নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাপন একজন গনমাধ্যম শ্রমিক

নীল নীর্জন

সাধারন প্রামান্যচিত্র নির্মাতা ও সৃষ্টির সকল আঙ্গিকের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ।

নীল নীর্জন › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি নদী ভাঙ্গন; আমার নানা আর বর্তমান বাংলাদেশ

০১ লা মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:৫৫

নব্বই দশকের মাঝ ভাগের কথা, আমি ক্লাশ সিক্সের ছাত্র মুন্সি গঞ্জে আবাসিক থেকে লেখা পড়া করি।্ওই বছরই পদ্মার ভয়াবহ ভাঙ্গনের শিকার হয় লৌহজং খানার দিঘলী অঞ্চল। প্রায় ৭ কিলোমিটারের ও বেশী এলাকা সেই ভাঙনে নদী গর্ভে হারিয়ে যায়।গৃহস্তের ঘর, খেলর মাঠ, স্কুল, কলেজ এবং মসজিদ সহ জনপদের সব চিহ্ন হারিয়ে যায় উত্তাল পদ্মায়। নদী ভাঙনে ক্ষতি গ্রস্ত মানুষের অসহায় আর্তনাদ আর বহতা নদীর এমন হ্রাসী রুপ জীবনে আর কোন দিন দেখি নি। দেখার প্রত্যাশাও করি না ।

সপ্তাহ শেষে হস্টেল থেকে বাড়ি ফিরে আমার নানা আব্দুস সামাদ মাষ্টারের কাছে বর্ননা করলাম। আমি যেমন প্রতিক্রিয়া প্রত্যাশা করেছিলাম তার কিছুই হলো না।(প্রসঙ্গতঃ বলে রাখি আমার নানা ভাষা আন্দোলনে প্রত্যক্ষ অংশ গ্রহন করেছেন এবং এক সময় আ্ওয়মী মুসলীম লীগের ঢাকা সদর সাউথ এর সেক্রেটারী ছিলেন)

নানা শুধু একটা দ্বীর্ঘশ্বাস ফেল্লেন, আমি জিঞ্জেস করলাম কেন তার এই দ্বীর্ঘশ্বাস?

বল্লেন নদীর ভাঙ্গনে মানুষের সব হারিয়ে যায়। আগুনে পুড়লে সেই কয়লার উপর গোবর দিয়ে হয়তো আবার আবাদ করে ফসলি জমিতে পরিনত করা যায়। কিন্তু জমিন না থাকলে সব আশা; ভবিষ্যতে মাথা উচু করে দাড়াবার উপায় থাকে না।



আজকের বাংলাদেশ দেখে সেই নদী ভাঙন আর নানার কথা গুলো বেশ মনে পড়ছে। গত কালের হরতালে যেই পরিমান মানুষ মৃত্য বরন করেছে তা হয়তো বা কোন দিনই হয় নাই। কারো কারো দৃষ্টিতে কিছু দেশ বিরোধী মানুষ মারা গিয়েছে। তাই এতো গুলো মৃত্যতেও আমাদের দেশের সুশিল সমাজ দুঃখ প্রকাশ করার ভূল করেন নি।

আবার অন্য একটি দলের মানুষরা এই মৃত্যকে দেখছেন বীবত্বপূর্ন শহিদী মৃত্য হিসেবে।অনেক তরুন নিজের জীবন বিলিয়ে দেয়ার নতুন প্রত্যয় ব্যাক্ত ও করছেন। আর আইন শৃংখলা বাহিনী ও অনেকটা কোন ধরনের সহনশীলতা প্রদর্শন করছেন না আন্দোরনকারী মানুষদের প্রতি।

যে যাই বলুক না কেন আমি বিশ্বাস করি যারা মৃত্য বরন করছে তারা বাংলাদেশে জন্ম নেয়া কিছু মানুষ, এদের প্রায় সবাই তরুন বয়ষের। এদের কেউ কেউ হয়তো বা তার পরিবারের ; মা -বাবা কিংবা বন্ধু বান্দব ও স্বজনদের বেশ আদরের ছিল। তাই দল মত নির্বিশেষে সেই মৃত ব্যাক্তির আশে পাশের মানুষরা এ্ই মৃত্যু কোন অবস্থাতেই ভালো ভাবে নিবে না । বরং রাষ্ট্র বা ক্ষমতাশীন দলের প্রতি তাদের ক্ষোপ বৃদ্ধি পাবে।



বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে জাতি হিসেবে আমরা নানা ভাবে বিভক্ত।

এ্ই মৃত্য এবং সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় শাহাবাগের প্রজন্মের আন্দোলন দেশকে হয়তো বা আরো ভয়ানক ভাবে বিভক্ত করে দিবে। ক্রমান্বয়ে হয়তো বা রাষ্ট্র হিসেবে আমরা অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিনত হবো। আর একটি সুঠামো রাষ্ট্র ব্যাবস্থা না থাকলে সে রাষ্ট্রে কোন দর্শন বা আদর্শের লালন পালন সম্ভব হয় না ।

তাই যারা প্রতিক্রিয়াশীল ধর্মীয় গোষ্ঠীহীন অ সাম্প্রদায়ীক রাষ্ট্র ব্যাবস্থা প্রতিষ্ঠার গড়ার চেষ্টা করছেন তাদের জন্য সুন্দর একটি সংঘাতহীন দেশ প্রয়োজন।

আবার যারা মনে করেন ধর্মীয় আদর্শে রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়বেন তাদের জন্যও প্রয়োজন সংঘাতহীন একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা ।

আবার সেই নদী ভাঙন প্রসঙ্গে আমার নানার কথা - জমিন থাকলে চাষবাদ করা যায়। জমিন না থাকলে ভবিষ্যৎ চিন্তা করা যায় না ।

তাই সরকার এবং বিরোধীদের সহনশীল হ্ওয়া খুবই প্রয়োজন।নতুবা হাজারো বাংলাদেশীর রক্তে আমাদের প্রিয় দেশটি অকার্যকর হয়ে যেতে পারে্

তাতে আপনি আমি কেউ সুখে থাকতে পারো না । পারবো না অদর্শ কিংবা মুক্ত চিন্তার লালন পালন করতে।

আসুন দেশ এবং দেশের মানুষের প্রানকে ভালো বাসি।

আমাদের সবার বিজয় হ্উক।

বিজয় হ্উক সত্যের।





মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:০৫

মহসিন১২৩ বলেছেন: রাজাকার মুক্ত দেশ গড়ার নামে, দেশকে ১০০বছর পিছিয়ে দেওয়ার পাযতারা। বুঝবিরে ফেলি বুঝবি দিন গেলি।

২| ০১ লা মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:১৯

নাহিদ বিএসএম বলেছেন: শান্ত দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। সচেতন সকল মানুষকে এর বিরুদ্ধে সরব হতে হবে। দেশ শুধু তথাকথিত নেতাদের না, আমাদের সকলের।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.