![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এতিম, দরিদ্র, মুসাফির। হাঁটছি পৃথিবীর পথে পথে, অনিশ্চিত এক গন্তব্যের উদ্দেশে। আক্ষরিক অর্থেই আমি পথিক। একে একে জীবনযাত্রার সব সুতো কেটে দিচ্ছি। কাগজের নৌকা দিয়ে সাগর পাড়ির দুরন্ত প্রয়াস, যে সাগরের পাড় নেই। আমি একটি রাজ্যের মালিক, রাজা। রাজ্য পুনরুদ্ধার ও নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা অর্জনে চেষ্টিত। আমি মানবতার মুক্তির জন্য বিবেকের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শোষিত-বঞ্চিতের পাশে দাঁড়াতে চাই।
আবারও কয়েক মাসের জন্য ফেসবুক বন্ধ করে আমার বিশ্রাম ও একাকী সময় কাটানো দরকার। তরুণ প্রজন্মের আচরণ দেখে আমি হতাশ, মর্মাহত। ত্রিমুখী বা চতুর্মুখী পারস্পরিক ঘৃণার মাত্রা বানের পানির মত বাড়ছে। একের পর এক ঘৃণার বাঁধ ভেঙ্গে দিচ্ছে অপপ্রচার। ''সংঘাত অনিবার্য''। আওয়ামী লীগ জামায়াতকে যেমন ঘৃণা করে, তেমনি ঘৃণা করে ক্বওমীপন্থি ও আলেমদের, ক্বওমীও এই দুই দলকে একই রকম ঘৃণা করে।
চারদিকে ঘৃণা ও তাচ্ছিল্যের ছড়াছড়ি। এটা আরও বাড়াচ্ছে ত্রিমুখী শিক্ষাব্যবস্থা। প্রচলিত প্রতিটি শিক্ষাব্যবস্থায়ই ঘৃণার উপাদান বিদ্যমান। এমতাবস্থায় কারও পক্ষেই নিরপেক্ষ থাকা সম্ভব হচ্ছে না। এমনকি আমার পক্ষেও না। যদিও আমি সবাইকে মানুষ হিসেবে মূল্যায়ন করতে দীর্ঘ বৎসর ধরে চেষ্টা করে আসছি। আমার কথায়ও এখন অনেকেই আঘাতপ্রাপ্ত হচ্ছেন।
(ক). নাদিয়া শারমিনকে হামলার ঘটনায় যে অপপ্রচার শুরু হয়েছে তাতে ষঢ়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছি। মনে হয় ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত। অবশ্য আমি কাউকে দায়ি করব না।
(খ) অমি পিয়াল হুজুরদের বিরুদ্ধে যেভাবে অপপ্রচারে নেমেছে তাতে তাকে গ্রেফতারের দাবি যৌক্তিক। তবে আমি সমর্থন করি না। কারণ আমাদের অসংলগ্ন কথাবার্তা ও কার্যকলাপের দ্বারা একটা প্রজন্ম ইসলাম ও হুজুরদের প্রতি ক্ষুব্ধ। তবে তাদের সঙ্গে আলাপ করলে এ সমস্যা দূর হতে পারে।
(গ) আরিফ জেবতিক নাস্তিক নন, মহান আল্লাহর উপর অগাধ বিশ্বাস তার আছে। তার বহু লেখা থেকে আমি প্রমাণ পেয়েছি। ধর্মের প্রতি কটূক্তিকারিও নন। তবে তার একটাই সমস্যা, ওদের তিনি সমর্থন করেন এবং সহযোদ্ধা হিসেবে গ্রহণ করেছেন। এটা সম্ভবত তার 'মুক্তচিন্তা' ও 'বাক-স্বাধীনতার' ভ্রান্তি।
বাংলাদেশের কোন মানুষকে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলাম ইত্যাদি বিশেষ কোন দল ও মতের গণ্ডিতে বিবেচনা না করে, এমনকি বিশ্বের অন্যান্য মানুষকেও বিশেষ ধর্ম-বর্ণ-গোত্রে বিবেচনা না করে বরং মানুষ হিসেবে কি বিবেচনা করা যায় না? অবশ্যই যায়। তবে এক্ষেত্রে উচু স্তরের জ্ঞান ও নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি লাগে। সবাই পারবে না। আর মানুষের সঠিক পরিচয় ও ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ উপস্থাপন করা গেলে একটি বৃহৎ ও সামগ্রিক ঐক্য সৃষ্টি হতে পারে, যা এ দেশের জন্য এখন খুবই দরকারী। এতে মুসলমানদের ধর্ম বিসর্জন দিতে হবে না, বরং আরো ভালোভাবে পালন করা যাবে।
এবার হয়তো আমাকে মাঠে নামতে হবে, গবেষণাগার ও ক্ষুদ্র প্রাতিষ্ঠানিক গণ্ডি ছেড়ে; ঘৃণা নয়, ভালোবাসা ছড়াতে। সর্বজনীন মানবিক ভালোবাসা। ইসলামিক, মানবিক, রাজনৈতিক সব প্রশ্নের সুস্পষ্ট জবাব ও ব্যাখ্যা দেয়া হবে ইনশাল্লাহ। শক্তিশালী সমালোচক ও প্রশ্নকারী চাই। প্রাথমিক পর্যায়ে সম্ভবত একটা ওয়েবসাইট খুলব। আমার দেশ-বিদেশের বন্ধু, সমালোচক, প্রশ্নকারী ও পাঠকগণ কে কে সাথে থাকবেন দেখব।
আমি এখন থেকে ফেবু-ব্লগে কিছুটা সময় কাটাতে চেষ্টা করব। আজকের এ পরিস্থিতিতে সিরিয়াসলি কিছু বিষয় আলোচনা করা দরকার। অধিকাংশ জনপ্রিয় ব্যক্তি বা ব্লগারগণ বুঝে বা না বুঝে বিভ্রান্তি (অথবা সত্য, তাদের দৃষ্টিতে) ছড়াচ্ছেন। তাদেরকে আলোচনার টেবিলে টেনে আনতে আমার ফ্রেন্ডদের প্রতি আমাকে সহযোগিতা করতে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। আশা করি আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতা পাব। আমার লেখা যাদের ভালো লাগবে, শেয়ার বা কপি করে সূত্র উল্লেখ করতে কার্পণ্য বা লজ্জাবোধ করবেন না। অনেককেই দেখা যায় লেখার প্রশংসা করতে, কিন্তু অন্যদের নিকট পৌঁছানোও দায়িত্ব। বিশেষ করে তাদের নিকট, যাদের নাগাল আমি পাই না, খুব ছোট হওয়ায়। আর একমত না হলে খোলাখুলি বলবেন। আলোচনার বিকল্প নেই।
©somewhere in net ltd.