নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আধ্যাত্মিক পুরুষ, ধর্মগুরু; খানকা থেকে বলছি।

মুসাফির। হাঁটছি পৃথিবীর পথে পথে, অনিশ্চিত গন্তব্যে। কাগজের নৌকা দিয়ে সাগর পাড়ি দেবার দুরন্ত প্রয়াস

জেড মাহদিন

আমি এতিম, দরিদ্র, মুসাফির। হাঁটছি পৃথিবীর পথে পথে, অনিশ্চিত এক গন্তব্যের উদ্দেশে। আক্ষরিক অর্থেই আমি পথিক। একে একে জীবনযাত্রার সব সুতো কেটে দিচ্ছি। কাগজের নৌকা দিয়ে সাগর পাড়ির দুরন্ত প্রয়াস, যে সাগরের পাড় নেই। আমি একটি রাজ্যের মালিক, রাজা। রাজ্য পুনরুদ্ধার ও নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা অর্জনে চেষ্টিত। আমি মানবতার মুক্তির জন্য বিবেকের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শোষিত-বঞ্চিতের পাশে দাঁড়াতে চাই।

জেড মাহদিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কে এই আল্লামা আহমদ শফী

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৩৮

শেষ পর্যন্ত আমাকেও কিছু বলতে হল, যদিও চলমান এই অসুস্থ রাজনীতি নিয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ করার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে আমার নেই। সরকারের এই কানামাছি খেলাটা আর ভালো লাগছে না। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাপ্রাপ্ত (বা আদৌ শিক্ষিত নয়) তরুণ প্রজন্মের অনেকেরই প্রশ্ন: ''কে এই আল্লামা আহমদ শফী?'' হঠাৎ করে শুনছি কেন তার নাম? হেফাজতে ইসলামটাইবা কোত্থেকে এল??

আরে! তিনি একজন প্রচারবিমুখ প্রবীন আলেম, আল্লাহওয়ালা মানুষ। তবে তার বজ্রকণ্ঠ মাঝে মধ্যেই গর্জে উঠতে শুনে ও দেখে আসছি সেই ছোটবেলা থেকেই। কিন্তু আন্দোলন-সংগ্রামে নিয়মিত না হওয়ার কারণ, প্রথমত তিনি রাজনীতি পছন্দ করেন না। আর দ্বিতীয়ত এতদিন মাঠে শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক, চরমোনাইর মরহুম পীর সৈয়দ ফজলুল করিম এবং মুফতি আমিনীরা ছিলেন। আমি স্পষ্ট করে বলছি, আল্লামা আহমদ শফী কোন ভূইফোড় আলেম নন। সারা দেশের তৌহিদী জনতা তাকে ভাল করেই চেনে। দেশের আনাচেকানাচে তার ভক্ত-মুরীদ, ছাত্র ও ওয়াজের শ্রোতা লাখ লাখ।



তিনি অসংখ্য ইসলামী বইয়ের রচয়িতা। আরো অসংখ্য বইয়ে তার বাণী-বিবৃতি আছে। কোন প্রবীন ব্যক্তি তাকে চেনেন না বা তার নাম শুনেননি এমন নেই। আর ''হেফাজতে ইসলামের'' ইতিহাসটা একটু দীর্ঘ। এ নামে সিলেটের বরুনায় বরুনার পীর সাহেব দীর্ঘদিন ধরেই সারাদেশে একটি সংগঠন ও শিক্ষাকার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন। ''হেফাজতে ইসলাম'' নামে একটি মাসিক ম্যাগাজিনও তারা নিয়মিত প্রকাশ করছেন অনেক আগে থেকেই। যাহোক, কথা বাড়ানোর টাইম নাই। শুধু এতটুকু বলে রাখি, সারাদেশে প্রচারবিমুখ খাটি অসংখ্য ইসলামী ব্যক্তিত্ব ও সংগঠন আছে। প্রয়োজন হলেই কেবল তারা মাঠে নামে। তাও পূর্ণশক্তি নিয়ে নয়।



আল্লামা আহমদ শফী সাহেবের রাজনৈতিক ইচ্ছা আগেও ছিল না, এখনও নেই। কিন্তু বর্তমানে নাস্তিক ও বামদের সীমাতিরিক্ত বাড়াবাড়ির কারণে আলেমগণের ঐক্যবদ্ধ হওয়া ও ঐতিহাসিক গণজোয়ার সৃষ্টি করা অপরিহার্য ছিল। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আলেমগণের বর্তমান আন্দোলনের ‘হেফাজতে ইসলাম’ নামকরন সম্ভবত তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত। এখনও এ আন্দোলন এই নামেই চলছে এবং ভবিষ্যতেও চলতে পারে। ইসলামের হেফাজত মূলত মহান আল্লাহই করবেন। কিন্তু বর্তমান আন্দোলনের এ নামকরনের মানে হল নিজেদের চেষ্টা-সামর্থ প্রয়োগ করে আল্লাহ প্রদত্ত মানবিক দায়িত্ত পালন করা। তাই এর অপব্যাখ্যার সুযোগ নেই। মনে রাখতে হবে, আলেমগণ যেকোন সময় যেকোন নামে ইসলামী দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার ক্ষমতা রাখেন।



সংগঠনের নামটা বড় কথা নয়, দীর্ঘদিনের ইতিহাস থাকাটাও মুখ্য নয়। ব্যক্তিটি কে, কি তার ইতিহাস- তাই আলোচ্য বিষয়। অনেক কিছু সহ্য করতে পারি। কিন্তু সর্বজনশ্রদ্ধেয় আল্লামা আহমদ শফীকে নিয়ে কোন কটুক্তি বা অপপ্রচার নয়। সাবধান!! জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে ''হেফাজতে ইসলামের'' সম্পৃক্ততার প্রশ্নই আসে না। আর এ মুহূর্তে ''যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবী'' তোলাও আলেমদের কাজ নয়। দাবী নয়, তারা ক্ষমতায় গিয়ে নিজ হাতেই যুদ্ধাপরাধের বিচার করবে ইনশাল্লাহ। শেষবারের মত বলছি, যুদ্ধাপরাধের বিচার একমাত্র আলেমরাই করার ক্ষমতা রাখেন। সুতরাং এ সরকারের কাছে দাবি তোলার কোন মানে নেই।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০৬

আহমাদ-২০০৫ বলেছেন: ++++

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:০৮

জেড মাহদিন বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.