান্টাম মেথড জাতীয় থিওরিগুলো যুবসমাজকে চরমভাবে বিভ্রান্ত করে। এসব থিওরির দ্বারা সংশয়ের নিরসন না ঘটে বরং নতুনভাবে সংশয় সৃষ্টি হয় যুবসমাজের মনে। যার পরিণতি অতি ভয়াবহ এবং শীঘ্রই সমাজে এর কুপ্রভাব পড়ে। আমাদের সমাজেও অনেক আগে থেকেই পড়তে শুরু করেছে। চিন্তাশীলগণ যদি এদিকে নজর না দেন তাহলে পরবর্তীতে তারা সমাজে যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে, রাষ্ট্র ক্ষমতা পেলে বিরোধী মত-পথের লোকদের উপর স্টিম রোলার চালাবে তা প্রতিহত করতে পারবেন না।
এত সূক্ষ্ম নাস্তিকতা! এর চেয়ে সরাসরি নাস্তিকতা অনেক ভালো। অনেকদিন আগে আমি তাকে একটি ইমেইল করেছিলাম যার একটা অংশ ছিল এ রকম, “শ্রদ্ধেয় জনাব ফরহাদ মজহার, আপনার অমুক বইটি অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। ভালো লাগল আপনার বিশ্লেষণী ক্ষমতা দেখে। তবে বলতে গেলে প্রায় প্রতিটি লাইনের সঙ্গেই আমার দ্বিমত রয়েছে। কিন্তু যেহেতু লেখার জবাব কেবল লেখা দিয়েই পুরোপুরি দেয়া যায় না (অর্থাৎ কাজ-কর্মে দিতে হয়), তাই আপাতত লিখতে উদ্গ্রীব নই। ধর্ম নিয়ে আমার আগেও পড়াশুনা আছে, এখনো পড়ছি। সঙ্গে যোগ করেছি মার্ক্সবাদ ও সমাজতন্ত্র। বছরখানেক পর ‘মোকাবিলার মোকাবিলা’ লেখার ইচ্ছে আছে। ... আপনার সঙ্গে বসতে চাই।”
কোনো উত্তর পাইনি।
আমি খুব ভালো করেই জানি, 'মোকাবিলায়' তিনি যা লিখেছেন, ধর্ম, আল্লাহ, নবী, মুজেযার উপর ‘বুদ্ধি’ দ্বারা যেসব প্রশ্ন তুলেছেন, এর জবাব না পাওয়া পর্যন্ত সাধারণত তিনি সেই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ফিরে আসতে পারেন না। আর বর্তমানে তার ওসব প্রশ্নগুলোর জবাব কোথাও তেমন একটা দেখাও যায় না। সুতরাং তার মত পাল্টানোর প্রশ্নই আসে না, যদি না ‘অলৌকিক’ কিছু ঘটে। তিনি ইদানিং পত্রিকায় যেসব রাজনৈতিক বক্তব্য ঝাড়ছেন, অনেকেই জানেন না তার মৌলিক দৃষ্টিভঙ্গি কী। জানলে হয়তো কিছুটা হলেও বুঝতে পারতেন তার সেই লেখা ও এই লেখা একই সূত্রে গাঁথা। আমি তার ধর্মের সঙ্গে সেই ‘মোকাবিলা’ আর হালে ‘সহাবস্থান’ “এক পর্যায়ে ধরে ফেলতে পারি”। যাহোক, ব্যস্ততা কাটিয়ে ‘মোকাবিলার মোকাবিলা’ লিখা একটু সময়সাপেক্ষ হলেও সামনাসামনি বসার চ্যালেঞ্জ এনিটাইম।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৮
জাকির এ মাহদিন বলেছেন: না, কারণ সেটা হলে এ নিয়ে তার স্পষ্ট বক্তব্য থাকত। তাছাড়া আজ যা বলছেন, তা না বললেও আমি এর প্রতিধ্বনি তার অতীতের লেখার মধ্যেই পাই।
পরিবর্তন সামান্য যা আসতে পারে তা হচ্ছে উপস্থিত রাজনৈতিক মিত্রের প্রশ্নে। যেমন তার একটা বই "রাজকুমারী হাসিনা"। এ বক্তব্য থেকে সরে আসতে পারেন, কিন্তু তার ইসলাম ও মানবতা বিরোধী সুক্ষ্ম মারপ্যাঁচের মৌলিক দর্শন থেকে চুল পরিমানও সরেননি।
২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২১
মনসুর-উল-হাকিম বলেছেন: ঠিকই লিখছেন, সুভেচ্ছান্তে ধন্যবাদ।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৮
জাকির এ মাহদিন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩২
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: Click This Link
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৪
জাকির এ মাহদিন বলেছেন: হুম! আপনার পোস্টটি মানবতার প্রশ্নে তার অবস্থান তুলে ধরেছে।
ধর্ম বা ইসলাম সম্পর্কেও তার ভূমিকা একই রকম প্রশ্নবিদ্ধ।
৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৪
খোমেনী বলেছেন: ধর্মীয় প্রসঙ্গে তিনি অনেক বিরুদ্ধাচারন করেছেন মানলাম। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে তার কিছু রাজনৈতিক সচেতনতা মুলক কথা বার্তা ইসলামিস্টদের অনুপস্থিতিতে শুণ্যস্থান পূরণ করেছে এই বা কম কিসে। খুব ভালো লাগছিল যখন তারই সমগোত্রিওরা তার কথা বার্তায় তেলে বেগুনে জ্বলে উঠছিল।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০০
জাকির এ মাহদিন বলেছেন: "বর্তমান প্রেক্ষাপটে তার কিছু রাজনৈতিক সচেতনতা মুলক কথা বার্তা ইসলামিস্টদের অনুপস্থিতিতে শুণ্যস্থান পূরণ করেছে এই বা কম কিসে।"
না, বিন্দুমাত্র শূন্যস্থান পূরণ হয়নি, বরং একজন নাস্তিক এবং সূক্ষ্মতাত্ত্বিক ধর্মবিরোধী যখন প্রকাশ্যে ইসলামের পক্ষে কথা বলে, তখন এর কারণটা ও উদ্দেশ্যটা বুঝতে হবে এবং 'ইসলামি দর্শন' আরো জটিল হয়, বিশাল একটা অংশের মানুষের মনে ইসলাম সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা আরো পাকাপোক্ত হয়।
"খুব ভালো লাগছিল যখন তারই সমগোত্রিওরা তার কথা বার্তায় তেলে বেগুনে জ্বলে উঠছিল।"
প্রকৃত ইসলাম কথার দ্বারা এই "তেলে বেগুনে" মানুষক জ্বালায় না।
আজকের এসব পরিস্থিতি বলে দিচ্ছে, প্রকৃত ইসলাম অনুধাবনে আমরা পুরোপুরি ব্যর্থ।
৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৭
খোমেনী বলেছেন: [img|http://cms.somewhereinblog.net/ciu/image/158553/small/?token_id=e0a44e88677ece87c1dceb9b8f876aa0
ছবিতে যে লোকগুলোকে দেখা যাচ্ছে তাদের আদর্শ কিন্তু ভিন্ন। তবু তারা এক মঞ্ঝে কিন্তু কেন? ফরহাদ মজাহাররা বলছে বিধায় আজকে আপনি আমরা বলতে পারছি না। তাদের সমগোত্রিও লোকেরা অন্তত আমাদের খোচাতে সাহস পাচ্ছে না।
৬| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৯
খোমেনী বলেছেন:
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৬
জাকির এ মাহদিন বলেছেন: শুধু ফরহাদ মজহার নয়, অন্যদের আক্রমনাত্মক সমালোচনাগুলোও ইসলামের পক্ষে যেতে পারে না। ইসলাম এমন শিক্ষা কাউকে দেয় না।
৭| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২২
খোমেনী বলেছেন: আপনি যেখানে দাড়ি টুপি নিয়ে বাহিরে বের হলে গ্রেফতার আতঙ্কে ভুগেন তখন এইসব ফরহাদ মজাহাররা নির্ভিকভাবে সেই দাড়ি টুপি ওয়ালাদের অধিকারের পক্ষে কথা বলেন। কয়জন ইসলামিস্ট ইসলামের পক্ষে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে হাতে গোনা একজন দুইজনও না। নিচের ছবিতে কয়জন ইসলামিস্ট দেখুন তো - কিন্তু তারা পজিটিভ। দেখা যাচ্ছে আপনি আমি ইসলামের পক্ষেও বলতে পারছি না আবার যারা বলছে না ঠিক, তবে বলতে চাইছেন তাদের সুক্ষ বিশ্লেষন ধরতে গলদঘর্ম ছড়াচ্ছি -
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৪
জাকির এ মাহদিন বলেছেন: হ্যাঁ, তাদের দ্বারা হয়তো কিছুটা হলেও ভারসাম্য রক্ষা হচ্ছে। আবার হতে পারে কোনো কোনো ক্ষেত্রে উল্টো প্রতিক্রিয়াও হচ্ছে।
এটা ঘটে যখন সীমাতিরিক্ত বাড়াবাড়ি (যেমন মজহারের বোমা সংক্রান্ত বক্তব্য), রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল ইত্যাদির পর্যায়ে চলে যায়।
আরো সহনশীল হয়ে যৌক্তিক মোকাবেলার বাধাটা কোথায়?? আর ইসলাম বিরোধী কথিত সুশীলদের প্রতি যেসব অভিযোগ তোলা যায়, এদের প্রতিও তা তোলা যায়। তাহলে পার্থক্যটা কোথায়?
৮| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩০
খোমেনী বলেছেন: সুবীর ভৌমিক কি দক্ষিণ এশিয়ায় আগুন লাগিয়ে দেবেন! - ফরহাদ মজাহার
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪১
জাকির এ মাহদিন বলেছেন: পড়েছি আগেই। আমি দু'মাস ধরে নয়া দিগন্ত রাখি।
কিন্তু এখানে প্রশ্ন : ফরহাদ মজহারের মতো ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে রাজনীতি, মিডিয়া, সামাজিক কার্যক্রম ও শিল্প-সাহিত্য ইত্যাদিতে সরব-সক্রিয় থাকার পরও এ পরিস্থিতি আসলো কেন?
দ্বিতীয় প্রশ্ন, এসব ফালতুদের ক্যাচাল ফরহাদ মজহারের মতো ব্যক্তি উল্লেখ করাটা যতটা না সমাধান, তারচেয়ে বেশি ওটার প্রচার। এ জাতীয় লেখাগুলোর আমি তীব্র সমালোচনা করি।
৯| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫১
খোমেনী বলেছেন: তারা কখনই সরব ছিলো না। যখন বাকিরা নিভৃতে চলে গেলো ভয়ে ডরে দূর্বল ইমানদার তকমা নিয়ে, তখন তারা সপটে হাজির হয়েছে। ভাববেন না আমি তাদের ইসলাম বিদ্বেষপনাকে সমর্থন করছি যদিও আমার হাতে প্রমান নেই তারা আদতে ইসলাম বিদ্বেষী কি না। প্রগতীশীলদের কখনই দেখি নি তারা ইসলামিস্টদের পক্ষে কথা বলে। তবে তাদের সত্য কথা বলার জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ আমি।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৯
জাকির এ মাহদিন বলেছেন: আপনি যাদের উল্লেখ করেছেন, তাদের মধ্যে আমি যাদের জানি তারা ইসলামবিরোধী নয়, একমাত্র ফরহাদ মজহার ছাড়া। তবে ইসলাম প্রশ্নে তাদের ব্যাখ্যাগুলো আমার দৃষ্টিতে সঠিক নয়।
অবশ্য এ জন্য তাদের দোষ দেয়া যায় না। কারণ যাদের কাছ থেকে সঠিক ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ আসার কথা, তাদের থেকেও আসছে না।
১০| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৩
খোমেনী বলেছেন: ফরহাদ মজাহারকে আমি ইসলামের খাদেম হিসেবে গণ্য করছি না। সৎ কাজের আদেশ অসৎ কাজের নিষেধ এবং অন্যয়ের প্রতিবাদ যদি হয় ইসলামের ভাষা তাহলে জাকির মাহদিনের থেকে ফরহাদ মজাহার ভালো কাজ করছে। খোমেনী জাকিরের সমাজে কোন খাওয়া নাই। তারা ইসলাম ইসলাম বলে গলা ফাটালেও কারো যায় আসে না এবং কেউ আমলেও নিবে না।
অন্যায় যে হচ্ছে এটা কিন্তু ঠিক। এখন তার বিরুদ্ধে কন্ঠ তুলে ফরহাদ মজাহার সার্বিকভাবে আল্লাহর আদেশই পালন করছেন। হতে পারে সে ইসলামের আদর্শের বিপক্ষে কিন্তু খারাপ সময় অনেক মুনাফিকের থেকে তিনি কাফির যদি হয়ও তাহলে তিনি একজন ইসলামের খাদেম হয়েই কাজ করছেন।
ভালো কাজের উপদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধ এটা কিন্তু ইসলামীক ল্যাংগুয়েজ।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৭
জাকির এ মাহদিন বলেছেন: ভালো বলেছেন। তা আপনার নেটের খবর কি? সামনে থেকে ৩জিবি নেবেন।
শুনবে শুনবে, সময় এলে জাকির খোমেনীর কথাও মানুষ শুনবে।
১১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৪
খোমেনী বলেছেন: ভাইয়া একজনের মডেম ধার করেছি এভাবে আর কতদিন চলবে সেটাই ভাবছি।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩০
জাকির এ মাহদিন বলেছেন: একটু রয়ে সয়ে ব্যবহার করলেই হয়। ১জিবি শেষ করে ফেলেন ১০ দিনে?
হ্যাঁ, যা বলছিলাম, হাদিস শরীফে আছে, "তোমরা অসৎ ব্যবহারকে সৎ ব্যবহার দ্বারা প্ররোধ করো।"
মূলত অসৎ ব্যবহারের চেয়ে সৎ ব্যবহারের শক্তি ও ক্ষমতা অনেক বেশি। এখন কার ব্যবহার কতটুকু সৎ বা অসৎ, কে কতটুকু উগ্র বা সহনশীল- এর বিচারের ভার সাধারণ পাঠক ও শ্রোতাদের উপর।
১২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৫
মিতক্ষরা বলেছেন: আমার মনে হয় না তিনি ইসলাম প্রিয় কোন ব্যক্তি। মতবাদ হিসেবে ইসলামের গ্রহনযোগ্যতা তার কাছে কতটুকু তা আমার জানা নেই। অন্তত এখন পর্যন্ত তিনি ইসলামের পক্ষে সরাসরি অবস্থান নিয়েছেন বলে মনে হয় নি।
কিন্তু তিনি অবশ্যই মাদ্রাসার ছাত্রসহ কথিত সুশীলরা যাদের অবজ্ঞার চোখে দেখে তাদের পক্ষ বিভিন্ন সময় নিয়েছেন। শাহবাগের কঠোর সমালোচনায় তিনি বলেছিলেন যে শাহবাগের তরুন প্রজন্মই একমাত্র প্রজন্ম নয়। বাকীরা সমাজে নিগৃহীত হতে পারে, কিন্তু তারাও তরুন প্রজন্মের অংশ। তাদের বাদ দিয়ে তরুন প্রজন্ম হতে পারে না। সুতরাং মানবাধিকার প্রসংগে তার অবস্থান স্পষ্ট।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৬
জাকির এ মাহদিন বলেছেন: মতবাদ হিসেবে তার কাছে ইসলামের কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই। তবে মুসলমানরা বর্তমানে একটি শোষিত শ্রেণি হিসেবে সমাজতন্ত্রের আলোকে তার কাছে এটা গুরুত্ব রাখে। কিন্তু সমাজতন্ত্র রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে চিত্রটি মুহূর্তে পাল্টে যেতে বাধ্য।
আর সমাজতন্ত্র মূলত "ধর্ম" সাপোর্ট করে না, কিন্তু বিপ্লবের প্রাথমিক ধাপে জনগণকে বুঝ দেয়ার জন্য সমাজতন্ত্রে যথেষ্ট সূক্ষ্ম মারপ্যাঁচ আছে। তা থেকে মজহার ব্যতিক্রম নন। আমি তার লেখা পড়েছি। তবে নির্যাতিতের পক্ষে দাঁড়ানোর এবং একটা বিষয়কে গভীরভাবে দেখার যথেষ্ট গুণ তার মধ্যে আছে। তার সঙ্গে কথা বলতে পারলে ভালো হতো।
১৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৯
মিতক্ষরা বলেছেন: ফরহাদ মাজহারের টক শো দেখেছি। খুব প্রানবন্ত তিনি নন। ভাল লাগে নি। তবে শাহবাগ ইস্যুর লেখাগুলো ছিল অসাধারন। হয়তবা আমি নিজেও শাহবাগ বিরোধী ছিলাম বলে ভাল লেগেছিল।
১৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:২৭
বিদেশী বাঙালী বলেছেন: প্রথমত আপনাকে ধন্যবাদ জানাই আপনার সাহসের জন্যে। উনার মত লোকে চ্যালেঞ্জ জানানো চাট্টিখানি কথা নয়।
তবে, উনার কাছে লেখা চিঠিটি আরেকটু শালীন হওয়া বাঞ্জনীয় ছিলো। তাতে করে হয়তো উনি আপনার সাথে ডিবেটে যেতে পারতেন। আগে থেকেই যদি ভয় দেখিয়ে দেন, তাহলে হবে কি করে?
প্রথমে সহজ, সরল ভাষায় উনাকে ইসলামের দাওয়াত দিন। কোরআনের ভাষা ব্যবহার করুন। এরপরে যদি না আসেন, সেইটার আল্লাহ ও তার মাঝে ফয়সালা।
তারপরে, শুরু করুন উনার লেখাকে কোট করে কিছু পোস্ট। সময় নেই? অসুবিধে কি? ব্লগ আছে না? সব একসাথে তো লেখার দরকার নেই। একটি একটি করে বই ধরুন। তারপর প্রত্যেক চ্যাপ্টারকে টার্গেট করে ১,২,৩ করে ধারাবাহিক পোস্ট দিতে থাকুন ওগুলোর উ্ত্তর সহকারে।
একদিন দেখবেন পুরো বইটিই শেষ করে ফেলেছেন। এতে করে আপনারও সুবিধে হবে উনার সাথে পরে কখনো যদি দেখা হয় সেগুলো নিয়ে আলোচনা করতে পারবেন। হয়তো আপনার একেকটি পোস্ট নিয়েই উনাকে ৩-৪টি সিটিং দেওয়া লাগতে পারে।
এক কাজ করুন না প্লিজ। কাল থেকেই শুরু করে দিন। আমাদের মুসলিম উ্ম্মাহ'র আজ তেজস্বী লেখনীর বড় অভাব। সবাই-ই যদি রাস্তায় নামে, ঘরে বসে শত্রুর উপর চোখ রাখবে কে? তাদের লেখনীগুলোর সূক্ষ উত্তর দেওয়ারও প্রয়োজন নয় কি?
ভেবে দেখুন, ফরহাদ মাজহারের মত লেখকদের লেখাগুলো আজ থেকে ১০০ বছর পরেও নব্য ফেরাউন(এথিস্ট) তৈরী করবে। তখন, সেগুলোর উত্তর দেওয়ার জন্যে কারো বই কি আবশ্যক নয়? ইমাম গাজ্জালী (র), শাহ ওয়ালিউল্লাহ(র)-এর মত মানুষেরা যদি বই না লিখে যেতেন, তাহলে আজ উম্মাহ কিভাবে যুক্তি-তর্ক দিয়ে অবিশ্বাসীদের উত্তর দেওয়া শিখতো?
আল্লাহর কাছে এই দোয়া করি যে, আপনাকে দেওয়া উনার ব্যস্ততাগুলোর মাঝে যেন অবিশ্বাসীদের 'লেখনী'-গুলোর উত্তরে বই লেখাটাও উনি ঢুকিয়ে দেন।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৮
জাকির এ মাহদিন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার সুন্দর পরামর্শের জন্য।
১/ উনি ভয় পাবার লোক না।
২/ মোকাবেলায় যা লিখেছেন, আমি আমি আপনাকে বুঝাতে পারব না যে, তাকে বা এমন কাউকে ইসলামের দাওয়াত দেয়ার পথ সাধারণত নেই। কারণ ইসলাম সম্পর্কে আমরা যা বলতে পারি এবং পূর্ববর্তীগণ যা বলেছেন, এসবের কতকগুলো জটিল সিদ্ধান্ত তিনি টেনেছেন। তবে তারা যা বুঝে তা দিয়ে কথা বলার পথ খোলা আছে।
৩/ তার এ বইটিরই জবাব দিতে হবে এমন কোনো আবশ্যকতা নেই। আমি বর্তমানে যা লিখছি ওসবেও তার প্রশ্নগুলোর জবাব কমবেশি আছে এবং ভবিষ্যতে আরও আসবে। এ রকম প্রশ্ন শুধু তারই নয়, অনেকেরই। তাই নাম ধরে সবার সমালোচনা সম্ভব নয়। সাধারণভাবে সবধরনের নাস্তিক্যবাদের বিরুদ্ধে অপ্রতিরুদ্ধ কলম চালাতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৭
খোমেনী বলেছেন: এমনও হতে পারে অতীতের ভুলগুলো শুধরানোর চেষ্টা করছেন।