| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
zaku
আমি সহ আমার বাকি চার ভাইবোনের জন্ম হয়েছিল একটা গোয়াল ঘরে। সে ঘরে প্রতিদিন সাপ এসে গাভির দুধ খেয়ে যেত। আমরা আতংকে জড়সড় হয়ে সাপের দুধ খাওয়ার দৃশ্য দেখতাম। সাপ সম্ভবত কুকুরের সাথে খুব একটা বিবাদে যায় না। আমাদের সাথে সে সাপের বিবাদের কথা কেউ কখনো বলেনি।
মানুষের আজকের এই নিস্তব্ধতা এই নিশ্চুপ চাহনি
আমার হৃদয়ে গভীর ক্ষত একে দেয় । বাতাসে ভেসে বেড়ায়
ওদের মরন আর্তনাদ। কিসের গন্ধ পাই আমি......?
সারিসারি লাশ আর কুকর – শিয়াল হায়েনার দল উল্লাসে মাতোয়ারা,
এতো এতো রসদ দীর্ঘদিন দেখেনি ওরা। জিভ বেয়ে লোল গড়িয়ে পরে,
অপেক্ষার প্রহর শেষ হয়না আর। শেষ বিকেলের লাল আভা ছিটানো,
পশ্চিমের কোনে। আরও সামান্য সময় চাই ওদের-
এখনো লাশের সারি থেকে দুএকটা শিশুর বিলাপ শোনা যাচ্ছে,
যেসব মায়েরা মরনপন আগলে রেখেছিলো সন্তানদের,
মুখে যাদের এখনো লেগে রয়েছে গরম দুধের গন্ধ, সেইসব অবুঝেরা।
এইসব দুর্ভাগারা কিছুক্ষন পরেই হবে জীবন্ত ফিস্ট।
শিয়াল আর হায়েনারা জিভ চাটে, আবারও মুখ ভরে উঠে গরম লালায়,
দুই পক্ষই প্রস্তত হয় নিস্তব্ধতা ভেঙ্গে খান খান করে দেবে
নিশ্চুপ বাতাস আজ অপেক্ষা করে মরন চিৎকার করে উঠবে বলে,
একটা সংকেত।শুধু এই সংকেতের অপেক্ষায় ।
এমনই এক মৃত্যু পুরিতে ২০১৯ সালে আমি কবি অপেক্ষা করি,
চিৎকার করে কেঁদে উঠি ফিরে যেতে চাই এই দিনে
যেদিন লেখা হয়েছিল পরিনতির কথা – আজকের দিন পঞ্জিকা।
সবকিছু মুছে দিয়ে লিখে নিব নতুন দিনের কথা, যেখানে
শিশুরা অপেক্ষা করবে না হায়েনার খাদ্য আর পানীয় হয়ে।
হায়, লাশের সংখ্যা বেড়ে যায়- বেড়ে যায় রসদ। সময় বয়ে যায়
কবি নিশ্চুপ একা দাঁড়িয়ে ঠায় অর্ধ মৃতদের চিৎকার শোনে যায়।
নিস্তব্ধতায় কিই বা আর করা যায়?
ক্ষত মুছে, পারি আমি লাশের সংখ্যা বাড়াতে।
২৩।০২/২০১৩
©somewhere in net ltd.