নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আধ্যাত্মিক পুরুষ, ধর্মগুরু; খানকা থেকে বলছি।

মুসাফির। হাঁটছি পৃথিবীর পথে পথে, অনিশ্চিত গন্তব্যে। কাগজের নৌকা দিয়ে সাগর পাড়ি দেবার দুরন্ত প্রয়াস।

জাকির এ মাহদিন

আমি পথিক। হাঁটছি পৃথিবীর পথে পথে, অনিশ্চিত গন্তব্যে। আক্ষরিক অর্থেই আমি পথিক। একে একে জীবনযাত্রার সব সুতো কেটে দিচ্ছি। আবার শূন্যের উপর নির্মাণও করছি। এটাই প্রকৃতপক্ষে জীবন। অথবা- জীবন এমনই। কাগজের নৌকা দিয়ে সাগর পাড়ির দুরন্ত প্রয়াস, যে সাগরের পাড় নেই। আমি মানবতার মুক্তির জন্য বিবেকের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শোষিত-বঞ্চিতের পাশে দাঁড়াতে চাই।

জাকির এ মাহদিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী নেত্রীকে কিছু বলছি না

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৩

এ মুহূর্তে যখন লিখছি, বাইরে গোলাগুলি ও বোমা বিস্ফোরণের আওয়াজ কানে আসছে। গতকাল একজন ফোন করে বলেছিলেন, নয়া দিগন্তের ফ মজহারের কলামটিতে আমার শিক্ষণীয় ও উপকারী অনেক বিষয় আছে। এ নিয়ে তাৎক্ষণিক একটি প্রতিক্রিয়া লিখে লেখককে পাঠিয়েছি, এখনও উত্তর আসেনি, হয়তো আসবেও না। আজ আবার একজন ফোন করে বললেন, তিনি একটি গ্রুপসহ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন। আমি যেন দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রীর উদ্দেশে একটি পত্র লিখি। তিনি যত্নের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির হাতে পৌঁছে দেবন। আমি বলেছি, চিন্তা করে দেখব।



যত গালভরা কথাই বলি না কেন, আসলে আমাদের কারো হাতেই যাদুর কাঠি বা আলাদিনের চেরাগ নেই যে, মুহূর্তের ব্যবধানে দৃশ্যপট পাল্টে ফেলব। যে হিংসা, অমানবিকতা, অধার্মিকতা চলে আসছে যুগ যুগ ধরে, যে স্বার্থান্ধতা, অজ্ঞতা-মূর্খতা, লোভ-লালসা, লাম্পট্য শেখা হয়েছে মায়ের পেটেই, হানাহানি-অপবিত্রতার যে রক্ত বয়ে এনেছি মাতৃ-পিতৃ বংশধারায়, তা কি একদিনে মীমাংসার বিষয়? আর এসব কি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী বা বিরোধী নেত্রী বুঝবে? সেই যোগ্যতা তো আজকাল হারিয়ে যায় রাজনীতির প্রথম পাঠেই। এর বাস্তবতা কি আমরা ইতোমধ্যে লক্ষ করছি না?



মনুষ্যত্বের ন্যূনতম বোধ থাকলে, বিবেক-বুদ্ধির অবশিষ্টাংশ থাকলে, কোটি মানুষের বুকে পাড়া দিয়ে ক্ষমতার লিফ্ট নির্মাণ করতে পারে? এদের কি মানুষ বলা যায়? অথবা আমরা কি মানুষের জীবন অতিবাহিত করছি? তৃণমূল পর্যায়ে শিক্ষার বিস্তৃতি ও জ্ঞানের প্রয়োগ ছাড়া, উৎকৃষ্ঠ স্বভাব-ধর্মের চর্চা ছাড়া আইন-শাসনের লৌহদণ্ড আর দমন-পীড়ন-ক্ষমতা দিয়ে সমাজ শিক্ষিত করা যায় না, সভ্যতা বিকশিত হয় না এটা তাদের কে বুঝাবে, কিভাবে বুঝাবে? বা যে গুটিকতক জন বিষয়টি উপলব্ধি করেন তারা কিভাবে অগ্রসর হবেন? এখানে অনেক প্রশ্ন, অনেক উত্তর। এসব ক্ষমতার মসনদে থেকে উপলব্ধি করা এক প্রকার অসম্ভবই বটে।



নাহ, আপাতত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রীকে আমার কিছু বলার নেই। বরং ব্লগ-ফেসবুকের লাখ লাখ তরুণকে কিছু বলা যায়, যারা ব্যক্তিগত ও দলীয় দৃষ্টিভঙ্গির অনেকটা উর্ধ্বে উঠে ইতোমধ্যেই চিন্তা করা শিখেছেন। তারচেয়ে অবশ্য আমি বেশি গুরুত্ব দেই রাস্তার সেইসব গরীব-দুঃখী, অসহায়, দরিদ্রকবলিত শিক্ষাবঞ্চিত যুবক-বৃদ্ধ ও পথশিশুদের। তাদের আমার অনেক কিছুই বলার আছে, যদিও তাদের কাছাকাছি যাওয়ার যোগ্যতা এখনও অর্জন করতে পারিনি। অনলাইনে বললে তাদের কাছে পৌঁছবে না। কিন্তু ব্লগ-ফেসবুকের লাখ লাখ তরুণকে অতি সহজেই বার্তা পৌঁছানো যায়। তারচেয়েও সহজে পৌঁছানো যায় এ লেখার শিরোনামের তিন জনকে। সুতরাং বিশেষ কাউকে দিয়ে তাদের নিকট পত্র প্রেরণের আমি কোনো অর্থ দেখি না। তারপরও পীড়াপিড়ি করলে উক্ত তিনজনকে পরামর্শ দেব আমাদের বাছাই করা ব্লগপোস্টগুলি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য। তাতে কিছু চিন্তার বিষয় থাকতেও পারে।



পরিবর্তনের শুরুটা হতে হবে সমাজের গভীর থেকে, তৃণমূল থেকে এবং অসহায়, গরীব-দুঃখী, অশিক্ষিত, চিকিৎসাবঞ্চিত, দরিদ্রকবলিত কোটি মানুষের জীবন-সংসার থেকে। ঢাকা শহরকে যতই সাজানো হোক, প্রতিদিন পাঁচটি করে কথিত উন্নয়নমূলক কাজের পাত্থর গাঁথা হোক, মন্ত্রি-এম্পিদের ডিজিটালাইজ করা হোক, পাঁচ ভাগ মানুষের আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হোক, আর জনজনগণ জনগণ সংবিধান সংবিধান করে রাস্তায়, সংসদে, সচিবালয়ে যতই গলা ফাটানো হোক, তাতে আম-জনতার ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয় না। সত্যিই আম-জনতার ভাগ্যের উন্নতি চাইলে তাদের পক্ষে আগামী কালই সম্ভব। যদিও আমাদের পক্ষে বিষয়টা কঠিন ও সময়সাপেক্ষ। সবার মঙ্গল কামনা করছি। তবে কামনার শর্ত কতটুকু পূরণ করছি জানি না।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৪

দিশার বলেছেন: আমাদের বিপদ আমরাই দেকে আনসি, ক্ষমতায় এমন কিসু মানুষ যাদের বিবেক বলতে কিসু নাই। জনগনের গলায় পারা দিয়ে হলেও ক্ষমতায় যেতে চায়।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৪

জাকির এ মাহদিন বলেছেন: আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.