![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি পথিক। হাঁটছি পৃথিবীর পথে পথে, অনিশ্চিত গন্তব্যে। আক্ষরিক অর্থেই আমি পথিক। একে একে জীবনযাত্রার সব সুতো কেটে দিচ্ছি। আবার শূন্যের উপর নির্মাণও করছি। এটাই প্রকৃতপক্ষে জীবন। অথবা- জীবন এমনই। কাগজের নৌকা দিয়ে সাগর পাড়ির দুরন্ত প্রয়াস, যে সাগরের পাড় নেই। আমি মানবতার মুক্তির জন্য বিবেকের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শোষিত-বঞ্চিতের পাশে দাঁড়াতে চাই।
সত্যি কথা বলতে কি, লেখালেখির ইচ্ছে অনেক আগে থেকেই। কিন্তু এতদিন লিখিনি কারণ অন্যকে সমালোচনা করতে বা উপদেশ দিতে চাইনি। কেননা এটা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। প্রবৃত্তির অনুসরণ-অনুশীলন না করে একে বদলাতে চেষ্টা করেছি। তারপর গত তিন বছর আগে মনে হল একটু প্র্যাকটিস করা দরকার। তবে যথাসম্ভব নিজের প্রতি খেয়াল রেখেই। লেখালেখির এ তিন বছরে নিজেকে কিছুটা হলেও বদলাতে পেরেছি। এ কৃতিত্ব আমার অনলাইন পাঠক-সমালোচকদের। একজন মানুষের জীবনে সমালোচক ও সমালোচনা খুবই জরুরি। প্রতিটি দল, সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানেরও সমালোচনা এক অপরিহার্য অঙ্গ। অথচ আজ এটাকে আমরা ভালো চোখে দেখি না। এখনও যে তেমন একটা লিখি তা নয়। লেখার চেয়ে পড়াই আমাকে আনন্দ দেয় বেশি। যতটুকু লিখি, মনের উপর জোর খাটিয়ে। স্বতস্ফূর্ত লেখা খুব কম। বিশেষ করে স্বতস্ফূর্ত কোনো লেখা মনে উদয় হলে যখন নিজেকে প্রশ্ন করি এর দ্বারা কি হবে, কাকে বলছি, কেন বলছি, বরং এ কথাগুলো আমার নিজেকেই বলা উচিত। তখন লেখালেখির ইচ্ছে চুপসে যায়। এভাবে কত লেখা যে হারিয়ে যায়! ডায়রি লিখছি অবশ্য সাত বছর ধরে। কারণ এটা নিজের সঙ্গে এক প্রকার কথা বলা।
চারপাশে ঘটছে হাজার ঘটনা। রক্ত-মাংসের মানুষ যারা, প্রভাবিত হবেই। কখনও অট্টহাসি, তুমুল উল্লাসে ফেটে পড়া, আবার কখনও কুৎসিৎ গালি, মানুষ চিবিয়ে খাওয়ার বাসনা। দুঃখ, হতাশা, ভালোবাসা, আবেগ, উৎকণ্ঠা এমনিভাবে প্রভাবিত হচ্ছি আমরা চারপাশের ঘটনা দ্বারা প্রতিনিয়ত। কিন্তু আপনি ভেবেছেন কি, এসব ‘সস্তা আবেগের’ উর্ধ্বে আমাদের যে উঠতে হবে? কিছু একটা ঘটলেই আজকাল ফেসবুক-ব্লগে পোস্টের জোয়ার! এটা যেন ভার্চুয়াল চা-স্টল। আর টকশো, আহা বেচারা! কিন্তু আমরা ভাবি না এসব পাইকারি কথা পরিবেশ-পরিস্থিতির সত্যিকার কতটুকু উন্নতি করছে। হ্যাঁ, যদি স্রেফ নিজের আবেগ প্রকাশের জন্যই আপনি বাংলালিংক দরে স্ট্যাটাস দিয়ে থাকেন, টকশো করে থাকেন, আমার আপত্তি নেই। কারণ এখানে পরিবেশ-পরিস্থিতির চেয়ে আপনার আবেগটাই গুরুত্বপূর্ণ। নিজেকে হাল্কা করুন। ভালো থাকুন। তবে এটা করতে গিয়ে আবার নতুন করে ঝামেলা পাকাবেন না প্লিজ! তাই এক্ষেত্রে উত্তম হবে কোনো উন্মোক্ত অঙ্গনে এসব সস্তা আবেগ-অনুভূতি প্রকাশ না করে মার্কেট থেকে একশ’ টাকা দিয়ে একটা ডায়রি আর পাঁচ টাকা দিয়ে একখান কলম কিনে বসে যান বিশ্ব জয় করতে। দেখব এবার, আপনাকে ঠেকায় কে?
আমি আজকাল নিজেকে একটু আবেগের উর্ধ্বে নিতে চেষ্টা করছি। কারণ এটা না করলে নিরপেক্ষ বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন সম্ভব হয় না। আমাদের চারপাশে এই যে এত এত অন্যায়-অত্যাচার, ক্ষমতার মিথ্যা অহঙ্কার, জুলুম-নির্যাতনÑ এসবের মৌলিক কারণ কি? কিভাবে একটি রাষ্ট্র ও সমাজকে ধীরে ধীরে উন্নতির চূড়ায় উঠাতে হবে? কিভাবে হাজার মানুষের অন্তরে জ্ঞানের আলো ছড়াতে হবে, সমাজকে শিক্ষিত করে তুলতে হবে? যে তরুণরা আজ রাজপথে প্রতিবাদী, সমাজ বদলাবার প্রত্যয়ে জীবন রাখে বাজি, দেখা গেল তারাই ক্ষমতা পেলে অতীতের অনুসরণ করে, স্বৈরাচারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। মুহূর্তে বদলে যায় তাদের ভাষা, আচার-আচরণ। তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ, দেখুন আপনি যে ক্ষেত্রে ক্ষমতাবান সে ক্ষেত্রে আপনার ‘অনুভূতি’। আমি অনেক অফিসের শিক্ষিত বসদের চিনি, যারা জুনিয়র-কর্মচারিদের সঙ্গে চরম অমানবিক আচরণ করেন। পরিবার, প্রতিষ্ঠান, সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতিটি সেক্টরেই এমন চিত্র। এত মানুষের ভেতরে ‘মানুষ’ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তাই এখন নিজেকেই সন্দেহ করি।
বাংলাদেশের সমকালীন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ‘হেফাজতে ইসলাম’ এ দেশের প্রায় সব আলেম ও কওমি ধারার লোকদের ধর্মীয় প্রশ্নে একীভূত করতে পারলেও তারা সহসা ‘রাজনীতির’ কথা বলতে পারেন না। এমনকি যদি রাষ্ট্রক্ষমতা হুজুরদের হাতে দিয়েও দেয়া হয়Ñ প্রথমত তাদের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্কীর্ণতা ও যোগ্যতার ঘাটতি আছে। দ্বিতীয়ত, দেশের মানুষ মেনে নেবে না। কারণ তাদের চোখে ভেসে উঠে তালেবানী শাসনের চিত্র। জনগণের মন থেকে এ ভয় দূর করার কি ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি? সরকার এবং সরকারে যেতে ইচ্ছুকদের জনগণের মনের ভাষা বুঝার ক্ষমতা থাকতে হবে। আগে আইন নয়, ‘আইনের ক্ষেত্র’ তৈরি করতে হয়। আমরা কি সে কাজটা জনগণের ময়দানে করছি? আজ আলেমদের রাজনৈতিক তৎপরতায় বাধা থাকলেও ধর্মীয় কোনো কাজে বাধা নেই। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশ হিসেবে এ সুযোগটা আমরা ভোগ করছি। দু’দিন পর এটাও থাকবে না।
হেফাজত যে বিএনপিকে সমর্থন দিচ্ছে, বিএনপির ব্যর্থতার দায়ভার নিতে কি তারা প্রস্তুত? আর এভাবে বছরের পর বছর ‘পরনির্ভরশীল’ হয়ে থাকার ভবিষ্যৎ ক্ষতিটা আমরা কতটুকু উপলব্ধি করতে পারি? অন্তত সংখ্যালঘু একটা ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর যতটুকু রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা ও অধিকার আদায়ের ক্ষমতা থাকে তাও এ দেশের আলেমদের নেই। এ জন্য কি আলেমরা দায়ি নন? প্রবীণ আলেমগণ অতীতের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে রাজনৈতিক অঙ্গনে নেতৃত্ব, প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতার পরিচয় দিতে পারেননি। কিন্তু আজ এ সীমাবদ্ধতাগুলো কেটে যাবার পর কওমি তরুণরাও একই পথে হাঁটবে এটা আমরা মেনে নিতে পারি না। আমার রাজনৈতিক লেখাগুলো কওমি তরুণরা বুঝেন বলে মনে হয় না। রাজনৈতিক লেখা বা বক্তব্য রাজনৈতিক দৃষ্টিতেই দেখতে হয়। এখানে ধর্মীয় গোঁড়ামো চলে না। অবশ্য এক্ষেত্রে আমারও যথেষ্ট ঘাটতি আছে। যেভাবে বা যে কৌশলে বিষয়গুলো তুলে ধরা দরকার, আমি হয়তো সেভাবে করছি না।
আমরা দেড় টাকা রুজি করি চার টাকা খেয়ে। এই সামান্য ক’টি সিটি নির্বাচন নিয়ে গত কয়েকটি মাস ধরে মাতামাতিতে আমরা অনেকে যারপর না-ই ত্যক্ত-বিরক্ত। কোনো উন্নত বা উন্নয়নশীল দেশে জাতীয় নির্বাচন নিয়েও এত মাতামাতি হয় না। এই পাঁচটি নির্বাচনে সর্বমোট কত কোটি ডলার খরচ হয়েছে? এগুলো কাদের টাকা? কিভাবে এগুলো উঠবে? কত লাখ শ্রমিক-কর্মচারী-শিক্ষক-ব্যবসায়ী কর্মবিরতি পালন করেছেন? এই জাতির কি পরিমাণ মেধা-মনন এতে খরচ হয়েছে? যাক, এ বিষয়ে আজ আর বললাম না। তবে এতটুকু বলে রাখি, এতে হেফাজতের বিন্দুমাত্র লাভ হবে না। মার খাব আমরা, ফল যাবে অন্যের ঘরেই। তাই তাদের সতর্ক করছি, কোনো প্রকার বাড়াবাড়ি বা উল্লসিত হবার কারণ নেই। হেফাজত বাড়াবাড়ি করলে আমি কঠোর প্রতিবাদ করব। আমাদের প্রতিটি কথা, পদক্ষেপ ও সিদ্ধান্ত বস্তবসম্মত হতে হবে। জনগণের সঙ্গে দূরত্ব কমাতে হবে। দেশ-বিদেশের লাখ-লাখ মুসলমান শুধু আমাদের কারণেই আমাদের ঘৃণা করে। যে যত কাছের, আমি তত বেশি তার সমালোচনা করব।
রাজনীতির মুখোশ ও মনুষ্যত্বের বিকাশ গ্রন্থ থেকে (পৃষ্ঠা-৬২-৬৩)
হেফাজত ২৯ তারিখের সাংঘর্ষিক 'রাজনীতি' থেকে সরে এসেছে। তাই তাদের ধন্যবাদ। অনেক কিছুই বলার ছিল, কিন্তু বলে কি লাভ? আমার কথা কে শুনবে? তাই পুরনো এ লেখাটি দেয়া।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৬
জাকির এ মাহদিন বলেছেন: ধন্যবাদ। তবে কোনো দলকে অনৈতিক ও অগণতান্ত্রিকভাবে দমন করা আমি সমর্থন করি না। এতে তাদের শক্তি না কমে বরং বাড়ে।
আমি মনে করি জামাত-শিবিরের আজকের এই উত্থানের পেছনে আওয়ামী লীগ ও কথিত জামাত-বিরোধীরাই দায়ি। এ বিষয়টি আমি "আমার ব্লগে" অনেক আগে থেকেই বলে আসছি।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২২
েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: একাত্তরের ঘাতক যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লাকে রক্ষার জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি উদ্যোগ নিয়েছিলেন বলে প্রমাণ করে দিল খোদ জামায়াত।চিঠি দিয়ে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াত জাতিসংঘ মহাসচিব ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাজে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে। কেবল তাই নয়, কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর না করার জন্য পদক্ষেপ নেয়ায় দুজনকে ধন্যবাদ জানিয়েছে আল্লাহ্র আইন প্রতিষ্ঠার দাবীদার এ সংগঠনটি। ভবিষ্যতেও পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছে। মঙ্গলবার জামায়াতের পাঠানো এক মেইল বার্তায় চিঠি দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। ‘আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর না করার ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির উদ্যোগ এবং পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা’ শিরোনামে চিঠি পাঠিয়েছেন জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমদ। পৃথক দুটি পত্রে আরও বলা হয়েছে. আবদুল কাদের মোল্লাকে যদিও ১২ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে রাজনৈতিক কারণে ফাঁসিতে হত্যা করা হয়েছে কিন্তু তিনি ছিলেন নিরপরাধ মানুষ। চিঠিতে নেতৃদ্বয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আরও বলা হয় যে, আপনাদের এই উদ্যোগ বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়ার ত্রুটিগুলোকে বিশ্ববাসির সামনে উম্মোচিত করেছে এবং কেন এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দ- দেয়া সঠিক হয়নি তা উদ্ভাসিত হয়েছে। বাংলাদেশের বিরোধী দলসমূহ, জামায়াত এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আবদুল কাদের মোল্লার পরিবার এবং স্বজনদের কাছে অনেক বড় একটা কিছু। আমরা আশা করি আপনাদের এই উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে এবং বাংলাদেশ সরকার আর কোন রাজনীতিবিদকে ফাঁসিতে ঝুলাতে সক্ষম হবে না।
এর আগে কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকরের দাবিতে পুরো জাতি যখন সোচ্চার ঠিক সেই মুহূর্তে ১১ ডিসেম্বর এ দুজন ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। ফোনে রাজনৈতিক বিষয় নির্বাচন নিয়ে কথা বললেও মূলত জামায়াতের পক্ষেই তারা কথা বলতে চেয়েছে বলে ধারণা করছিল মানুষ। কিন্তু অনেক বিষয়ই অস্পষ্ট ছিল। এবার জামায়াতের অবস্থানে পরিষ্কার হলো সকল বিষয়।
কিন্তু প্রশ্ন হলো কেন একাত্তরের ঘাতক যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লাকে রক্ষার জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি উদ্যোগ নিয়েছিলো ?
কারন অনুসন্ধানে জানা যায় যে, - জামাতে ইসলাম এরা ইসলামের কোন দল নয়,এরা জামাতে মওদুদী। এরা ইহুদি- আমেরিকার দালাল। এদের মুল প্রতিস্ঠাতা আবুল আ'লা মওদুদী ছিলো প্রথমে ব্রিটিশদের এজেন্ট,পরে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্হা সিআইএ এর এজেন্ট হয় । এই তথ্য জানা যায় সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন এর গোয়ন্দা সংস্হা কেজিবি কর্মকর্তা দোমিত্র মিত্রোখিন রচিত "মিত্রখিন আর্কাইভ" হতে।
আরো জানা যায় সে সৌদি আরবে গিয়ে মার্কিন তেল কোম্পানী গুলোর মাধ্যমে সিআইএ হতে অর্থানুকুল্য লাভ করতো।যা আজো অব্যহত আছে ।
এইরকম সারাবিশ্বে বহু নামধারী ইসলামী সংগঠন পরিচালিত হয় সিআইএ এবং এধরনের গোয়ন্দা সংস্হা গুলোর পৃষ্ঠপোষকতায়। ইহুদি- আমেরিকা এদের মাধ্যমে তাদের গোপন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায় ।এই জন্যই এরা ইসলাম প্রতিষ্ঠার দোহাই দিয়ে জিহাদের জিগির তোলে,তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে ইসলামকে অভিযুক্ত করার সুযোগ করে দেয়।মুলতঃ তারা তাদের পশ্চিমা প্রভুদের নীলনক্শাই বাস্তবায়ন করে ।
যেখানে হাদীছ -এ বলা হয়েছে,"মুসলমান ঐ ব্যক্তি,যার হাত ও যবান হতে অপর মুসলমান নিরাপদ।"
তাই যারা ১৯৭১ সালে লক্ষ লক্ষ মানুষকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে,গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছে ,লক্ষ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমহানি করেছে-লুটপাট করেছে এবং আজকে যারা ঐ সমস্ত অপরাধীকে রক্ষার জন্য একই রকম মানুষকে নৃশংসভাবেবোমা মেরে হত্যা করে -জুলুম করছে তারা কি করে ইসলামের অনুসারী হতে পারে ।
অথচ হাদীছ -এ বলা হয়েছে " ঐ ব্যক্তি সবচেয়ে গরিব - যে ক্বিয়ামতের দিনে পাহাড় পরিমাণ নেকী নিয়ে উঠবে, মনে করবে সে নিশ্চিত জান্নাতী। কিন্তু এরপর তার একের পর এক পাওনাদাররা আসবে। যাদের হক্ব সে নষ্ট করেছে। যাদের উপর সে জুলুম করেছে । তখন তার নেকি দ্বারা তাদের সে হক্ব আদায় করা হবে। এরপরও আরো পাওনাদার বাকি থেকে যাবে। তখন বাকি পাওনাদারদের ( যাদের হক্ব সে নষ্ট করেছে ) গুনাহ তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে। কিছুক্ষণ পূর্বে যে ব্যক্তি ছিল নিশ্চিত জান্নাতী এখন সে ব্যক্তি হয়ে পড়বে নিশ্চিত জাহান্নামী।”
ইসলামের পরিভাষায় হক্ব দু'প্রকার ।এক-হক্কুল্লাহ্ অর্থ্যাৎ আল্লাহ্পাকের হক্ব , দুই-হক্কুল ইবাদ অর্থ্যাৎ বান্দার হক্ব ।বলা হয়েছে তওবা করলে হক্কুল্লাহ্ অর্থ্যাৎ আল্লাহ্পাকের হক্ব ক্ষমা পাওয়া যায় , কিন্তু হক্কুল ইবাদ অর্থ্যাৎ বান্দার হক্ব আল্লাহ্ ক্ষমা করেন না , যতক্ষন পর্যন্ত যার হক্ব সে ক্ষমা না করবে ।
আর তাই জামাতে ইসলাম এরা ইসলামের কোন দল নয়,এরা জামাতে মওদুদী।
এরা ইহুদি- আমেরিকার বন্ধু।
এদের মাধ্যমে বিশ্ব সন্ত্রাসী মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা শক্তিই এ কথা প্রতিষ্ঠা করতে চায় ইসলাম মানেই সন্ত্রাসবাদ বা টেররিজম,মুসলমান মাত্রই টেররিস্ট বা সন্ত্রাসী। মুসলমানদের এই পৃথিবী হতে নির্মূল করতে হবে ,নয়তো সারা বিশ্বে শান্তির আশা করা দূরাশা মাত্র।
এই অজুহাতে সমগ্র বিশ্বের মুসলমানদের ও ইসলামের আজ সবচেয় বড় শত্রু হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে বিশ্ব সন্ত্রাসী মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা শক্তি।বিশ্ব সভ্যতাকে রক্ষা করতে টেররিজম দমনের নামে ইসলাম এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেছে বিশ্ব সন্ত্রাসী আমেরিকা সহ তাবত পশ্চিমা শক্তি। তারা তাদের অত্যাধুনিক সমর শক্তি নিয়ে প্রবল বিক্রমে ঝাঁপিয়ে পড়ছে একের পর এক মুসলিম দেশের উপর ।চৌদ্দশত বছর যাবত পুষে রাখা প্রবল আক্রোশে বিমান-ক্ষেপনাস্ত্র-ড্রোন হামলায় শহীদ করছে লক্ষ লক্ষ সাধারন মুসলমান।
তাই এইটাই স্বভাবিক আমেরিকা সহ ইহুদীসংঘ তাদের নীল নক্শা বাস্তবায়নকারীদের রক্ষা করতে চাইবে।
ঠিক একই কথা প্রযোজ্য তথাকথিত হেফাজতে ইসলাম নামধারী ধর্মব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে।তারাও সৌিদ দালাল সরকারের মাধ্যমে মার্কিন-পশ্চিমাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে।একসময় জেএমবি নামক সন্ত্রাসী সংগঠন এই ক্বওমী (হেফাজতে ইসলাম নামধারী) মাদ্রাসা হতে উদ্ভব হয়েছিলো।তারা একসময় শ্লোগান দিয়েছিল "আমরা হবো তালেবান,বাংলা হবে আফগান।"
বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বের সকল মুসলমানের জন্য জরুরী....
Click This Link