![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি পথিক। হাঁটছি পৃথিবীর পথে পথে, অনিশ্চিত গন্তব্যে। আক্ষরিক অর্থেই আমি পথিক। একে একে জীবনযাত্রার সব সুতো কেটে দিচ্ছি। আবার শূন্যের উপর নির্মাণও করছি। এটাই প্রকৃতপক্ষে জীবন। অথবা- জীবন এমনই। কাগজের নৌকা দিয়ে সাগর পাড়ির দুরন্ত প্রয়াস, যে সাগরের পাড় নেই। আমি মানবতার মুক্তির জন্য বিবেকের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শোষিত-বঞ্চিতের পাশে দাঁড়াতে চাই।
উৎসর্গঃ-
১. ফেলানী, ভারতীয় সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলছিল যার লাশ; আমরা তার জন্য কিছুই করতে পারিনি। তার পরিবারের জন্যও না- তার মায়ের জন্য না, ছোট ভাই-বোনদের জন্য না। এমনকি শেষ পর্যন্ত বিচারটাও পাইনি। হায় ফেলানী, ফেলানীদের জীবন এমনই!
২. ‘আদুরী’, ১১ বছরের শিশু পরিচারিকা। যাকে আমরা চিনতামও না, চিনলে হয়তো মানুষ হিসেবে গণ্য করতাম না। এরা মানুষ না, এই কথিত সভ্যতা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও প্রগতি এদের মানুষ বলে স্বীকার করে না, যদিও এ দেশের মিডিয়াগুলো ক’দিন আদুরীর খবর ফলাও প্রচার করেছে। শিশু পরিচারিকা নির্যাতনের আরেক নাম ‘আদুরী’। ২৩-০৯-২০১৩ সোমবার বিকেলে রাজধানীর ডিওএইচএস বারিধারার একটি ডাস্টবিনে আবর্জনার স্তূপ থেকে পুলিশ যাকে উদ্ধার করেছে আধমরা অবস্থায়। যাকে তার গৃহকর্ত্রী ও দুই মেয়ে দীর্ঘ দু’মাস পাশবিক নির্যাতনের পর মৃত মনে করে ডাস্টবিনে ফেলে যায়! হ্যাঁ, আদুরীদের জীবন এমনই হয়!!
৩. বাংলাদেশ, ভারত, আফ্রিকা, ফিলিস্তিনসহ সারা বিশ্বের এমন অসংখ্য, অগণিত নাম না জানা- আর জানা নামগুলো বলে শেষ করা যাবে না এমন- মেয়েশিশু; যারা নব্বইয়ের তসলিমা আর চলতি দশকের মালালার সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুতে অবস্থান করে; যাদের শুধু বেঁচে থাকার ইচ্ছেটাই শত তসলিমা-মালালার সম্মিলিত সাহস-দুঃসাহসকে হার মানায়; যাদের বর্তমান পণ্যে রূপান্তরিত ‘শিক্ষা’র অধিকার দূরের কথা, পেটের জ্বালা নিবারণ হয় না দিনের পর দিন; যাদের ‘ষষ্ঠ’ চাহিদা পূরণ দূরে থাক- (যে চাহিদা জাগ্রত হয় পঞ্চচাহিদা পূরণের পর, যে চাহিদা পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটে কথিত শিক্ষা-উচ্চশিক্ষা-বিত্ত-বৈভবের স্পর্শে, যে চাহিদার জন্য তসলিমার আমরণ সংগ্রাম)- পঞ্চচাহিদারই জোগান নেই; স্বীকৃতি দূরে থাক, বেঁচে থাকারই যাদের অধিকার নেই; সেই সব মৃত ও অর্ধমৃত মেয়েশিশুদের...
সার-সংক্ষেপঃ-
# লিখিত রূপে জ্ঞানগত ও তাত্ত্বিক আলোচনা, জীবনবোধ, জীবনদর্শন, আত্মসমালোচনা, গঠনমূলক সমালোচনা- এগুলোই সর্বোত্তম সাহিত্য।
# জ্ঞানের চেয়ে মূল্যবান কিছু অন্তত মানুষের জন্য নেই। জ্ঞানী হয়ে বিশ্বের বুকে একদিন বাঁচা মূর্খ হয়ে হাজার বছর বাঁচার চেয়ে উত্তম।
# সমাজে ব্যাপকভাবে প্রচলিত তো বটেই, সংকীর্ণ পরিসরে প্রচলিত প্রতিটি বিষয়েরও একটি ‘তাত্ত্বিক’ ভিত্তি থাকে; কোনো কোনোটি খুবই মজবুত, যা আমরা সাধারণত জানতে চেষ্টা করি না।
# চিন্তা ও গবেষণার ক্ষেত্রে ‘বড় বড় ব্যক্তিগণ’ এমনটি বলেছেন বা করেছেন কথাটি চলতে পারে না, বিশেষ করে মানবিক ‘বুদ্ধির সীমানা’র ভেতরের বিষয়গুলো নিয়ে।
# মনুষ্যত্বের বিকাশের মহান লক্ষ্য ছাড়া শুধুই জাগতিক উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক মুক্তির আওয়াজ মানবজীবনকে মারাত্মকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ ও কলুষিত করে।
# যে নতুন প্রজন্মটি শীঘ্রই দেশ পরিচালনার সার্বিক দায়িত্ব বুঝে নিচ্ছে তাদের কাছে এ জাতীয় তাত্ত্বিক আলোচনা শুধু কঠিনই ঠেকে না, অপ্রয়োজনীয় হিসেবে বর্জিত হয়। যদিও তা কাম্য নয়।
# প্রায় প্রতিটি মানুষ আশ্চর্যরকম শক্তিসম্পন্ন। একজন সব বিষয়ে পারদর্শিতা দেখাতে না পারলেও নির্দিষ্ট বিষয়ে তার দক্ষতা ও নৈপূণ্য অন্যদের নিকট ‘অলৌকিক’।
# পারা না পারা প্রশ্ন নয়, প্রশ্ন হচ্ছে করা বা না করা। আপনি কোনটা করতে চান বা হতে চান?
©somewhere in net ltd.