![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"... তোমরা যা কিছু করছো আল্লাহ তায়ালা তার সব কিছুই দেখছেন।" (সূরা আল হাদীদঃ আয়াত ৪) ///////// "তিনি চোখের খেয়ানত সম্পর্কে (যেমন) জানেন, (তেমনি জানেন) যা কিছু (মানুষের) মন গোপন করে রাখে (সে সব কিছুও)।" (সূরা আল মোমেনঃ আয়াত ১৯) ///////// "যিনি জন্ম ও মৃত্যু সৃষ্টি করেছেন, যাতে করে এর দ্বারা তিনি তোমাদের যাচাই করে নিতে পারেন, কর্মক্ষেত্রে কে (এখানে) তোমাদের মধ্যে বেশি ভালো, ..." (সূরা আল মূলক, আয়াত ২) ///////// "... অবশ্যই আমার নামাজ, আমার এবাদাত, আমার জীবন, আমার মৃত্যু - সব কিছুই সৃষ্টিকুলের মালিক আল্লাহ তায়ালার জন্যে।" (সূরা আল আনয়ামঃ আয়াত ১৬২)
*** আল্সে, কুঁড়ে ও কাজে ঢিলা না হয়ে তাত্ক্ষণিকভাবে কর্মতত্পর থাকাই মুমিনের বৈশিষ্ট্য। নিছক পার্থিব উন্নতি লাভের জন্য ব্যস্ত ও অস্থির না হয়ে দ্বীনী কাজে এবং দ্বীনের জন্য ত্যাগ ও কোরবানীর ক্ষেত্রে পরস্পর প্রতিযোগীতা করার জন্য কোরআন ও হাদীসে উত্সাহ দেয়া হয়েছে। তাই ইকামাতে দ্বীনের সংগ্রামে ও যাবতীয় দ্বীনী কাজে প্রতিযোগিতা ও তাত্ক্ষণিক তত্পরতা অপরিহার্য।
_________
"... তোমরা (আসল) কল্যাণের দিকে অগ্রসর হবার কাজে একে অপরের সাথে প্রতিযোগিতা করো; ..."
(সূরা আল বাকারাঃ আয়াত ১৪৮)
"তোমরা তোমাদের মালিকের পক্ষ থেকে ক্ষমা পাওয়ার কাজে প্রতিযোগিতা করো, আর সেই জান্নাতের জন্যেও (প্রতিযোগিতা করো) যার প্রশস্ততা আকাশ ও পৃথিবী সমান, আর এই (বিশাল) জান্নাত প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে সে সব (ভাগ্যবান) লোকদের জন্যে, যারা আল্লাহকে ভয় করে,"
(সূরা আলে ইমরানঃ আয়াত ১৩৩)
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা ক্ষণকাল বিলম্ব না করে সত্কাজের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়ে যাও। কারণ শীঘ্রই অন্ধকার রাতের অংশের মত বিপদ-বিশৃংখলার বিস্তার ঘটবে। তখন মানুষ সকাল বেলা মুমিন থাকবে, সন্ধ্যায় কাফের হয়ে যাবে, আবার সন্ধ্যায় মুমিন থাকবে, সকালে কাফের হয়ে যাবে। সে তার দ্বীনকে পার্থিব স্বার্থের বদলে বিক্রয় করবে। (মুসলিম)
উকবা ইবনুল হারিস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পিছনে মদীনায় আসরের নামায আদায় করলাম। তিনি সালাম ফিরিয়ে তড়িঘড়ি উঠে পড়লেন এবং লোকদের ডিঙ্গিয়ে তাঁর স্ত্রীদের কামরার দিকে গেলেন। লোকেরা তাঁর এই তড়িঘড়ি দেখে ঘাবড়ে গেল। তারপর তিনি বেরিয়ে এসে দেখলেন যে, লোকেরা তাঁর তড়িঘড়ির কারণে হতবাক হয়ে গিয়েছে। তিনি বললেন, এক টুকরা সোনা বা রূপার কথা মনে পড়েছিল, যা আমাদের নিকট ছিল। আমার নিকট তা জমা থাকা পছন্দ করছিলাম না। তাই তা বিতরণ করে দেয়ার হুকুম দিয়ে এলাম। (বুখারী)
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক লোক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে জিজ্ঞেস করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! কোন্ সদাকায় (দানে) সবচেয়ে বেশি সওয়াব? তিনি বললেন, তুমি এমন অবস্থায় দান করবে যে, তুমি সুস্থ আছ, মালের প্রতি লোভী আছ, অভাব-অনটনকে ভয় করছ এবং সম্পদের আশাও করছ। তুমি দান করার ব্যাপারে এমনভাবে কার্পণ্য করো না যে, শেষে মৃত্যুর মূহুর্ত এসে যায় এবং তখন তুমি বলবে যে, এ পরিমাণ অমুকের এবং সে পরিমাণ অমুকের। অথচ অমুকের জন্য সে মাল নির্ধারিত হয়েই গিয়েছে। (বুখারী ও মুসলিম)
যুবাইর ইবনে আদী (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আনাস ইবনে মালেক (রা.)-র নিকট এসে হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফের তরফ থেকে আমরা যে নির্যাতিত হচ্ছিলাম তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেশ করলাম। তিনি বললেন, সবর কর, কারণ যে যুগই আসুক, তার পরবর্তী যুগ পূর্ববর্তী যুগের চেয়ে অধিকতর খারাপ। এ অবস্থা তুমি তোমার রবের সাথে সাক্ষাত করা পর্যন্ত চলতে থাকবে। আমি এ কথা তোমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট থেকে শুনেছি। (বুখারী)
২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৭ দুপুর ২:৫৫
বইপাগল বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৭ দুপুর ২:৫৬
সাইমুম বলেছেন: ৫
৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:০১
বইপাগল বলেছেন: ধন্যবাদ @সাইমুম
৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৪:৫৭
ঠোটকাটা ব্লগার বলেছেন: আপনার একটি জিনিষ ভালো লাগে ,আপনি ইসলামকে ভালোবেসে লিখে যান,কিন্তু ইসলাম আর রাজাকারি রাজনীতিকে এক করে ফেলেন না।
আপনাকে ৫ দিচ্ছি,এবং ভবিষ্যতে আরো দেব ইনশাল্লাহ।
৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ১১:১৩
বইপাগল বলেছেন: @ঠোটকাটা ব্লগার, ভালো লাগছে আপনার মন্তব্য পড়ে, অনেক ধন্যবাদ।
৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৭ ভোর ৪:২৬
আবূসামীহা বলেছেন: ৫...
বইপাগল ভাই, আপনি বেশ কিছু লোককে দীন কায়েমের আন্দোলনের সাথী বানিয়ে ফেলেছেন, যারা আগে ইসলামের নাম শুনলে রাজ়াকার গন্ধ পেত। দেখেছেন, তারা আপনাকে কিভাবে উত্সাহ দিচ্ছে। আল্লাহ্ তাদেরকে ইকামতে দীনের আন্দোলনে শরীক হওয়ার তাওফীক দিন।
৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৭ সকাল ১০:২৯
বইপাগল বলেছেন: @আবূসামীহা - ঠিক বলেছেন ভাই, আসলে আল্লাহ তায়ালা আমাদের সেই তৌফিক দিয়েছেন যে আমরা বোঝাতে পেরেছি, ইসলাম আমাদের নিজের ধর্ম। এটা কোনো দলের তৈরী গঠনতন্ত্র নয় বা তাদের মতো আমরা এটাকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় আরোহন করতে চাই না। এটা আল্লাহ তায়ালা কর্তৃক প্রেরিত সব মানুষের জন্য একমাত্র দ্বীন। এমন একটি ম্যানুয়াল বুক যা আমাদের জীবনকে সঠিকভাবে চালাতে পুরোপুরি সাহায্য করে। এবং সবশেষে লাভ শুধু আমাদেরই হয়। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৭ সকাল ১১:৩৮
কিন্তু কি বলেছেন: ৫ দিলাম