নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আধ্যাত্মিক পুরুষ, ধর্মগুরু; খানকা থেকে বলছি।

মুসাফির। হাঁটছি পৃথিবীর পথে পথে, অনিশ্চিত গন্তব্যে। কাগজের নৌকা দিয়ে সাগর পাড়ি দেবার দুরন্ত প্রয়াস

জেড মাহদিন

আমি এতিম, দরিদ্র, মুসাফির। হাঁটছি পৃথিবীর পথে পথে, অনিশ্চিত এক গন্তব্যের উদ্দেশে। আক্ষরিক অর্থেই আমি পথিক। একে একে জীবনযাত্রার সব সুতো কেটে দিচ্ছি। কাগজের নৌকা দিয়ে সাগর পাড়ির দুরন্ত প্রয়াস, যে সাগরের পাড় নেই। আমি একটি রাজ্যের মালিক, রাজা। রাজ্য পুনরুদ্ধার ও নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা অর্জনে চেষ্টিত। আমি মানবতার মুক্তির জন্য বিবেকের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শোষিত-বঞ্চিতের পাশে দাঁড়াতে চাই।

জেড মাহদিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাঠপর্যায়ের ক্বওমি ঘরানাদের প্রতি সতর্কবার্তা

২২ শে মে, ২০১৩ সকাল ৭:১৬

ক্বওমি মাদ্রাসার বা সমমনা কারও অন্যান্য অনলাইন মাধ্যমে একটিভিটি থাকলে আমার এ সম্পর্কিত লেখাগুলো সেখানে পেস্ট করতে অনুরোধ করছি। যাতে তাদের কাছে পৌঁছে, আমি যাদের উদ্দেশে বলছি। ফেসবুক এবং "আমার ব্লগ" ছাড়া অন্য কোথাও আমার একটিভিটি নেই।



ক্বওমি ধারার মাঠপর্যায়ের ছাত্র-শিক্ষকদের দু'টি বিষয় অত্যন্ত স্পষ্ট করে বলছি।

১. অন্তত আগামী ৫০ বছরে বাংলাদেশ থেকে ইসলাম সমূলে উৎখাত হবে না, আমরা সবাই যদি ঘুমিয়েও থাকি। কারণ এটা কোটি জনতার অনুভূতিতে লালিত। এখানে হাত দিলে সরকারের ক্ষতি হবে এবং তারা এটা বুঝেন। তাই আমাদের দুশ্চিন্তার কারণ নেই। আমাদের বিরুদ্ধে সরকারের বর্তমান পদক্ষেপগুলো রাজনৈতিক সদিচ্ছাপ্রসূত বলেই মনে হয়। ২. পার্লামেন্টে যেহেতু বিরোধী দলের অস্তিত্ব আছে এবং এর ভেতরে-বাইরে অন্যান্য রাজনৈতিক দলও আছে, তাই সরকার যেকোন রাজনৈতিক ভুল করে পার পাবে না। যেমন আগামী ১ মাসের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সরকার ভেতরে-বাইরে প্রচণ্ড সমালোচনার সম্মুখীন। এখানে আরও লক্ষণীয়, বামধারার যে সমাজতান্ত্রিক দলগুলো গণতন্ত্রের বিপরীতে (সমাজতন্ত্রের মূল আদর্শ গণতন্ত্রের বিপরীত) দাঁড়িয়ে, তারাও কিন্তু সরকারের এ পদক্ষেপের সমালোচনা করছেন। এমনকি সরকারের শরীক দলও। এখান থেকেই আমাদের শিখতে হবে রাজনৈতিক বিচক্ষণতা। সমালোচনা করাও একটা শিল্প এবং গঠনমূলক সমালোচকদের অবস্থান সবার উপরে।



রাজনৈতিক দল ছাড়াও বিখ্যাত অনেকেই সরকারের কড়া সমালোচনা করছেন নিয়মিতই। কই, তাদের তো সরকার ধরপাকড় করছে না। তাহলে আমাদের ভুলগুলো কোথায়? তাই রাজনীতি নিয়ে আপাতত আমাদের মাথাব্যথার কারণ নেই। হেফাজতে ইসলামের ৫ মের কর্মসূচি যেহেতু রাজনৈতিক ছিল না, তাই এখানে রাজনৈতিক পরাজয়েরও প্রশ্ন নেই। বরং বলা যায় হেফাজত সফল। একটা দাবি সরকার মেনে নিয়েছে। শাহবাগ বন্ধ করে দিয়েছে সেই রাতেই। অন্যগুলো নিয়েও চিন্তাভাবনা হচ্ছে। আর যে ক্ষতিটা আমরা দেখছি, তা আমাদের ভুলের কারণে। সুতরাং গতানুগতিক রাজনৈতিক দলগুলোর মতো আমাদের প্রতিহিংসাপরায়ণ বা প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দেয়া অবশ্যই বিচক্ষণতার পরিচায়ক নয়। আমাদের ১৩ দফার আন্দোলন নিয়মমাফিক চলবে।



হেফাজত নেতাদের বলছি, রাজনীতি আগে শিখে তারপর মাঠে নামুন। আর যেভাবে একের পর এক ভুল করছেন, তাতে ভবিষ্যতে আপনাদের রাজনীতি বা যেকোন আন্দোলন সংগ্রাম করার অধিকার থাকবে কিনা সন্দেহ। এদেশের আলেমদের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, আমি মনে করি আওয়ামী সরকার আমাদের প্রতি যথেষ্ট উদারই ছিল। না হলে ৫ মে শাপলা চত্বরে সমাবেশের অনুমতি দিত না। সেদিন দুপুরে ইন্ডিপেন্ডেটে মাওলানা রূহি পরিস্কার বলেছিলেন, ''আমরা কাউকে ক্ষমতা থেকে নামাতে বা ক্ষমতায় উঠাতে আন্দোলন করছি না। আমাদের আন্দোলন ঈমানী চেতনায় বলীয়ান।" অত্যন্ত ভালো লেগেছিল। সস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলাম এই ভেবে যে, তাহলে হুজুরদের মধ্যেও কারও ফাঁদে পা না দেয়ার সচেতনতা আছে। কিন্তু মুফতি ফয়জুল্লাহ এবং আরও কয়েকজন সমাবেশের মাইকে মারাত্মক ভুল করেছেন।



আমি সময় নিয়ে পরে বলতে চাই। আপাতত বলছি, সৌদি, কাতার, দুবাই- এসব দেশে যেসব আলেমগণ আছেন, আপনারা নিরাপদে বসে আমাদের বিপদে ফেলবেন না। এখনও সময় আছে, ভুল থেকে শিক্ষা নিন। যাদের রাজনীতি বুঝার বয়স হয়নি, তাদের উস্কানী দেবেন না। দিলে আমি পরিস্কার বলছি, আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াব। জানি, ফতোয়া দিবেন। তবুও এছাড়া আমার আর কিছু করার থাকবে না। গতকাল রাতে চ্যানেল আই-এ দেখিয়েছে, অনলাইনে যারা সশস্ত্র জিহাদের নামে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, তাদের তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে। আত্মগোপনকারী নেতারাও কে কোথায় আছে তা গোয়েন্দারা জানে। সুতরাং ক্ষ্যন্ত দিন।



সরকারের রাজনৈতিক ভুলগুলোকে মোকাবেলার দায়িত্ব দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর হাতে ছেড়ে দিন। এভাবে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত করা যায় না। আসুন আমরা আত্মসমালোচনায় প্রবৃত্ত হই। এ দেশে ইসলাম থাকবে না এ ধারণা আপনাদের কে দিল? দেখেননি রেশমাকে উদ্ধারের পর কিভাবে জনতা স্বতঃস্ফূর্তভাবে আল্লাহু আকবার ধ্বনি দিয়েছিল? আমাদের ধর্মীয় দায়িত্ব আমরা ঠিকমত পালন করলেই আমাদের কোন সমস্যা থাকবে না। যেভাবে একটা শ্রেণী 'ক্বওমি' ব্যানারে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, তাতে শেষ পর্যন্ত মুখ না খুলে পারলাম না। আমি জানি না এরা কারা। আমার ক্বওমি ফ্রেন্ডদের অনুরোধ করব, সিনিয়র নেতারা এখন মাঠে নেই। সুতরাং এদের থামানোর দায়িত্ব আমাদেরই। আপনারা এগিয়ে আসুন। প্রয়োজনে আমরা খোলামেলা কথা বলি। ঢাকার মাদ্রাসাগুলো থেকে অনেকেই আমাকে জানিয়েছেন তারা চরম নিরাপত্ত্বাহীনতায় ভুগছেন। এদের সাহায্য করুন। প্রয়োজনে আমরা সরকারের সঙ্গে কথা বলব। এসব সাধারণ ছেলেদের কঠিন বিপদের মুখে ঠেলে দেয়া আমাদের উচিত হবে না।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.