নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আধ্যাত্মিক পুরুষ, ধর্মগুরু; খানকা থেকে বলছি।

মুসাফির। হাঁটছি পৃথিবীর পথে পথে, অনিশ্চিত গন্তব্যে। কাগজের নৌকা দিয়ে সাগর পাড়ি দেবার দুরন্ত প্রয়াস।

জাকির এ মাহদিন

আমি পথিক। হাঁটছি পৃথিবীর পথে পথে, অনিশ্চিত গন্তব্যে। আক্ষরিক অর্থেই আমি পথিক। একে একে জীবনযাত্রার সব সুতো কেটে দিচ্ছি। আবার শূন্যের উপর নির্মাণও করছি। এটাই প্রকৃতপক্ষে জীবন। অথবা- জীবন এমনই। কাগজের নৌকা দিয়ে সাগর পাড়ির দুরন্ত প্রয়াস, যে সাগরের পাড় নেই। আমি মানবতার মুক্তির জন্য বিবেকের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শোষিত-বঞ্চিতের পাশে দাঁড়াতে চাই।

জাকির এ মাহদিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাদের সিদ্দিকীকে বলছ.....

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৬

দুঃখিত, বেশি শব্দ খরচ করতে পারব না। ইদানিং ব্লগের প্রতি একটা অনাসক্তি সৃষ্টি হয়েছে। তাই বড় কোনো ব্লগ লিখতে ইচ্ছে করে না। তবুও প্রয়োজনীয় কিছু কথা না বলে পারি না। শুরুতেই তার প্রতি অশেষ শ্রদ্ধা, জাতির একজন সাহসী সন্তান হিসেবে। যদিও তার মত-পথ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষণের সঙ্গে আমার ন্যূনতম নৈকট্য নেই। আমি জানি তিনি নিজেকে আস্তিক বলে প্রচার করেন। কিন্তু সম্ভবত এ সম্পর্কে মোটামুটি জ্ঞানও না থাকায় প্রায়শ ভুল করেন। অপরদিকে তার বড়ভাই লতিফ সিদ্দিকী নাকি একজন নাস্তিক। লতিফ সিদ্দিকীর সঙ্গে আমার বড়ভাই ছাত্রলীগ নেতা ইকবাল হুসেনের কথা হয়েছিল। তিনি জানালেন লতিফ সিদ্দিকী ধর্ম ও আল্লাহতে বিশ্বাস করেন না। আমি বললাম এটা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। ভাই বললেন- কাদের সিদ্দিকীও সম্ভবত তেমনই, যা প্রচার করেন তা রাজনৈতিক চালবাজি। আমি বললাম আল্লাহবিশ্বাসের ক্ষেত্রে যিনি যা বলেন বা প্রচার করেন, আমরা তাই ধরে নেব। অন্তরে কার কি আছে তা দেখা আমাদের কাজ নয়, প্রকৃত অর্থে সেই শক্তিও মানুষের নেই।



কাদের সিদ্দিকী নয়া দিগন্তে পিতাকে পুত্র নামে নিয়মিত কলাম লিখেন, আমার সেসব পড়ার কখনো রুচি হয়নি। প্রবাদ আছে : অতিভক্তি চোরের লক্ষণ। ব্যাপারটা তেমনই হতে পারে। আমার কথা সেখানে নয়। কিন্তু তিনি যে, একজন মৃত মানুষের সাক্ষাৎ দূতিয়ালী করছেন, তা নিয়েই বলতে চাচ্ছি। ইসলাম ধর্মমতে কোনো মৃত মানুষকে সম্বোধন করে কথা বলা, মৃত মানুষের নিকট ক্ষমা চাওয়া, প্রার্থনা করা সবই শিরক। শুধু দোয়া করা যাবে, অর্থাৎ মৃতের জন্য প্রার্থনা করা যাবে। কিন্তু মৃতের কাছে প্রার্থনা করা যাবে না, সম্বোধন করে সংবাদ বলা যাবে না। কারণ মৃতের শোনার শক্তি নেই, কিছু করার শক্তি নেই। দুনিয়ার যেকোনো বাদশাহ, প্রেসিডেন্ট, ক্ষমতাধর যেকেউ- মৃত্যুর পর একান্ত অসহায়। পৃথিবীর যাবতীয় সম্পর্ক, কর্ম, যোগসূত্র বা সংবাদ প্রবাহ থেকে বিচ্ছিন্ন। তবে তিনি যা সৎকাজ করে যাবেন এবং তার উত্তরাধিকারী ও ভক্ত-অনুসারিরা যেসব সৎকাজ তার ক্ষমার জন্য পাঠাবেন তা আল্লাহ নিজগুণ ও ক্ষমতায় তার কাছে পৌঁছাবেন। সুতরাং ধর্ম ও আল্লাহবিশ্বাসীদের প্রতিটি কথা ও কাজ সতর্কতার সঙ্গে করা আবশ্যক। তারপরও ভুল হবে এবং সেসবের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে।



ধর্ম ও আল্লাহবিশ্বাসীদের সবসময় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন জরুরি। সবসময় অন্তরে আল্লাহর ভয় থাকতে হবে। কোনো কথা ও কাজে কাউকে বিন্দুমাত্র কষ্ট দেয়া যাবে না। এমনকি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকেও কটাক্ষ দূরের কথা, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যও করা যাবে না। অবশ্য ব্যাপারটা খুব কঠিন। আমার এ লেখাটিও সেই মানে উন্নীত নয়।



দেখুন আজকের নয়া দিগন্তে



"বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

গত দুই পর্ব দেশ দুনিয়ার কোনো খবর তোমাকে জানাতে পারিনি। কত কিছু যে হয়ে গেছে বলে শেষ করা যাবে না। তোমার কন্যার মন্ত্রিসভা এক পদত্যাগ নাটক করেছে। সংবিধানে না থাকলেও নিজেরা নিজেরাই সর্বদলীয় সরকারের মহড়া দিয়েছে। বহু আলোচিত তারেক রহমানের অর্থ পাচার মামলায় আদালত বেকসুর খালাস দিয়েছে। ব্লা ব্লা ব্লা ---------- মনে হচ্ছে, বঙ্গবন্ধু কবরে বসে বসে নয়া দিগন্ত পড়েন-----"



"মূলত ১৫ নভেম্বর ভোট ডাকাতির প্রতিরোধ দিবস পালনের উদ্দেশ্যে ছোটাছুটি করার কারণে তোমাকে লেখা হয়নি। পরপর দুটি পর্ব বাদ পড়েছে। আগেই বলেছি, ঠিক ঠিক সব কিছু তোমাকে জানাতে না পারলে কেন যেন একটা অস্বস্তি লাগে। কিন্তু চার দিকে টানাটানি চাপাচাপির কারণে অনেক কিছু জানাতে পারি না। তাতে অনেক সময় নিজেকে খুবই অপরাধী মনে হয়। জীবনে কত অপরাধই তো করলাম, পরম প্রভু আলেমুল গায়েব দয়া করে জায়গা না দিলে কোথায় যে দাঁড়াব ভেবে পাই না।"



আহাহা........ মনডাত বড় দুক্কু লাগে......

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.