![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সহ আমার বাকি চার ভাইবোনের জন্ম হয়েছিল একটা গোয়াল ঘরে। সে ঘরে প্রতিদিন সাপ এসে গাভির দুধ খেয়ে যেত। আমরা আতংকে জড়সড় হয়ে সাপের দুধ খাওয়ার দৃশ্য দেখতাম। সাপ সম্ভবত কুকুরের সাথে খুব একটা বিবাদে যায় না। আমাদের সাথে সে সাপের বিবাদের কথা কেউ কখনো বলেনি।
এই নিয়ে ৩য় বারের মত পানি খেয়ে নিল ডিসি ফরিদ। সে ঘুনাক্ষরেও ভাবেনি বাসররাতে এতোটা নার্ভাস হয়ে পড়বে তাও বিনা কারনে। এখন এই পুচকি মেয়ে ইতিমধ্যেই ব্যাপারটা ধরে ফেলেছে কিনা কে জানে। এ ব্যাপারটা যতবারই মাথায় আসছে ততই তাঁর নাক ঘামছে। সে আবারো গলা খাকারি দিয়ে বউয়ের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করল।
ফরিদঃ বুঝলা শিউলি, আমি ঠিক করছি তুমি যা-ই মনে করোনা কেন, আইজ-ই তোমার সাম্মে সব কিলিয়ার করুম।
শিউলিঃ ( বিয়ের রাতে উনার লেকচার শুরু হইছে। বিদ্যার জাহাজ সাজব এহন- শিউলি মনে মনে ভাবে।)
ফরিদঃ কুনু দিন আর কুনু মাইয়ার দিকে ধর ফিরা চামু না। তোমারে কষ্টে পরতে দিমুনা, বুঝলা।
শিউলিঃ (মনে লয় বিরাট আবাল) শিউলি স্বামীর দিকে ফিরে তাকালো। তাঁর চোখের কোনে চিকচিক করছে।
ফরিদঃ ধর অতীতে যদি কিছু কইরাও থাকি তো ভুল করছি। আর না, তোবা তোবা।
শিউলিঃ (আমাদের বাসার লজিং মাস্টারটা ছিল এমন মেনি মাছের মত পাক্কা শয়তান। তবু সে আমার প্রথম প্রেম।।) কিছু করছিলেন? খারাপ কিছু ? এবার শিউলির চোখে পানি। আপনে প্রেম করতেন ?
ফরিদঃ আরে আরে বোকা মাইয়া কানতাছে কে? ফরিদ অভিভুত। এত সামান্য ইঙ্গিতেই যে মাইয়া কাইন্দা বুক ভাষায় সে আর যাই হউক খারাপ মাইয়া না। গর্বে তাঁর বুক ফুলে উঠে। শিউলির মাথায় তাঁর হাত রাখল। শিউলি চোখ বোজার ভান করলো।
শিউলিঃ কি করছেন আপনে ? কি কি খারাপ কাজ করছেন? যারা খারাপ কাজ করে তারা খারাপ বলেই সে শাড়ির আচলে নাক ঢাকল।
ফরিদঃ তুমি তো দেখি উলটা পালটা বুঝায় ওস্তাদ। শোন শোন আমি কি বলি আগে শোন। ফরিদ কলেজে যে হিন্দু মাইয়াডার প্রেমে পড়ছিল, পাশের বাসার কালো কাকলির সব কথা শেষ করে। সে জানে এইগুলার তদন্ত হইলেও কোন ইলিমেন্ট বাইর হইবনা। আর যেখানে ইলিমেন্ট আছে সেইগুলি সাবধানে পাশ কাটিয়ে গেল। এই বার বল তোমার জীবনে কি কি ঘটনা বল দেহি।
শিউলিঃ ( দাড়া তোরে আব্বা ডাকাইতেছি। আমাদের ম্যানেজম্যান্টের জালাল স্যার একলাই তোরে একশবার মা বানাইতে পারব। জালাল স্যারের কথা মনে হতেই শিউলির চোখ বেয়ে টপটপ করে পানি পরতে লাগল। এই লোকটাকে সে সর্বশেষ বিশ্বাস করেছিল। অথচ তাকে টিস্যুর মত ফেলে দিল বেইমানটা।) আমার জীবনে আপনাকে বলার মত কোন ঘটনা নাই। শিউলির চোখ দিয়ে অনবরত পানি ঝরেই যাচ্ছে।
ফরিদ খুব মন খারাপ করতে লাগল। নিজেকে তুচ্ছ, তৃণ আর নরকের কিট বলে মনে হল। আসলেই তো, সে এই জীবনে যদি আর এমন পাপ নাও করে তবুও অতীত ভুলের মুল্য চুকানও যাবেনা। সে একই সাথে গর্বিত ও অনুতপ্ত। সে এই পুচকি মেয়েটাকে ভালবেসে ফেলেছে। ফরিদ শিউলিকে এই জীবনে আর কখনোই কষ্ট দেবেনা বলে মনে মনে প্রতিজ্ঞা করল। সে গভীর মমতায় শিউলির চুলে হাত বুলিয়ে দিল।
৩০.০৪.১৪
২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:০১
আজীব ০০৭ বলেছেন: হুমম
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৩২
মশিকুর বলেছেন:
শিউলি দেখি ডিজিটালের ছোঁয়া পাইছে।